নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার জানালা

সামছুল আলম কচি

পড়তে আর লিখতে ভালবাসি

সামছুল আলম কচি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুস্থ্য ভালোবাসা

২০ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩১

সকাল-দুপুর-বিকাল-সন্ধা-গভীর রাত; মানুষের অসুস্থ্য হওয়ার কোনও সময়-গময় নেই !! কি কারনে মানুষ অসুস্থ্য হয়, তা কি সে নিজেও জানে ? হয়তো জানে- নিশ্চয়ই জানে !! তবে এটা সত্যি, ইচ্ছে করে বা নিজে নিজে কেউ অসুস্থ্য হয়না; হতে চায় না।
কেউ অসুস্থ্য হলেই তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে, হাসপাতালে দৌড়-ঝাপ, মল-মূত্র-রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, ইসিজি, আল্ট্রাসনো..আরও আরও নামী-দামী টেস্ট করাও। অসুস্থ্যতার খবর পেয়ে তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত যত আত্মীয়-বান্ধব আছে, শত টাকা খরচ করে হা হা করতে করতে তাদের বাচ্চা-কাচ্চা, ফলমূল নিয়ে হাসপাতালে আগমন-তারপর কি হইলো রে, কিভাবে হইলো, কেন এইটা-সেইটা করলা না, ডাক্তার কে ইত্যাদি-সিত্যাদি নানান কথার ঘুচুর-মুচুর, শোরগোল। এ ভিজিটরদের মধ্যে বেশীর ভাগই আবার বাহারি রোগে আক্রান্ত !! রোগীর চেয়ে তার আত্মীয়-বান্ধবের আসা-যাওয়া, তাদেরও ওষুধ-পথ্য-খাবার খাওয়া ইত্যাদি সামলাতেই যেন এক প্রটোকল অফিসার নিয়োগ করা দরকার !! রোগীর এবং তার পরিবারের অবস্থা কী ?? সারা জীবন যে মানুষটাকে অসন্তুষ্টির কথা শুনিয়ে গালিগালাজ করেছে; তার জন্য কারও কারও ফিচ ফিছ করে কান্না....সিরিয়াস কিছু হলে একবার দেখতে চাওয়ার সে কি উদগ্র প্রেম !!
রোগীকে ডাক্তার- হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রথমে ব্যক্তির কি যে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়, তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ জানে না !! অসামর্থ্য ব্যক্তির পক্ষে টাকা যোগাড় না হলে সরকারী হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে, তারপর হাসপাতালের বারান্দায় আর ডাক্তার-নার্সদের পিছনে ঘুরতে ঘুরতে জান কালা কালা !! রোগের পরীক্ষা এক জায়গায়, টাকা জমা করো ৩ কিলোমিটার দূরে ব্যাংকে, বার বার অসুধ কিনো ১ কিলোমিটার দূর থেকে..আর কোটি কোটি মানুষের ভীড়-ঠেলাঠেলি, যেখানে সবাই আগে চিকিৎসা চায়; প্রয়োজন.. আহা কি ভোগান্তি...!! সবচেয়ে বড় দূর্ভোগ তার; যে রোগীর সাতে রাত বা দিন কাটায় !!! তবে প্রায় পরিবারেই আত্মীয়-বান্ধবদের মধ্যে এমন একজন মানুষ থাকে, যে অনেকের অনেক অসুস্থ্যতায় নি:স্বার্থ সেবা দিয়ে থাকে। তারপরও; মানুষটা যদি সুস্থ্য হয়ে যায় !!
অনেক কারনেই আমরা অসুস্থ্য হই, তার মধ্যে যথেচ্ছা খাওয়া আর রাত জাগা হলো অন্যতম দুটি কারন। কিন্তু এর চেয়েও বড় যে কারনটি মানুষকে বেশী অসুস্থ্য করে দেয় তা হলো দূ:শ্চিন্তা। যার একমাত্র উৎস হলো নানাবিধ অসামর্থ্যতা। খোজ নিলে দেখা যাবে, শতকরা ৯০% মানুষ এ একটি কারনেই মানসিক ও শারিরীকভাবে দ্রত অসুস্থ্য হয়ে পরে।
নিয়মিত আত্মীয়-পরিজন-প্রতিবেশীদের খোজ-খবর রাখা, সে কি করে তার সংসার-জীবন চালায়; তার সাথে নিরিবিলি বসে তার ব্যক্তি জীবনের দূ:খ-কষ্ট জানা- আহাম্মকি বিষয় নয়। অর্থ-বিত্ত্বে না হোক কোনও না কোনও দিক দিয়ে প্রতিটি ব্যক্তিই নি:সন্দেহে আপনার-আমার চেয়ে ধনী। মানসিক প্রসস্তি অনেক রোগ-বালাইকে দূরে রাখে।
অসুস্থ্য হওয়ার পূর্বেই সুস্থ্য অবস্থায় থাকা ঐ মানুষগুলোকে ভালোবাসা, শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য থাকতে সাপোর্ট দেয়া; হাসপাতালে গিয়ে ফল-ওষুধ কিনে দেয়া, টাকা দেয়া, মরে গেলে ফিচ্ ফিচ্ কান্না, কবরস্থানে ঘন-ঘন যাওয়ার চেয়ে হাজার গুর উত্তম।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই লেখাটা খুবই পছন্দ হইছে। এই কথাগুলো আমারও মনের কথা। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.