নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাট ইয়োর বডি এর্কোডিং টু ইয়োর ইমেজ

শরৎ চৌধুরী

তুমি তোমার ইমেজ মতইপ্রোফাইল বানাওকি ব্লগেকি জীবনে

শরৎ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিকেলের ডেট।

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

দুপুর থেকেই মেজাজটা চড়ে আছে, তার উপর এই কান্ড! অবশেষে উনার সাথে দেখা হল।
মেজাজ গরম দেখে বললেন, “কি হল কথা বলনা কেন?”
আমি বললাম,”কি আর বলবো? বলার মত কিছু আছে নাকি? তুমি একের পরে এক যা করছো, আই এম স্পিচলেস!”
“ফেইসবুক খুলেই দেখি, এ তোমারে ধইরা পোজ দিতাছে, সে কবিতা লিখতাছে, কেউ চেক-ইনও দিতাছে, আর তুমি পোজ দিতাছো, এসব কি?”
উনি বললেন, “আরে আরে চেত কেন?”
আমি বললাম, “আরে চেতবোনা মানে!”, “এই যে দুই দিনের বৈরাগীরা এখন আহা উহু করতাছে তারা কি জানে আমাদের খবর?” “তুমি যখন একলা একলা আশুলিয়ার পুরোটা জুইড়া ফুইটা ছিলা তখন আমি ছাড়া কে তোমার খবর নিছিল?” “সেই ২০১৪ সালে যখন জাপান যাই তখন কে তোমার কাছ থেকে বিদায় নিছিল?”
কে তোমারে ধইরা বলছিল, “এইবার আসি?”
উনি নিশ্চিুপ!
মেজাজ চড়া; আমি বলেই চললাম, “এই যে এত বড় দালান আর এত মানুষের সমাগম, আগে তো ভয়ে তোমার কাছেই যাইতো না, মনে আছে?”
“তোমারে খালি গাড়ীর জানালা দিয়া দেখতো!” “তখনো তুমি ট্রেন্ড হও নাই”
“তুমি কি একটা ট্রেন্ড নাকি খালি? তো শুধু শুধু পোজ দাও কেন?”
উনি বললেন, “বাববাহ! কি পজেসিভ!”
আমি বললাম, “আরে,কত বিকেল তোমার সাথে কাটালাম, তোমারে সঙ্গ দিলাম, তখন কই ছিল তারা”?
উনি বললেন, “আহা রাগ কইরো না ছবি তোলো, সুর্য কিন্তু ডুবে যাবে”।
আমি বললাম,”রাখো তোমার ছবি, আগে আমার কথার জবাব দাও। আমারে কি তুমি বাকের ভাই পাইছো? যে ফাঁসিতে ঝুলবো?”
উনি বললেন,”আহা এখনো রাগ, দেখো দেখো এই লাইটটা ভালো”।
আমি বললাম,”শোনো কথা ঘুরাবা না। তোমার নাম কাশ হইলে আমার নাম শরৎ। সবাই তোমারে চিনে শরৎ এর কাশ বইলা। আবারো বলি শরৎ এর কাশ, এইটা এম্পাওয়ারমেন্টের ইস্যু না,তুমি তোমার ইচ্ছামত সবই কর; কিন্তু তুমি এরকম কেন হইলা?”
উনি বললেন, “আহা আমার কি দোষ? আমি তো ঠিক নিয়মে তোমার ঋতুতেই ফুটি। চারপাশ ছেয়ে যাই। আমার জন্য কোন যত্ন লাগে? লাগে না। আমার কোন আহাউহু আছে? নাই। তোমাদের লোক বাড়াইবা, বিল্ডিং এর পর বিল্ডিং তুলবা, আমি কই যাবো? দেখো তারপরও আমি কিন্তু ঋতু মেনে বারবার আসছি। কিন্তু এত যদি লোক আসে, এত যদি ট্রেন্ড হয়, বারবার যদি ডাল ভেঙ্গে নিয়ে যায়, তাহলে আমি কতদিন টিকবো? আর এরকম মেলা বসালে তুমি আমাকে একলা কীভাবে পাবা বল?”
“এই যে ছয়টা বছর তুমি বাইরে ছিলা, তোমারে তো আমি মিস করছি, তাও ভালো আমারে এসে তুমি পাইছো, নাও তো পাইতে পারতা, বল পারতা না?।
আমি চুপই থাকলাম।
উনি বললেন, “কি কথা নাই কেন?”
সুউচ্চ দালানগুলো আর মানুষের ভীড় দেখে শিড়দাঁড়া বেয়ে একটা শীতল স্রোত নেমে গেল।
আমি বললাম, “এতকিছু বুঝি না, তুমি আমার, তুমি হইলা শরৎ এর কাশ”।
আর মনে মনে বললাম, “ আরে পাগলী, আমি তো ক্ষণস্থায়ী আমি মানুষ, কিন্তু তুমি কাশ, তুমি সবসময় টিকে থাকো, কোন না কোন শরৎ তোমাকে ঠিকই খুঁজে বের করবে।”
উনি বললেন, “থ্যাংকু”।
আমি চমকে গিয়ে বললাম, “কি বললা!তুমি কিভাবে জানলা?”
উনি রহস্যময় এক হাসি দিয়ে বললেন, “জানি জানি, আমি তোমারই কাশ, শরৎ এর কাশ







মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬

ইসিয়াক বলেছেন:








আহা! শরৎ এর কাশ।
চমৎকার প্রকাশ।


ছবি এবং লেখা দুটোই সুন্দর।

মায়া মায়া ভালোবাসা জড়ানো।
মন কেমন করা সাজানো গোছানো।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ছবিগুলো দু'চোখ জুড়িয়ে দেয়।
কাশ তো শরতেরই, অন্য কেউ তাকে ফোটাতে পারে না। শরত চলে গেলে সেও চলে যায়।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: শরৎ কালে শরৎ এর লেখা আর ছবি সত্যিই উপভোগ্য! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.