নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশপ্রেমিক নিধিরাম সর্দার। স্বপ্নময় জীবন, স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি।
এক রাজার এক চাকর ছিল। চাকরটা সবসময় যেকোন অবস্থাতেই রাজাকে বলত, “রাজা মশাই, কখনো মন খারাপ করবেন না। কেননা আল্লাহ যা করেন তার সবকিছুই নিখুঁত ও সঠিক।”
.
একবার তারা শিকারে যেয়ে নিজেরাই এক হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের শিকার হলো। রাজার চাকর সেই প্রাণীকে মারতে পারলেও, ততক্ষণে রাজা তার একটা আঙুল খুইয়ে বসেছেন।
.
রাগে-যন্ত্রণায়-ক্ষোভে রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে ওঠে, “আল্লাহ যদি ভালোই হবে তাহলে আজকে শিকারে এসে আমার আঙুল হারাতে হতো না।”
.
চাকর বলল, “এতকিছুর পরও আমি শুধু আপনাকে এটাই বলব, আল্লাহ সবসময়ই ভালো ও সঠিক কাজই করেন; কোনো ভুল করেন না।
.
চাকরের এই কথায় আরও বিরক্ত হয়ে রাজা তাকে জেলে পাঠানোর হুকুম দিলেন।
এরপর একদিন রাজা আবার শিকারে বের হলেন। এবার তিনি একদল বন্য মানুষের হাতে বন্দি হলেন। এরা তাদের দেবদেবির উদ্দেশ্যে মানুষকে বলি দিত। বলি দিতে যেয়ে তারা দেখল যে, রাজার একটা আঙুল নেই। তারা এমন বিকলাঙ্গ কাউকে তাদের দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে রাজি হলো না। তাই তারা রাজাকে ছেড়ে দিল।
.
প্রাসাদে ফিরে এসে তিনি তার সেই পুরোনো চাকরকে মুক্ত করে দেওয়ার হুকুম দিলেন। চাকরকে এনে বললেন,”ভাই, আল্লাহ আসলেই ভালো। আমি আজ প্রায় মরতেই বসেছিলাম। কিন্তু আঙুল না-থাকার কারণে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি।
.
“তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে। আল্লাহ ভালো, এটা তো বুঝলাম। কিন্তু তাহলে তিনি আমাকে দিয়ে তোমাকে জেলে পুরলেন কেন?”
.
চাকর বলল, “রাজামশাই, আমি যদি আজ আপনার সাথে থাকতাম, তাহলে আপনার বদলে আজ আমি কোরবান হয়ে যেতাম। আপনার আঙুল ছিল না, কিন্তু আমার তো ছিল। কাজেই আল্লাহ যা করেন সেটাই সঠিক, তিনি কখনো কোনো ভুল করেন না।
সংগৃহীত: Protiva.com
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৬
নতুন বলেছেন: এটা একটা বানানো গল্প। কিন্তু প্রতিদিন কত শিশু জন্মের আগেই মারা যাচ্ছে। কত মানুষ বিকলাঙ্গ বিশ্বে? কত রকমের শারিরিক সমস্যা নিয়ে মানুষ জন্মাচ্ছে।
এই সবই সঠিক?
"" এরপর একদিন রাজা আবার শিকারে বের হলেন। এবার তিনি একদল বন্য মানুষের হাতে বন্দি হলেন। এরা তাদের দেবদেবির উদ্দেশ্যে মানুষকে বলি দিত।""
গল্পে রাজা বন্য মানুষের হাতে বন্দি হয় এবং আঙ্গুরের জন্য ছাড়া পায়... কিন্তু চারিদিকের বাস্তব ভিন্ন ।
একটু তাকিয়ে দেখুন ... সব কিছু পারফেক্ট না।
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
আল ইমরান বলেছেন: ভালো বলেছেন।
৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
আল ইমরান বলেছেন: ভাই নতুন, এই গল্পে পুরো দৃশ্য দেয়া আছে বলে এই গল্পটা আপনি যত সহজে বুঝতে পারছেন। অন্যান্য ঘটনাগুলো অর্ধেক বা আংশিক দেখছেন বিধায় আপনার কাছে নির্ভুল ও সঠিক মনে হচ্ছে না। "ভাইসব আপনাদের আমি দেব বাঁশ" এই কথা শুনেই ক্ষেপে যাওয়ার আগে পুরোটা শুনুন, এর বাকি অংশ হচ্ছে, "যা দিয়ে আপনারা ঘর বানাতে পারবেন।" শুভকামনা রইল।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: সবই আল্লাহ'র ইচ্ছা, তাঁর হুকুম ছাড়া দুনিয়াতে কিছুই হয় না।
৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
তপ্ত সীসা বলেছেন: জাতির ডিম্ব ঠিকই কইছে ভায়া। সবই আল্লার ইচ্ছা, তার ইচ্ছা ছাড়া দুনিয়াতে কিছুই হয়না। প্রবীর মিয়া শ্বশুর বাড়ি ঘুইরা আইলো, ওইডাও আল্লার ইচ্ছা। মোশা বিয়াই তো উছিলা মাত্র। আবার কেউ যদি ডিম্ব সিদ্ধ করতে গরম পানিতে চুবায়, ওইডাও আল্লার ইচ্ছা। আল্লা ডিম্বের নিয়তি ওইভাবেই নির্ধারিত করছেন
৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩২
পালের গোদা বলেছেন: এটা যদি সত্যি সকল মুসলিম বিশ্বাস করতো তাহলে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে প্যাসিভ জাতি হতো, আর ইসলামকে সবাই এককথায় শান্তির ধর্ম হিসাবে মানতো, কারন কোন ব্লগারকেও আর কোপ খেতে হোত না, সুইসাইড বম্বিং হয়েও কেউ মরত না, ৯/১১ ও হতো না আর শাহবাগ আন্দোলনকারীদের উপরও কেউ খেপত না, এমনকি ইসরাইলের উপরও মুসলিমরা খেপত না। কারন সবই তো আল্লাহ এর ইচ্ছা এবং কৃতকর্ম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
প্রশান্ত মন বলেছেন: আল্লাহ যা করেন সেটাই সঠিক, তিনি কখনো কোনো ভুল করেন না।
ধন্যবাদ সুন্দর লিখার জন্য।