![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ নতুন দিনই নতুন চাহিদা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়॥ ”
সাদেক আমার ছোট ভাই। আমরা একই মেসে থাকি। ঢাকার একটা সরকারী কলেজে পড়ে। সাদেকের সাথে মোহিনীর অনেক দিনের সম্পর্ক।তাদের সম্পর্ক আসলে ভালোবাসার কিনা সেটা বলা মুশকিল কারন তাদের নিজেদের মধ্য এনিয়ে দন্ধের ঘাটতি নেই। তবুও একটা সম্পর্ক যে আছে এটা নিশ্চিত। সেটাকে ভালোবাসা ধরে আমার লেখা শুরু করলাম। সাদেকের জন্ম একটা জেলা শহরের সম্ভ্রান্ত নাহলেও সন্মানিয় পরিবারে। ঢাকা নামের এই যান্ত্রিক শহরে আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে এসেছিলো সাদেক।গ্রামের সেই অনাবিল সুখকে যে ঢাকা শহরের সোডিয়াম বাতির খেলায় ,এখনো ঠিক আবিল করেছে কিনা তা বলা শক্ত। তবে হ্যাঁ আজ সে ঢাকা শহরে অনেকটা মানানসই। জীবনের অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হয়েছে তাকে,নিজেকে খাপ খায়িয়ে নেবার জন্য। নিজের শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে পারেবারিক জীবনের অনেকটা কষ্টের ঘানি তাকে টানতে হয়েছে বা হচ্ছে। এতো সব কিছুর বিনিময়ে সে আজ ঢাকা শহরে মানানসই। তার এই জয়কে অর্জন না বিসর্জন বলবো,ঠিক বুজতেছি না।
মোহিনী ঢাকা জেলার অদূরে এক মধ্যবিত্ত ঘররে স্বাধীনচেতা একটা মেয়ে। ঢাকার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বনশ্রী আবাসিক এলাকার একটা মেসে চার রুমে মোহিনী সহ আট জন থাকে। মোহিনী স্বাভাবিক দশটা মেয়ের থেকে একটু আলাদা প্রকৃতির। কম কথা বলতে ভালোবাসে,নিজের মন যাহা চাই তাহাই করে,একটু চাপা(মনের কথা মনেই রাখে) স্বভাবের, পরউপকারি (নিজের সাধ্যর সবটুকু দিয়ে), সহনশীল,যত্নশীল,গোছালো, ইত্যাদি যাহা তাকে করেছে এককথায় অনন্যা। তবে মোহিনীর রাগ ওর আরেকটা পরিচয়,রেগে গেলে সর্বস্ব ভুলে যাই।
সাদেক আর মোহনীর ঘরহীন এই ঘরসংসার ভালোয় চলতে ছিল। কিন্তু মধ্য পথে বাঁধ সাধলো সাদেকের বধঅভ্যাস গুলো। সাদেক একটা চেইন ইস্মকার,অন্যর প্রতিতো দুরের কথা নিজের প্রতি সে খেয়াল রাখতে পারেনা,আড্ডাপ্রিয়,বেহিসাবী,বদরাগী,অসহনশীল এবং যথেষ্ট পরিমানের বাকপটু ইত্যাদি ইত্যাদি । এতো কিছুকে সাদিক ছাপিয়ে যাবার চেষ্টা করেছে মোহনীকে ভালোবেসে। সাদিক মোহনীকে ভালোবাসে অনেক অনেক বেশি হয়তো নিজের থেকেও। কিন্তু কিছু প্রতিবন্ধকতা সাদিককে কুরে কুরে খাই সবটা সময়,মোহনীকে কিছু গিফট না দিতে পারার প্রতিবন্ধকতা। যখন শোনে মোহনীর রুমের মেয়েদেরকে তাদের বয়ফ্রেন্ডরা বিভিন্ন দিবসে বিভিন্ন ধরনের গিফট দিয়েছে। তখন সাদিকের না দিতে পারার যন্ত্রণা তাকে মানসিক দিক থেকে বিকলাঙ্গ করে দেয়। সাদিকও কিছু দিতে চাই,ঠিক তখনই তার বেহিসাবি মনটা আত্ম-মর্যদার খেলায় নেমে পড়ে,অন্যর চেয়ে ভালো কিছু গিফট দিবে মোহনীকে। কিন্তু??????????????? কিছু না দিতে পারার যন্ত্রণায় বিকালঙ্গ এই মানুষটি তখন ভাবতে শুরু করে মোহনী বুঝি তাকে এভোয়েড করতেছে।এরপর শুরু হয় রাত জেগে আর এক হতাশাময় প্রেমের অধ্যায়। যার ভিলেন আবার নায়ক সাদিক নিজেই।
এসেছে ফেব্রুয়ারি সাথে এনেছে অনেক গুলো দিবস। আজ বসন্তের প্রথম দিন। প্রকৃতিতে ফাগুনের ছোঁয়া। গাছে গাছে নতুন পাতা। কোকিলের কুহু কুহু ডাক জানিয়ে দেয় আজ থেকে বসন্ত। কাল আবার ভ্যালেন্টাইন ডে। মানে ভালোবাসা দিবস। কাল মোহিনীকে কি দিবে ভ্যালেন্টাইন গিফট?? সাদিকরা কি কখনো পারবে রোমান ক্রিস্টিয়ান পাদ্রি সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের মতো ভালোবাসতে??যদি না পারে তবে সাদিকদের এই সম্পর্ক কি ভ্যালেন্টাইন ডিভোর্সের পথে নয়???
দৃষ্টি আকর্ষণঃ আমি জানি,আমি বিশ্বাস করি মোহিনী সাদেককে নিঃস্বার্থ ভাবে ভীষণ ভালোবাসে।তাই প্রাথনা করি বেঁচে থাকুক চিরটাকাল ওদের ভালোবাসা। ভ্যালেন্টাইনেই নয় ভালোবাসা বেঁচে থাকুক জীবনের সবটা সময়। জয় হোক ভালোবাসার।
সময় : ভোর ৪.০৩
২-১৪-২০১৬
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
শাহরিয়ার বাপন বলেছেন: Thank,Be Happy#বিজন রয়
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
কিং কোবরা বলেছেন: ভাল
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮
শাহরিয়ার বাপন বলেছেন: Thank,Be Happy#KING KOBRA!
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
বিজন রয় বলেছেন: ভালোবাসা বেঁচে থাকুক জীবনের সবটা সময়। জয় হোক ভালোবাসার।
++