নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই করোনা মহামারীতে শহর এবং উপশহর নিয়ে আমাদের মনোযোগ তো রয়েছেই, তেমনি রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সমূহ। যদিও করোনা মহামারীর মূল আঘাত ইতিমধ্যেই যারা অনুভব করতে শুরু করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, গ্রামের দরিদ্র মানুষ। গ্রামে তো বিদ্যানন্দ নেই। সম্ভবত এ বিষয়টি বুঝেই সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আয়েশা আখতার ইতি।
উনি যে কাজটি করতে উদ্যগ নিয়েছেন তা একটা মডেল হতে পারে। গ্রামে গ্রামে যেসব শিক্ষার্থীরা রয়েছেন তারা এই কাজটি করতে পারেন। পঞ্চাশ থেকে একশজন মানুষের দায়িত্ব নিন। অনেক গ্রামেই ইন্টারনেটের অবস্থাও বিশেষ ভালো নয়, অনেকেই হয়ত আছেন যারা এটির উপযুক্ত ব্যবহার ঘটিয়ে এই সময়ে কাজে লাগাতে সক্ষম নন। কিন্তু ইতি-র মত অনেকেই আছেন যারা এটি করতে পারেন। প্রয়োজনে টিম করেও কাজ করতে পারেন।
ইতি, ইউনিসেফ ব্লু ফোর্স ভলান্টিয়ার। কাজের স্বচ্ছতার জন্য যে কাজটি করেছেন সেটিও প্রশংসনীয়। ত্রাণ এবং সাহায্যের জন্য ১২০ জনের তালিকা, নিজের জন্ম সনদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি, তার সাথে যারা কাজ করবেন, (তাঁর পরিবার) এসবের বিস্তারিত লিস্ট তৈরি করেছেন। আমার মনে হয় ইতি-দের সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য। ইতি-র অনুমতি নিয়ে ওঁর দেয়া আইডি কার্ডের ছবি রইল।
স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডে ওঁকে ইনবক্স করতে পারেন
https://www.facebook.com/nill.ghuri.90
বাকী গল্পটা আপনারা ইতির কাছ থেকেই শুনুন।
" #একটি_মানবিক_আবেদন
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি চলছে করোনা বিস্তার রোধে। আমি চলে এসেছি আমার নিজ গ্রাম নোয়াখালাতে। যা চাটখিল উপজেলা ও নোয়াখালী জেলার অন্তর্ভুক্ত।
#সড়ক_ও_কাজ দোকান সবই বন্ধ। ৩ দিন আগে আমার বাসায় একজন বিধবা মহিলা খোঁজ করছেন আগের দিনের পুরোনো বাসী ভাত হবেন কি না....। তার ছোট সন্তানের জন্য। খারাপ লাগল দেখে। বের হলাম আশেপাশে গরীব বাড়ি গুলোর খোঁজ নিতে। অন্য একটি বাড়ীতে এক মহিলা কোন রকম ভাত চড়িয়ে শাক তুলতে গেছেন পাশের পুকুরে। আরেকটি বাসার ছেলোটি চায়ের দোকান করেন। দোকান বন্ধ করেছে সরকার। তাদের ইনকাম বন্ধ। একটাই প্রশ্ন কি করে চলবে তাদের দিন। এরকমই প্রায় ৫৪ টি পরিবার। দেরী না করে লিস্ট করে ফেললাম। সরকার ঘোষণা দিয়েছেন যাদের খাবার নেই তাদের বাসায় খাবার পৌঁছে দেবে সরকার। মাঝে মাঝে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আহবান দেখি ফেসবুকে "বাসায় থাকুন। খাবার পৌঁছে যাবে.."। এই অসহায় লোকগুলো হয়তো বসে আসে সেই আশায়। গত ১সপ্তাহ যাবৎ তারা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছে না | আমি স্হানীয় UNO এর সাথে যোগাযোগ করেছি মোবাইলে | উনি বললেন লিস্ট বানিয়ে দিন | লিস্ট বানিয়ে দিলাম। এবার বললেন উনি খাবার নির্দিষ্ট তারিখ ছাড়া পৌঁছাতে পারবেন না | কিন্তু অন্য দিকে দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, CNG চালক, মানুষের ঘরে কাজ করে খাওয়া মহিলা, বৃদ্ধা ও বিধবা খাবারের যোগান করতে না পেরে আসছেন আমাদের বাড়ি সহ আশেপাশের বাড়িতে | MP মহোদয়, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান সকলের একই কথা। নিদিষ্ট তারিখে খাবার দেয়া হবে। সেই নিদিষ্ট তারিখের আশায় আমিসহ সকলে আশায় বুক বেধে আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সকল জন প্রতিনিধিদের "যেভাবে ভোটের জন্য বাড়ী বাড়ী দরজায় দরজায় ঘুরেছেন সেভাবে জনগণের খোঁজ নিন, কিভাবে আছেন তারা, তাদের পাশে দাড়া ন।"। আশাবাদী প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন হবে....।
#আমার_ফেসবুক বন্ধু ও শ্রদ্ধেয় জাবিয়ান ভাই-বোন, বন্ধুরা,
কবে সাহায্য আসবে জানি না। কিন্তু সেই পযন্ত তো আমার আশেপাশের এই ৫৪ টি পরিবারকে বাচিয়ে রাখতে হবে। আমি আপনাদের সাহায্য প্রর্থনা করছি।
#আপনাদের_দেয়া একটুখানি ভালোবাসা এই অসহয় লোকগুলোকে হয়তো বাচিয়ে রাখতে পারবে। আমিও অসহায়, কারণ প্রতিটি মুহুর্তে তাদের মলিন মুখ গুলোর দিকে আর তাকাতে পারছি না। লুকানোর কোন জায়গা নেই আমার। কারণ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী।
Bkash- 01859473346
Rocket- 01788756493
Ayesha Akther Eti
Department of International Relations
48th batch."
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রামের ধনীলোকরা কই? এমপি কই? চেয়ারম্যান কই? জেলা পরিষদ কই?
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১৩
একজন আরমান বলেছেন:
সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে একটু সহযোগিতার হাত বাড়াই তাহলেই এই খারাপ সময়টা মোকাবিলা করা খুব একটা কঠিন হবে না আমাদের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০০
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এটা সত্যি আমাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও এই মানুষগুলোর কথা ভাবা উচিত, এবং জন্য কিছু একটা করা উচিত।