নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম মাসুদ ভুবন।

শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ

আমি খুব সাধারন একটা ছেলে বেড়ে উঠা গ্রামে, আর ভালোবাসি বাংলাদেশ। পড়তে খুব পছন্দ করি, মাঝে মাঝে লিখারও চেষ্টা করি।

শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুলাই চেতনা ও বাস্তবতা

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬



এই যে জাতির সামনে নতুন একটি চেতনা হাজির করা হলো এই চেতনার ফলাফল কি? দেশে এখন দুইটা চেতনা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেলো, একটা হলো একাত্তরের চেতনা, অন্যটা জুলাই চেতনা। একাত্তরের চেতনাকে চুয়ান্ন বছর পর পরাজিত করে চব্বিশের জুলাই চেতনা জয়লাভ করার পর বলা হচ্ছে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হলো। এখন এই জুলাই চেতনা কত বছর স্থায়ী হতে পারে?

আপনি যখন একটা চেতনাকে যুদ্ধের মাধ্যমে পরাজয়ের কথা বলবেন তখন স্বাভাবিকভাবেই নতুন চেতনার পরাজয়ের জন্যও অপেক্ষা করতে হয়। সেখানে পরবর্তী স্বাধীনতার ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে যায়। এটাই রাজনৈতিক নিয়ম। চেতনা কখনো চিরস্থায়ী হয় না, সময়, প্রজন্ম আর জাতিগত শিক্ষার মাধ্যমে চেতনার পরিবর্তন হয়। বিশ্বের যেসব জাতি শত শত বছর তাদের জাতিগত চেতনা ধরে রাখতে পেরেছে তারা তাদের প্রজন্মকে সেই চেতনার সঠিক শিক্ষা দিয়ে সময়কে আটকে রাখতে পেরেছে।

সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে একাত্তর পরবর্তী সময়ে সব রাজনীতিবিদরা প্রজন্মকে চেতনার শিক্ষা দেয়ার পরিবর্তে চেতনার ব্যবসা শিখিয়েছে। এখন চব্বিশ পরবর্তী সময়েও ঠিক একই কায়দায় চেতনার ব্যবসা শেখানো হচ্ছে। জাতিগত বিভেদ চরম আকার ধারণ করেছে, সামাজিক বৈষম্য অতীতের যে কোন সময়ের তুলানায় বেড়েছে, অন্যায় অবিচার আর জুলুম চলছে দেদারসে। দূর্নীতি হচ্ছে, মারামারি হানাহানি হচ্ছে, ঘুষ বানিজ্য হচ্ছে, সিন্ডিকেট চলছে, সরকারের নিয়ন্ত্রণে কোন কিছুই নেই।

জুলাই চেতনার সঠিক শিক্ষা যদি জাতিকে দিতে পারতো তাহলে এসব হওয়ার কথা ছিলো না। এভাবে দেশ চলারও কথা ছিলো না। যারা চব্বিশের জুলাই চেতনায় বিশ্বাস করে মাঠে আন্দোলন করেছিলো তারাও এখন হতাশ হয়ে গেছে। গ্রামে গঞ্জে, চা দোকানে, রাস্তাঘাটে, অফিসে কোথাও জুলাই চেতনার আর কিছু অবশিষ্ট আছে বলে মনে হচ্ছে না। এর কারন কি? এর জন্য দায়ী তো এই রাজনীতিবিদরা।

তাইলে এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে চব্বিশের চেতনাও চিরস্থায়ী হবে না। নতুন চেতনা আবার এই জাতির জন্য অবধারিত হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটাকেই কি তবে তৃতীয় স্বাধীনতা বলা হবে? বাঙালি কি আরেকটা স্বাধীনতা অর্জন করার অপেক্ষায় আছে? প্রশ্ন হলো, দ্বিতীয় স্বাধীনতা যদি ৫৪ বছর পরে পায় তৃতীয় স্বাধীনতার জন্য কত বছর সময় লাগতে পারে?

-রাজনৈতিক আলাপ
©শামীম মোহাম্মদ মাসুদ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমাদের স্বাধীনতা ও চেতনা একটি চলমান প্রক্রিয়া।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জুলাই চেতনা আবার কি?
তারা যে যুক্তিতে শেখ হাসিনাকে অভিযুক্ত করছে ঐ যুক্তিতে বাংলাদেশ না শুধু পৃথিবীর সব রাষ্ট্র প্রধানকে হুকুমের আসামী করা যায়। এই ইউনুস সরকারকেও করা যায় সেদিনের বিক্ষবে শ্রমিক হত্যা ও আগের বিভিন্ন হত্যাকান্ডে

তারা প্রথমে গণহত্যা বলে চালায়ে দিতে চাইছিল। গণহত্যার যেহেতু একটা নির্দিষ্ট সংজ্ঞা এবং শর্ত আন্তর্জাতিকভাবে আছে সেহেতু সেই ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় এটাকে নিতে না পেরে পরে স্বীকার করে নিয়েছে এটা গণহত‍্যা নয়। মামলা প্রত্যাহ্র করে নতুন মামলা নতুন কৌশন নিয়েছে মানবতা বিরোধী অপরাধ। ওটাও ধোপে টিকবে না।
প্রথমত, যারা মারা গেছেন তারা তাদের পোষ্ট মোর্টেম হতে দেয় নাই।
রীতিমত হুমকি ধামকি দিয়ে পোষ্ট মোর্টেম বন্ধ করেছে। কারন গোমর ফাঁস হয়ে যাবে।
কতজনকে চক্রান্তকারিরা তথা জামত হিজবুত গুপ্ত হত‍্যা করেছে সে নিয়েও ওনেক প্রমান আছে আছে। নানা ভিডিও এভিডেন্স আছে গুপ্ত হ'ত‍্যা'র স্বপক্ষে।
সংঘর্ষের সুচনা ঢাবিতে। কিন্তু ঢাবির কোন ছাত্র নিহত তালিকায় নেই। ঢাকার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যু নেই। স্পষ্ট ভিডিও প্রমান আছে এবং প্রথম আলোর রিপোর্ট আছে কিভাবে হলে ছাত্রলীগ আটকে রেখেছে, এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে আন্দলন চাঙ্গা করছিল। এরপরেও ঢাকার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যু নেই।
সাইদ মুগ্ধ নিহত নিয়েও অনেক সন্দেহ।
জুলাইয়ে আলোচিত মেট্ররেল বিটিভি্তে ভয়ানক হামলাতেও কোন মৃত্যু হয় নি, শুধু রাবারবুলেট।
এরপরেই গুপ্ত হত্যা শুরু হয়।
জুলাই চেতনা এগুলোই।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০২

শেরজা তপন বলেছেন: হাজার হাজার বছর ধরে দার্শনিক , ধর্মতত্ত্ববিদ , ভাষাবিদ এবং বিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণ, সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা এবং বিতর্ক সত্ত্বেও , চেতনার প্রকৃতি এখনও বিভ্রান্তিকর এবং বিতর্কিত , "আমাদের জীবনের সবচেয়ে পরিচিত কিন্তু সবচেয়ে রহস্যময় দিক" । সম্ভবত এই বিষয়ে একমাত্র ব্যাপকভাবে ভাগ করা ধারণা হল অন্তর্দৃষ্টি যে এটি বিদ্যমান । চেতনা ঠিক কী অধ্যয়ন এবং ব্যাখ্যা করা উচিত সে সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কখনও কখনও চেতনাকে মনের সমার্থক হিসাবে বিবেচনা করা হয় , এবং কখনও কখনও এটি মনের একটি দিক হিসাবে বিবেচিত হয়।

অতীতে, চেতনাকে একজন ব্যক্তির "অভ্যন্তরীণ জীবন" হিসেবে বিবেচনা করা হত, যা আত্মদর্শন , ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা , কল্পনা এবং ইচ্ছাশক্তির একটি জগৎ । আজ, চেতনার সংজ্ঞায় প্রায়শই কিছু ধরণের অভিজ্ঞতা , জ্ঞান , অনুভূতি বা উপলব্ধি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এটি মেটাকগনিশন , আত্ম-সচেতনতা ইত্যাদি হতে পারে এবং সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে ।


চেতনার অর্থ নিয়ে এত দ্বিমত ও দ্বন্দ থাকলে একাত্তুর আর জুলাইয়ের চেতনা নিয়ে এই ঝামেলা হবেই :)

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২

কামাল১৮ বলেছেন: যে চেতনা মানুষের কল্যানে আসে সেটা গ্রহন করা ভালো।জুলাই চেতনা কল্যানের থেকে অকল্যান করছে বেশি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.