![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক কে প্রতারিত করে অন্যকে খুশি করারজন্য কথা বলা ও লেখা একটি প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। সবার সাথে প্রবঞ্চনা করা গেলেও নিজের সাথেকখনো প্রবঞ্চনা করা যায় না।
মানুষ বই কেন পড়ে?ইউরোপে পরিচালিত একটি গবেষণায় বলছে, নানা কারণে বই পড়ে মানুষ। এর মধ্যে জ্ঞান আহরণ একটি প্রধান কারণ। কিন্তু জ্ঞান অন্বেষণের আগ্রহেই মানুষ বই পড়ছে তা কেন? তাহলে তো স্কুল-কলেজে কেউ ফলাফল খারাপ করতো না। বা ক্লাসের মাঝে লুকিয়ে গল্পের বই পড়তো না। তাহলে, কেন পড়ে মানুষ বই? ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বই পড়ার দশটি কারণ বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো, বলবার দক্ষতা বৃদ্ধি, চিন্তার স্বচ্ছতার জন্য, বিশ্লেষণী দক্ষতা, মনোসংযোগ, লিখবার দক্ষতা, বিনোদনের জন্য, অবসাদ কাটানো ইত্যাদি। কিন্তু গুরুত্বের তালিকায় যে বিষয়টিকে তারা এক নম্বরে রেখেছে সেটি হচ্ছে—মানসিক উদ্দীপনা। বই পড়লে মানুষ মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত হয়। সে কারণেই তারা বই পড়ে। বই মানুষের চিন্তার জগতকে ক্রমপ্রসারিত করে। সামান্য থেকে অসামান্যে আরোহণের বড় মাধ্যম বই।
আমরা বিশ্বাস করি সামাজিক জাগরণ তথা পরিবর্তন মানুষের চিন্তার জগত তথা তার মননে পরিবর্তন ।যে পরিবর্তনের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম গুলোর মধ্যে অন্যতম হল বই।মানুষের মাঝে গরে তুলতে হবে বই পড়ার অভ্যাস ।আর তারই প্রয়াসে একজের হাত ধরে ২০১৪ সাল থেকে আমরা ক্ষুদ্র পরিসরে আয়জন করি বই মেলার । প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্রিয়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযগিতার পুরস্কার হিসাবে বইকে মনোনীত করার লক্ষ্যে আমরা শিক্ষা মন্ত্রনালায় , ইউ এন ও, উপজেলা সহ গোয়ালন্দের প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্মারক লিপি প্রদান করি এ ক্ষেত্রে আমাদের বেশ কিছু সফলতাও রয়েছে । গোয়ালন্দের বন্ধ গ্রন্থাগার খোলার দাবিতে ও মানুষের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার প্রয়াসে নিয়মিতভাবে পোষ্টার লিখে আসছি আমরা । একজের বাৎসরিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে প্রতিটা খেলোয়াড়কে পুরস্কার হিসাবে বই দেয়া হয়। একটি পাঠাগার গড়ার প্রচেষ্টায় আমরা নিয়মিত ভাবে বই ক্রয় করে যাচ্ছি যার সংখ্যা বর্তমানে ৩০৬ টি ।
আশা রাখি আমরা একদিন সফল হব ।এ ছাড়া ২০১০ সাল থেকে সবার মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা ও বইএর আলকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে একজের জন্মলগ্ন থেকেই আমরা নিয়মিতভাবে প্রতি শক্রবারে পাঠচক্রের আয়জন করে থাকি। আমরা চাই সবার মাঝে গড়ে উঠুক বই পড়ার অভ্যাস । গোয়ালন্দসহ বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক বই মেলা । গোয়ালন্দের বুকে যে যাত্রার সূচনা হয়েছে তার আরও ব্যাপক প্রসার কামনা করি আমরা ।
আমরা স্বপ্ন দেখি একদিন একজের রোপিত প্রতিটি কৃষ্ণচূড়ার নিচে বসবে বইএর স্টল ।
বই এর আলো ছড়াক জাগ্রত প্রাণে
ষোলকোটি জনে ।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২৬
মানুয়ার বলেছেন: লেখাটা দারুন হয়ছে
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বই সবার বন্ধু হোক