![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১। আস সালামু আ'লাইকুম।
অন্য কোনও উচ্চারণে প্রকাশ করলে সালাম শুদ্ধ হবে না।
দেখা হলে এক মুসলিম অপর মুসলিম-কে বলবে;
"আস্ সালামু আ'লাইকুম"। অর্থাৎ - আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
জবাব হবে;
ওয়া আ'লাইকুম আস সালাম। অর্থাৎ - আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক।
আরও বেশী সওয়াবের উদ্দেশ্যে বলা যায়;
ওয়া আ'লাইকুম আস সালামু ওয়া রহমাতুল্লাহ।
ওয়া আ'লাইকুম আস সালামু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আমরা অনেকেই শুদ্ধ করে সালাম দিতে পারিনা। এজন্য আমাদের দেয়া অশুদ্ধ সালামের বিভিন্ন বিকৃত অর্থ হয়।
যে মুসলিম আগে সালাম দিবে তার সওয়াব বেশী হবে।
আগে সালাম প্রদানকারী মুসলিম হয় নিরহংকারী।
সালাম প্রদানের আরও বড় যে মহাত্ম; তা হলো, সালাম প্রদানকারী মুসলিম- সালাম গ্রহণকারী মুসলিম-কে তার পক্ষ হতে সবদিক দিয়ে নিরাপত্তার ঘোষণা/প্রতিশ্রুতি দেয়। ইসলাম ধর্মের মহত্ত্ব ও আদর্শ; শ্রেষ্ঠতম।
আমরা মুসলমানেরা প্রতিনিয়ত সালাম আদান-প্রদান করি। কিন্তু মুসলিম হয়ে অপর মুসলিম ভাইকে আমরা কতটুকু নিরাপত্তা দেই !!
২। আলহামদুলিল্লাহ!!
যিনি প্রকৃতই মহান আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে অন্তর দিয়ে ভালোবাসেন; আল্লাহ'র "রহমান" নামের গুনে সে ব্যক্তির অন্তরকে আল্লাহ দয়া ও রহমত দিয়ে পরিপূর্ণ করে দেন। আর যার মনে দয়া থাকে; মানুষ হিসেবে সে কতই না মহৎ !! তিনি মহান রব কে স্মরন করে শ্রেণী নির্বিশেষে সকল মানুষকে সমানভাবে ভালোবাসেন এবং হন একজন ক্ষমাকারী। আর যার অন্তরে ‘আল্লাহ’ নামটি নেই- উচ্চারিত হয়না; তার অন্তরে ‘রহমত’, ‘দয়া’, ‘ক্ষমা’ স্থান পায়না। সে হয় অহংকারী, অত্যাচারী, জালিম, কর্কশ ও ক্ষমাহীন।
আল্লাহ'র রহমত প্রাপ্ত দয়াবান মানুষের অন্তরে হিংসা, লোভ, পরনিন্দা থাকেনা। তার অন্তরে জমেনা অন্যের ক্ষতির চিন্তা। থাকে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উত্তম চরিত্রের ছিটেফোঁটা।
সারা বিশ্বের জন্য "রহমাতুল্লিল আলামীন" হিসেবে আগমনকারী আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অন্তর কত কত অসীম দয়া-মায়া ও ক্ষমায় পরিপূর্ণ ছিলো ; আর তাঁর অনুসরণকারী দাবী করে বর্তমানে আমরা কি কি কর্ম করছি- তা বিশ্লেষণ করে সংশোধন না হলে; মিছেই আমাদের এ নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত !!!
পৃথিবীর এবং ইসলামের শ্রেষ্ঠতম সময় ছিল আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময় এবং এরপর খোলাফায়ে রাশেদার জামানা। কোন মুসলমান তেমন শ্রেষ্ঠ সময়- পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাসে, বর্তমানে এমনকি ভবিষ্যতেও পাবেনা।
কেন সে সময়কাল পৃথিবীব্যাপি শ্রেষ্ঠতা অর্জন করেছিল ?!
সময়ের প্রেক্ষাপটে, অতীত নিয়ে ভাবনার বিষয় গুলোর মধ্যে ; এ বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কী !!?? বিভিন্ন রণাঙ্গনে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই তো চলছে ক্ষমতা দিয়ে ; উত্তম চরিত্র নিয়ে ক'জনা যুদ্ধক্ষেত্রে আসছেন ??
৩। 'দেশপ্রেম' ও 'মানবতা'- মানব দেহের কোনও অঙ্গ নয় !
এরা মানব মনে জন্ম নেয়; 'শিক্ষা' ও 'ধর্ম' থেকে।
ব্যক্তির মানবতা ও ধর্মপরায়ণতার ফলশ্রুতিতে যুগ যুগ ধরে; দেশে দেশে সে সহস্র মানুষের অন্তরে শ্রদ্ধাভরে স্মরনীয় ও প্রশংসনীয় হয় ।
পক্ষান্তরে; মানবতাহীন ও ধর্মহীন'দের মনে রাখার জন্য, পৃথিবীতে কোনও উত্তরাধিকার বা জনগোষ্ঠী থাকে না !
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১
যামিনী সুধা বলেছেন:
সরকারী চাকুরী করলে মগজ বেকার হয়ে যায়।