![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক কে প্রতারিত করে অন্যকে খুশি করারজন্য কথা বলা ও লেখা একটি প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। সবার সাথে প্রবঞ্চনা করা গেলেও নিজের সাথেকখনো প্রবঞ্চনা করা যায় না।
বাংলাদেশের একটি ধর্মতান্ত্রিক দল নাম জামায়াত ইসলাম ।বিভিন্ন ধর্মানুসারীদের এ দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত (যদিও নামেই শুধু গণতন্ত্র ) । গণতন্ত্র যা ধর্মবিরোধী নয় আবার ধর্মান্ধও নয় । গনতন্ত্রে যে কোন মানুষের ধর্মে বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের অধিকার রয়েছে । তেমনি বাংলাদেশের কোন দলই ধর্মবিরোধী না । এরা কেউই কারো ধর্ম পালন ও প্রচারে বাঁধা দেয় না । তবে যে রাজনৈতি দল বাংলাদেশের জন্যে কাল হয়ে দাড়িয়ে তা হল জামায়াত ইসলাম ।এরা একটি মুখোশ পরে নিয়েছে তা হল ধর্মের ।বাঙালি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে আর বেশ রাষ্ট্রিক স্নেহেই বড় হয়ে উঠেছে এই দলটি ।বাংলাদেশে ধর্মের নামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এদের ভূমিকা আমার জানা নেই তবে সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিতে এদের ভূমিকা প্রতিনিয়ত দৃশ্যত ।ধার্মিকদের শ্রদ্ধা করার প্রথা সর্বত্রই প্রচলিত তা সে যেমনই হোক না কেন। ধর্ম সম্পৃক্ত রয়েছে এমন যে কোন কিছুই আমাদের কাছে খুব বেশি স্পর্শকাতর । মনের সর্বচ্চ আবেগ দিয়ে আমরা তা মূল্যায়ন করি কোন বাছ-বিচায় ছাড়াই । আমাদের সমষ্যা হল আমরা ইসলাম আর জামায়াত ইসলামকে এক করে দেখি । জামাত বিরোধী কথাই আমরা ইসলাম বিরোধী ভাবি ।জনগন প্রাপ্ত বিশ্বাসে স্বস্থি পায় , আর ঐ বিশ্বাসকে যখন কেউ প্রবল করে তোলে তখন তা হয়ে অত্যন্ত উপভোগ্য ।আর বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে এদেশে শেকড় গেরে বসেছে জামাত ।রাজনৈজিক ব্যাবসায় এরা নতুনত্ত্ব এনেছে দেশ প্রীতি আর জনগণ প্রীতির সাথে এরা যোগ করেছে ধর্মের মুখোশ । বেশ মজার দল এটা ALL IN ONE PACKAGE দলে সম্পৃক্ত থেকে রাজনীতৈক ব্যাবসাও হচ্ছ আবার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আর সহিংসতা চালিয়েও ধার্মীকের খেতাবও পাওয়া যাচ্ছে অনায়াশে।আরেকটা মজার বিষয় হলো এ দলের নায়েবে আমির হতে হলে অবশ্যই আপনাকে ৭১ এর যুদ্ধাপরাধী হতে হবে । আসলে এরা মুখে যতটা ধর্মের বুলি আওরায় তাদের নিজেদের অতটা বিশ্বাস বা শ্রদ্ধাবোধ নেই ধর্মের প্রতি । ফিতনা ফাসাদ হত্যার চেয়ে জঘণ্য এধরণের হাদিসে তারা বোধ হয় একেবারেই বিশ্বাস করে না ।আবার ইসলাম বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও এরা উপায় না দেখে এদেশের 'গণতান্ত্রিক' নির্বাচনে অংশ নেয় । বাংলাদেশের প্রায় জম্ম লগ্ন থেকেই তারা এদেশে । অথচ তারা কিভাবে এদেশে ইসলাম তথা শান্তি প্রথিষ্ঠা তাহা আমার বোধগোম্য হচ্চে না !ভাই যারা পরকালে বেহশত পাবার আশায় জামাত শিবির করেন তাদের কাছে আমার একটা রিকুয়েষ্ট আপনারা ভাই এখনই বেহশত চলে যান আমরাই বাংলাদেশে থাকি ।আর ইসলাম মানে যেহেতু শান্তি তাই জামায়াতের সাথে ইসলাম শব্দটি যুক্ত করে ইসলাম আমি আর কুলশিত করতে পারব না । বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জামায়াত যদি ইসলামের বাহক হয় তবে ইসলামকে কেউ আর শান্তির ধর্ম বলবে না ।মহানবী (সঃ) ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মানুষের মনে আর এরা ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করছে মানুষের গায়ে মুখোশ রুপে । তাই জামায়াতকে অধার্মীক নিষদ্ধ সংগঠন হিসাবে ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি ।
©somewhere in net ltd.