নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনাদের মনে পড়ে কিনা গত দশ বছরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই যে ভার্টিকাল সিস্টেম মানে এক বিল্ডিংয়েই খাবারের সবকিছু এই চল শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই আমার মনে হত একটা বিল্ডিং এর উপর এত চাপ দেয়া কি ঠিক? লিফট উপচে পড়ছিল বলে ধানমন্ডির এমনি একটি বিল্ডিং থেকে আমি আর আমার বন্ধু নামছিলাম সিঁড়ি দিয়ে। এই সিঁড়িঘর-গুলোর এক একটা তলা দুর্গন্ধে ভরা, একপাশে ময়লার স্তুপ আর তার পাশেই সিলিন্ডারের সাঁরি। ক্লান্ত কর্মীরা একদন্ড বিশ্রামের জন্য সিগারেট ফুঁকছেন।
প্রতি ফ্লোরে যদি আপনি সম্ভাব্য বোমার আয়োজন করে রাখেন তাহলে কোননা কোনদিন বিস্ফোরণ হবেই। আরবান প্ল্যানাররা এসবকে নগরায়ণ বলেন কিনা জানিনা তবে আমার কাছে এগুলোকে বস্তি ই মনে হয়। তবে এখানে পরিবেশনটা ভিন্ন। বিরাট কিচেন, বিদেশি শেফ, নতুন নতুন মেনু আর নতুন ট্রেন্ড এগুলো ঝাকানাকা নগরায়ণের চিহ্ন হতে পারেনা।
এর ঠিক পেছনের চিত্র হল বহুতল ভবনের মেরুদন্ডটি নোংরা, সারিসারি বোমা সাজানো, আর অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্ত কম পয়সার সার্ভিস ব্যক্তিরা। গ্যাসের লাইন, বিদ্যুতের লাইন, পানির লাইন এবং লিফটের মেইনটেন্স নামমাত্র।
শহরের কয়েকটা জায়গার নাম বলেন তো যেখানে আপনি নিরাপদ বোধ করেন? জায়গাগুলো হরাইজনটাল হলে আপনি নাহয় দৌড় দিয়ে কোথাও পালাতে পারবেন ভার্টিকাল হলে কোথায় যাবেন?
ফায়ার ব্রিগেড উদ্ধারকর্মীদের তৎপরতায় অনেককেই বাঁচানো গেল আর সেটার জন্য তারা ধন্যবাদের দাবীদার। কিন্তু ছুটির আগের দিনে যেই নাগরিকরা পরিবার নিয়ে কিংবা একা একটু কোথাও খেতে গিয়েছিলেন তাঁরা আর ফিরে এলেন না। উনাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। আর এও জানি যে উনাদের আত্মীয় স্বজন যারা বেঁচে রইলেন তাঁরা সারাজীবন জ্বলবেন। এইখানে আমি আপনি যে কেউই হতে পারতাম।
আপনাদের অনুরোধ করি, ট্রেন্ড বা নাগরিক যে কোন ঝাকানাকা দেখেই উত্তেজিত হবেন না। নতুন কিছু দেখলেই ঢুকে পড়বেন না। এই কদিন ঢাকা শহরের সমস্ত বিল্ডিংগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে পত্রিকায় কিছু লেখালেখি হয়ে সেটা থেমে যাবে। আপনারা আবার অন্য ট্রেন্ড নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। অতিদ্রুত ভুলে যাবেন। রিসোর্টে আশ্রয় নিতে চাইবেন বা সুইমিংপুলে ঝাপিয়ে পড়ে ভাববেন, এমনটা তো আপনাদের সাথে কখনোই হবে না। নগরে এসবের দায়িত্বে যারা তাদের কোন প্রশ্ন করবেন না।
দালানগুলোর নিরাপত্তা, নাগরিকদের নিরাপত্তা এখানে মূল ইস্যু না। আপনাদের কাজ এগুলোকে মুল ইস্যু বানানো। আপনি যদি আপনাদের নিরাপত্তার জন্য জোর কন্ঠ না হন তাহলে নিশ্চিত থাকেন সামনে আরো বিপদ আসছে। ঢাকা একটা মাইন ফিল্ড।
শরৎ চৌধুরী, ১লা মার্চ ২০২৪।
২| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
নিমো বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। অবশ্যই সংশ্লিষ্ট প্রতিস্ঠান সমূহ দায়ী। কিন্তু আমি যেখানে খেতে যাব, সেখানকার পরিবেশতো আমাকেই বুঝতে হবে, কেবল বিখ্যাত, সুস্বাদু আর ছাড় দেখে হামলে পড়লেতো সমস্যা। আমি নিজের কথাই বলি, কয়েক দিন আগে ইয়াম চা ডিস্ট্টিক্ট এর নাম-ডাক শুনে যেয়ে বের হয়ে এসেছি, কেবল পরিবেশের কারণে।
৩| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
মিরোরডডল বলেছেন:
পোষ্টের সাথে সহমত।
ঢাকা শহরে এতো এতো হাই রাইজ বিল্ডিং রেস্টুরেন্ট, শপিং কমপ্লেক্স, তার ম্যাক্সিমাম ফায়ার এন্ড সিকিওরিটির ব্যবস্থা দুর্বল।
যে কয়টা অগ্নিকান্ড হয়েছে সেগুলোর সবগুলোতেই অব্যবস্থা ছিলো। তারপরও কোনো রকম সতর্কতা নেই।
পরিবার ও প্রিয়জনদের সাথে কিছুক্ষণ ভালো সময় কাটাবে বলে আসা এতোগুলো মানুষের লাশ হয়ে বাড়ি ফেরা, কি মর্মান্তিক!!!!!
৪| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: কারো কোথাও যাবার নেই- সবখানেই মৃত্যু ফাঁদ!
ভাল লিখেছেন।
৫| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেকদিন আগে ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে আপনার একটি অতি উত্তম লেখা পড়েছিলাম। এই লেখাটিও সেরকম ঢাকার চরম বিশৃঙ্খল অনিয়ন্ত্রিত দালানায়ন (?) বিষয়ে চিন্তাশীল একটি পোস্ট।
গতবছর কথা প্রসংগে এক বন্ধু, যে উত্তরায় তাদের দীর্ঘ সময় ফেলে রাখা প্লটে বাড়ি বানিয়েছে, দুঃখ করে বলেছিলো যে আর কিছুদিন পড়ে বাড়িটা করলেই দশতলা বিল্ডিং দিতে পারতো, আগে বাড়ি করে ফেলেছে বলে সে শুধু পাঁচ তলা করেছে।
শেষে আপনি যে সমাধানটির কথা বলেছেন সে বিষয়ে দ্বিমত নেই।
৬| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৫১
শাওন আহমাদ বলেছেন: দালানগুলোর নিরাপত্তা, নাগরিকদের নিরাপত্তা এখানে মূল ইস্যু না। আপনাদের কাজ এগুলোকে মুল ইস্যু বানানো। আপনি যদি আপনাদের নিরাপত্তার জন্য জোর কন্ঠ না হন তাহলে নিশ্চিত থাকেন সামনে আরো বিপদ আসছে। ঢাকা একটা মাইন ফিল্ড। (সহমত)
৭| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০৮
ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: ঢাকা একটা মাইন ফিল্ড। ভাল লিখেছেন।
৮| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: আমরা একটা বাজে ও নোংরা শহরে বাস করি।
এই শহরের মানুষ গুলো সচেতন না।
৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মূল বিষয় নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন তবে আমার ব্যক্তিগত সমস্যা বাঙালীর গরীব মানুষদের মতো "খাই খাই" স্বভাব নিয়ে। প্রথমত রাত্র ১০/১১ টা কাচ্চি খাওয়ার সময় না। প্রয়োজন ছাড়া অত রাত্রে বাড়ির বাইরে থাকাও আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয় না। দ্বিতীয়ত, খেতে মন চাইলে ঘরে রান্না করে খাওয়া অনেক ভালো। রেস্তোরার নোংরা আর অপরিচ্ছন্ন মানুষের হাতে ও পরিবেশে তৈরী গার্বেজ-ই যদি আপনার পছন্দ হয়ে থেকে তবে আপনার সম্পর্কেও একটা ওভারঅল ধারনা নেয়া যায়। তৃতীয়ত নিজের জীবন-যাত্রার সার্বিক মান তথা কোয়ালিটি অফ লাইফ সম্পর্কে ঐসব মানুষগুলোর ধারনার ব্যাপারে কিছুটা আাঁচ করা যায়।
তাই ভুঁইভোড় এসব আবোল-তাবোল গার্বেজ পরিবেশে গিয়ে গার্বেজ খাওয়া বন্ধ করাই উত্তম। পারলে নিজে বা পরিবারকে দিয়ে রান্না করিয়ে খান নয়তো ....
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
ফেনা বলেছেন: যে মস্তিষ্কে পঁচন ধরেছে সেটা দিয়ে ত আর বিজ্ঞান ত অনেক দূরের কথা সাধারণ কোন ভাল কাজ হওয়ার স্বম্ভাবনা নেই।
সো.. আলগা টেনশন নিয়েন না।