![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক কে প্রতারিত করে অন্যকে খুশি করারজন্য কথা বলা ও লেখা একটি প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। সবার সাথে প্রবঞ্চনা করা গেলেও নিজের সাথেকখনো প্রবঞ্চনা করা যায় না।
ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া, কীটপতঙ্গ, পাখি, কুকুর, বিড়াল, শুকুর এদের মধ্যে কোন সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায় নেই ।এদের কোন ধর্ম নেই, ধর্মীয় রীতি-আচার কোন কিছুই নেই।
ধর্ম আছে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের ।উকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে পৃথিবীতে মোট ৪৩০০(প্রায়) গৌণ-অগৌণ ধর্ম প্রচলিত রয়েছে । সৃষ্টিকর্তার নামে মোটামুটি ৪৩০০ ভাগে বিভক্ত আমারা ।এছাড়াও একই ধর্মের ভেতরে রয়েছে নানান ভাগ-বিভক্তি ।সবচেয়ে সনাতন ধর্ম হিন্দু ধর্মের আবির্ভাব ৪০০০-৩৫০০ আগে ।কিন্তু তার থেকেও অনেক অনেক বছর আগে থেকে পৃথিবীতে এসেছে মানুষ ।তাই ধর্মের জন্যে মানুষ সৃষ্টি হয় নি বরং মানুষের জন্যে ধর্ম সৃষ্টি হয়ে ছে মানুষের মঙ্গল সাধন শান্তির প্রয়াসে।
এখন এই ৪৩০০ ধর্মীয় সম্প্রদায় যদি নিজস্ব সম্প্রদায় ব্যতিত অন্য সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিতে চায় বা সহিংস আচরণ করে তবে কি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে ?
না ।
বরং ধর্মের কারণে একসময় মানব জাতির সংখ্যাই লঘু হয়ে যাবে ।মিডিয়ায় প্রতিনিয়তই প্রকাশিত হচ্ছে ধর্মীয় সংঘাত, সহিংসতার খবর ।এক সম্প্রদায়ের প্রতি আরেক সম্প্রদায়ের আক্রমন ।আসলে; প্রকৃতপক্ষে যেটা ঘটছে সেটা হলো মানুষের প্রতি মানুষের আক্রমন । একই প্রজাতি নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে । যেখানে অধিকাংশ ধর্মই বিশ্বভ্রাতৃত্ব, শান্তি আর মানবতার বুলি দিয়ে ভরপুর।
যশোহর, ঠাকুরগাঁও, সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুদের ওপর ধ্বংসযঞ্জ চালানো হচ্ছে, ধর্ষণ করা হচ্ছে । আসলে এই সংখ্যালঘু কারা ? এরা কি কুকুর বিড়াল শুকুর ? নাকি এরাও মানুষ ?!!
যশোহরে কোন ধর্মের অনুসারীর দ্বারাই ধর্ষিত হচ্ছে আরেক ধর্মের অনুসারী ।
ধর্মীয় সহিংসতাকারী এই সমস্ত দুপেয়ে জানোয়ারগুলো কুলসিত করে চলেছে সমগ্র মানব জাতি , দেশ ও সমাজকে । সেই সাথে ধর্মকেও ।
"একদা অন্ধকারে ধর্ম এনে দিয়েছিল আলো ।
আজ তার কঙ্কালের হাড় আর পচা মাংসগুলো ফেরি করে ফেরে কিছু স্বার্থন্বেষী ফাউল মানুষেরা ।"-(#রুদ্ধ্র)
©somewhere in net ltd.