নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রেষ্ট হওয়ার জন্য শেষ হচ্ছি।।সেই ছোট থেকেই বেড়ে চলেছি আমি তাও জানি এই বেড়ে উঠার ফলেই এক সময় নিংশ্বেষ হয়ে যাব।আকাশে চাঁদ দেখে অবাক হই না, কিভাবে জুলে আছে ঐ শূন্যে! আমি অবাক হই চাদটাকে কে এত সুন্দর নিয়মে বেধে দিয়েছে।

ব্লগার শান্ত

শ্রেষ্ট হওয়ার জন্য শেষ হচ্ছি

ব্লগার শান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

_____রাত্রিতে নিশি_____

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৭

.
--নিশি..
--হু..
--একটু ঢং করোতো..
--কিই?
--আহা.. একটু ঢং করো, একটা পিক
উঠাবো..
--পারবো না.. হু..
.
পারবো না বলেই সামান্য
জিহ্বা বের করে চোখদুটো ছোট
করে ফেললো! আমি ঐ অবস্থায় ওর
একটা পিক উঠাই যা আমার মোবাইলের
ওয়ালপেপার | পিকটাতে অসম্ভব
ফাজিল দেখায় নিশিটাকে | শত
কর্মব্যস্ততায়
স্ক্রীণে তাকালে ওর
ফটোটা একটা প্রশান্তি এনে দেয় |
ওরকম ভঙ্গি দেখে আমার ঠোটের
কোণে হাসি জমে যায় | অফিসের
অনেকে এ হাসির কারণ
বুঝতে পারে না | তারা তো আর
আমার নিশির জিহ্বা বের
করা ভংগিটা দেখে নি!
.
রাত প্রায় দশটা |
পাশাপাশি শুয়ে আমরা তিনজন!
দেয়ালের সাথে কোলবালিশ!
মাঝখানে নিশি, এপাশে আমি |
নিশি "হিমুর মধ্যদুপুর" বইটা পড়ছে!
আর আমি.. আমি আবার কি?
ফেসবুকিং....
.
--হাআ হাআ..
স্ক্রীণে ময়লা জমে গেছে| তাই মুখ
থেকে ভাঁপ দিচ্ছি! কিন্তু
মুখটা কেমন শুষ্ক লাগতেছে | ভাঁপ
বের হচ্ছে না | আবার
চেষ্টা করলাম..
--হাআ হাআ..
--এই কি করো তুমি? ছিঃ ওভাবে কেউ
স্ক্রীণ পরিষ্কার করে?
--হুম এতে বেশ চকচকে হয়! হাআ হাআ..
ধ্যাৎ, একটুও ভাঁপ
বের হচ্ছে না! ইয়াক থু.. থু
.
বাধ্য হয়েই স্ক্রীণে থুথু দিলাম
এবার সূতি কাপড় দিয়ে মুছে
দিলেই চকচক করবে! ওমা সেকি??
নিশি দেখি শোয়া হতে উঠে বসেছে!
আমার
দিকে অগ্নি চোখে তাকাচ্ছে!
দ্রুত নিঃশ্বাস নিচ্ছে! চোখ বড় বড়
করে নাক,মুখ এক জায়গায়
করে রেখেছে?
--এইটা তুমি কি করলা??
--কোনটা??
--তুমি কোথায় থুথু ফেললা?
--স্ক্রীণে.. স্ক্রীণ পরিষ্কার
করি..
--স্ক্রীণে এটা কার পিক??
--কেন? তোমার পিক...
কথাটা বলেই
স্ক্রীণে তাকিয়ে দেখি নিশির
পিকটা থুথুতে জরাজীর্ণ!
--স স স রি ই..
ভয়ে সরি বলে আমার
জিহ্বাটা প্রসারিত করে ইমোর মত
সেখানে একটা কামড় দিলাম!
-দাড়াও দেখাচ্ছি তোমার সরি..
দেয়ালের পাশের কোলবালিশ
দ্বারা এখন আমার পিঠে
কিলবৃষ্টি পড়তেছে! অবশ্য নিশির
মাইর খেয়ে খেয়ে একটু
হেঙলা ভাবটা চলে গেছে!
.
--উহ্ ব্যথা পাই! থামো | এই থামো..
ঐত্তোরি.. তোমার সাথে আর না!
এর চেয়ে ভাল
আমি রাস্তায় গিয়ে ঘুমাই!! ধ্যাৎ..
.
এত রাতে রাস্তায় একা একা ভয়
করতেছে | প্রকৃতির
ডাকে সাড়া দিচ্ছি | নিশির ফোন..
তৃতীয় বারে রিসিভ করলাম..
--আমার বরটা রাস্তায়
একা একা কি করে হুম??
--হিসু করি..
--ছিঃ! এসব কি কথা? তোমার
মুখে কিচ্ছু আটকায় না?
--আচ্ছা আমি ফাইভ স্টার
হোটেলে ডিনার করতেছি..
--আ হা! রাস্তায় নতুন ফাইভ স্টার
হোটেল গজিয়েছে বুঝি?
--তাহলে হিসু করি..
--ঐ চুপ..!! ২০ মিনিটেই
যেন তোমারে বাড়ির গেটে পাই?
আমি এখানে দাড়িয়ে আছি!
না আসলে আমিও
এতরাতে একা রাস্তায়
বেরিয়ে পড়বো হুম..
--না না! এইটা করিও না! আমি ১০
মিনিটেই এসে যাব..
.
নিস্তব্ধ রাত | দুজনে হাটছি|
নিশি আমার
বা হাতটা কব্জা করে ধরে রেখেছে|
--শুনছো..
--হুম..
--চাঁদটা কত সুন্দর তাই না?
--চাঁদতো সুন্দর হবেই? একদম তোমার
বিপরীত..
--কিইই? আমি দেখতে চাঁদের মত না??
--মোটেও না! চাঁদের নেই কোন রাগ,
না আছে অভিমান, না আছে কোন
চাওয়া আর না আমাকে কোনদিন
মেরেছে!!
--থাকো তুমি তোমার চাঁদ নিয়ে |
আমি চললাম..
.
কথাটা বলেই হনহন করে বাড়ির
দিকে রওনা দিল
অনেক দূর চলেও গেল..
--সাবধানে যেও.. আব্বু বলেছে ঐ
লম্বা গাছগুলোয় নাকি সুন্দর
সুন্দর ভূতপ্রেত থাকে! ভুত
দেখলে জোরে চিল্লানি দিও..!
আমি চলে আসবো..!!
.
খেয়াল করলাম,
নিশি উল্টে ফিরে আসতেছে |
আমি একটা গাছের
আড়ালে গাঢাকা দিলাম! যেন ও
মনে করে আমি অন্যদিকে চলে গেছি!
--এই শুনছো.. কই তুমি... এইই..
আমি চুপ! আস্তে আস্তে নিশির
কণ্ঠটা রুদ্ধ হয়ে আসতেছে| অস্পষ্ট
করে আমাকে ডাকতেছে| ভয়ে একদম
গুটিয়ে গেছে|
--কৈ তু মি.. এ ই শুনছো..
মৃদু কান্নার আওয়াজ! সেরেছে!
আমি এবার আড়াল থেকে রাস্তায়
আসলাম..
--নিশি..
পিছন ফিরে আমার দিকে
তাকালো | এক দৌড়ে আমার বুকে!
.
তারপর..
.
তারপর আবার কি? সেই
পুরোণো হিসেব! বুকে অজস্র
কিলঘুষি পড়ছে... [স্বপ্নচারণ]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.