![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা সদর হাসপাতাল
গুলোতে রয়েছে সব দিক থেকে অনিয়ম। ব্যাপারটি একটু নিজ থেকে অনুধাবন করুন,
আপনারচোখে অনেক ত্রুটি ধরা পড়বে। আমি অনেকগুলো সরকারি হাসপাতাল ভিজিট করেছি আর
দেখলাম সব গুলোর একই হাল। তাই এই বিষয় নিয়ে লিখতে বসলাম।
সাধারনত একজন ডাক্তারের দৈনিক ছয় ঘন্টা হাসপাতালে রোগীদের সেবা করতে হয়,
এবং এটা চাকুরীর নিয়ম। কিন্তুু
কিভাবে করবে করবে তা? তারাতো নিজেদের সেবায় ব্যাস্ত। কথায় আছেনা,
"আপনি বাচলে বাপের নাম "
আমাদের ডাক্তারেরা উক্তিটির সার্থক প্রমান দিয়েছে।
ডাঃ শব্দটি সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যাবহার করে; সাধারন
মানুষের গলা কেটে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। আর অপরদিকে প্রতিটি ডাক্তার এক দুই
ঘন্টা ডিউটি করে চলে যায় নিজ
চেম্বারে। সাপ্তায় দুই একদিন তিন চার ঘন্টা ডিউটি করে। আর
রোগীরা বেডে শুয়ে শুয়ে কাতরায়। এমন অনেকে রোগী আছে যাদের মিঃ ডাক্তার সাহেব দুই
দিনেও দেখতে আসেনি। যেনো তাদের বাবার টাকায় গড়া হাসপাতাল! আর
বিনামূল্যে চাকুরী করে।
হাসপাতাল গুলোতে ডুকতে হলে নাকে অক্সিজেন লাগিয়ে ডুকতে হবে। কারন হাসপাতাল
জুড়ে দুর্নীতির
গন্ধে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবার উপক্রম। একজন লোক
যে কখনো হাসপাতালে যায়নি তাকে যদি চোখ বন্ধ করে হাসপাতালে এনে ছেড়ে চোখ
খুলে দিলে সে নিশ্চয়ই একে মাছ বাজার মনে করবে। বায়লোজিতে পড়েছি আবর্জনার
মদ্ধে সবচাইতে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে, কিন্তু আমি শিওর যে রাইটারে এই
লিখাটি লিখেছে; সে নিশ্চয়ই কখনো হাসপাতালে যায়নি! কারন সরকারী হাসপাতাল
হলো বর্তমানে ব্যাকটেরিয়ার আদর্শ বাসস্থান। আমাদের ডাঃ সাহেবেরা এতো পরিচ্ছন্ন
ভাবে চলার পরেও, টাকার
লোভে হাসপাতালকেও পরিচ্ছন্ন মনে হয়। অথচ প্রতি মাসে লাখো টাকা খরচ করে পরিচ্ছন্নতার
জন্য। আসলে দায়িত্বশীল লোকেরা তাদের পেট বাড়ানোর দায়িত্ব আগে পালন করে। পরিষ্কার
কেমনে করবে?
তবে এটা ঠিক যে প্রতিটি হাসপাতাল হওয়াতে কিছু কর্মহীন অসাধু লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
পাবলিকে ধোঁকা দিয়ে ইনকাম করছে হাজার হাজার টাকা। আসলে কথায় আছেনা, "মরারে মারস
কেন? লড়েতো " গরীব জনগন প্রতিটি টেবিলে টাকা দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়।
আসলে দেশ ডিজিটাল হওয়াতে মানুষগুলো এখন ডিজিটাল! চাপাবাজিও এখন অনেক বেতনের
চাকুরী। না হলে পূর্নাঙ্গ চিকিৎসা ব্যাবস্থা থাকার পরেওকেমনে দালালরা টাকাইনকাম করে?
আর কর্তৃপক্ষ মনেহয় চোখে লাগিয়েছে টিনের চশমা।না হলে এদের বিরুদ্ধেকোন
হস্তক্ষেপ নেয়না কেন?
যারা বসে বসে পাবলিককে ঔষধ বিতরন করে, তারা ডাঃ থেকেও একটু এগিয়ে।
তারা এন্টিবায়োটিক এর ক্ষতিকর প্রভাব জানে; তাই তারা রোগীকে ঔষধ কম দেয়। আর
চুরি করা শত রকমের ঔষধ বিক্রি করে তারা আজ একের
কাটা। আজ আমার মুজিব দাদার ওই ডায়লগ মনে পড়ে, " সবাই পায় স্বর্নের খনি, আর আমি পেলাম
চোরের খনি "
কি আদর্শ ডায়লগ? আসলে এই দেশের মানুষকে তিনিই প্রথম চিনেছিলো। হাসপাতালের বড়
সাহেব চেয়ারে বসে লাখো টাকা মূল্যে বিক্রি করেন মেডিকেল সার্টিফিকেট। আর এম্বুলেন্স
চালক করেন তেল চুরি। বাহ ছোট সাহেব বড় সাহেব সবাই চালাক। আর মাঝের সারির সবাই
করে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন।
©somewhere in net ltd.