নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহেরা

আরেফিন৩৩৬

একটি নেতৃত্বই পারে একটি জাতিকে পরিবর্তন করতে; আমি এ কথায় বিশ্বাসী।

আরেফিন৩৩৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আছেন যত নির্লজ্জ সাধারণ শিক্ষার্থী বিরোধী হুঁশ হবে তো!

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৮



আন্দোলন চলেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে। সাধারণ মানুষই যুক্ত হয়েছে। যাদের জীবনের প্রচন্ড মায়া, হওয়াও স্বাভাবিক; তারা যুক্ত হয়নি। আপনাকে ভাবতে হবে কোথায় বেশিরভাগ জনগণের সমর্থন সেটাই বৈধ এবং স্বাভাবিক।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে এত যে জ্বলে-পোড়ে গেলো? আমি দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে পারি সবই সাধারণ শিক্ষার্থীদের করা নয়, এখানে আওয়ামী এবং আওয়ামী লীগে পরাজিত, স্থান না পাওয়া ও সিন্ডিকেট স্বার্থান্বেষী মহলেরও তৎপরতা ছিলো।
ইতিপূর্বে আমি লেখেছি মেট্রোরেলের উপর বাস মালিক সমিতির বদনজর ছিলো, তাদের ব্যবসায় মন্দা ছিলো। আগামী ১ বছর আবার আরামে ব্যবসা করবে। সার্ভার ডাউন, বৈদ্যুতিক গোলযোগ নানা কৌশলে মেট্রোরেল সেবা জনগণ থেকে দূরে নিতে পারেনি, মোক্ষম সময়ে তাদের শয়তানী ব্যবহার করলো। এরা কারা? প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ -যুবলীগ ; যারা টাকা কামায় আর পাচার করে। যারা প্রশ্ন ফাঁস করে, কোটি কোটি টাকা পকেটে ভরে আর বিদেশে পাচার করে।

সেতু ভবনের আক্রমণ হয়েছে টেন্ডারবাজির আরেক মাফিয়াদের আক্রোশে যারা ওবায়দুল কাদেরের বাইরে, এবং কোন ওয়ার্ক অর্ডার পায় না। সুযোগে মনের খায়েস দিয়েছে মিটিয়ে। বেশিরভাগ বড় বড় অগ্নিসংযোগ গুলো এমনই চিত্র।

তবে কি কিছু আগুন সাধারণের হাতে লাগেনি? লেগেছে টিয়ারগ্যাস থেকে বাঁচতে। কোন বড় পরিসরে আগুন নয়। এ দেশে আওয়ামী মাফিয়া এমন সিন্ডিকেট তৈরি করেছে যারা লুটেপুটে খাওয়া ছাড়া কোন স্বপ্নই দেখে না। নির্লজ্জ ধ্বংসবাজদের পক্ষগুলো বিএনপি পক্ষ ছাড়া কোন কিছু চোখে দেখলেও মুখে স্বীকার করে না। এবার আওয়ামী কায়েমী স্বার্থবাজগুলো মাঠে ছিলো না। হাসিনা-কে বুঝালো তাদের লাগে, নইলে মাঠ অন্যরা দখল করে। এখন আবার দর কষাকষি হবে।

কিছু বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করে হয়রানি করবে। গত ১৬/১৭ বছরে হত্যা করতে করতে বিএনপির প্রায় সকল পর্যায়ের শক্তিই দূর্বল করেছে, না হলে বিদেশে পাঠিয়েছে ; এখন যারা আছে তারা দলটি ধরে রেখেছে বহু সংগ্রাম করে। এ দলটিকে বিলুপ্তি করার বহু চেষ্টা হয়েছে। জনগণ ভালোবাসা ও আকন্ঠ সমর্থন দিয়ে টিকিয়ে রেখেছে। এটাই দলটির বড় স্বার্থকতা। তবুও জনগণ থেকে দূরে রাখতে দলটির উপর নানামুখী ষড়যন্ত্র সাজানো হয়। তার ভেতর দিয়ে দলটি দাঁড়িয়ে যায়, টিকে যায়। অতিসম্প্রতি নির্বাচনে দেশি-ভারতীয় চক্রান্তে পা না দিয়ে যখন একটি লক্ষ্যে চলছে, তখনই তাদের আন্তঃকোন্দলের বিষবাষ্প দেয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু জনগণ এগুলো খায় না।

সুস্পষ্ট বিষয় হলো কোটা বিরোধী আন্দোলনটি পুরোপুরি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন। যার পুরোপুরি নেতৃত্ব সাধারণ শিক্ষার্থীদের। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে হত্যা এবং নির্যাতনকে বৈধ করতে যে একটি বিএনপি ন্যারেটিভ প্রয়োজন, যা দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন চালিয়ে যাওয়া যায় সেই একটি পদ্ধতি হলো বিএনপি করেছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে, মেরে মুখ বন্ধ করে দেয়ার মারাত্মক অস্ত্র বিএনপির নাম ব্যবহার। রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী এবং পাকিস্তানপন্থী সবই সাজানো শব্দ। এসব সাজানো শব্দের মারাত্মক অবসান হবে। দেশে এখন দুইটা পক্ষ স্বৈরাচার পক্ষ ও দেশ বিরোধী লুটেরা এবং অন্যটি বাংলাদেশপন্থী সাধারণ নির্যাতন জনতা।
যারা জনতার বিপক্ষে তারা নানা ন্যারেটিভে বাংলাদেশ বিরোধী এবং স্বৈরাচারের পেইড ভার্সন।
দ্রুতই এ দমবন্ধ পরিস্থিতির অবসান হবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগের পেইড দালালগুলি একটিভ হচ্ছে। সামনে আরো হবে। এদের সাথে বাহাস করে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না। অবশ্য আপনার হাতে অঢেল সময় থাকলে আলাদা কথা। তবে কাউকে না কাউকে তো বলতে হবে.........সেই দায়িত্ব পালন করাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি পারলে খুবই ভালো। আই এপ্রিশিয়েট!!!

তবে হুশের কথা যদি বলেন...........নো চান্স। টাকা তো এমনি এমনি নিচ্ছে না। সার্ভিস দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই নিচ্ছে।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এরা মনে করে আমরা এদের মুখোশ চিনি না। বলতে হবে সবারই। যার যখন সময় থাকে।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

নয়া পাঠক বলেছেন: নতুন বোতলে পুরোনো মদ, এসব এখন আর কেউ খায় না! সবাই জানে কারা বিএনপি, রাজাকার। আর গত কয়েক বছর ধরে ক্ষমতা দখল করে সেই একই বুলি আওড়ে যাচ্ছে। যত্তসব পাগলের দল, তবে ইতিহাস বলে কোন স্বৈরচারই বেশিদিন তাদের রাজত্ব ধরে রাখতে পারে না, তাদের বড় ভয় হল মৃত্যুকে, পরাজিত হবার ভয়ে তারা প্রতিনিয়ত মরে চলে, আর তাই মৃত্যু ভয়ে বা ক্ষমতা চলে যাবার ভয়ে তারা নিরস্ত্র সাধারণ ছাত্রদের উপর প্রশিক্ষিত সামরিক বাহিনীর অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: নিরস্ত্র সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর যারা অস্ত্র চালাতে পারে তাদের কোন নৈতিক বৈধতা নাই, মানবিক অবস্থানও নাই। এরা গণশত্রু

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সবাই বুঝে এরা মিথ্যা বলছে,তবুও তারা বলে চলে।এরা গোয়েবলস এর অনুসারী।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: এদের অবসান হবে দ্রুত ইনশাল্লাহ, সময় এসে গেছে। সোনাগাছির মহিলা উপঢৌকন দিলে এরা অনেক আগেই সাধারণ জনগণের পক্ষে আসতো। ঐটা তো বাংলাদেশ দিতে পারে না।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় "সাধারণ ছাত্র" ছিলেন?

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২০

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আমি এখনো সাধারণ শিক্ষার্থী নই, আমি আপনাদের মতো কপট নই যে বহুরূপ ধারণ করবো। সেটা সম্ভব হলে আমি আন্দোলনে যেতাম। বরং আপনি ইনিয়ে-বিনিয়ে না বলে বলুন আপনি কোন পক্ষে যেটা জাতির সুস্পষ্ট ভাবে জানা প্রয়োজন। দেশ ও ইতিহাস একটা নতুন ধারায় বিন্যাস্ত হচ্ছে, সেখানে আপনার ভূমিকা কি জানা প্রয়োজন।

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: যাঁরাই সত্য প্রকাশ করেছে একাই করেছে।পরবর্তিতে প্রমান হয়েছে তিনি সত্য বলেছেন।সত্য প্রকাশের জন্য অনেককে প্রান দিতে হয়েছে।সক্রেটিস তাদের মধ্যে প্রধান।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২১

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আশা করি সবাই সত্য ও সাধারণের পক্ষে থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.