![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখছি আর পড়ছি তবে মাঝে মধ্য কিছু লিখছি, মতামত দিচ্ছি। রক্তিম স্বাগতম আমার ব্লগে। আমি সাম্যের গান গাই, গাই মানবতার, শুনি মজলুমের আর্তনাদ আর স্লোগান দেই ‘প্রভাতফেরীর মিছিল চলছে, ছড়াও ফুলের বন্যা’। ফেসবুকে আছি ‘Shariful Islam Sharif’ নামে!
প্রবণতা এবং হতাশা।দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা খেলে স্মরণশক্তি কমে যায়, সিদ্ধান্তহীনতা শুরু হয় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। অনেকে পাগল হয়ে যায়। ডিপ্রেশন বা হতাশাজনিত নানা রকম অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, এমনকি অনেকে আত্মহত্যাও করে থাকে। এছাড়া হার্টের ভেতরে ইনফেকশন হয়ে বা মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিঁড়েও অনেকে মারা যান। অনেকে রাস্তায় দুর্ঘটনায় পতিত হন। কেউ কেউ টানা সাত থেকে ১০ দিন জেগে থাকেন। ইয়াবার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশিষ্ট মনোচিকিৎসক ডা. মোহিত কামাল বলেন, নিয়মিত ইয়াবা সেবনে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, মস্তিষ্ক বিকৃতি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, শরীরে কিছু চলাফেরার অস্তিত্ব টের পাওয়া, অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী যৌন-অক্ষমতা, ফুসফুসের প্রদাহসহ ফুসফুসে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। এ ছাড়া ইয়াবায় অভ্যস্ততার পর হঠাৎ এর অভাবে সৃষ্টি হয় হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা। তিনি বলেন, এ মাদক সাধারণ শান্ত ব্যক্তিটিকেও হিংস্র ও আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। ইয়াবা গ্রহণে হ্যালুসিনেশন ও সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। হ্যালুসিনেশন হলে রোগী উল্টোপাল্টা দেখে, গায়েবি আওয়াজ শোনে। আর প্যারানয়াতে ভুগলে রোগী ভাবে অনেকেই তার সঙ্গে শত্রুতা করছে। তারা মারামারি ও সন্ত্রাস করতেও পছন্দ করে।
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ইয়াবার আবির্ভাব ঘটে ১৯৯৭ সালে। পরবর্তীতে ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে ইয়াবা আসতে শুরু কর । এই ট্যাবলেটের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হবার কারণে উচ্চবিত্তদের মাঝেই এটি মূলত: বিস্তার লাভ করে।
মিয়ানমার
মিয়ানমারে ওয়া এবং কোকাং নামের আদিবাসী সম্প্রদায় মেথাম্ফেটামিন পিল বা ইয়াবা এর সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী। এই দুই গোষ্ঠীর লোকজন পূর্বে আফিম এবং হেরোইন উৎপাদন এর সাথে জড়িত ছিল। উল্লেখ্য যে মিয়ানমারে খুব সাধারণ ল্যাবরেটরিতেও মাত্র ২০ হংকং সেন্টের বিনিময়ে প্রতিটি ইয়াবা পিল তৈরি করা হতো। ২০০০ সালে থাইল্যান্ডের সরকার মিয়ানমার সরকারকে সীমান্তে যৌথ টহলের জন্য ব্যাপক চাপ দেয়। মূলত থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান ২৪০০ কিলোমিটার সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা র চোরাচালান ব্যাপক চোরাচালান রোধের জন্য এই চাপ প্রয়োগ করা হয়।
থাইল্যান্ড
থাই সরকার ১৯৭০ সালে ইয়াবা ট্যাবলেটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেসময় এটি সেদেশে পেট্রল পাম্পে বিক্রি হতো, এবং থাই ট্রাক চালকেরা জেগে থাকার জন্য এটা ব্যবহার করতো। ইয়াবাসেবী ট্রাক ও বাস চালকদের হাতে অনেক গুলো ভয়াবহ বাস দূর্ঘটনা ঘটেছে। থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রা ২০০৩ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। এর পর থেকে থাইল্যান্ডে এই মাদকের প্রকোপ কমে এসেছে।
ইয়াবা কিভাবে মানুষকে অধ:পতনের দিকে নিয়ে যায় তার নমুনা.
চাকরি খুঁজতে গিয়ে শাকুর সঙ্গে পরিচয়। আটকে পড়ে তার প্রলোভনের জালে। প্রেম থেকে শুরু করে লিভ টুগেদার। সেখান থেকেই খেতাব, পাক্কা ইয়াবা কন্যা’র। নাম তার ম্যানিলা চৌধুরী (২২)।
তার হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ম্যানিলা জানায়, সে অধ্যয়ন করছে সরকারি তিতুমীর কলেজে। ফিন্যান্স বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আগামী মাসেই তার অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়েছে গোয়েন্দা পুলিশের জালে।
একে একে ধরা পড়েছে তার আরও ৫ সহযোগী। গোয়েন্দারা জানান, ইয়াবাকন্যা ম্যানিলা ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের একটি স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে। ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের একটি কলেজ থেকে পাস করে এইচএসসি। এরপর ঢাকায় এসে তিতুমির কলেজের ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তি হয়।
তখন তার বাসা ছিল বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা এলাকায়। ২০১০ সালে তার পিতার পরিচয়ে সূত্র ধরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল শুক্কুর ওরফে শাকুর সঙ্গে পরিচয়। এরপর তার নানা প্রলোভনের জালে আটকে পড়ে। গড়ে ওঠে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। শুরু করে লিভ টুগেদার।
গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যমতে, শাকু পেশাদার অপরাধী। রাজধানীর শুক্রাবাদে ব্র্যাক ব্যাংক ডাকাতি মামলার অন্যতম আসামি। ম্যানিলাকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও বিয়ে করেনি। নামায় ইয়াবা ব্যবসায়।
গেয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গত তিন বছরে দেড় লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করেছে। ইয়াবা আনে মিয়ানমার থেকে। এছাড়া চট্টগ্রামে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে সংগ্রহ করে। প্রতি পিস ইয়াবা কিনত ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। আর ঢাকায় বিক্রি করতো ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। শুক্কুরের পাঠানো ইয়াবার টাকা সংগ্রহ করে ব্যাংকের মাধ্যমে চট্টগ্রাম পাঠাতো।
পরে নিজেই চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ইয়াবার চালান ঢাকায় নিয়ে আসে। কখনও ট্রেনে, কখনও বাসে বহন করতো। ম্যানিলার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকায়। সংসারে তার বাবা নেই। আছে মা ও ছোট বোন। বাবা এক সময় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। তিনি কয়েক মাস আগে মারা যান। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি মশিউর রহমান বলেন, দুই সপ্তাহ আগে আরেক নারী ইয়াবা ব্যবসায়ী লিপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে সে কেন্দ্রীয় কারাগারে। লিপির বাড়ি কুমিল্লায়। সে ইয়াবা ব্যবসার জন্য টাকা দাদন দিতো। লিপির সঙ্গে জেলখানায় ম্যানিলার পরিচয়। তার কাছ থেকে তথ্য নিয়েই ম্যানিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে আরও ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে কমলাপুর ও বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হচ্ছে- তাহের (৪৮), কুলসুম (৩২), জানে আলম (৪৫), খালেদ (৩০) ও আসিফ (২৪)। তাদের হেফাজত থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় পয়ষট্টি লাখ টাকা।
গোয়েন্দারা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চকবাজার থানাধীন নাজিমুদ্দিন রোডের হোটেল নীরব এর সামনে থেকে জানে আলম ও আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৯ হাজার পিস ইয়াবা। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে কুলসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৪ হাজার পিস ইয়াবা। তার দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী কমলাপুরস্থ মতিঝিল থানা এলাকা থেকে ম্যানিলা চৌধুরী, আবু তাহের ও খালেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১৭ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। ম্যানিলা ইয়াবা ব্যবসার অপরাধে ১০ মাস জেল হাজতে ছিল। সে চট্টগ্রামসহ ঢাকা’র বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা সরবরাহ করতো। সে ইয়াবা সম্রাজ্ঞী নামে পরিচিত।
গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, টেকনাফ ও মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে ইয়াবা বাংলাদেশে আসে। চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে। জানে আলম ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছ হতে টাকা সংগ্রহ করে থাকে এবং হুন্ডির মাধ্যমে টাকা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেয়। আসামি কুলসুম, খালেদ ও আসিফ ম্যানিলা চৌধুরী ও তাহেরের অন্যতম সহযোগী ও ইয়াবা সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করে থাকে।
কুলসুম গাজীপুর এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করে। ম্যানিলা চৌধুরী, তাহের ও জানে আলম জনৈক আবদুস শুক্কুর ওরফে শাকুর মাহমুদ ওরফে শাকু এর হয়ে কাজ করে। শাকু মিয়ানমার থেকে ইয়াবা কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে এবং সারাদেশে সরবরাহ করে।
ওদিকে একটি আভিযানিক দল মাদক চোরাচালান চক্রের একজন বিদেশী নাগরিকসহ ৪ সদস্যকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হচ্ছে নাইজেরিয়ান নাগরিক অনিকা গডসন বামালো (৩৪)। তার সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের নাগরিক আবুল কাশেম (৫২), পায়েল বেগম (২৮) ও নীলিমা লাবণ্য (২৮) গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্ততারকৃত দুই নারী দীর্ঘদিন ধরে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে আসামী পায়েল বেগমের স্বামী একজন নাইজেরিয়ান। সে আগেই বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে। আবুল কাশেম পেশায় গাড়ি চালক। মাদক পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ডিএইচএল রামপুরা শাখাতে হেরোইন এর একটি চালান কাপড়ের বাক্সের মাধ্যমে চীনে পাঠানো হবে। তাৎক্ষণিকভাবে র্যাবের পক্ষ হতে ডিএইচএল অফিসে ফোন করে উক্ত চালানটিকে চীনে প্রেরণের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে র্যাবের একটি দল ডিএইচএল-এর অফিসে গিয়ে উক্ত কাপড়ের বাক্সটি উদ্ধার করে এবং বাক্সের মধ্যে মোট ৪৩টি আন্ডারওয়ারের প্যাকেট পায়। প্রতিটি আন্ডারওয়ারের প্যাকেটের মধ্যেই হেরোইন পাওয়া যাই্যয়।
পরবর্তীতে আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অনিকা গডসন বামালো এর উত্তরার ১০নং সেক্টরের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে আরও ৫৭টি অনুরূপ হেরোইন সম্বলিত আন্ডারওয়ারের প্যাকেট ও হেরোইন প্রস্তুত করার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে আরও পাওয়া যায় ৩,১০০ জাল ডলার। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এই চক্রটি শুধু হেরোইন পাচারই নয় জাল ডলারের ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত।
তাছাড়া সম্প্রতি একজন মহিলার যৌনাঙ্গে কনডমসহ ইয়াবাই প্রমাণ করে যে---সর্বনাশী কালনাগিনীর ছোবল কতটা বিস্তৃত।আশু এর একটা সমাধান হওয়া উচিত। নতুবা ঐশি টাইপের ইয়াবা প্রেমিকদের উত্থান ঠেকানো যাবে না।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: একমত।বিকৃত মানসিকতা বলতে আপনি কি বুঝাচ্ছে ।সেটা জানালে ভালো হতো।
ধন্যবাদ সরদার হারুন ভাই।
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২০
সরদার হারুন বলেছেন: মানুষ স্বাভাবিক পথে যখন কাজ না করে অস্বাভাবিক পথ অবলম্বন করে
তখনই মনে করতে হবে যে সে বিকৃত মানষিকতায় ভোগছে।
বিকৃত লোকেরাই নেশাগ্রস্ত হয়।
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৩৬
আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: ১০০% ঠিক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭
সরদার হারুন বলেছেন: তাইতো বলি নেতাদের মধ্যে এত বিকৃত মানসিকতা কেন ?