![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক কে প্রতারিত করে অন্যকে খুশি করারজন্য কথা বলা ও লেখা একটি প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। সবার সাথে প্রবঞ্চনা করা গেলেও নিজের সাথেকখনো প্রবঞ্চনা করা যায় না।
কবিতার শরীরে স্থূলতার দায় কার
কবিতা থেকে কাব্যিকতা কে মুক্তি দিতে হবে । কবিতা হবে তাজা,টাটকা ।নিজের বৈশিষ্ট্যে নিজেই প্রকাশিত ।কবিতা কেনো হবে না --শ্রমিকের ঘামের মতো,বেশ্যার দেহের মতো,পিয়নের নিষ্ঠার মতো,চৌকিদারের রাতজাগরণের মতো,রিকশাওয়ালার পিঠের মতো ?
কবিতা এ্যাতো নরম কেন ? ওর শরীর বাঙালিবউ এর মতো কেন ? যা পায়-তাতেই খুশি-কেনো দ্রোহ জাগে না ?
যার ভিতর দ্রোহ নাই--সে কি জড় ব্যতিত অন্য বস্তু ? কবিতা জড় বস্তু ?
কবিতাই তো সকল শিল্পের উৎস । মানবিকের চাষ অনবরত-কবিতাই সৃষ্টি করে যায় । মগজের চাষ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে না পারার নাম জড়ত্ব ?
কবিতা যেন কাব্যিকতায় ভরে না যায় --কবিতা আবার পুরাপুরি দর্শন হবে না -হবে না জ্যামিতি ।খুড়েখুড়ে তবু নি:শেষ না হয়ে যাওয়ার অনন্ত প্রক্রিয়াই--কবিতা । নিজকে ভাঙে শব্দে,বর্ণে,বাক্যে,কথনে অবশেষে ভাষাকে নিয়া যায় উচ্চতর বিকশিত সৃষ্টিতে ।
দরিদ্রতম রাজনীতির রাষ্ট্র ব্যবস্থাতেও ভাষা টিকে থাকে-শুধুমাত্র-কবিতার অন্ত:স্থ অনুপ্রেরণার তাগিতে ।কবিতা মুক্তি পাক--মুখোশ থেকে-কবিতা মুক্তি পাক আধ্যাত্ত্বিকতা থেকে-কবিতা মুক্তি পাক প্যানপ্যানানি থেকে ।
কবিতা হয়ে উঠুক মানবিক প্রেরণার অনিবার্য আকাঙক্ষা ।
©somewhere in net ltd.