![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন একটা ছেলে বেড়ে উঠা গ্রামে, আর ভালোবাসি বাংলাদেশ। পড়তে খুব পছন্দ করি, মাঝে মাঝে লিখারও চেষ্টা করি।
ফকির আবদুল হাই সাহেব আর আমি মুখোমুখি বসে আছি। তিনি হেলান দেয়া আরাম চেয়ারে পা তুলে বসেছেন, আমি সামনে রাখা সোফায়। সেই প্রথম দিনের মত মানুষটাকে আমি আবার দেখলাম। দশ বছর পরেও প্রায় একই রকম দেখতে। সাদা লম্বা দাঁড়ি, আধাপাকা বাবরি চুল অবশ্য এখন পুরো সাদারঙ হয়েছে, পরনে সিল্কের সাদা রঙের একটি পাঞ্জাবি পরা, মিষ্টি ঘ্রাণের এক পারফিউম মেখেছেন। ফিটফাট সুদর্শন চেহারা ঠিক যেমনটা দেখেছিলাম আগে, মুখে একটু বয়সের ছাপ পড়েছে। আমি মাথা নীচু করে হাত নাড়াচাড়া করছিলাম। কি বলে কথা শুরু করবো বুঝতে পারছি না। ভেতরে অনেক কথা জমে আছে, চাপা অভিমানও আছে। এই দশ বছরে আমার সবকিছু বদলে গেছে। আমি বদলে গেছি, আমার চিন্তার জগত, আমার জীবন, আমার সময় সবই বদলে গেছে। ফকির সাহেবের শান্ত শীতল চোখ দেখে মনে হচ্ছে তিনি সবই জানেন কিন্তু নিজে থেকে কিছু বলতে নারাজ।
— অজান্তাকে আপনি কিভাবে চেনেন?
কোন রাখঢাক না রেখেই আমি সরাসরি প্রশ্ন করলাম।
ফকির সাহেব চেয়ার থেকে আমার দিকে সামান্য ঝুঁকে এসে বললেন;
— দেখো অমিত, আমাদের জীবনে অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে যেগুলোর হিসেব তুমি মেলাতে পারবে না। সবকিছু জানার চেষ্টা করতে নেই। আমরা যদি আমাদের জীবনের ঘটে যাওয়া সব ঘটনার কারন জানতে চাই তাহলে জীবনে বেঁচে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবো। কিছু ঘটনা না জানতে পারাই সৌন্দর্য। আমি তোমাকে সবই বলবো, সময় হলে।
— অজান্তার খবর পেলেন? কেমন আছে সে?
ফকির সাহেব উদাস ভঙ্গিতে জবাব দিলেন;
— অজান্তার সাথে আমার দেখা হয়নি। আমার দেখা হয়েছে অজান্তার স্বামীর সাথে। ইঞ্জিনিয়ার এমরান হোসেন, সাভানায় বিরাট এক আইটি ফার্মে জব করছেন। আমি সেই ফার্মে গিয়েছিলাম, সেখানেই দেখা হয়েছে।
— অজান্তার খবর পাননি?
— না, এমরান সাহেব অজান্তার কোন তথ্য আমাকে দেননি। এখানে আমার কিছু একটা সন্দেহ রয়েছে। আমি সেই রহস্য খুঁজে বেড়াচ্ছি।
— হয়তো তিনি আপনাকে জানানোর আগ্রহ পাননি।
— বুঝলে অমিত, আমরা যা ভাবি কিংবা কল্পনা করি তার সাথে বাস্তবতার অনেক সময় মিল হয়না। প্রকৃতি বড়ই বিচিত্র, একেকজনকে একেক রকম রাখতে ভালোবাসে। কাউকে ছায়া দেয়, কাউকে রৌদ্র, আবার কাউকে অভাব দেয় আর কাউকে অঢেল সম্পদে ভরিয়ে রাখে। প্রকৃতির রহস্য বুঝা বড় কঠিন।
ফকির সাহেব খুব শান্তভাবে কথাগুলো বললেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম;
— আপনি কি সন্দেহ করছেন?
— আমি তোমাকে সবই সময় হলে জানাবো। তুমি আমাকে আগে অজান্তার সাথে তোমার ব্রেকাপের রহস্যটা বলো। তোমাদের জীবনে তখন কি কি ঘটনা ঘটেছিলো? আমাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবই বলো।
আমি ওনার হঠাৎ এই কথা শুনে কিছুটা চমকে উঠলাম। ফকির সাহেব কি রহস্য নিয়ে সন্দেহ করছেন? অজান্তার কি হয়েছে তাহলে? অজান্তা কি আমেরিকায় নেই? আমি উঠে দাঁড়িয়ে গেলাম। ভেতরে ছটফট অনুভূতি হচ্ছে। কিন্তু অজান্তার সেই রহস্য বের করতে পারবেন একমাত্র তিনিই। তাই তার সাথে আর কথা বাড়ালাম না। আমি জিজ্ঞেস করলাম;
— আপনার কি সময় হবে আজকে?
তিনি চেয়ার থেকে উঠে সিগারেট ধরালেন। আবার চেয়ারে বসতে বসতে বললেন;
— এখন সকাল ১১ টা বাজে, দুপুরে আমরা একসাথে খাবো। তুমি বলতে পারো, আমার সবকিছু শুনতে হবে।
আমি ফকির সাহেবের ড্রয়িং রুমের জানালা দিয়ে নীচে তাকালাম। বাসার সামনের মেহগনি গাছগুলো বেশ মোটাসোটা আর বড় হয়ে গেছে। বাইরে প্রচন্ড রোদের তাপ, দূরে বনানী মাঠ দেখা যাচ্ছে, কিছু বাচ্চা দৌড়াচ্ছে, মাঠের পাশের রাস্তায় গাড়িগুলো জ্যামে আটকে আছে। সব দৃশ্যই আমার শৈশব থেকে চেনা। প্রিয় বনানী, আজ কত বছর পরেও আমার আপন হয়ে আছে। আমি দূরে তাকিয়ে স্মৃতিগুলো ফেরত আনার চেষ্টা করলাম। স্মৃতিরা প্রচন্ড বিশ্বস্ত হয়, ডাকলেই ধরা দেয় আমার কাছে, আমি বলতে লাগলাম...
❝অজান্তার সাথে আমার প্রেম ভালোই চলছিলো। সবার অগোচরে আমরা দেখা করছি, কথা বলছি। আমি প্রতিমাসেই একবার প্রায় শেরপুর যাই। অজান্তা আমাকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে থাকে। একটু ছুঁতে চায়, পাশে বসতে চায়, আমাকে দেখতে চায়। এজন্য সবসময়ই যেতে বলে, আমার পড়াশোনার চাপ বেড়েছিলো যার কারনে সময় বের করে যেতে কষ্ট হয়।
একদিন অজান্তা আমাকে ফোনে জানালো, সে তার মাকে আমাদের সম্পর্কের কথা জানিয়েছে। আমি স্মিত হাসি দিয়ে বললাম;
— কি বলো!
সে মিষ্টি হাসি দিয়ে উত্তর দিলো;
— জ্বি মহারাজ, আম্মু জিজ্ঞেস করেছিলো কার সাথে ফোনে কথা বলি। তখন আমি তোমার কথা বলেছি, তোমার পরিচয় জানিয়েছি।
— তা উনি কি বললেন?
— আম্মু তো শুনে বেশ অবাক হলেন। একদম ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেছেন। কিভাবে যোগাযোগ হলো, পরিচয় কিভাবে সব জানতে চাইলেন।
— উনি আমাকে চেনেন? আমার সম্পর্কে ধারনা কি ওনার?
— আম্মু তোমার বাবা-মাকে ভালো করেই চেনেন। তোমাকেও ছোটবেলায় দেখেছেন। শোনো না, আম্মু তো দেখলাম তোমার ব্যাপারে পজেটিভ।
আমি মনে মনে ভীষণ খুশি হয়েছি। অজান্তা তার মাকে জানিয়ে ভালোই হয়েছে। ধীরে ধীরে সবার মধ্যেই জানাজানি হওয়া দরকার। অজান্তাকে পেতে হলে আমাকে সবার মুখোমুখি হতেই হবে। এছাড়া আমার বাবাকেও জানানো দরকার অজান্তার কথা। কিন্তু বাবাকে কখন বলবো কিভাবে বলবো সেটা আমি অনেক আগেই চিন্তা করে রেখেছি। আম্মু যদি বেঁচে থাকতো তাহলে আমি এখনই অজান্তার মত খুব সহজেই তাকে জড়িয়ে ধরে বলে ফেলতাম;
"আম্মু জানো, অজান্তা নামে ভীষণ মিষ্টি আর লক্ষী একটা মেয়েকে আমি প্রচন্ড ভালোবাসি। তোমার পুত্রবধূ হিসেবে তার চেয়ে যোগ্য মেয়ে দুনিয়ায় নাই।"
কিন্তু সেই সৌভাগ্য তো আমার নেই। ভালোবাসার কথা মায়েদের যত সহজে বলা যায় বাবাদের তত সহজে জানানো যায় না। আমি সময় হলেই আব্বাকে জানাবো। আপাতত অজান্তা একটা কাজ এগিয়ে এনেছে দেখে তাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। খুশিমনে তাকে ধন্যবাদ দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম;
— তারপর মা শেষে কি প্রতিক্রিয়া দিলেন? তিনি কি বলেছেন, যা অজান্তা তুই নিশ্চিন্ত মনে অমিতের সাথে প্রেম করে যা.... হাহাহা (আমি হাসতে লাগলাম)
অজান্তাও হেসে দিলো। তারপর বলে;
— ধূর গাধা! এরকম কোন মা বলে নাকি। তবে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, "তোর বাবা-চাচাদের তো আমি চিনি, ওরা প্রেম করে বিয়ে করা মেনে নিবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। যাইই করিস নিজেকে ঠিক রাখিস। পরিবারের মান সম্মান নষ্ট হয় এমন কিছু করিস না। পরিবারের সবাই যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই মেনে নিবি"
— তাহলে তো মহা বিপদ। ওনারা কি আমাকে পছন্দ করবেন না?
— শুনো, আমার আব্বু আর চাচাদের হলো এমন একটা মানসিকতা যে, প্রেম করাটাই একটা অপরাধ। প্রেম জিনিসটাই ওনারা মেনে নিতে পারেন না। প্রেমিক তুমি হও আর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ছেলে হোক, প্রেম করি শুনলেই আমার খবর আছে।
— কিন্তু এই কঠিন কাজটাই আমাদের করতে হবে পাগলী। আশা করি ওনারা আমাকে মেনে নিবেন। মেনে না নেয়ার তো কোন কারন নেই। ওনাদের কাছে আমি ছোটবেলা থেকেই পরিচিত, আমার বাবার সাথে ওনাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক, এছাড়া আমি ভার্সিটিতে পড়ছি, আমাদের পারিবারিক স্ট্যাটাসও ভালো। আমি তো না হওয়ার কোন কারণ দেখি না।
— তোমার আর আমার কাছে যেটা কারন না হয়তো দেখা যাবে সেটাই ওনাদের কাছে বড় কারন। অমিত, আমি তোমাকে হারাতে পারবো না। আমাদের এই লড়াইটা অনেক কঠিন হবে আমি জানি।
— তুমি আমার ওপর ভরসা রাখো পাগলী, আমি দেখবা সব ম্যানেজ করে ফেলবো। সব ঠিক করে আমরা একদিন বিয়ে করে ফেলবো।
— আমার ভয় লাগে, আব্বু কখন সব জেনে যায়। আম্মু হয়তো আব্বুকে জানিয়ে দিতে পারে।
আমি অজান্তাকে আমার ওপর ভরসা রাখতে বলি। আমি বরাবরই প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী মানুষ, নিজের নেয়া সিদ্ধান্ত আর কাজের প্রতি আমার আত্মবিশ্বাস সবসময় বেশি। আমি নিশ্চিত ছিলাম অজান্তার বাবা চাচা কিংবা ভাই-বোন কেউই আমাদের এই সম্পর্কে না করতে পারবে না। আমার মনে হয়েছিলো এই সম্পর্ক মেনে না নেয়ার একটা কারনও নেই।
আমি জানি না, তখনো বুঝতে পারিনি, এই কথোপকথনের কয়েক দিনের মধ্যেই আমার জীবনের সবকিছু চিরতরে পাল্টে যাবে।
আমি একটু চুপ করে রইলাম। ফকির সাহেব আমার দিকে তাকিয়ে আছেন, তার চোখে ধৈর্য আছে, আমার কণ্ঠ শুনবার অদ্ভুত এক গভীরতা। আমি আবার জানালার দিকে তাকালাম। বনানীর সেই গাছগুলোর ছায়ায় কাঁপতে কাঁপতে আমার শৈশব, কৈশোর আর ভালোবাসার স্মৃতিগুলো ফিরে এলো।
আমি শুরু করলাম—
"সেবারও আমি অজান্তার সাথে দেখা করতে শেরপুর গিয়েছিলাম...
বর্ষার শেষ দিক, চারপাশে তখনো কাদা আর জলের আধিক্য। অজান্তা আমাকে বাস স্ট্যান্ড থেকে নিতে এসেছিল। পরনে ছাপা জামদানি কামিজ, চুলে একটা হলুদ ফিতা, চোখে টানা কাজল। আমি ওকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, যেন এই শহরের সব সৌন্দর্য অজান্তার মুখে জমে আছে।
ওর হাত ধরে আমরা রিকশায় উঠলাম। শহরের ভিতর দিয়ে ছোটো ছোটো রাস্তা পেরিয়ে একসময় একটা পুরনো লাইব্রেরির পাশে নামলাম। ও বললো,
— এখানে বসে কথা বলি। খুব নিরিবিলি জায়গা।
আমরা লাইব্রেরির পেছনের বাগানে বসে গল্প করছিলাম। হঠাৎ অজান্তা বললো,
— অমিত, একটা কথা বলবো... তুমি রাগ করবে না তো?
আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,
— আমি কখনো তোমার কথায় রাগ করতে পারি না, জানো তো।
অজান্তা একটু চুপ করে রইলো। তারপর নিচু গলায় বললো,
— আব্বু হয়তো আমাদের ব্যাপারে কিছু আঁচ করতে পেরেছেন। আমার ধারণা আম্মু ওনাকে আমাদের ব্যপারটা জানিয়ে দিয়েছেন। গতকাল আমার মোবাইলটা চেক করছিলেন, আমি বুঝে ফেলেছিলাম।
— কি বলো! তারপর?
— কিছু বলেননি। কিন্তু আজকে সকালে খুব কঠিন চোখে তাকিয়ে বললেন, "তুই তোর মোবাইলটা আমাকে দিয়ে দিস, তোর মোবাইল ব্যাবহার করার দরকার নাই।"
আমার মাথায় যেন বাজ পড়লো। আমি বললাম,
— তুমি কী বললে ওনাকে?
— কিছু বলিনি। শুধু মোবাইল দিয়ে দিতে চেয়েছি। কিন্তু তখন নেন নি, বলেছেন কাল নিবে। এরপর আব্বু আমার সাথে আর কোনো কথা বলেননি। কিন্তু তারপর থেকেই বাসার পরিবেশ কেমন অচেনা হয়ে গেছে।
আমি চুপ করে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললাম,
— তোমার বাবা কি আমার পরিবারের কারো প্রতি কোনো রাগ পুষে রেখেছেন?
— জানি না অমিত। কিন্তু কয়েক বছর আগে একবার তোমার আব্বুর নাম শুনে আব্বু খুব বিরক্ত হয়েছিলেন। হয়তো কিছু ঘটেছিল। আমি খোঁজ নিয়েছি, কিন্তু কিছু বের করতে পারিনি। তোমাদের পরিবারের সাথে আমাদের একটা দূর সম্পর্ক আছে—কিন্তু কিছু একটা হয়েছিল কিনা তা আমার জানা নেই।
— বাসার অন্যদের অভিমত কি? তোমার ভাই-বোন?
— কেউই পজিটিভ না। আব্বুর সিদ্ধান্তের উপর কথা বলার ক্ষমতা ওদের কারো নেই। এছাড়া ওরাও দেখলাম কেমন যেন তোমাকে পছন্দ করছে না।
এই কথাটা আমাকে অনেকখানি আহত করলো। আমি তখনো বুঝিনি আমাদের ভালোবাসার পথে সবচেয়ে বড় বাধা কোনটা? আমার বাবার সাথে ওই পরিবারের পুরনো কোন সম্পর্ক কিংবা ঝামেলা অথবা ওই পরিবারের সংকীর্ণ মানসিকতা অথবা নেহায়েত ইগোর সমস্যা?
আমার মনে হচ্ছিল, আমি যদি তখনি আব্বুকে গিয়ে সব বলে দিতাম, হয়তো তিনি নিজে গিয়েই সব মিটিয়ে ফেলতেন। কিন্তু আমি অপেক্ষা করছিলাম... ঠিক সময়ের জন্য।
সেদিন অজান্তাকে কথা দিয়েছিলাম আমি সবকিছু ঠিক করে ফেলবো। আমার উপর আস্থা রাখতে। নিজের উপর আমার ছিলো অগাধ আত্মবিশ্বাস, মনে হচ্ছিলো অজান্তাকে পেতে আমি দুনিয়ার সবকিছু উজাড় করে দিতে পারবো। আমার দ্বারা সব ঠিক করা সম্ভব, আমি পারবো অজান্তার পরিবারকে রাজি করাতে।
(অপেক্ষা-১১তম পর্ব ©শামীম মোহাম্মদ মাসুদ)
২৬ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:০৩
শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বড়ভাই।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।
২৭ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৫৩
শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ বলেছেন: রাজীব ভাই, পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো হয়েছে।