![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক কে প্রতারিত করে অন্যকে খুশি করারজন্য কথা বলা ও লেখা একটি প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। সবার সাথে প্রবঞ্চনা করা গেলেও নিজের সাথেকখনো প্রবঞ্চনা করা যায় না।
ভারতবিদ্বেষের কারণ হলো স্বাধীনতার পক্ষের পরাজয় ঘটেছে, মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি, যারা বহন করছে পাকিস্তানের উত্তরাধিকার। অত্যন্ত বেদনার বিষয় হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় অংশ যারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, জীবন দিয়েছে, তারাও মানসিকতায় ছিলো পাকিস্তানবাদী; আর বাঙলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী পাকিস্তানি চেতনাই লালন করেছে- তাদের উচ্চপদস্থরা জীবনের শুরুতে পাঠ নিয়েছিলো পাকিস্তানবাদের, প্রতিক্রিয়াশীলতা ও ভারতবিদ্বেষ যার দুটি মূলস্তম্ভ। এ ছাড়া প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতিক ও পীর-মাওলানারা তো আছেই, যারা ইরানতুরানের স্বপ্নে বিভোর।
আমাদের প্রতিক্রিয়াশীলরা এখন যাকে দণ্ডিত করতে চায়, তাকেই নিন্দিত করে ‘ভারতপন্থি’ বলে- পাকিস্তানের প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়াশীলদের ভারত বিদ্বেষ এখনো সমানে চলছে বাঙলাদেশে। ‘ভারতপন্থি’ নিন্দাসূচক নাম হয়ে উঠেছে, যদিও হওয়া উচিত ছিলো প্রশংসাসূচক; কেননা ভারতের থেকে কে আমাদের বেশি উপকার করেছে? জাতি হিশেবে আমরা শোচনীয় কৃতঘ্নতার পরিচয় দিয়ে চলেছি। ভারতের সঙ্গে আমাদের আবহমান ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে; মিল রয়েছে ভাষা, সংস্কৃতি, শিল্পকলা, জীবনধারণ পদ্ধতি, প্রাকৃতিক পরিবেশ, নদী, মেঘ, সঙ্গীত, হাহাকার, সুখ, বৈশাখ ও ফাল্গুনের মধ্যে।
ভারতের সঙ্গে যারা সাংস্কৃতিক, শৈল্পিক, ভাষিক ও আরো অজস্র বিষয়ে আন্তর বোধ করে, তারা বাঙলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চায় না, তারা স্বাধীন বাংলাদেশই চায়; তবে তারা বহু বিষয়ে গভীর সম্পর্ক বোধ করে ভারতের সঙ্গে, কেননা তারা এটা রক্তে অনুভব করে। আমি কখনো ভারতীয় হতে চাই না, ভারতের আজ্ঞাও মেনে চলতে চাই না, কিন্তু আন্তরিক সম্পর্ক পাতাতে আমার কোনো দ্বিধা নেই; আমি কী করে পরিত্যাগ করো পাণিনি, ব্যাস, বাল্মীকি, চার্বাক, কালিদাস, কাহ্নপাদ, চণ্ডীদাস, ভারতচন্দ্র, বিদ্যাসাগর, মধুসূদন, রবীন্দ্রনাথ, এবং আরো অনেককে? কালো মাটির দেশের মিশরিরা মুসলমান হয়েছে, তারা আলেকজান্দ্রিয়ার মহাগ্রন্থাগার ধ্বংস করেছে, আল আজহার তৈরি কএও অন্ধকারে থেকেছে, কিন্তু ফারাওদের পিরামিড এখনো তাদের প্রধান সম্পদ প ঐতিহ্য। এছাড়া আর কী আছে তাদের?
আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম
লেখকঃ হুমায়ুন আজাদ
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:২৫
বুড়া শাহরীয়ার বলেছেন: ei shala vul koira bangladeshe jonmaichilo. porojonme indian neri kuta koia jonmaibo
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৪৯
আলী খান বলেছেন: ভাদা আর পাদা শালাগুলির জন্য দেশের এই অবস্থা...আর ভাদা গুলি ইদানিং বেশি বাড়ছে....
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৩
অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাই বুঝলাম না পুরা লেখাডা কি আপনের না হুমায়ুন আজাদের? এত্ত শিক্ষিত মানুষ না তো আমি? বাংলাদেশ বানান আগে ঠিক করেন। আর কিছু বলতে গেলে আমি গালি দিব। থাক না বলি, গালি দেয়া বন্ধ করেছি।
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: নহূমানগুলো হু আজাদকে চাপাতি দিয়া না কোপায়া ইচ্ছামত জুতা দিয়া বারাইত, তাইলে বেশি খুশী হইতাম।
৬| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১০:০৪
শামীম ক্ষ্যাপা বলেছেন: ভারতের সঙ্গে যারা সাংস্কৃতিক, শৈল্পিক, ভাষিক ও আরো অজস্র বিষয়ে আন্তর বোধ করে, তারা বাঙলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চায় না, তারা স্বাধীন বাংলাদেশই চায়
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৫৮
মুক্ত মণ বলেছেন: ইডিয়ট টাইপের লেখা। যুক্তি খন্ডাতে গেলে আসল পোস্টের চেয়েও বড় হয়ে যাবে আর আসল লেখকও বেঁচে নেই। তবে এক কথায় বলা যায় বাংলাদেশের জন্মলগ্নের ৬ মাস শত্রু ছিল পাকিস্তান আর জন্মের পরের ৪৩ বছর শত্রুতা করেছে ভারত। একমাত্র হিন্দী/উর্দুপ্রেমী-জারজ ও পাগল ছাড়া যে কারো চোখে এটা ধরা পড়বে। এই লেখার লেখক জীবিত থাকলে প্রকাশ্যে জুতাপেটা পাওনা ছিল।