নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ নতুন দিনই নতুন চাহিদা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়॥ ”

শাহরিয়ার বাপন

“ নতুন দিনই নতুন চাহিদা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়॥ ”

শাহরিয়ার বাপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সভ্যতার বিবর্তনে ইসলাম

২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ২:০৭

ইসলাম শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ সালাম থেকে। যার অর্থ শান্তি। এটা এসেছে আরবি শব্দ সিল্ম থেকে যার অর্থ, নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহতালার কাছে সমর্পণ করা। আর এক কথায় ইসলাম অর্থ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহতালার কাছে সমর্পণের মাধ্যমে শান্তি লাভ করা। আর সভ্যতার বিবর্তন বলতে বুঝাই মানুষের চিন্তা, চেতনা, ধ্যান, ধারনা,কাজকর্ম এবং দৃষ্টিকোণের পরিবর্তনের সাথে সাথে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত পরিবর্তন। কিন্তু সভ্যতার এই বিবর্তনে ইসলাম সম্পর্কে মানুষের চিন্তা-চেতনা এবং দৃষ্টিকোণের এসেছে পরিবর্তন। আজ আমরা ইসলাম বলতেই শুনি মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাসবাদিতার ধর্ম। মৌলবাদ সম্পর্কে বলি মৌলবাদি বলতে বুঝাই এমন একজন বাক্তিকে যিনি বিশেষ কনো বিষয়ের মৌলিকত্বকে মেনে চলেন। উদারনসরূপ যদি কনো ডাক্তারকে ভালো ডাক্তার হতে হয় তাহলে তাকে অবশ্যই চিকিৎসা শাস্ত্রের মৌলিকত্ব বিষয়ে জানতে হবে,অর্থাৎ তাকে অবশ্যই মৌলবাদি হতে হবে ভালো ডাক্তার হতে হলে। ঠিক তেমনই একজন ভালো মুসলমান বা একজন ভালো খ্রিস্টান বা একজন ভালো সনাতন ধর্মলম্বি হতে হলে তাদের কে নিজ নিজ ধর্ম শাস্ত্রের মৌলিকত্ব সম্পর্কে জানতে হবে অর্থাৎ তাকে মৌলবাদী হতে হবে। অন্যদিকে সন্ত্রাসী বলতে বুঝায় ঐ বাক্তিকে যিনি সমাজের অন্য বাক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন। উদারনসরূপ একজন পুলিশকে দেখে একটা ডাকাত ভয় পাই,তাহলে ঐ ডাকাতের কাছে পুলিশ সন্ত্রাসী। ঠিক একই ভাবে একজন প্রকৃত মুসলমানকে দেখে একজন ধর্ষক ভয় পান,একজন খুনি ভয় পান। তাহলে ঐ মুসলমান কি সন্ত্রাসী?একজন প্রকৃত মুসলমান কখনো কাউকে ভয় দেখাতে পারে না। একজন মহান প্রয়াত নেতার নাম মনে পড়ে গেল তিনি হচ্ছেন নেলসন ম্যান্ডেলা ,যিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন স্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকার।এর আগে যিনি শ্বেতাঙ্গের সরকার ছিলেন তিনি তাকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করেছিলেন অপরদিকে কৃষ্ণাঙ্গদের কাছে তিনি ছিলেন বীর সেনা। একই বাক্তি যার পরিচয় দুই, আসলে আমরা এখানে শব্দ নিয়ে খেলা করি। একবার টাইম ম্যাগাজিনে একটা আর্টিকেল এসেছিলো ১৬ই এপ্রিল ১৯৭৯ সালে,সেখানে লেখা হয়েছিলো ৬০ হাজারেরও বেশি বই লেখা হয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধে মাত্র ১৫০ বছরে। যার অর্থ ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিদিন গড়ে একটারও বেশি বই লেখা হয়। কিন্তু পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমান্স মুসলিম ধর্মের অনুসারির সংখ্যা বাড়ছে সব চেয়ে দ্রুত হারে। গত ৭৫ বছরে ইসলাম ধর্মের অনুসারির সংখ্যা বেড়েছে ২৩৭% হারে । আজকাল আমরা দাঁড়ি – টুপি পরিহিত কনো মুসলমানকে দেখা মাত্রই বলি জঙ্গি। চিন্তা করে দেখেন একটা টুপি মানুষের কি ক্ষতি করতে পারে? দাঁড়ি মানুষের কি ক্ষতি করতে পারে একটা মাছিও তাড়াতে পারে না। ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন বেশির ভাগ প্রধান ধর্মের ধার্মিকদের দাঁড়ি আছে। যীশুর লম্বা দাঁড়ি ছিল, শিকরা দাঁড়ি রাখে এবং মাথায় পাগড়ী পরে। কিন্তু মুসলমানরা দাঁড়ি টুপি পরলেই দোষ। কনো মুসলমান যদি তার অধিকার নিয়ে রাজপথে নামে তাহলে আমরা বলি জঙ্গি, এ বিষয়ে আন্দলিব রহমান পার্থ একবার সংসদে বলেছিলেন “ বিএনপি যদি বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে গাড়ি ভাঙ্গে তাহলে সেটা সহিংস আন্দোলন, আওয়ামীলীগ যদি জয় বাংলা বলে গাড়ি ভাঙ্গে তাহলে সেটা সহিংস আন্দোলন কিন্তু কনো মুসলমান যদি আল্লাহ আকবার বলে গাড়ি ভাঙ্গে তাহলে সেটা হয়ে যাই জঙ্গি। আমি নিজেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করি। গুটি কয়েক ছাত্রলীগের কর্মী বা নেতার কারনে যেমন সমস্ত দলকে খারাপ বলতে পারি না। ঠিক তেমনই কিছু বাক্তির কারনে আমি একটা ধর্ম সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করতে পারি না। পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ ইসলাম ধর্ম তরবারি থেকে প্রসারিত হয়েছে, তাদের উদ্দেশে বলি আমার জানা মনে সমস্ত পৃথিবীতে এমন একজনও মুসলমান নাই যিনি অন্য অমুসলিমকে তরবারির ভয় দেখিয়ে ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করিয়েছেন। আমরা মুসলমানরা স্পেন শাসন করেছি প্রায় ৮০০ বছর,ভারত শাসন করেছি ১০০০ বছর যেখানে শতকারা ৮০% অমুসলিম যারা সাক্ষ্য দেয় যে ইসলাম তরবারির মুখে প্রসার লাভ করেনি , আমরা আরব বিশ্ব শাসন করতেছি ১৪০০ বছর ধরে যেখানে ১.৫ কোটিরও বেশি টপরিক খ্রিষ্টান টপরিক খ্রিষ্টান মানে যারা বংশ পরম্পরায় খ্রিষ্টান,যারা সাক্ষ্য দেয় যে ইসলাম তরবারির মুখে প্রসার লাভ করনি ।প্রখ্যাত লেখক রাম কৃষ্ণ রাও “ দা লাইফ অফ মুহাম্মদ” বইতে লিখেছেন আমাদের নবি তার জীবনে যত যুদ্ধ করেছেন সেখানে তার হিসাব মতে ১০১৮ জন মানুষ মারা গেছে অই সকল যুদ্ধে। প্লেন ট্রুথ নামে একটা ম্যাগাজিনে একটা আর্টিকেল এসেছিলো ১১ সেপ্টেম্বর এর মাত্র দুই মাস পরেই ২০ হাজারেরও বেশি লোক ইসলাম গ্রহন করেছিলো এটাকি তরবারির ভয়ে? হ্যাঁ আমি স্বীকার করতেছি আজ কাল কিছু নামধারী মুসলমানের ধারা সমাজের ক্ষতি হয় আর সেই জন্য যদি সমস্ত মুসলমানদের উপর দোষ আনা হয় একটা অযুক্তিক। আচ্ছা আমি একমত হয়ে বলতেছি যে কিছু সংখ্যক মুসলমানের কারনে ইসলামকে কুটুক্তি করা যেতে পারে তাহলে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে যে ২ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিলো এবং প্রায় ২ কোটি মানুষ মারাক্তক আহত হয়েছিলো এবং ২য় বিশ্ব যুদ্ধে প্রায় তিন কোটি মানুষ নিহত হয়েছিলো এবং চার কোটি মানুষ আহত হয়েছিলো সেই যুদ্ধে কতো জন মুসলমান ছিল? ইতিহাসের সব চেয়ে নিষ্ঠুর বাক্তি হিসাবে পরিচিত হিটলার যে কিনা ৪ বছরে ৬০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছেন আবার ইতালির লেলিন যে কিনা লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছেন। গুজরাটের মসজিদে হামালায় কতো জন মুসলমান সামিল হয়েছিলো, আসলে প্রতি ধর্মেই কিছু কুলাঙ্গার থাকে তাদের জন্য আমরা ধর্মকে অসন্মান করতে পারিনা। তাইতো নুজরুল বলেছিলেন যে বাক্তি নিজের ধর্মকে ভালোবাসেন সে অন্যর ধর্মকে অস্বীকার ঘৃণা করতে পারে না। কিছু দিন আগে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকাই একটা খবর এসেছিলো যে সৌদি আরব পাকিস্তানের কাছ থেকে পরমাণু অস্ত্র কিনতে পারে তার নিশ্চিত নয় নিছক অনুমান।আর এই নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের মাথা বাথা শুরু হলো। আমার প্রশ্ন হচ্ছে ইতালি,আমেরিকা, জার্মান,ইংল্যান্ডের কাছে হাজার হাজার পরমাণু অস্ত্র থাকলে তাতে দোষের কিছু নাই। আর মুসলিম অধ্যাসিত কনো দেশ কিনতে পারে এই চিন্তাতেই এতো ......সর্বশেষ পবিত্র কোরআন শরীফের একটা আয়াত দিয়ে শেষ করি সূরা আল ইস্রাতে আল্লাহতালা বলেছেন যখন সত্যর সামনে মিথ্যা এসে দাঁড়ায় মিথ্যা ধ্বংস হয় কারন মিথ্যা প্রকৃতির করনেই ধ্বংস হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.