নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হুজুগের সাথে দৌড়ে অভ্যস্থ নই। সবাই যা ভাবে আমি তা ভাবি না , সবাই যা একভাবে দেখে দেখে আমি তা আলাদাভাবে দেখি।

স্বাধীন মন

সবাই যা ভাবে আমি তা ভাবি না

স্বাধীন মন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাদের এড়িয়ে চলা উচিত পুরুষদের

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩

পুরুষদের বলছি। জীবনে একদিন না একদিন নারী আসবেই, এ নিয়ে তাড়াহুড়োর কিছু নেই। কাউকে ভালো লাগল, আর সঙ্গে সঙ্গে প্রেমে পড়ে গেলেন কিংবা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন, এমন করাটা হবে বোকামি। বরং সঙ্গিনী নির্বাচন করুন একটু ভেবেচিন্তে।

ভাবছেন, সঙ্গিনী নির্বাচন করবেন কীভাবে? আপনার কাজটা সহজ করে দিতে পারে এই প্রতিবেদন। সাত ধরনের নারী আছে যাদের সব সময় এড়িয়ে চলা উচিত, তা সে অন্য যত গুণেরই অধিকারী হোক না কেন।

দ্য বিগ বস: সুন্দরী নারী। প্রাথমিক আচরণেও আপনার কাছে বেশ মার্জিত মনে হলো। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই টের পেলেন, সে আপনার সব কিছু ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতে চায়। ধরুন, আপনি কোনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছেন। সে আপনার কাছে জানতে চাইবে, ওই ‘বন্ধু’কে কীভাবে চেনেন, পরিচয় হলো কীভাবে, কী কী কথা হলো—সব খুলে বলতে হবে তাকে। আপনি কীভাবে ভবিষ্যতে এগিয়ে যাবেন, জীবনের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত, সব ঠিক করার চেষ্টা করছে মেয়েটি। প্রাথমিক পরিচয়ের পর মেয়েটির মধ্যে এমন কিছু দেখতে পেলে ভুলেও মন দেওয়া-নেওয়া করবেন না।

সবকিছুতেই অস্পষ্টতা: মেয়েটি কোনো কিছুই স্পষ্ট করে বলে না। সব সময় আপনাকে অনুমান-নির্ভর অবস্থায় রাখে। সে আপনাকে ভালোবাসে কি না, সেটাও বোঝার জো নেই। এমনকি ‘হ্যাঁ’ বললেও আপনি দ্বিধার মাঝে থাকেন। এ ধরনের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে নিজের জীবনটাকে ‘অনিরাপদ’ অবস্থায় ফেলবেন না।

তুমি আমার মতো হবে: আপনি কী খাবেন, কোন কাপড় পরবেন, কোন ধরনের ছবি দেখবেন, গান শুনবেন—সবকিছু নির্ধারণ করে দিতে চাইছে মেয়েটি। কোনো বিষয়ে একমত না হলে মেয়েটি এমন আচরণ করল, যেন বড় কোনো অপরাধ করে ফেলেছেন আপনি। ভুল করেও এমন ‘গুণ’সম্পন্ন মেয়ের দিকে পা বাড়াবেন না।

সব সময় ঈর্ষান্বিত: মেয়েটির মনে সব সময় এমন ভাবনা কাজ করে, আপনি যেকোনো মুহূর্তে তাকে ছেড়ে যেতে পারেন। ধরুন, আপনি কোনো নারী সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন। সেটা সে পছন্দ করছে না। সব সময় আপনাকে আগলে রাখার চেষ্টা করছে। সম্পর্কে কখনোই সে সুখী নয়। এ ধরনের মেয়ের থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকবেন।

তুমিই আবার সব: মেয়েটির চিন্তাভাবনা সবকিছু কেবল আপনাকে ঘিরে। আপনার ওপর সে পুরোপুরি নির্ভরশীল। আপনাকে ছাড়া এক মুহূর্তও জীবনকে কল্পনা করতে পারে না। এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা পেয়ে প্রথমে অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে। তবে কিছুদিন পর এই ভালোবাসাই আপনার জীবনটাকে ‘বিষিয়ে’ তুলতে পারে। কারণ, প্রতি মুহূর্তে সে আপনার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইবে। ‘তোমাকে ভালোবাসি’—কথাটা দিনে কয়েকবার না বললে মেয়েটির মনে হবে, তার জীবনটা শেষ হয়ে গেছে।

আমার মা-বাবা যা বলবে তা-ই হবে: মেয়েটি জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে মা-বাবার ওপর নির্ভরশীল। ব্যক্তিগত বা অর্থনৈতিক সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সে তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এ ধরনের মেয়ে থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। ভালো থাকবেন।

অন্যরা আমাদের চেয়ে সুখী: মেয়েটি সব সময় অন্যদের সঙ্গে তার জীবনের তুলনা করছে। অন্য বন্ধুরা অপেক্ষাকৃত ধনী, সুখী, সফল—এসব সে মেনে নিতে পারছে না। অন্যদের মতো হতে না পেরে ভেতরে ভেতরে সে পুড়ে যাচ্ছে। আর যা-ই হোক, এমন মেয়ে নিয়ে শান্তি পাওয়ার আশা করাটা ভুল হবে।

যথার্থ জীবনসঙ্গী নির্বাচনে উপায়গুলো বাতলে দেওয়া হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে। এগুলো ব্যক্তিগত জীবনে প্রয়োগ করবেন কি না, সেটা আপনার ব্যাপার। যাঁরা এরই মধ্যে জীবনসঙ্গী বেছে নিয়েছেন, মিলিয়ে নিতে পারেন তাঁরাও। নিজের ভবিষ্যত্ সম্পর্কে একটা ধারণা পেলেও পেতে পারেন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২০

শিব্বির আহমেদ বলেছেন: সব গুলা মানতে গেলে বিয়া করার জন্য বউ খুজে পাওয়া যাবে না ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫১

স্বাধীন মন বলেছেন: বিশ্বাসে মেলায় বস্তু.....

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫২

saamok বলেছেন: জীবন সংঙ্গীনি কেমন হবে এটা অনেকটাই নির্ভর করে ভাগ্যের উপর। মেয়েদের ইনটুইশন ছেলেদের চেয়ে অনেক প্রবল। ওরা প্রথমেই ধরে ফেলবে ছেলেটি ঠিক কি পছন্দ করে বা করে না। যদি মেয়েটির এই রকম ডিসিশান থাকে যে সে ছেলেটির সাথে এফেয়ারে জড়াবে তাহলে সে তার সর্বোতো ভাবেই সু-স্বভাবটা প্রেজেন্ট করবে। বাস্তবটা হল প্রেমের সময় আর বিয়ের পরের সময়টা সম্পুর্ণ ভিন্ন। অন্য রকম। আর বিয়ের পর যদি এরকম হয় যে ছেলেটি সংসারের একমাত্র সোর্স অব ইনকাম তা হলে বিয়ের পর সম্পর্কটি একেবারেই অন্যরকম হবে।
যেমন সৃষ্টিগত ভাবেই পুরুষ কর্তৃত্বপরায়ন যা প্রেমের সময় সে কখনই প্রকাশ করেনা (দু-একটি ব্যাতিক্রম)। কিন্তু বিয়ের পর ২/৩ বছরের মধ্যে এই ভাবটি প্রকাশ পায়। মেয়েটি তখন তা মেনে নেয় না। সংঘাতের সুত্রপাত হয়। এইরকম ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই আরও অনেক ব্যাপার আছে। সে যাই হোক আমার বৌ ভাগ্য অত্যন্ত ভাল। বিয়ে করার জন্য আমি শুধু একটি মেয়েকেই দেখেছি এবং তাকেই বিয়ে করেছি। যাকে বলে পরিপূর্ণ সেটেল্ড মেরেজ। মেয়ে বা তার পরিবার সম্পর্কে তেমন কোন খোজ-খবরই নেয়া হয়নি। কিন্তু অজানা আধারের মধ্যে যে আলো আমি পেয়েছি তা আমার জন্য জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।
ধন্যবাদ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

স্বাধীন মন বলেছেন: আমিও একই ভাবে ভাগ্যে বিশ্বাস করি! আপনার সুন্দর জীবন কামনা করছি! কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ..... :)

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

নাম জেনে কি হবে? বলেছেন: আপনি যেসব ক্যাটাগরির কথা বললেন তার বাইরে কি আদৌ কোন মেয়ে আছে?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১

স্বাধীন মন বলেছেন: আছে নিশ্চই! :)

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

ইয়ার শরীফ বলেছেন: সৃষ্টিগত ভাবেই পুরুষ কর্তৃত্বপরায়ন যা প্রেমের সময় সে কখনই প্রকাশ করেনা (দু-একটি ব্যাতিক্রম)। কিন্তু বিয়ের পর ২/৩ বছরের মধ্যে এই ভাবটি প্রকাশ পায়। মেয়েটি তখন তা মেনে নেয় না। সংঘাতের সুত্রপাত হয়।

চরম মন্তব্য।
ভাল লাগলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.