নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রেষ্ট হওয়ার জন্য শেষ হচ্ছি।।সেই ছোট থেকেই বেড়ে চলেছি আমি তাও জানি এই বেড়ে উঠার ফলেই এক সময় নিংশ্বেষ হয়ে যাব।আকাশে চাঁদ দেখে অবাক হই না, কিভাবে জুলে আছে ঐ শূন্যে! আমি অবাক হই চাদটাকে কে এত সুন্দর নিয়মে বেধে দিয়েছে।

ব্লগার শান্ত

শ্রেষ্ট হওয়ার জন্য শেষ হচ্ছি

ব্লগার শান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীল ভুত

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০৭

রাত প্রায় তিনটা,অনেক পুরাতন একটা শ্মশানের পাশ দিয়ে যাচ্ছি।দিনের বেলাও কেউ একা এ পথ
মাড়ায়না,ভীষণ ছমছমে জায়গাটা!!আমি আবার খুব সাহসী,তাই দুপুর
রাতে নির্ভয়ে একাএকা শ্মশানতলা পাড়ি দিচ্ছি।
গিয়েছিলাম হাকালুকির বিলে মাছ শীকারে,যাদের সাথে গেছি তারা সবাই চলে আসছে ১টার
দিকে,এখন আমি একদম একা!
শ্মশানের মাঝামাঝি জায়গাটা সবচেয়ে ভয়ংকর!চারদিকে ভীষণ ঝুপজাড় আর মানুষ
জ্বালানো বুটকা গন্ধ। দিনদুপুরে জায়গাটা ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে,এখনতো রাত!আজ আবার ভর
অমাবস্যা!!
যতই সাহসী হইনা কেন,এ জায়গাটার ভয় ছোটকাল থেকেই আছে,জায়গাটা সম্পর্কে কত কথাই
না শুনছি মানুষের মুখে!!কেউ বলে রাতে এখানে ভুতের মেলা বসে,কেউ বলে এখান থেকে মানুষের
কান্নার আওয়াজ আসে,কেউকেউতো মৃত মানুষকে হাটতে দেখেছে বলেও দাবি করেন!
আমি অবশ্য এইসব বিস্যাস করিনা!
হাতের মশাল সদৃশ বাতিটা নিয়ে নির্বিঘ্নে হাটছি,হঠাৎ অদুরে একটা ঝোপে কারোর
কানা ঘুষার শব্দ শুনতে পেলাম,রহস্য দুরিকরণে শব্দোৎসের নিকটে গেলাম,,, আরে!এ যে রঘুদার
কন্ঠ!!! তিনচারদিন আগেইতো উনি মারা গেলেন!!
ঝোপের যত নিকটে যাচ্ছিলাম,শব্দের আওয়াজ ততই কমছিল,যখন একেবারে নিকটে গেলাম তখন
জায়গাটা শব্দশূন্য! একেবারে নিস্তব্ধ!!
ভাবলাম হয়তো মনের ভুল!! আবার চলতে থাকলাম বাড়ির উদ্যেশ্যে.....
কিছুদূর যেতেই শুনি আবার সেই কণ্ঠ!এবার কিন্তু স্পষ্ট শুনা যাচ্ছে! মনে হচ্ছে যেন আমাকেই
ডাকছে!
যতই সাহস থাকুক,দুপুর রাতে শ্মশানঘাটে একা,তাই ভয় ধরে গেল!
ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাস করলাম কে ওখানে?
-তুই অমুকের পোলা অমুক না?
হ্যাঁ! কিন্তু তুমি কে?
-আরে আমি তুদের পন্ডিত পাড়ার রঘুদা!
র,র,,র,,,,রঘুদা! তুমি এখানে কি কর?কেমনে এলে??
-আমি কি আর সাধে এখানে আছি!সবাই রাইখা চইলা গেলযে!
তুমিনা মারা গেলে রঘুদা?
-হুম! মারাইতো যাচ্ছিলাম,,,,
যাচ্ছিলাম মানে? তুমি মর নাই?
-নাহ!!
বল কি!!চল! তাড়াতাড়ি বাড়ি চল!
-নারে! এখন সেটা সম্ভব না!
কেন রঘুদা?
-এখন আমি আর মানুষ নেই!
ব,ব,,বলকি দাদা! তুমি কি ভূত হই গেছ?
-হুম!
দাদা আমি গেলাম,,,,
-এখন তুমি যেতে পারবেনা!
আমার ভয় করছে আমি চলে যাচ্ছি
-হুহুহু হুহুহুহুহুহুহুহু চেষ্টা করেই দেখ!
বহু চেষ্টা করলাম তবু পা নড়েনা,যেন মাটিতে বিধে আছে!!
আমি কিন্তু ভুত তাড়ানোর মন্ত্র জানি দাদা!
-হাহাহা! কয়টা ভুত তাড়াতে পারে তোর মন্ত্র?
ঢপ মেরে বল্লাম
হাজার বিশেক!
-এখানে কত ভুত আছে জানিস?
কত?
-৯লক্ষ
শুনেতো আমি পুরাই মখা!
আরেকটা আছে মন্ত্র!
-কিসের?
ভুত তাড়ানোর!
-আরম্ভ কর,আমিও ডাকি সব ভুতদের...
চিৎকার করে বল্লাম রঘুদা আমি ইয়ার্কি করছি,প্লিজ ওদের ডেকনা!কিন্তু কে শুনে কার
কথা,ভয়ংকর এক সুর তুলে কি যেন পড়তে লাগল রঘুদা,চারদিকের পরিবেশ থমথমে হয়ে এল,ঘুর
অন্ধকারে মনে হল কে যানি বাঁশি বাজাচ্ছে!
আস্তে আস্তে ভুতেরা উপস্থিত হতে শুরু করল,আর আমি ভয় পেয়ে তলদেশ গরম
পানিতে ভিজাতে লাগলাম!!
কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো শ্মশানজোড়ে কলরব শুরু হল,ঠিক যেন এক বিয়েবাড়ি! আমি স্পষ্ট
দেখছিলাম হাজার হাজার ছায়ামুর্তি!তাদের অনেকে আমার
সাথে ধাক্কা খাচ্ছে,কেউবা আমার পায়ে পাড়া দিচ্ছে!!
ছায়ামানবরা আমার চারপাশে ঘুরাঘুরি করছে,ওরা নিজেদের মাঝে কিসব আলাপ করছে কিচ্ছু
বুঝা যায়না!কিন্তু আশ্চর্যের কথা হল ওরা আমাকে কিছু বল্লনা কিছু করলওনা!!
ভুতের কথা শুনেছি অনেক,কখনো ভয় পাইনি।কিন্তু আজ নিজচোখে ভুত দেখে অনেক ভয় লাগছে!!
ভয় লাগবেই বা না কেন, একটার হাত ২০গজ লম্বা,একটার পা ৬টা,একটার ঠোঁট নেই,একটার নখ
৪/৫হাত লম্বা!!!
তবে সবচে ভয়ংকর যে ভুতটা আমি দেখছি সেটা হল নীল রঙের ভুত!
দেখতে একেবারে হনুমানের মত,সারা মুখ থেথলানো,মাথা চালনির মত,মগজ বের
হয়ে লটকে আছে!!
এই ভুতটাকে দেখেই আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেল্লাম!!!
জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি হাকালুকির বিলে মাছশিকারিদের ডেরায় শুয়ে আছি,,হাতে মশালের
মত বাতিটা তখনো নিভুনিভু আলো ছড়াচ্ছে!!
সারা শরীর ঘেমে আছে,এখনো পুরামাত্রায় ভয় করছে,বুটকা গন্ধটাও পাচ্ছি পরিস্কার!!
এটা স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা বুঝতে পারছিনা,,,,না বুঝারই কথা,সবইতো অসঙ্গায়ীত!!!!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.