নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শত কষ্টের মধ্য একটু সুখ খুজছিসব সময় বাধা হয়ে দাড়ায় কঠোর বাস্তবাতা

চেনা পথের অচিন পথিক

আমি একজন মাত্রাতিরিক্ত ভদ্র ছেলে

চেনা পথের অচিন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ বিয়ে

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৫



জুন মাস চলছে অফিসে কাজের খুব চাপ,
আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসল , বিরক্ত হয়ে ধরলাম না
আরো কয়েকবার ফোন আসার পর রিসিভ করলাম
- হ্যালো
- কিরে তুই কেথায়?
শুনো তো মাথা গরম হয়ে গেল ,তারপরেও ভালো ভাবে বল্লাম
- আপনাকে ঠিক চিনতে পারলাম না
- আরে আমি রায়হান
- হ্যা বল
- কেথায় তুই
- অফিসে কেন কি হইসে
- এত কথা বলার সময় নেই তুই তাড়াতাড়ি আমার বাসায় চলে আয়
টুইট........ টুইট....... টুইট.....
অফিস থেকে বেরুতে দেরি হয়ে গেল
রওনা দিলাম ওর বাড়ির দিকে
গিয়ে দেখি বন্ধুদের অনেকেই ওখানে
আসার সময় দেখলাম মালিহর বাড়ির সামনেও ভীর

========
ক্লাস সেভেনে নতুন ভর্তি হলাম
কিছু দিনের মধ্যই ভালো খাতির হল অনেকের সাথে
রায়হান তখন প্রেম করত মিহির সাথে
তাদের প্রেমের কোনো ঠিকানা ছিল না
সে শুধু তার সাথে য়েত আর আসত
যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন একটা হিন্দি মুভি বের হল বড়ি গার্ড
তারপর থেকে তাকে বড়ি গার্ড বল্লে খেপাতাম সবাই
কারণ ছিল সে বড়ি গাডের মত প্রতিদিন তাকে নিয়ে আসত আর তার সাথে বাড়ি য়েত
এভাবেই চলছিল .....
এস.এস.সি এর পর ভতি হলাম কলেজে
গিয়ে দেখি একই সেকশনে আমরা তিন জন
শুরু হল একসাথে বাদরামু করা
আমি , রায়হান , শামিম
আমরা তিনজন কিছুদিনের মধ্যই কলেজে সকল স্যারের কাছে পরিচিত হয়ে গেলাম
তবে ভালো ছাত্র হিসেবে নয় বাদর হিসেবে
হিসাব বিজ্ঞানের স্যার তো আমাদের তার ক্লাসে একসাথে বসতে পর্য়ন্ত দেয় নি,
এরই মধ্য খবর পেলাম মিহির বিয়ে হয়ে গেছে

=======
কিরে কি হয়েছে ?
সবাই একসাথে ?
ব্যপার টা যা ভেবেছিলাম তাই
রায়হান আর মালিহার বিয়ে
এ অসম্ভব সম্ভব হল কি ভাবে
বাড়ির ভিতরে ঢুকলাম
আন্টি দেখেই কি বাবা এত দেরী কেন ?
একটু কাজ ছিল
কিন্তু এখনো সেই হারামিটার সাথে দেখা হয় নি
সারা বাড়ি খুজেও পেলাম না
কি আর করব সবার সাথে বসে আড্ডা দিতে লাগলাম

=======

কি আর করবে
মনের দুঃখে মালিহা কে গিয়ে বলল
- আমাকে একটা প্রেম করিয়ে দে [ আমরা সবাই এক সাথে স্কুলে পড়তাম]
- আমার সাথেই কর (মালিহা )
- না অন্য কউকে দেখ
- কেন আমাকে কি পচ্ছন্দ না
- নিজেদের মধ্য আর না
- ঠিক আছে দেখছি
এরই মধ্য ভালো লেগে গেল ইতি নামের একটি মেয়ে
কি আর করার অনেক কষ্টে প্রেম টা হল আর কিছু দিনের মধ্য ভেঙ্গেও গেল
ঈদ উপলক্ষে কলেজ ছুটি দিল
মালিহা রায়হান কে ফোন করে বলল একসাথে বাসায় যাবে
দৌরাতে দৌরাতে আমার কাছে আসে
- দোস্ত চল একসাথে বাড়ি যাই
- না কিছু কাজ আছে সেরে কাল বাড়ি যাব
- না দোস্ত মালিহা ফোন দিসিল একসাথে বাড়ি যেতে চাইলো
- তো যা আমাকে টানিস কে
- না দোস্ত কন্ঠ টা অন্য রকম মনে হল
- যা দূর হ
- না দোস্ত তোর যেতেই হবে
- আমার ভারা দিলে যাব
- ঠিক আছে
বের হলাম একসাথে
আমাকে দেখে যেন মালিহার মন খরাপ হয়ে গেল
বাস থেকে নেমে রায়হানের কাছ থেকে বিদায় নিল কিন্তু আমাকে কিছুই কইল না বুঝলাম কিছু তো ব্যপার আছে
শুরু হল এইচ এস সি পরীক্ষা
তারপর ভর্তি কোচিং শুরু
রাত ২:০০ বাজে রায়হানের ফোন
- কিরে ফোন দিছিস কেন
- দোস্ত বাড়ির গেট টা খুল সব পরে বলছি
এত রাতে মেজাজ টা কঠিন গরম হল
- ওই এত রাতে এখানে কি করিস ?
- আগে রুমে তো যাবি না কি
- ঠিক আছে চল
- কি রে এত রাতে কি ঘটনা ঘটাইছিস
- ধর আগে একটা বিড়ি খা
- না তোর ভাব তো সুবিধার লাগতেছেনা
- বন্ধু হয়ে গেছে
- কি হয়ে গেছে ?
- মালিহার সাথে প্রেম
- মানে কি তুইএত রাতে ওর সাথে দেখা করে আসলি
- হ্যা

======

দেখা গেল মহাপুরুষ কে
- কিরে রায়হান কোথায় গেছিলি
- একটু বাজারে গেছিলাম
- চল একটু ছাদে থেকে ঘুরে আসি
সিগারেট ধরাতে ধরাতে
- আচ্ছা এসব হল কি ভাব
- সব এই ছাদের জন্যই হযেছে
- মানে!
- কাল মালিহাকে দেখতে আসার কথা ছিল তাই মনরে দু: খে এখানে পা ঝুলিয়ে বসে ছিলাম চোখের এক কোনে পানি এসে গেছিল
ভাবলাম ঘরে যাই , যখন উঠতে যাব তখনি আপু ছাদে আসে আর ভাবে আমি ছাদ থেকে লাফ দিতে য়াচ্ছিলাম, চোখে পানিও
জমে ছিল ব্যস আর কোন কথাই নেই মালিহার বড় ভাইয়ের সাথে আপু একসাথেই পড়ত কথা বল্ল আপুই ।
- দোস্ত চল রেড়ি হয়ে নে তাড়াতাড়ি যাই
- কিরে বিয়ে আমার না তোর


পরিশিষ্ট: বন্ধুর বিয়ে শেষে বের হব তখন ই এক মেয়ে কে দেখলাম থাক গল্প টা না হয় অন্য দিন করব
বাসর ঘরে ঢোকার পর আমি একটা ছবি দিলাম :


বানান ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.