![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ নতুন দিনই নতুন চাহিদা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়॥ ”
আর কতদিন এভাবে অন্ধ,বধির,বোবা,পঙ্গুর চরিত্রে অভিনয় করে যাবো আমরা?একবারও কি প্রশ্ন জাগে না,কাদের সাথে এই কানামাছি খেলা, কাদের সাথে এই অভিনয়? আপনার বিবেককে সোনার পালঙ্কে শিমুল তুলার বিছানায় ঘুম পাড়িয়ে রাখেন। সুন্দর সুন্দর মধুর সব স্বপ্ন এসে আপনার উদ্দীপ্ত মনকে যেন প্রশমিত করে রাখে সেই প্রার্থনায় করি। কিন্তু ঘুমের মাসী যদি আপনার দিকে তার ঐ সুনজর দিতে অপারগ হন তাহলে দেখবেন হোসেন মিয়াঁদের এই দ্বীপে আপনার পরিচিত পাদুকা খানি ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নাই। প্রখ্যাত উপন্যাসিক manik bondopaddhaer “পদ্মা নদীর মাঝি” উপন্যাসের খলনায়ক এই হোসেন মিয়াঁ। এই কাল্পনিক চরিত্রটির মানুষটার স্বপ্ন ছিল,এমন একটা সমাজ তৈরি করবে,যেখানে থাকবে না জাত-শ্রেণী,ধনী-গরীবের বিভেদ। তার এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে যেয়ে একের পর এক অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পরে এই খলনায়ক। অপরাধ এই শব্দটার সঙ্গে মায়ের গর্ভে থাকা কালিন সময় থেকে আমরা পরিচিত। অপরাধের সংজ্ঞা তিনটি । Sin,Vice,Crimeএই তিনটি ইংরেজি শব্দের তিন অর্থ । Sinঅর্থে ধর্মীয় বিধান,Vice অর্থে নৈতিকতা এবংCrime অর্থে রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করা। ক্রাইম দমনের দায়িত্ব পুলিশের এবং প্রথম দুটি ঠেকানোর দায়িত্ব সমাজের। এই সব বালছালের তত্ত্ব আজকের হোসেন মিয়াঁরা খুব ভালো ভাবেই রপ্ত করেছে। এদের কাছে অপরাধ মানে ঢিল দিয়ে কুয়ার ব্যাঙ মারার খেলা। অপরাধ এদের কাছে স্রেফ খেলা। এ খেলার ফলাফল একটাই বাবা লোকনাথ আছে না। ছোট বেলায় কলার ডাগো দিয়ে গুলি গুলি খেলতাম। আজকের হোসেন মিয়াঁদের জন্য আর ব্যাক ডেটেড হয়ে থাকতে হয় না। তাদের আশীর্বাদে কতো সব আধুনিক অস্ত্র আমাদের কাছে। সবই মায়ের আশীর্বাদ।
৯ আগস্ট ২০১৫ দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ৭ মাসে আমার দেশে হত্যাকাণ্ড হয়েছে ৩০৬৩টি। শিশু হত্যা ১৯১ টি। ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি ১৭৪৮। বিচার বহিভুত হত্যা ১১১। ধর্ষণের পর হত্যা ৩২। পারিবারিক সহিংসতায় খুন ২৯৫। সামাজিক সহিংসতায় খুন ২৮৮। রাজনৈতিক সহিংসতায় খুন ১৯৫। রহস্য জনক মৃত্যু ৩৭৩। খুনের মামলা ২০৮০। নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১০৩২৮। গত ৭৭ মাসে শুধু মাত্র বামাক এর তথ্য মতে খুনের ঘটনা ঘটেছে ২৮৯৮৩। সবই মায়ের কৃপা।
মা তুমার হোসেন মিয়াঁদেরকে আরো শক্তি দেও,যেন রাবণের থেকেও বিধ্বংসী হয়ে উঠে। অর্জুন,ভীম তুমরা ঘুমিয়ে থাকো। মা আর আমাকে জাতীয় অন্ধ,বধির,বোবা,পঙ্গু দলের সভাপতি বানিয়ে দেও। মা আমরা দেখতে পারবো না আর কনো ফেলানির লাশ,আর কনো মনিরের দগ্ধ শরীর,বসির আলীর আর্তনাদ, রাকিবের মায়ের প্রলাপ। মা আর কতো বলি দিলে তুমার পূজা করা হবে ?
মা রবি ঠাকুরজীর একটা কথা তুমায় বলতে চাই “একজন ভারতীয়কে ভারতবর্ষের বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব,কিন্তু ভারতবর্ষকে একজন ভারতীয়র বাইরে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব”। মা তুমাদেরকে বলি এই বাঙ্গালি জেগে উঠবে,অবশ্যই উঠবে,উঠতেই হবে।
©somewhere in net ltd.