![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখছি আর পড়ছি তবে মাঝে মধ্য কিছু লিখছি, মতামত দিচ্ছি। রক্তিম স্বাগতম আমার ব্লগে। আমি সাম্যের গান গাই, গাই মানবতার, শুনি মজলুমের আর্তনাদ আর স্লোগান দেই ‘প্রভাতফেরীর মিছিল চলছে, ছড়াও ফুলের বন্যা’। ফেসবুকে আছি ‘Shariful Islam Sharif’ নামে!
বাংলা সাহিত্যে ময়মনসিংহ গিতিকার এক অমর প্রেম কাহিনী হল "বেহুলার বাসর ঘর"। এই কাহিনীর উল্লেখ যোগ্য চরিত্র গুলো হলঃ মনসা দেবী, চন্দ্র সওদাগর ও তার সাত পুত্র, ছোট পুত্র লক্ষিন্দর, বেহুলা, বাসর ঘর, বাসর ঘরের নির্মাতা বা মিস্ত্রি, সাধকবাবা ও সাপ ইত্যাদি।
কাহিনী সংক্ষেপঃ
সাপের দেবী মনসা; সে চায় অনন্ত কাল ধরে তার রাজ্যের সবাই তাকে পুজা করুক ভালবেসে না হলেও ভয়ে হলেও করুক। চন্দ্র সওদাগর ব্যক্তিত্তবান ও আপোষহীন মানুষ সে কোন এক কারনে মনসা দেবীর পুজা করতে অপারগতা পোষন করলো। রাগান্নিত মনসা দেবী তার শক্তি প্রয়োগ করতে লাগল। প্রথমে নিরিহ প্রজা ও পরে সওদাগরের সন্তানদের সাপ দিয়ে কামরিয়ে হত্যা করতে লাগলো উদ্দ্যশ্য সওদাগরকে র্নিবংশ করা। সওদাগরের ৭সন্তান একে একে ৬জনই সাপের কামড়ে নিহত হল বাকি থাকলো শুধু ছোট ছেলে লক্ষিন্দর। বহু লুকিয়ে রেখেও লাভ হয়নি, কোননা কোন ভাবে দেবী তাদের অবস্থান জেনে যায় আর সাপ পাঠায়।
অবশেষে সাধুদের পরামর্শ ক্রমে লক্ষিন্দরের জন্য এক সতি স্ত্রীর ব্যবস্থা করা হল নাম বেহুলা, যুক্তি হল 'সতি নারির পতি মরেনা' বেহুলা যদি সতি হয় তাহলে তার পতি অর্থাৎ লক্ষিন্দর মরবেনা আর যদি মরে যায় তাহলে বেহুলা অসতি প্রমানিত হবে। বিয়ের আগেই বেহুলাকে অনেক পরীক্ষা দিতে হয়েছিল নিজেকে সতি প্রমান করার জন্য। অসম্ভব কষ্টকর সব পরীক্ষা, কখনো জলন্ত আগুনের উপর দিয়ে বিনা চিৎকারে হাটা কখনো ছিদ্রযুক্ত চালুনি দিয়ে নদী থেকে পানি আনা। বেচারি বহু কষ্টে টু শব্দটি পর্যন্ত করেনি। সতি প্রমানিত হওয়ার পর লক্ষিন্দরের সাথে বিয়ে হয়। সাপে যাতে না কামড়ায় এজন্যে ছিদ্রহীন বিশেষ লোহার বাসরঘর তৈরীর ব্যবস্থা করা হয় যাতে কোন সাপ প্রবেশ করতে না পারে।
এ খবর মনসার কানে পৌছে যায়। মনসা মিস্ত্রিকে প্রলোভন বা ভয় যে ভাবেই হোক বাধ্য করে ঐ ঘরে একটা ছোট ছিদ্র রাখার যাতে সাপ প্রবেশ করতে পারে।
লোহার বাসর ঘরের ছিদ্রদিয়ে সাপ প্রবেশ করলো, ঘুমন্ত লক্ষিন্দরকে কামড়ও দিলো। বেহুশ লক্ষিন্দরের বাচা-মরা ডিপেন্ড করছে বেচারি বেহুলার সতিত্বের উপর।। লক্ষিন্দর বাচঁলো কি মরলো তাতে কিছু যায় আসে না, দর্শক তাকিয়ে আছে বেহুলা সতি না অসতি।।।
আধুনিক রুপঃ
চান্দ্র সওদাগর বেগম খালেদাজিয়া; নিজ বংশ তারেককে রক্ষা করার জন্য ২০দলীয় জোট কে সতি জামায়াত নামক বেহুলার সাথে বিয়ে দিয়েছে। বেচারা জামায়াত প্রতি পদে পদে সতিত্যের পরীক্ষা দিয়েই যাচ্ছে। আন্দোলন নামক বাসর ঘরে মির্জা ফখরুলের মত মিস্ত্রিরা ফুটো করে রাখে তাতে কেউ দোষ দেখেনা, ফুটোদিয়ে মনসা দেবীর সোনার সাপেরা প্রবেশ করে কামরাচ্ছে আর মারছে তাতে কারো ভ্রুক্ষেপ নাই, দেখতে হবে জোটবদ্ধ জামায়াত সতি না অসতি।
ঐ বেটি বেহুলা......! অপয়া লক্ষিন্দর ছাড়া দেশে কি আর কোন জামাই ছিলনা...???
- লিখেছেন মামুন আবীর ৷
©somewhere in net ltd.