![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু সম্পর্ক মানুষের জীবনকে আগের চেয়েও সুখী করে।
আর ভুল মানুষের সাথে সম্পর্ক জীবনকে বিষাদময় করে দেয়...
গতানুগতিক জীবনে কত মানুষের সাথে আমাদের মিশতে হয়, পরিচিত হতে হয়।
কিছু মানুষের সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর মনে হয় ইশশ... তার সাথে পরিচয়টা না হলেই ভালো হতো।
কিন্ত ততক্ষনে দেরী হয়ে যায় অনেক। ছাড়লে সমস্যায় পড়তে হয়, না ছাড়লে বিপদে পড়তে হয়।
তাদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়া যায়না। নিরুপায় হয়ে নিজেই সরে পড়তে হয় একসময়।
মানুষের বাহ্যিক চেহারা দেখে তার ভেতরের পশুটাকে চেনা যায়না। তাই সম্পর্ক গড়ার আগে বিবেচনার সুযোগ নেই। কিন্ত সম্পর্ক হওয়ার পর তাদের আচরণে আপনাকে বুঝে নেয়া উচিত তার সাথে আপনার সম্পর্ক রাখাটা কতটুকু নিরাপদ।
যেসব মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখা উচিত নয়...
বন্ধুঃ
-যে বন্ধু কারনে অকারনে অন্যের সাথে মিথ্যে বলে। যে কোনও সময় আপনার সাথেও সে মিথ্যে বলতে পারে।
-যে বন্ধু আপনাকে কথা দিয়ে কথা রাখতে পারেনি। কথা রাখতে না পারায় তারমধ্যে কোনো অনুশোচনাবোধও নেই।
-যে বন্ধু নিরীহ কাউকে আঘাত করে, অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেয় কিংবা অবলা জীবজন্তুকে হত্যা/ মারধর করে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করে। স্বার্থে আঘাত হলে অথবা আত্মচাহিদা মেটাতে না পারলে এই জাতীয় বন্ধুরা যেকোনও সময় আপনাকেও আঘাত করতে পারে !
-যে বন্ধু মন্দ কাজের সাথে জড়িত এবং আপনাকেও মন্দ কাজে উৎসাহিত করে। যেমন নেশা, চুরি, একাধিক প্রেম, পরীক্ষায় নকলবাজি ইত্যাদি। অথবা যে বন্ধুর পরামর্শে আপনি বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, এরা কখনোই বন্ধু হতে পারেনা। এরা আপনার প্রকৃত শত্রু।
-যে বন্ধু বিপদের দিনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বিপদ কেটে গেলে আবার কাছে ঘেঁষতে থাকে। এরা হচ্ছে সুসময়ের বন্ধু। সুসময়ের বন্ধুরা কখনো প্রকৃত বন্ধু হতে পারেনা।
-যে বন্ধু অন্যের ব্যক্তিগত কথা কিংবা গোপনীয় নানান বিষয় আপনার সাথে বেশ আগ্রহ সহকারে আলাপ করে। কেউ হয়তো তাকে বিশ্বাস করে কিছু কথা বলেছিলো। সে এসে আপনাকে সব জানিয়ে দেয় এবং সেটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে। যে সব বন্ধুরা অন্যের গোপনীয় কথা আপনার সাথে আলোচনা করে, তারা আপনার গোপনীয় বিষয়ও অন্যের কাছে গিয়ে বলে দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই এ ধরণের বন্ধুদের কে বিশ্বাস করা ঠিক না।
.
প্রেমিক/প্রেমিকাঃ
-যে প্রেমিক অথবা প্রেমিকা নিজের ইচ্ছাকেই সবসময় প্রাধান্য দেয়। আপনার ইচ্ছার কোনো মুল্য নেই।
-তাকে সবসময় আপনি আগে স্মরন করেন। সে কখনও আগে থেকে আপনার খোঁজ খবর নেয়না।
অথবা আপনার মান অভিমান নিয়ে যার কোনও মাথাব্যাথা নেই। সে তার মতোই থাকে। তাহলে বুঝবেন আপনার ব্যাপারে তার খুব একটা মনযোগ নেই।
কাজেই এমন লোকের সাথে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া উচিত হবেনা।
-মিথ্যে বলে ধরা পড়ার পর অথবা অন্যায় করে যে কখনও অনুতপ্ত হয়না।
এই জাতীয় বিবেকবর্জিত মানসিকতার প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে বিয়ে হলে দাম্পত্যজীবন সুখী হবেনা।
-আপনার সুখে-দুঃখে যদি সমানভাবে আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা একাত্ম হতে না পারে এবং সব সময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে, তাহলে বুঝবেন আপনার প্রতি তার সহমর্মিতার যথেষ্ট অভাব আছে।
-আপনি অপছন্দ করেন অথবা বিরক্ত হন, এমন কাজগুলোই যদি সে বেশি বেশি করে; অথবা অন্য সবার বিরক্তির উদ্রেক করে কিংবা অন্যকে আহত করে, এমন কোনো নির্মম রসিকতা বিনাসঙ্কোচে করতে পারে;
তাহলে বুঝবেন আপনি একজন আত্মকেন্দ্রিক বিকারগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে প্রেম করছেন।
-কারো প্রতি মন আকৃষ্ট হলেই তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, এমনটা ঠিক নয়। হঠাৎ করে কারো সাথে পরিচিত হবার মধ্য দিয়ে অর্থাৎ কোনো রকম বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া বন্ধুত্ব কিংবা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত নয়। যেকোনো ধরনের সম্পর্ক তৈরীতে সাবধান হতে হবে।
আত্মীয়স্বজনঃ
যেসব আত্মীয়স্বজন আপনার বিপদের দিনে নিজেদেরকে বিপদগ্রস্থ দেখিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ায়না।
অপরিচিতজনঃ
যাদেরকে দেখলে আপনার বারবার সন্দেহ হয়। এমন লোকদের থেকে দূরে থাকাই উত্তম। কথায় আছে, খাবারে সন্দেহ হলে সেই খাবার না খাওয়া উচিত... পরে বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে !!
©somewhere in net ltd.