নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনে
মায়ের প্রভাব অনন্য। নারী হিসেবে বোনের প্রভাবও অনন্য। নারী জাতির অবদানও অনন্য। কিন্তু.....ব্যাক্তিত্ব কাঠামো গঠনে পুরুষের একটা পুরুষালি ব্যাপার লাগে। এবং সেটি কখনোই নারী দ্বারা প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়, ঠিকও নয়। শুধু এখানে নারীর অনুপ্রেরণা গ্রহণীয় এবং শুধুই অনুপ্রেরণা গ্রহণীয় কোন প্রভাব নয়।
আমি কয়েকটি ঐতিহাসিক উদাহরণ দেই.....
------ পুরুষ জাতি নিঠুর জাতি কাক হয়ে কোকিলের বাসায় ডিম পাড়ে" ------ আদি বাঙালি প্রবাদ
------- সোনার আংটি ভাঙ্গিলে জুড়ে পুরুষের মন ভাঙ্গিলে জুড়ে না" প্রায় ৫ হাজার বছরের বাংলা অঞ্চলের প্রবাদ।
দুটি কথকায় পুরুষালির যে শৌর্য এসেছি এটি হাজার বছরের জীবন অভিজ্ঞতার এবং এখানে কোন যৌন সুড়সুড়ির সিনেমা-নাটকের বাজারজাতকরণের চিন্তা নাই।
বর্তমানে বেশি দেখা বেশি মুনাফা, বেশি দর্শক বেশি টাকা ; এসব ব্যাপারের জন্যে অনেককিছুই উল্টোপথে দৃশ্যায়ন হয়। তবে--
---এখানে পুরুষের মন জুগানোর কোন ব্যাপার নাটক সিনেমায় নেই। এগুলো আমাদের ভেড়ারপাল হতে শেখায়, ঘরকোণো পুরুষ হতে শেখায়, অরাজনৈতিক লেছাড়া হতে শেখায়। যেন জীবন মানেই কোন এক বেডি না পাইলেই শেষ। অনেকে তো রীতিমত আত্মহত্যাও করে বসে। একদিন একটা পোস্টে দেখলাম কেউ মেনে নেয় না বলেই, প্রেমিক-প্রেমিকা রেললাইনের লাফ দিয়ে মরবে, সেখানে মেয়েটি শেষ মুহূর্তে মরেনি বলে নারী ছলনাময়ী। আরে লেছাড়া বেডা, তুই মহিলার ভূমিকা নিয়েছিস বলেই প্রেমিকাটি দায়িত্বশীল পুরুষ হয়ে জীবন দেয়নি। সেই সেরা তাকে বাঁচতে হবে।
মনসামঙ্গলে চাঁদসওদাগর কোনভাবেই মনসাকে পূজা দেয়নি। বেহুলা লক্ষন্দরের জীবন বাঁচাতে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নেয়। গেদা তোর পুরুষালি এখানেই, জাফর ইকবালের মতো ভেড়ারা যখন শিক্ষা ঠিক করে, আদর্শ ঠিক করে সেখানে বার ভূইয়া হবে কি করে? তিনি বয়স থাকতেও মুক্তিযুদ্ধে যায়নি, এটি কোনভাবেই অজুহাত খন্ডানো যায় না, তাহলে যে চাষার ছেলে, যে চাষা মুক্তিযুদ্ধে গেল তার রক্তের কম্পন কিভাবে জাফরের মতো ভেড়ারা বুঝবে?
যার কথায় জাতি বিভক্তির কথা! এখানে মরতে হবে। রেললাইনে নয়।
বাংলা অঞ্চল আদিকালেই সমৃদ্ধ ও সম্পদশালী। জীবন কথকাভিত্তিক। এ জীবনের উপর প্রভাব রাখতে পারে কেবল গ্রীক, মিশরীয়,পারস্য,ল্যাটিন এ জাতীয় সভ্যতা।
অথবা আমরা যাকে তুলনীয় বলি।
ইদানীং পুরুষকে নারী দ্বারা জীবনধারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে দেখি। এগুলোকে দেখলে আমার ভেড়ার পালের মতো লাগে।
বড় একটা অংশকে দেখি একটু আবেগ প্রকাশ করতেই হিন্দি গানে লেড়াবেড়া করতে। বাবা তোর মেলা আবেগ!?
তুই স্প্যানিশ গানে প্রকাশ কর, ঐখানে চমৎকার আবেগ ও মেলডি আছে। বসন্ত সঙ্গীতগুলোর খ্যাতি দুনিয়াজুড়া। ঐখানে তো তোর লেড়াবেড়ার দখল নাই। তাইলে বাংলায় কর। ঐখানে তোর উম্মে উম্মে একটু গরীবস হয়ে যায়। গেরাম্য হয়। বাবা উম্মে উম্মে তুই কাঙালিনী সুফিয়া হয়ে দেখা!
এত বেশি নারী দ্বারা জীবন উদযাপন প্রভাবিত বলেই আমি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশই নেইনি, কোনকিছুর বিনিময়ই আমি আমার পুরুষালি চরিত্র ছাড়তে পারবো না।
আবার আসেন মোল্লা সম্প্রদায়, তিনারা করেন উর্দু সায়েরে!
পর্দার আড়ালে মা-বোনদের বলে যাই। গুদার বেডা মা-বোনকে বলা লাগবে না, তুই নিজেকে আগে বল, এবং তোর জীবন পরিবর্তন কর।
মূলত নারী দ্বারা প্রভাবিত। পুরুষকে ইসলাম ৪টি পর্যন্ত বিয়ের অনুমোদন শুধু এ জন্যেই প্রদান করে যে, ভেড়ারপাল তুই নারী দ্বারা স্বভাবে প্রভাবিত হবি না, সম্ভোগের জন্যে নয়।
বসন্ত, ভালোবাসা দিবস,বার্থডে বা মেরিজ ডে, আর কমু না। এগুলো ভুলে যাওয়া এবং নিজের কাজে ব্যস্ত থাকাও অনেক সময় পুরুষালি ব্যাপার।
কাজী নজরুলের --- "পুরুষ তোর জান যায় যাক মান যেন না যায়" । এখানেই লুকিয়ে থাকে বাবারা, স্বামীরা এবং আগামীর সমাজ নিয়ন্ত্রক।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: একটু বুঝে নেন
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২০
কামাল১৮ বলেছেন: আমরা সবাই মানুষ।এই হোক আমাদের পরিচয়।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৮
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: সেটা থেকেই
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫২
সোনাগাজী বলেছেন:
ভাবনাকে রি-ইন্জিনিয়ারিং করার দরকার।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩১
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: তাতে কারো মনপুত হবে হয়তো।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৩
বাউন্ডেলে বলেছেন: বিতর্কিত প্রসংগ। ছ্যাবলামো মনুষ্য স্বভাব। এটা আকর্ষনীয়। কিন্তু উপযোগীতা শুন্য।শুধু পুরুষ কেন ? যে কারো জন্যই এটা সময় অপচয়, অনেকের কাছে বিনোদন। প্রেসার থাকে আবেগের। ইহা মানবিক যাতনা। ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন প্রানী ইহাকে বশীভুত করতে সক্ষম।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৪
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রসঙ্গ অবশ্যই বিতর্কিত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?