নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশপ্রেমিক নিধিরাম সর্দার। স্বপ্নময় জীবন, স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ডিজিটাল সমাধান দিল বুয়েট 'স্মার্ট প্রিন্টিং সলিউশন' মডেল উপস্থাপন ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( বুয়েট) এর উপস্থাপিত মডেলে বলা হয়, পাবলিক পরীক্ষার জন্য একটি সেন্ট্রাল সার্ভার থাকবে। এতে থাকবে কয়েক সেট প্রশ্ন। এই সার্ভারের অধীনে প্রয়োজন অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্র করা হবে। এসব কেন্দ্রে ট্যাব, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ফটোকপি মেশিন থাকবে। এরপর পরীক্ষার আগের রাতে কেন্দ্রে থাকা ট্যাব বা কম্পিউটারে পৌঁছে যাবে প্রশ্ন। তবে এটা খোলার জন্য লাগবে পাসওয়ার্ড, যা পরীক্ষার দুই ঘণ্টা আগে সরবরাহ করা হবে। প্রশ্ন ডাউনলোড করে শুরু হবে প্রিন্ট। একেক কালার পেজে বিভিন্ন প্রশ্নের সেট প্রিন্ট করা হবে। আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে প্রিন্টিং-প্রক্রিয়া সমাপ্ত হবে। এর পরের ঘণ্টায় প্যাকেট করা প্রশ্ন পৌঁছে দেওয়া হবে প্রতিটি কেন্দ্রে। প্রতিটি ধাপেই নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রের কার্যক্রম মনিটর করা হবে। দুই থেকে তিন ঘণ্টায় পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় এতে ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। তবে এ প্রক্রিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে।
পাদটীকা:
১) লোডশেডিং এর কবলে পড়ে দুই তিন ঘন্টা পর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার খবর শুনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
২) ল্যাপটপ, ট্যাব চালানোর জন্য কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হতে পারে।
৩) ইন্টারনেট সার্ভার ডাউন থাকলে প্রশ্ন ডাউনলোডের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণতে হতে পারে।
৪) পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে সেটা উদ্ধারে হয়তো পাসওয়ার্ড হ্যাকার দরকার হতে পারে।
৫) সিসি ক্যামেরা মনিটরিং এর জন্য কিছু লোক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে - কিছু বাণিজ্য হবে- মুদ্রা গতিশীল হবে।
পুনশ্চ: দুই থেকে তিন ঘন্টায় পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় এতে ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
ইহা একটি ডিজিটাল বিড়ম্বনার মডেল উপস্থাপন।
©somewhere in net ltd.