![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কত লোক দেখেছে আমি বৃষ্টিতে ভিজছি,কিন্তু কেউ দেখেনি আমার চোখের জল,,,,,,,,,
সরকারি কলেজের স্টুডেন্টদের কে খারাপ চোখে দেখা , বোধ হয় সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষকদের এক অঘোষিত চিরাচরিত নিয়ম ।
সুযোগ পেলেই হেনস্থা করতে যেন কুণ্ঠাবোধ করেন না ।
যাইহোক এবার মূল কথায় আসি ,
এবারের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী আমি ।
আজ পদার্থ ১ম পত্রের ব্যবহারিক পরীক্ষা ছিলো আমার ।
যথারীতি অন্যান্যসব দিনের পরীক্ষার মত ভদ্র পোশাকে পরীক্ষার সেন্টারে গেলাম ।
পরীক্ষা শুরু হলো ।
প্রশ্ন দেবার বেলা ,এক শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলেন ,কমপক্ষে তিনটি পরীক্ষণের নাম বলো যা তুমি ভালো করে পারো ।
আমি তিনটির নাম বললাম ।তার মধ্যে থেকে একটি দিলেন ।
আমার ভাগ্যে পড়লো ,স্লাইড ক্যালিপার্সের সাহায্যে দৈর্ঘ্য এবং স্ক্রুগজের সাহায্যে ব্যাস নির্ণয়ের মাধ্যমে একটি নিরেট সিলিন্ডারের আয়তন নির্ণয় ।
সবাইকে প্রশ্ন দেওয়ার পর অন্য এক শিক্ষক বললেন ,কেউ পেন্সিল দিয়ে ডাটা লিখবে না ,অবশ্যই কলম দিয়ে লিখবে ।
তো ,আমি লিখা শুরু করলাম ।
একে একে ডাটাগুলো লিখে মোটামুটি আসল কাজগুলো শেষ করে ফেলেছি ।
আর ডাটা লিখার সময় প্রথমে আমি পেন্সিল দিয়ে লিখি ,উদ্দেশ্য একটাই যাতে কোন ভুল না হয় আর খাতাটা যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে ।
পরে শেষ রিডিং নেবার পর রাবার দিয়ে মুছে কলম দিয়ে পুনরায় লিখে নিবো ।
এভাবে স্লাইড ক্যালিপার্স এর হিসাব শেষ করে স্ক্রুগজের ডাটা টা কলম দিয়ে অর্ধেক লিখে শেষ করেছি ,এমন সময় ভাইভার ডাক এলো ।তখনো পরীক্ষা শেষ হবার এক ঘণ্টা বাকি ।
খাতা নিয়ে গেলাম ।স্যার খাতা উল্টে জিজ্ঞেস করলেন ,পেন্সিল দিয়ে কেনো ?
উত্তরে আমি বললাম ,স্যার ভুল যেতে না হয় ,তাই পেন্সিল দিয়ে লিখেছি ।
হিসেব বের করার পর কলম দিয়ে লিখে নিবো ।
এই কথা শেষ করতে না করতেই যে ডাটা টা কলম দিয়ে লিখেছি ওটা লাল কালি দিয়ে কেটে দিলেন এবং বললেন পেন্সিলে লিখা কেনো ?
আমি বললাম ,স্যার এটা তো কলম দিয়ে ই লিখেছি ।
শুনলেন না কোন কথা ।
তারপর স্ক্রুগজের ডাটা টা ও কেটে দিলেন এবং চলে যেতে বললেন ।
আমি একেবারে হতবাক ।
কিছু ই বলতে পারলাম না ।পাছে বেয়াদবি হয়ে যায় ।
এখন আমার কথা হলো ,পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই কি খাতা দেখে শেষ করে ফেলা নিয়ম ?
আর আমার ভুলটা কী ছিলো ?
২৫ ই যদি না পাবো !তাহলে গত দুইটা বছর এতো সিন্সিয়ারলি রেগুলার ব্যবহারিক করে লাভ কী হলো ?
আর প্রাইভেট শিক্ষকদের সুপারিশে সারা বছর কলেজে না গিয়ে অন্যরা ২৫ এ ২৫ পাবেই বা কেনো ?
আমার দোষ টা কী ?
না সরকারি কলেজের ছাত্র হিসেবে শিক্ষকের আক্রোশের শিকার ?
ঘটনা ২ ।এখানে শেষ নয় ,এখন শুনুন ,স্যারের (যে স্যার আমার খাতা কেটে দিয়েছিলো)লুইচ্চামীর কথা ।
গতকাল ছিলো আমাদের কলেজের মেয়েদের পদার্থ ব্যবহারিক ।
মেয়েরা পরীক্ষা শেষ করে যখন বেরিয়ে যাবে তখন ই স্যার দরজার ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড়লেন ।
ঐ শিক্ষক না সরায় ,মেয়েরা বাধ্য হয়ে পাশ ফিরে যাওয়া ধরলো ।
তখন তিনি মেয়েদের বলে উঠলেন ,এই তোমারা যাও ভালো কথা ।কিন্তু আমারে ধাক্কা দিবা না ।
আচ্ছা বলেন তো ,এই কোন ধরণের নষ্টামি ?
ঘটনা ৩ :আজ আমাদের সাথের একটা ছেলেকে স্যার চেক করলে ,নকলে ধরা পড়ে।
যদিও নকল টা তার প্রশ্নের সাথে মিলে নি ।
এটা বড় কথা না ,কথা হলো নকল টা পাওয়ার পর স্যার সবাইকে বললেন ,কারো কিছু থাকলে বাইরে ফেলে দাও ।
অনেক ছাত্র স্যারের সামনে নকল ফেলে দিলো কিন্তু তাদেরকে নকল আনার দায়ে দোষী করা হলো না ।যাকে চেক করে নকল পেলেন তাকে করা দোষী ।
কারণ যারা নকল এনে পরে স্যারের সামনে ই ফেলে দিয়েছিলো তারা ছিলো ওখানে উপস্থিত আরেক শিক্ষকের প্রাইভেটের ছাত্র ।
যে বেচারি বলি হলো ,তাকে এক্সপেল্ড না করে দুই ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখলেন ।পরীক্ষা শেষে এডমিট কার্ড টা রেখে দিয়ে তাকে বের করে দিলেন ।
এই মানসিক যন্ত্রণা দেবার কোন মানে ছিলো ?
আর এটা শিক্ষকে কোন ধরণের নৈতিকতা ?
ঘটনা ৪.এবার আসি আমাদের কলেজের কথায় ।
আমাদের রসানের প্রদর্শক শিক্ষক ।নাম বললাম না ।
উনার বড় খায়েশ একাদশ ,দ্বাদশ এবং অনার্সের থিওরি ক্লাস নিবেন ।
মানে ব্যবহারিকে প্রদর্শক হিসেবে থাকতে উনার ভালো লাগে না ।
কিন্তু তিনি ক্লাস নেবার সুষোগ না পেয়ে ,ব্যবহারিক ক্লাসের পুরো সিস্টেমকে জিম্মি করে রেখেছেন ।
আর এর সবচে কঠিন শিকার আমরা ।
দ্বাদশ ক্লাসে একটা ব্যবহারিক ও করান নি ।
ব্যবহারিক ক্লাসে গেলে ,লবণ দিয়ে বলতেন নিজে করো ।
না পারলে এবং জিজ্ঞাসা করলে শুরু করতেন অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি ,এমনকি বাবা মা তুলে ।
এখন প্রশ্ন হলো ,আমার বাবা মাকে তুলে গালি দেওয়ার অধিকার ঐ শিক্ষকে কে দিলো ?
এছাড়া আমাদের ই কলেছে ,
ইসলামের ইতিহাসের এক শিক্ষক আছেন ,উনি কোন মেয়েকে কোন ছেলের সাথে কথা বলতে দেখলেই দৌড়ানো শুরু করেন ,উভয়কেই।
একদিন দেখলাম ঐ শিক্ষক একটি মেয়ের পেছন পেছন দৌড়চ্ছেন ।আর মেয়েটি ও প্রাণ বাঁচাতে দে দৌড় ।
দোষ ঐ একটাই ।
উনার ক্লাসে কোন পড়া হয় না ।কোন মেয়ে কেমন খারাপ ,এসব নিয়ে তীক্ষ্ন কথাবার্তা বলেন পুরোটা সময় ।
আর বাবা মা তুলে গালি তো একদম ফ্রি ।
এখন আপনারা ই বলেন ,ঐসব শিক্ষকদের কী করা উচিত ?
মনটা অসম্ভব খারাপ ।গ্রেড একটা ফসকে গেলো ।:-(
বিঃদ্রঃ মূল ঘটনাগুলো সহজ ভাষায় বলার চেষ্টা করেছি মাত্র ।
০১ লা জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
দিগন্ত নীল বলেছেন: আসলে কিছুই বলার নেই ।একঘণ্টা বাকি থাকলে ও ভাইভা তে খেয়ে ফেললেন পনের মিনিট ।
আমারে পাঠালো কেরানীকে ডেকে আনতে ।আর পরীক্ষা শেষ হবার ১৫ মিনিট আগেই সবাইকে খাতা দিয়ে চলে যেতে বললেন ।
এর মাঝের সময়টাতে পুরো হিসেব টা মিলিয়ে উত্তর টা দিয়ে আসলাম ।
খালি আমরা না ,আমাদের পরের গ্রুপের সাথে ও এই ফাইজলামি করছে ।
আর আমি থিওরি তে এতো ভালো না ।এটাই শেষ ভরসা ছিলো ।
থাক যা গেছে ,তা থাক ।তুমি কেমন আছো ?
কেমন হলো সব পরীক্ষা ?
আমার হইছে ঠেলেঠুলে ।
কাল কেমি ২য় পত্র ।কে জানে কোন বজ্জাত পড়ে :-@
২| ০২ রা জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯
সুস্ময় পাল বলেছেন: পরীক্ষার কথা আর কি বলব! এক পত্র ভাল হলে আরেক পত্র খারাপ হয়ে যায়। এই অবস্থা আরকি! তাই পরীক্ষাকে মোটামুটিই বলতে পারছি।
এখন হচ্ছে প্র্যাকটিকেল। বাইলোজি, পদার্থ আর রসায়নের ১ম হল। আরো ৫টা বাকি। এই পরীক্ষাগুলোও সেরকম ভাল হচ্ছে না। কখনো ভাইভাতে খারাপ হয়, কখনো খাতায় সমস্যা হয়।
এভাবেই দিনকাল চলছে। তোমার পরীক্ষা কবে শেষ?
০২ রা জুন, ২০১২ রাত ১০:৩০
দিগন্ত নীল বলেছেন: আমার শেষ ১২ তারিখ ।খুব পেইনে আছি রে ভাই ।
ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি অবস্থা ।
আজ কেমিত লবণ টবণ সবার আগে মিলাইয়া ভাইভাতে গেলাম ।সব পারছি তা ও ৩ দিন ।
আর যারা লবণ মিলায় নাই ,ভাইভা ও দেয় নাই ,তাদের ডিরেক্ট ২৫ দেয়া ।আর কী কমু ।তারপর থেকে মন টা খারাপ ।বিকালে ঘুমাইছিলাম বাট স্বপ্নে দেখলাম পরীক্ষা নিয়া টেনশন করতেছি ।
এরপর আর ঘুমাই নাই আর মাথা ব্যথায় মনে হইতেছে চোখ দুইটা জানি কখন খুলে পড়ে যায় ।:-(
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১২ রাত ১১:১৭
সুস্ময় পাল বলেছেন: মাথা ঠাণ্ডা রাখো। মন খারাপ করলেও কিছু করার নেই। থিওরি ভাল হলে প্র্যাকটিকেল খুব বেশি ঝামেলা করতে পারবে না। তাছাড়া বাকি এক ঘন্টায় তুমি কি করেছ, তা জানাওনি। আশা করি একেবারে খালি ছক জমা দাওনি। টেনেটুনে ১৫-১৮ চলে আসলেও এ+ আসার কথা যদি থিওরি ভাল হয়।

আজকে বাইলোজি ১ম দিয়ে এলাম। আমাদের গ্রুপের সকলকে সব আজগুবি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছিল। ম্যাক্সিমাম ছেলে একটাও ভাল করে বলতে পারেনি। আমি কোনমতে দুই/তিনটা বলেছি। তাই মৌখিকের ৪ এ ২ আশা করছি।
এই হচ্ছে অবস্থা চারপাশে। কাজেই বেশি মন খারাপ কর না। আমার বাইলোজি নিয়েও ঝামেলা আছে। তার উপর আজকের পরীক্ষা ভাল হল না। কিন্তু মন খারাপ করছি না। দেখা যাবে, রেজাল্টের পর তুমি ফিজিক্সে ঠিকই এ+ আনতে পেরেছ।
কাজেই ... ... এগিয়ে যাও। পিছনে সকলে আছে।