নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশপ্রেমিক নিধিরাম সর্দার। স্বপ্নময় জীবন, স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি।
দি ইঞ্জিনিয়ার্স সম্পাদক শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন বলেছেন, চাকরী জীবনের প্রথম দিন থেকে আমরা মনের ভেতর দাবি পোষণ করি যার যার ক্যাডার তার তার মন্ত্রনালয়ের উচ্চ পদে যাবে। তিনি প্রশ্ন করেন, একজন ইঞ্জিনিয়ার যদি দেশের আনাচে কানাচে অবকাঠামো তৈরি করে দেশের উন্নয়ন সাধন করতে পারে তাহলে কেন সে তার মন্ত্রনালয়ের সচিব হতে পারবেন না?
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রকৌশলী কৃষিবিদ ও চিকিৎসক (প্রকৃচি)ও বিসিএস সমন্বয় কমিটি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব-সিনিয়র সচিব পর্যন্ত সকল পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার কর্মকর্তা পদায়নের মাধ্যমে পেশাভিত্তিক জনপ্রশাসন গড়ে তোলাসহ ৬ দফা দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন আরও বলেন, প্রশাসন ক্যাডারদের উদ্দেশ্য স্পস্ট, তারা বিভিন্ন অধিদপ্তরের পদ দখল করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে বসে ঔপনিবেশিক ধ্যান ধারনা বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
ঢাকা বিভাগের পক্ষ থেকে তিনি সমন্বয় কমিটির উদ্দেশ্যে বলেন, ইতিহাস সৃষ্টির সুযোগ বারবার আসেনা তাই নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার দিকনির্দেশনা চাই।
আ ফ ম বাহউদ্দিন নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিরা তাঁদের দাবি তুলে ধরেন।
রংপুর বিভাগের পক্ষ থেকে সাফিউর রহমান বলেন, উন্নয়ন বান্ধব সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে একদল কুচক্রী উঠে-পড়ে লেগেছে, এদেরকে প্রতিহত করতে হবে'। তা না হলে একদিন এই পরগাছাদের কারণে আমাদের বটগাছ শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বিএমএর সহ সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম খুলনা বিভাগের পক্ষ থেকে বলেন, অনেক দেরিতে হলেও আমাদের ঘুম ভেঙ্গেছে, ৪৪ বছর ধরে এই আমলারা টিকে আছে আমাদের আপোষকামিতা ও লেজুরবৃত্তি মাসিকতার কারণে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, এ আন্দোলন কখনই সরকারের বিরুদ্ধে নয়, এ আন্দোলন আমলাদের বিরুদ্ধে।
সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ফিরোজ খান বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা আন্দোলন করে গেলেও অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। তার সুযোগ নিয়ে আমলারা আগ্রাসী মনোভব পোষন করে আমাদের উপর বিভিন্ন অন্যায় চাপিয়ে দিচ্ছে। আমরা যখন পে-স্কেল নিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন শুরু করেছিলাম তখন হঠাৎ করে স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতাশীল করার নামে ইউএনওকে শক্তিশালী করে এক কৃত্রিম সমস্যার তৈরী করলো আমলারা। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো যতদিন না অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি।
প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম সকলের বক্তৃতা শেষে ৬ দফা দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা ঘোষণা করেন।
আগামী ২৮ অক্টোবর সকল উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয়ভাবে দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত মানববন্ধন, বেতনভাতা উত্তোলনে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের আগের নিয়ম অনুসরণ করা, ৫ নভেম্বর উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ, ৫ নভেম্বরের মধ্যে জনপ্রতিনিধি ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএমএর সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও বিসিএস সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক কবির আহমেদ ভূঁইয়া, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মহাসচিব মোবারক আলী ও ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সবুর প্রমুখ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
ঢাকাবাসী বলেছেন: সচিবালয়ের আমলারা প্রকৃচিদের হিংসা করে!