নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাস্ট ক্লিক : http://unibangladesh.blogspot.com/

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া

দেশপ্রেমিক নিধিরাম সর্দার। স্বপ্নময় জীবন, স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি।

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকিতে সিগারেট ফ্যাক্টরীতে কর্মরত কর্মকর্তা-শ্রমিকরা

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকিতে সিগারেট ফ্যাক্টরীতে কর্মরত কর্মকর্তা-শ্রমিকরা

বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি প্রায় ৩০-৪০টি ছোট-বড় তামাক কারখানা রয়েছে যেখানে হাজার-হাজার মানুষ জীবিকার তাগিদে চাকরি করছে। বিদেশি কোম্পানি ব্রিটিশ-আমেরিকান টোবাক্যো ছাড়া অন্যান্য দেশিয় কোম্পানিগুলোত স্বাস্থ্য ঝুকি হ্রাসে নেই কোনো ব্যবস্থা। তাছাড়া এসব কোম্পানিতে এতসব স্বাস্থ্য ঝুকি থাকা সত্ত্বেও বেতন-সুযোগ সুবিধাও খুব একটা বেশি নয়। সরকার এবং সুশীল সমাজকে অবশ্যই যাতে মানসম্মতভাবে এসব কারখানার পরিবেশ এবং কর্মরত কর্মকর্তা-শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুকির কথা মাথায় রেখে সে অনুপাতে ব্যবস্থা নেয়া হয় জোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তামাক ফ্যাক্টরী মূলত দুইটা ধাপে পরিচালিত হয়। প্রথম ধাপ হচ্ছে লীফ প্রসেসিং ফ্যাক্টরী যেখানে বিভিন্ন ধরনের (গ্রেড) পাতা থ্রেসিং (বিচ্ছিন্ন করা) করে নির্দিষ্ট আকারে নিয়ে আসা হয়। এসব থ্রেসিং করা পাতা ২০০ কেজি ওজনের কার্টুনে ভরে নিয়ে যাওয়া হয় সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরীতে, যেটা দ্বিতীয় ধাপ। সবচেয়ে ভয়ানক স্বাস্থ্য ঝুকি হল- থ্রেসিং লাইন এবং সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারিং লাইনের প্রথম ধাপে, যেখানে থ্রেসিং করা পাতাগুলাের ব্লেন্ডিং করা হয়। থ্রেসিং লাইনে উম্মুক্ত পাতাগুলি যখন ফিড দেওয়া হয় তখন মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মাইক্রো ডাস্টে পুরাে এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে যায়। অনেক ফ্যাক্টরীতে ডাস্ট কালেক্টরের সংযোগ থাকলেও সেগুলো ঠিকমতো কাজ করে না, যার কারণে ধুলােবালি এবং তামাকে মাইক্রো ডাস্টগুলি সরাসরি কর্মরত শ্রমিকদেরকে আক্রান্ত করে। মুখে মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম থাকলে সব সময় সেটির সরবরাহও ঠিকমতো থাকে না। তামাক কোম্পানিগুলাে বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করলেও কর্মরত শ্রমিক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয় না, যেটা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকি থেকে তাদের কিছুটা হলেও রক্ষা করবে। তামাকের যারা কাজ করে দীর্ঘদিন তারা ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের রােগে আক্রান্ত হয়ে যায় অল্প দিনের মধ্যেই।

ঝুকি মোকাবেলা কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে-

১) তামাক ফ্যাক্টরীতে কর্মরতদের জন্য অবশ্যই ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

২) সকল কর্মরতের প্রাত্যহিক কলা খাওয়ানো ব্যবস্থা করতে হবে।

৩) স্বাস্থ্য বীমা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৪) উচ্চ পারিশ্রমিক প্রদান করতে হবে যেটা স্বাস্থ্য ঝুকিকে কমপেনসেট (আংশিক)করবে।

৫) পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাস্ট কালেক্টরের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬) ফ্লাইয়িং ডাস্টের পরিমাণ যাতে কম হয় সেব্যবস্থা করতে হবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আরো বিস্তারিত হলে ভাল হত।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: তামাক ফ্যাক্টরী মূলত দুইটা ধাপে পরিচালিত হয়। প্রথম ধাপ হচ্ছে লীফ প্রসেসিং ফ্যাক্টরী যেখানে বিভিন্ন ধরনের (গ্রেড) পাতা থ্রেসিং (বিচ্ছিন্ন করা) করে নির্দিষ্ট আকারে নিয়ে আসা হয়। এসব থ্রেসিং করা পাতা ২০০ কেজি ওজনের কার্টুনে ভরে নিয়ে যাওয়া হয় সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরীতে, যেটা দ্বিতীয় ধাপ। সবচেয়ে ভয়ানক স্বাস্থ্য ঝুকি হল- থ্রেসিং লাইন এবং সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারিং লাইনের প্রথম ধাপে, যেখানে থ্রেসিং করা পাতাগুলাের ব্লেন্ডিং করা হয়। থ্রেসিং লাইনে উম্মুক্ত পাতাগুলি যখন ফিড দেওয়া হয় তখন মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মাইক্রো ডাস্টে পুরাে এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে যায়। অনেক ফ্যাক্টরীতে ডাস্ট কালেক্টরের সংযোগ থাকলেও সেগুলো ঠিকমতো কাজ করে না, যার কারণে ধুলােবালি এবং তামাকে মাইক্রো ডাস্টগুলি সরাসরি কর্মরত শ্রমিকদেরকে আক্রান্ত করে। মুখে মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম থাকলে সব সময় সেটির সরবরাহও ঠিকমতো থাকে না। তামাক কোম্পানিগুলাে বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করলেও কর্মরত শ্রমিক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয় না, যেটা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকি থেকে তাদের কিছুটা হলেও রক্ষা করবে। তামাকের যারা কাজ করে দীর্ঘদিন তারা ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের রােগে আক্রান্ত হয়ে যায় অল্প দিনের মধ্যেই।
ঝুকি মোকাবেলা কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে-
১) তামাক ফ্যাক্টরীতে কর্মরতদের জন্য অবশ্যই ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
২) সকল কর্মরতের প্রাত্যহিক কলা খাওয়ানো ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) স্বাস্থ্য বীমা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৪) উচ্চ পারিশ্রমিক প্রদান করতে হবে যেটা স্বাস্থ্য ঝুকিকে কমপেনসেট (আংশিক)করবে।
৫) পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাস্ট কালেক্টরের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬) ফ্লাইয়িং ডাস্টের পরিমাণ যাতে কম হয় সেব্যবস্থা করতে হবে।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬

খেলাঘর বলেছেন:


ওকে।

তবে, প্রথম প্রচারণা হওয়া দরকার ধুমপানের বিপক্ষে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: আমাদের দেশ তামাক রপ্তানি করে বছরে প্রচুর পরিমাণে আয় করে থাকে। ধূমপানের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি বিদেশ থেকে সিগারেট আমদানি বন্ধ করতে হবে নতুবা প্রচুর পরিমাণে ট্যাক্স আরোপ করতে হবে।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: আমার লেখার প্রতিউত্তরে যা বললেন তা মূল লেখায় দিলে আরো ভাল হয়।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভবিষ্যতে এটা নিয়ে আরাে বড় ধরনের ক্যাম্পেইন করব । আশা করি সাথে থাকবেন।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২০

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: "সময়" এর অনুমতি সাপেক্ষ সাথে আছি সব সময়।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের প্রতিউত্তরে যা বললেন তা ঢুকিয়ে দিন মূল পোস্টে, পোস্টটি আরো ভাল হবে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: আপনার পরামর্শ অনুযায়ী প্রথম মন্তব্যের প্রতিউত্তরটা মূল পোস্টের এ্যাড করে দিয়েছি।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: তামাক প্রসেসিং সংক্রান্ত কারো কোনো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.