নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহেরা

আরেফিন৩৩৬

একটি নেতৃত্বই পারে একটি জাতিকে পরিবর্তন করতে; আমি এ কথায় বিশ্বাসী।

আরেফিন৩৩৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস শুধু সবকিছু ভেঙ্গে পড়েছে

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৩৩


কোথায় গেছে ১৬/১৭ বছরের আওয়ামী স্বৈরাচার লীগের বাংলাদেশ? চলেন একটু চিন্তা করার চেষ্টা করি।

বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস হয়ঃ যা কখনো কেউ কল্পনাও করেনি তা সম্ভব হয়েছে, কারণ দীর্ঘদিনের জেঁকে বসা স্বৈর বাহিনীকে কারো কিছু বলার শক্তি নাই। শুধুমাত্র আপনার চেতনার খোলসের আড়ালে প্রতিষ্ঠা লাভ করায়। কথা বললেই মেরে দেয়া যায় আমাকে। কোথাও কেউ বলার নাই।

রাপ্তানি খাত মানেই টাকা পাচারঃ রাপ্তানি খাতের অন্তরালে টাকা পাচারের এক মহা উৎসবের নাম হলো অবৈধ আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার। কেউ ধরার নাই। ছাগলকান্ঠে ধরা খাওয়া মতি মিয়ার ব্যাচের এবং তার অধীনস্ত-রা বলেছেন বিভিন্ন জায়গায় যে তিনি হলেন কম দূর্নীতিবাজ। এবং তিনি এ কম দূর্নীতির কারণে ব্যাচের হোয়াটসঅ্যাপে সবাইকে নীতির শিক্ষা দিতেন। এ কম দূর্নীতিবাজ-কে ঘরে ঘরে মোবাইলের মতো কে দিয়েছে? আপা দিয়েছে! আমি বেশি দূর্নীতিবাজদের কথা বলছি না, উনারা আপার চেয়েও শক্তিশালী! উনারা একেকজন শাহাজাহান খান।

শিক্ষাখাত খারাপ করার কারণ হচ্ছে শয়তানের ছোট ভাইয়ের যাতে চাকরীতে পুর্নবাসন হয়৷ ভালো পড়াশোনা করে যদি পাশ দিতে হয় তাহলে তো আর কারো কারো কপালে দেশে মেরুকরণ চলবে না। এ মকামকা মজা কে দিয়েছে? আপনি বলে নেন।

দ্রব্যমূল্য সিন্ডিকেট দিয়ে টাকা তুলে নেয়াঃ এ বয়ান আর দিতে হয়?

বড় বড় প্রকল্পে ওভার বাজেট ও আত্মসাৎঃ এক পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ট্যানেল, বিভিন্ন বসে থাকা হাইটেক পার্ক, দোয়েল প্রকল্প, বিদ্যুতের কুইক রেন্টাল, কত কি! এগুলো কে দিয়েছে?

বাংলাদেশ ব্যাংক ডাকাতি এবং শেয়ার বাজার জালিয়াতিঃ
কিছু কি বলা লাগবে? যতটুকু শুনেছি বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ ধাপে জালিয়াতি পরিমাণ ৮ বিলিয়ন ডলারের মতো। কে দিয়েছে?
ভোটিং ইঞ্জিনিয়ারিংঃ এ এক অব্যক্ত ইতিহাস।

তারপরও একজন ব্যাক্তি দারুণ সৎ, উনি কিছু জানেন না, প্রচুর ফেরেস্তা। পৃথিবীতে বেঁচে থাকা একমাত্র সৎ। যদি আমাদের শাসনের প্রয়োজন না হতো তাহলে উনাকে আমরা যাদুঘরে রাখতাম। আর কেউ যোগ্য নাই, ফেরেস্তাকূলের সাংবাদিক শাখাগণ তাহা ধন্য ধন্য করিয়া জানান দেন।

আওয়ামী সরকারকে সমর্থন দিয়ে দিয়ে যারা সকল ক্ষেত্রে অনৈতিক, দায়হীন, অর্থলোভী এবং দেশ বিরোধী সিন্ডিকেটে পরিণত করেছেন ; তারা কি প্রত্যেকেই নিজের অপরাধের জন্যে অনুতপ্ত? নাকি আরো কিছু তর্ক করবেন? তাহলে দয়া করে আপনি আপনার তর্কটি করে যান। আপনার স্বভাবগত বজ্জাতি দেখিয়ে যান। আপনাকে কিছু বলা হবে না। শুধু বাহবা দেয়া হবে।
এখনও তো আপনার বলার আছে বিএনপি তো ভালো নয়, অতএব দগদগে স্বৈরাচারের এমন পাপ বৈধ। বিএনপি কেন এই পারে না, ঐ পারে না। এগুলো তো দিব্যি বলা যায়৷ আপনি বলুন। আপনাকে স্বাগতম জানানো হবে।

শুধু যার কিছু হলেও দেশপ্রেম, রাষ্ট্রীয় দায় এবং পরবর্তী প্রজন্মের দাসত্বকে কষ্ট দেবে। নিজের ফুলের শিশুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে যাদের সিনা টান টান হয় তাদের জন্যে কিছু বিষয় তুলে ধরা।
আর যারা চিন্তা করেন, বিএনপি জোট ভালো নয়, এরা প্রচুর খারাপ, ফেরেস্তা নয়। মন্দের ভালো না খোঁজে যারা চিন্তা করেন আকাশ থেকে ফেরেস্তা আসবে। এসেই দেশটাকে জান্নাত বানিয়ে ফেলবে, ঐ ফেরেস্তা কূল আসার আগে পঁচা দল আর তাজা স্বৈরাচার আওয়ামী লীগই থাক, কারণ বিএনপি আসলেও এবাই করবো। তাগো গন্ডারের চামড়ায় কখন ঢুকবে যে, সকল সেক্টর দুর্ধর্ষ আর অনৈতিক সিন্ডিকেট এবং পঁচা শামুকে ভরে গেছে? তাদের গন্ডারের চামড়ায় কখন ঢুকবে যে, রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া!

যাদের এখনো আওয়ামী লীগ-বিএনপি খোঁচাখুঁচি আছে তিনি খোঁচান। পুরনো অভ্যাস ছেড়ে দেবেন কেন? নিরেট দেশপ্রেমিক ছাড়া কারো কাছে আমার কোন বক্তব্য নাই।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৩১

আলামিন১০৪ বলেছেন: সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, এসব এখন ভাত।
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কেউ লিখেন। অনেকে ইংরেজী মাধ্যমে চলে যাচ্ছে। আমাদের গিনিপিগ বানিয়ে কেউ ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: তাও তো চাপা কমে না এদের

২| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভালো তো, ভালো না?

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: দুঃখজনক

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩

এম ডি মুসা বলেছেন: অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে তারা আরো খারাপ। শেখ সাহেবর কন্যা আছে আমরা মনে করছি । তিনি নারী পুরুষ বৈষম্য করতেন না। তিনি শেখ সাহবের মত হবেন। সেটা জাতি হতাশ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলে বার বার ক্ষমতার জন্য নিরীহ মানুষ ভোট দেয়। নিরীহ মানুষ আর সাধারণ মানুষ ঠকে। কোটা মোটা জালিয়াতি , প্রশ্ন ফাঁস । বঙ্গবন্ধু বলেছেন আমার কৃষক দুর্নীতি বাজ আমার শ্রমিক দুর্নীতি বাজ, কে তাহলে আপনারা? তাহলে সে জাতির জনক নিজে দেখেছে কত কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করতে হয়। কত মুক্তিযুদ্ধের জীবনের উপর দিয়ে এই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। েএই চেতনা আর কষ্ট ত্যাগ এখন যদি বাংলাদেশর কর্মকর্তার আর ক্ষমতাসীনের লোকের ভিতরে থাকতো বৈষম্য আর দুর্নীতি কখনো হতোনা।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: বাংলাদেশের কৃষক দূর্নীতিবাজ নয়, শ্রমিকও নয়। দূর্নীতিবাজ হলো পুরো আওয়ামী লীগ, সে দোষ শেখ সাহেব সবার উপরে দিয়ে গেছেন। মূলত আওয়ামী লীগটাই দূর্নীতিবাজ। শেখ সাহেবরা হলো দূর্নীতির আশ্রয়দাতা

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

এম ডি মুসা বলেছেন: শেখ সাহেব কখনো দুর্নীতি বাজ ছিলেন না ,, তাকে মেরে ফেলে দুর্নীতি পয়দা করে। সেই বিএনপি বহুবার এই দুর্নীতি দমন করতে পারে নাই। সে আরো মজবুত করে দিয়ে গেছে।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:১১

এম ডি মুসা বলেছেন: আপনি যা বলছেন, তার কিছু অংশ যুক্তিক বাকি অংশ যুক্তিক ছাড়া। শেখ সাহবে েএক মাত্র তিনি থাকা কালীন দুর্নীতি বিরোধী সহজর সরল ভাষণ পদক্ষেপ নিতে চাইছে । তারপরে ব্হুলোক দুর্নীতি পথকে প্রসারিত করে গেছে । সেই রেশ রয়ে গেছে। অন্য দল আরো বেশি দুর্নীতি করবে। তাদের বহু দেখেছি। তাদের প্রতি আর আস্থা নাই। মানুষ বার বার আস্থা রাখে না। তাদেরও দেখা হয়ে গেছে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:০২

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: গাজী গোলাম দস্তগীর শেখ সাহেবের মাধ্যমে দূর্নীতির বরপুত্র হয়েছেন। অতএব তিনি দূর্নীতি করে নাই

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৭

এম ডি মুসা বলেছেন: নিজের ভাই নিজের ঘরে বাবার অর্থ সস্পদ মেরে দেয় সেটা আরেক ভাই টের পায়না আর আপনি নিয়ে আসছেন এইসব ভুল কথা শেখ সাহেব মাত্র তিন বছর যুদ্ধ ক্ষতিগ্রস্থ দেশের কি ছিল আর কি দুর্নীতি করছে? বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে আনতেন, সে গুলো গরিব পায়না সেটার বিরুদ্ধে একশন নিতে যায়ওার ভাষণের কয়েক মাস পর তো তাকে মেরে ফেলে। তিনি কিভাবে আর দমন করলেন ভাই আপনার , এই বিষয়ে বোঝার ভুল আছে। তারপর যারা ক্ষমতায় ছিল, দেশর টেক্স টাকা মেরে দিয়ে ভাগে ভাগে খেতে শুরু করলেন দেশর রস

০৯ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৩৪

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: এসব গল্প শোনাবেন যারা ইতিহাস জানে না। বারবার সুরক্ষা দেয়া মানুষটি কাকু, আর শেখ সাহেবের কাছের লোকদের বয়ান আমি জানি, যারা আপনাদের মতো লক্ষ লক্ষ পঙ্গপালদের জন্যে মুখ খুলে যেতে পারেনি। গত ২০১৮ সালেও যা হাসিনা-র বিরুদ্ধে মুখ খোলা যেতো না। এদের জন্যে সবচেয়ে ভালো শব্দ পঙ্গপাল।

৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৩৯

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: তবুও মুজিবের বিরুদ্ধে সুস্থ প্রতিবাদ করা দুজন ব্যাক্তি দুজনই টাংগাইলের। অতটা নিদিষ্ট করে বলা যদিও ঠিক নয়। একজন রফিক আজাদ, " ভাত দে হারামজাদা " আরেকজন ভাসানী " ভূখা মিছিল "। আমরা তাদের উত্তরসূরি বকিচকি বুঝ আমাদের দেয়া যায় না। ঐ মাটি মাড়িয়ে আমরা বাংলাদেশের মাটিতে হাঁটি যারা সত্যকে জীবনের ঝুঁকি হলেও বলতে পারে। পথ দেখায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.