![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
At present I am living in the consequences of a choice made earlier বেঁচে আছি এটাই আনন্দের.........।। ইচছা হয় সারাদিন ঘুরি পথ থেকে পথে ঘোরা হয়না..............................।।
আমি ডুবে যাচ্ছি, আসলে বলা যায় ডুবেই গেছি। পানির উপর থেকে আমাকে এখন আর দেখা যাচ্ছেনা। আমি যে এই অবস্হায় আছি সেটাও কেউ জানেনা। স্কুল থেকে দুপুরে ফিরে কোন মতে ব্যাগটা ছুড়ে ফেলেই দৌড়ে এসেছি পুকুরে। মা কি যেন বলছিল, কে শুনে কার কথা। অন্যদিন এমনটা হয়না, পুকুরে কেউ না কেউ থাকে, আজ কেউ নেই। আরও কিছুদিন আগে হলে হয়ত ভয় পেতাম, এখন যেহেতু একটু একটু সাঁতার পারি, তাই নেমেই গেলাম। কতটুকু শিখলাম তা যাচাই করতে গিয়েই আমি এখন ডুবে যাচ্ছি !!!!
পানির প্রায় এক হাত নীচে চলে গেছি এখন আমি। উপরে কেমন যেন সবুজ রঙ এর আলোর মত মনে হচ্ছে, আরেকটু ভাল করে তাকাতেই সূর্যটাকে দেখা যাচ্ছে, কেমন যেন দুলছে আর ঘোলা ঘোলা। কিছু একটা ধরতে চাচ্ছি কিন্তু হাতের কাছে কিছুই পাচ্ছিনা।কেমন যেন ভয় ভয় লাগছে, চোখ বের হয়ে আসতে চাইছে, অংক স্যারের কথা ভেবে ভয়টা আরেকটু বেড়ে গেল, বাড়ির কাজ করি নাই, ক্লাশে গেলেই মাইর দিবেন ।
পায়ের সাথে কি যেন একটা লাগল। পানির নীচেও আমি চমকে উঠলাম। একেত ডুবে যাচ্ছি বলে আমার কান্না পাচ্ছে, তার উপর পায়ে দড়ির মতন কিছু একটা লাগায় আরো বেশী ভয় লাগছে। আমি মনে হয় একটু একটু করে দড়ির মধ্যে পেচিয়ে যাচ্ছি । দড়িটা চারপাশ থেকে আমাকে ঘিরে ধরছে। ভয়ে চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। " জইক্কা " নাত। মা বলেছিলেন জইক্কার শিকল থাকে, পানিতে বাচ্চারা একা নামলে সে শিকল দিয়ে জড়িয়ে ধরে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়, তারপর মেরে ফেলে, এরপর লাশটা ভাসিয়ে দেয়। এই ভয়ে কতদিন গরমের মাঝেও একা একা পানিতে নামি নাই ।কেউ থাকলে তারপর নামতাম। আজকে কেন যে সাহস করে নেমে গেলাম। দড়ির মাঝে আমি ঢুকে যাচ্ছি, চারপাশ থেকে দড়িগুলো আমাকে আঁটকিয়ে ফেলছে। মনে হয়না এইটা জইক্কা, জইক্কার তো শিকল থাকে , কিন্তু এটারতো শিকল নাই। আমি আরো তলিয়ে যাচ্ছি, দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । সাহস করে হাত দিয়ে একটা দড়ি ধরে ফেললাম। একি , এটাত পুকুড়ের কিনারে যে লাতানো দল গাছ আছে, ঐ গাছেরই মত। খালি অনেক মোটা আর আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরছে। আমি ছুটতে পারছিনা কেন। আমার হাত পা সব আঁটকে যাচ্ছে।
মার চেহারাটা দেখতে পারছি, নিশ্চয় এতক্ষনে ভাত রান্না শেষ করে ফেলেছেন। মাকে খুব বলতে ইচ্ছা করছে মাগো জইক্কা বলেত কিছু নাই, পানির নীচে শিকলও থাকেনা, আমি যে লতা গাছে আঁটকে গেছি, শক্তি থাকলে ঠিকই ছুটে যেতাম, এখন আর পারছিনা। মাগো, মা আমি মনে হয় আর কোনদিন ভাত খাইতে পারুমনা, আমি মইরা যাইতেছি।
মরে গিয়ে একটা জিনিস জানলাম, জইক্কা বলে আসলে কিছু নাই, মা ভয় দেখানোর জন্য এই কথা বলত, যাতে পানিতে না নামি। অবশ্য কথাটা শুনলে আজকে আমারে আর মরতে হইতনা , স্কুল এ না যাইয়া খেলতে পারতাম। আইচ্ছা বড় শুকনা দীঘি নিয়া যে গল্প আছে সেইটা ও কি এমনই কাহিনী। মা ঐ দীঘির কাছে যাইতে মানা করত, যদিও ঐটাতে কোন পানি নাই, খালি একটা পাড় ভাঙ্গা। ঐ দীঘিতে নাকি পরীরা থাকত, তাদের একটা নৌকা ছিল। গ্রামের বিয়ে শাদীর জন্য নাকি ঐ নৌকার কাছে গিয়ে চাইলে তারা সোনা রুপার প্লেট দিত, বাটি দিত, বড় বড় ডেকচি দিত। নিয়ম ছিল সব কিছুই ফেরত দিতে হবে। একবার নাকি এক লোভী একটা সোনার প্লেট রেখে দিয়েছিল। তারপর থেকে নাকি পরীরা তাদের নৌকা নিয়ে চলে গেছে। যেদিক দিয়ে গেছে দীঘির সে পাড়টা ভাঙ্গা । আচ্ছা এই গল্পটাও কি জইক্কার গল্পের মত, যাতে কারো জিনিস নিলে ফেরত দিয়ে দিই এই জন্যই বানানো। ঠিক বুঝতে পারছিনা, অবশ্য আমার বোঝা না বুঝায় কিছু আসে যায়না, আমিত এখন মরে গেছি।
পুকর পারে হইচই শোনা যাচ্ছে, আমার মা চিৎকার করতেছেন, আমাকে পাওয়া যাচ্ছেনা । কেউ একজন চিৎকার দিয়ে কি যেন বলল, অমনি হুড়মুড় করে কয়েকজন পানিতে নেমে গেল। মতি চাচা, শফিক ভাই, বোরহান কাকা আরোও কে কে যেন আছেন, বিদেশে না গেলে আমার বাবাও হয়ত থাকতেন। বোরহান কাকা আমার দিকে এগিয়ে আসতেছেন। আর একটু সামনে আসলেই ওনার পা আমার গায়ে লাগবে। চাচা একটা চিৎকার দিলেন, তারপর এক ডুবে আমারে তুলে আনলেন। দড়িরমত লতা ছাড়াইতে ওনার বেশ কস্ট হইছে। কয়েকটাত আমার সাথে ছিড়ে চলে এসেছে। পারে আনতে না আনতেই আমার মা ফিট হয়ে গেছে। পিচ্চি বোনটা মার উপর পড়ে কাঁনতেছে, আমার কি হইছে তা নিয়ে ওর অবশ্য মাথা ব্যথা নেই। লোকজন জড়ো হয়ে যাচ্ছে। কেউ একজন আমার বুকে চাপ দিচ্ছে , ভ্যানে শুইয়ে নেয়া হল বাজারে। আমিত আগেই বুঝেছি মরে গেছি, ডাক্তার আবার বললেন আমি মরে গেছি।
বিকেল নাগাদ আত্মীয় স্বজন সবাই চলে এল। তারা যে কি নিয়ে কথা বলছে ঠিক বুঝতেছিনা, আমাকে উঠানে শুইয়ে রাখা হয়েছে। দুরে কেউ একজন আমার মায়ের মাথায় পানি ঢালছে, মাও শুয়ে আছেন , মাথার পানি আর চোখের পানি আলাদা করা যাচ্ছেনা। মতি চাচা কাকে কাকে যেন বললেন কবর খোড়া শুরু করতে।
দুতিনটা বাচ্চা বলাবলি করছে জইক্কা মাইরা ফেলছে। আমার হাসি পাচ্ছে, তোরা না মরা পর্যন্ত বুঝবিনারে জইক্কা বলে কিছু নাই । আমাকে কবরে রেখে আসার সব আয়োজন হয়ে গেছে। বাড়িটে শুধু কান্নাকাটি আর চিৎকার। সবাই সুর তুলে কানছে। বোরহান কাকা কি যেন বলার পর আমার খাটিয়া তোলা হল। দরুদ আর কলেমা পড়ছে সবাই। সবাই মিলে মসজিদের দিকে ছুটে চলেছে। এক বাড়ির পাশ দিয়ে যাবার সময় বাচ্চাটাকে মা বলছে একা একা পুকুরে যাইসনা কখনো, গেলে জইক্কা মাইরা ফেলব, ঐ পোলাটারেও জইক্কা মাইরা ফেলছে। বাচ্চাটি গভীর আগ্রহ নিয়ে খাটিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
সবাই মিলে এখন আমাকে কবর দেবার জন্য নিয়ে চলেছে। এইবার আমার খারাপ লাগছে। আমিত আর কাউকে দেখতে পাবনা, কাউকে না , আমার যেতে ইচ্ছা করছেনা। ইস আমি যদি আবার বেঁচে উঠতাম, কবরে আমি থাকব কেমনে। এমন কিছু কি নাই আমাকে বাঁচিয়ে তুলবে।
গতবছর যখন জন্ডিস হল মাত কি ভয়টাই না পেয়েছিল। শেষে এক কবিরাজ আমাকে ভাল করে দিছিল। ঐ কবিরাজ বাড়ীতে আসার পরত বোরহান কাকা মাকে ডেকে বলছিল, ভাবী তোমার মাথা খারাপ হইছেনি, লতাপাতার মালা দিয়া কি জন্ডিস নামে, তাইলে আর দুনিয়াতে ডাক্তারের কোন কাম থাকতনা। মা কি আর শোনে সেই কথা ।
কাবিরাজ সুতা দিয়ে শক্ত করে কি একটা গাছের ডাল একটা একটা করে বেঁধে মালা বানিয়েছে। আমাকে উঠানে বসানো হল। তারপর কবিরাজ এই চুড়িরমত গোল মালাটা আমার মাথায় বসিয়ে দিয়ে টাকা নিয়ে চলে গেল।। নড়াচড়া করা যাবেনা, বাথরুমে যেতে হলে কেউ মালাটা ধরে রাখবে, মাথা থেকে নামানো যাবেনা। এই মালাটা নাকি ধীরে ধীরে বড় হবে, মাথা থেকে গলায় , গলা থেকে আস্তে আস্তে গা বেয়ে নীচে পড়ে যাবে, সেই সাথে নাকি জন্ডিস ও চলে যাবে। জন্ডিস যাবে কি যাবেনা এটার চেয়ে আমার কাছে মজা লাগছিল উঠানে আমাকে স্হির করে বসিয়ে রাখা হয়েছে আর সবাই গোল হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, কখন মালাটা বড় হয়ে গা বেয়ে পড়ে যাবে।
আমি বুঝতেছি মালাটা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে, মাথা থেকে নীচে নামছে, কানে এসে আঁটকে যাবার পর মা একটু আলগা করে দিল, যাতে নেমে যেতে পারে। সবার চোখের সামনে একসময় মালাটা আমার গা বেয়ে নেমে গেল। এর পর দিন থেকে আমি আবার হইচই লাফালাফি শুরু করে দিলাম।
এমন একটা মালা কই পাই যেটা আমাকে আবার বাঁচিয়ে তুলবে !!!!
৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:০৯
শ।মসীর বলেছেন: ছোট বেলায় শুনতাম পানিতে কোন বাচ্চা মারা গেলে বলা হত জইক্কা মাইরা ফেলছে, মাঝে মাঝে পুকুরে গোসল করতে তাই ভয়ও লাগত..........।
২| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:০১
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: জইক্কা , ছোটবেলা কথা মনে করিয়ে দিলেন।
এমন একটা মালা কই পাই যেটা আমাকে আবার বাঁচিয়ে তুলবে, আসলেই যদি হইতো এমন।
৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭
শ।মসীর বলেছেন: হুমম আমিও ছোটবেলায় অনেক শুনেছি, যাতে একা একা পানিতে না নামি এই জন্য । ।
এমন একটা মালা কই পাই যেটা আমাকে আবার বাঁচিয়ে তুলবে, আসলেই যদি হইতো এমন।
৩| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:১২
অন্তীম বলেছেন: ভাইজান চট্টগ্রামে বাড়ী নাকি? কারন জইক্কা শব্দটা চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক শব্দ।
৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩
শ।মসীর বলেছেন: জি ভাই চট্টগ্রামেই......।
৪| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:২০
অনিক বলেছেন: ভাল লাগলো। "জইক্কা" শব্দটা আজ প্রথম শুনলাম (পড়লাম)।
৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৫
শ।মসীর বলেছেন: এইটা চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক শব্দ। বাচ্চারা যাতে একা একা পানিতে না নামে তার জন্য এই জইক্কা নামক কল্পিত প্রানীর ভয় দেখানো হয়.......।
৫| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: প্রতি বছর এমন কত শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়!!
কষ্ট দায়ক।
গল্পটা ভাল লেগেছে......
৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:০১
শ।মসীর বলেছেন: কোন কোন পুকুড় নিয়েত এমন প্রবাদ ও আছে-যে প্রতিবছর ঐটাতে একজন ডুবে মারা যাবে, অনেকটা বছর বছর বলি দেবার মতন।
৬| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:১০
বোকা ছেলে বলেছেন: আমার জন্যও "জইক্কা" শব্দটা নতুন।
গল্পটা বেশ হয়েছে।
৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:৪০
শ।মসীর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ.....
৭| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:২১
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: চিটাংগত হন্ডে অনর বাড়ি??
৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:১৮
শ।মসীর বলেছেন: বদ্দা আরার বাড়ি হালিশহরের ঢাকেদি......অনের হন্ডে
৮| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৬
সেলিনা11 বলেছেন: আমারও এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিলো........
৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:৪৪
শ।মসীর বলেছেন: হুমমম
৯| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:০৬
ফেরারী... বলেছেন: ও বদ্দা গম আছনি
৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৭
শ।মসীর বলেছেন: বদ্দা অনের লগে কাম আছিল একখান.....।ফোন দিমুনে........
১০| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:১২
সায়েম মুন বলেছেন: এই প্রথম জইক্কা শব্দটা শুনলাম। আমি শুনেছি দেওমাছ। হবে হয়ত একই জিনিস। অঞ্চলভেদে ভিন্ন নাম, কুসংস্কার একই।
মৃত আত্মার ছোটকালের কাহিনী সমৃদ্ধ গল্প ভাল লাগছে--
৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯
শ।মসীর বলেছেন: অঞ্চলভেদে ভিন্ন নাম, কুসংস্কার একই।
১১| ৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: হুম, আমাদের এলাকায় একটাকে বলে দেও। আবার এমনও গল্প আছে পুকুরের মধ্যে চুলের মতো চিকন আর লম্বা অশাররী পা জড়িয়ে পানিতে টেনে নিয়ে মানুষ কে ডুবিয়ে মারে
৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬
শ।মসীর বলেছেন: গল্পের কি আর শেষ আছে.......পোলাপানরে পানির বিপদ থেকে রক্ষার জন্য কত যে গল্পের অবতারনা.........।
১২| ৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:০০
কবির চৌধুরী বলেছেন: মন খারাপ করা ঘটনা... আমাদের আশে পাশে অহরহই ঘটে চলছে।
৩১ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:৫৪
শ।মসীর বলেছেন: হুমমম ছোটবেলায় প্রায়ই শুনতাম পুকুরে ডুবে মারা যাবার খবর.....
১৩| ৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:১৬
Observer বলেছেন: হে হে আমি সাঁতার জানি। কোন কিছু আমাকে পানির মধ্যে আটকে রাখতে চেষ্টা করলে আমি সেটাকে টেনে উপরে নিয়ে গিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখব।
৩১ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:০০
শ।মসীর বলেছেন: হে হে আপনিতো বুড়ো খোকা, না পারার কোন কারন নেই
১৪| ৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৫৭
রোহান বলেছেন: হানিমুনের পোষ্টের পরে জইক্কার পোষ্ট দিলেন, আপ্নের ঘটনা কি ??!!??
৩১ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:২৩
শ।মসীর বলেছেন: পোলাপানের দৃস্টি অন্যদিকে নেয়া দরকার তাই
১৫| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:০১
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: আমি শুনেছি অনেক গুলো শুর ওয়ালা কিছু একটা পুরনো পুকুরে থাকে। মানুষন টেনে নিয়ে যায়। ভয় পেতাম খুব।
৩১ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:৫২
শ।মসীর বলেছেন: কোথাও শুর, কোথাও শিকল........এই যা, কাজ একই মানুষকে ডুবিয়ে মারা
১৬| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৭
আনারকলি নিরু বলেছেন: >>তখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ি, শহিদুল্লাহ্ হলের পুকুরে ডুবে বুয়েট এর ছাত্র মারা গেল। তখনই শুনেছিলাম, পুকুরের পানির নিচের শেওলাজাতীয় উদ্ভিদ পচে কিছু গ্যাস তৈরী হয় যার কারনে অনেক সময় গভীরে ডুব দিলে মানুষ আর উঠতে পারেনা।
>>পানির নিচে শিকলের কথা অনেক শুনেছি। জইক্কা শব্দটা নতুন শিখলাম।
>>গল্পটা খুব সুন্দর হয়েছে।
০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০০
শ।মসীর বলেছেন: হঠাৎ করে অনেকক্ষন সাঁতার কেটে টায়ার্ড হয়ে গেলে অনেক আর ভারসাম্য রাখতে না পেরে ডুবে যায়..........এই থেকেই আসলে নানা কথা নানা গল্প । ।
১৭| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
পরে আবার পইড়া কমেন্ট দিমু
অহন খালি পিলাস দিলাম...
০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০৬
শ।মসীর বলেছেন: ওকে অপেক্ষায় থাকলাম....।
১৮| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:০২
ফারা তন্বী বলেছেন: আমি এই শব্দটা কোনদিন শুনিনাই। কেমন যেন লাগলো গল্পটা পড়ে। ভয় নাকি কষ্ট বুঝতে পারছি না ঠিক!
০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০৮
শ।মসীর বলেছেন: হুমমম ছোটবেলায় এমন মৃত্যুর খবরে আমারও কেমন কেমন লাগত। একটা ছোট ছেলে দুনিয়ার কিছুই যে দেখলনা, তার আগেই চলে গেল সব ছেড়ে। কি দরকার ছিল তবে এ সাময়িক পৃথিবী ভ্রমনের। ওপরওয়ালাই ভাল জানেন.....।
১৯| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৩১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: গল্প ভাল হয়েছে... জীবন থেকে নেয়া...
০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০৮
শ।মসীর বলেছেন: হুমমম ছোটবেলায় এমন কত গল্প শুনতাম...।
২০| ৩১ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৩
আরিয়ানা বলেছেন: ভাল লাগলো গল্পটা! কেমন আছেন শামসীর? অনেক দিন পর আমার ব্লগে আসা। লেখাটা চমৎকার হয়েছে!!
০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:১৬
শ।মসীর বলেছেন: এইত চলছে....ঘুরে ফিরে আর অফিস করে । ।
আপনার লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগল এমন একটা খবর জেনে.....
২১| ০১ লা জুন, ২০১১ সকাল ১১:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: নতুনত্ব, আনন্দ বেদনার এবং মজার গল্প অবশ্যই ভালো লেগেছে। আসলে ছেলে বেলার অনেক কিছুই আমাদেরকে নস্টালজিক করে তোলে-যেমন তোমার এইগল্প পড়ে আমিও নস্টালজিক হয়ে পরেছি.........তেমন কিছু বাস্তবতা অনুভবে।
ভালো থেকো।
+ ১২
অটঃ "আমরা মোহামেডান" বইটায় প্রচুর পরিমানে তথ্য ঘাটতি থাকায় বইটি প্রত্যাহার করে পুণঃমুদ্রণ করা হচ্ছে।
০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:২৬
শ।মসীর বলেছেন: ছোটবেলার গল্পগুলো..........তখনকার অনুভূতি আসলে অন্যরকম ছিল ভয়ধরানো । শুভকামনা ভাইয়া।
বইটির অপেক্ষায় থাকলাম বের হবার। । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ।
২২| ০১ লা জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
অরণ্য নিনিত বলেছেন: ভাল হয়েছে।
০২ রা জুন, ২০১১ সকাল ১০:৪৯
শ।মসীর বলেছেন: ধন্যবাদ...
২৩| ০১ লা জুন, ২০১১ বিকাল ৩:২১
মোঃমোজাম হক বলেছেন: প্রথমে ভাবলাম সত্যি ,পড়তে গিয়েই ভুল ভাঙ্গলো।
গল্পটা ভালই লাগলো।
০২ রা জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫০
শ।মসীর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ.....।
২৪| ০২ রা জুন, ২০১১ সকাল ৯:৫৭
করবি বলেছেন: কত কল্প কাহিনী যে আছে পানিতে ডুবে মরা নিয়ে। জইক্কা নতুন শব্দ জানলাম আর সাথে কিছুটা ভয়ও নিয়ে গেলাম। পানি দেখলেই এখন জইক্কার কথা মনে হবে।
০২ রা জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫২
শ।মসীর বলেছেন: কত কল্প কাহিনী যে আছে পানিতে ডুবে মরা নিয়ে।
ভয় পাবার কিছু নেই......।
২৫| ০২ রা জুন, ২০১১ দুপুর ১:১৯
হুপফূলফরইভার বলেছেন: বয়েস তখন ৭ কি ৮, ঠিক মনে করতে পারছিনা
নদী পারে বাড়ী, ছোট বড় পুকুর সাতরিয়ে পার হওয়াটা কোন ব্যাপারই না
বন্ধুদের সাথে বাজী হল নদীটা পার হতে পারলেই উত্তমের দোকানের পেট পুর্তী মালাই
এক ডুবে গজ ৩০, তারপর চলছি তো চলছিই, উপর তেকে নদীটা এত্ত ছোট, এখন মনে হচ্ছে পেছনে এক চতুর্থাংশ সামনে ৩/৪, লেকিন কোনভাবেই পেছনে ফিরা যাবে না~
আমি তো হারতে জানিনা~
সামনে চলছি তো চলছিই, দুই হাতে সজোরে পেছনে পানি ঠেলছি তো ঠেলছিই, এভাবেই চলতে থাকল কতক্ষন............... চলছে চলছি.............. তারপর....................................!!! বাকিটা আর না হয় নাই বা বললাম
০২ রা জুন, ২০১১ দুপুর ২:২৫
শ।মসীর বলেছেন: আইচ্ছা চলতেই থাকুক
২৬| ০২ রা জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩৭
নাআমি বলেছেন: জইক্কা কি জোক জাতীয কিছু ?
ভাল লাগল বেশ আপনার লেখাটা, নতুনত্বের স্বাদ পেলাম।
শুভেচ্ছা আপনাদের দুজনকে, নতুন জীবন সুখের হোক।
০৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪১
শ।মসীর বলেছেন: ভাবনায় অমনটা হতেও পারে, পেচিয়ে ধরে যেহেতু !!!!!
অনেক ধন্যবাদ।
২৭| ০৩ রা জুন, ২০১১ সকাল ১১:৫৯
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: বেচে থাকার আকুতি চিরন্তন সেটা যে কারনেই হোক। সুন্দর গল্প।
০৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪২
শ।মসীর বলেছেন: বেচে থাকার আকুতি চিরন্তন সেটা যে কারনেই হোক - আসলেই । ।
২৮| ০৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩০
ছোটমির্জা বলেছেন: ছোট বেলায় শুনতাম পানিতে কোন বাচ্চা মারা গেলে বলা হত জইক্কা মাইরা ফেলছে, মাঝে মাঝে পুকুরে গোসল করতে তাই ভয়ও লাগত.........
আমোও একদিন পড়ে গেলাম পানিতে...
সব এলাকায়ই মনে হয় এমন একটা মিথ আছে।
আমাদের এলাকায় বলা হয়- ''মায়্যিট''।
টাকা পয়সা নিয়ে ওরা নাকি- পানির নিচে থাকে।
রাবিতে একটা কিংবদন্তী আছে- সোহরাওয়ার্দী হলের পুকুরে প্রতি বছর একজন মরবেই। আমি ৪ জনকে পায়ে এসেছি।
০৭ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:৩৭
শ।মসীর বলেছেন: কত যে মিথ ছড়ানো....।
২৯| ০৭ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:২৩
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
জোক ভাবছিলাম জইক্যা মানে।
কত অঘটন যে ঘটে পুকুরে সাঁতার কাটতে গিয়ে।
লেখাটা ভালো লাগলো।
গভীর দর্শন আছে লেখার গভীরে।
ভালো থেকো শামসীর যাযাবর।
০৮ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:৫১
শ।মসীর বলেছেন: বেঁচে থাকা আর জীবন........অন্যরকম এক অনুভব।
শুভকামনা সবসময়ের জন্য আপু।
৩০| ০৯ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:৫০
জুন বলেছেন: আমি ছোটোবেলায় এত পুকুর আর দিঘি পাড়ের বাসায় থেকেছি তাও সাতার শেখা হয়ে উঠেনি। আব্বা কত চেস্টা করেছে। নামলেই মনে হতো কি যেন টেনে নিচের দিকে নামিয়ে নিচ্ছে। ভীষন ভয় লাগতো।
পানিতে ডুবে মরার কথা মনে হলেই বাংলা সিনেমার রাজিব না কি যেন নাম মনে পড়ছেনা তার দুটো বাচ্চার কথা মনে পরে শামসীর।
গল্পটা অনেক ভালোলাগলো।
০৯ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৪৮
শ।মসীর বলেছেন: হুম রাজীবের দুদুটো পিচ্চি একসাথে পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিল
আমার পানি নিয়ে অনেক করুন স্মৃতি, দুডুবার নিজেই মরতে মরতে বেঁচে গেছি............
৩১| ০২ রা আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:৪৫
পুচকে ফড়িং বলেছেন:
++++
০৮ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৫৯
শ।মসীর বলেছেন: ধন্যবাদ....।
৩২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৩৪
মিন্ট বলেছেন: অনেক ধইন্যা,
এই জইক্কা জিনিসটা নিয়া ছুঢুবেলায় অনেক অনেক ভয়ে ছিলাম রে ভাই,
এই জিনেসর লাগিই একরকম "হাছুরণ" ভালমত শিখা হয় নাই
যাক, ব্যাখ্যাটা পেলাম
১০ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৩৫
শ।মসীর বলেছেন: হা হা পুরোনো আরেকটা শব্দ মনে করিয়ে দিলেন- হাছুর....
ধন্যবাদ.....।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:৪৮
রিমি (স. ম.) বলেছেন: যক্ষ কে না জইক্কা বলে? যারা মাটির নিচে ধনসম্পদ পাহারা দেয়। কেউ আশে পাশে গেলে শিকল দিয়ে টান দেয়।