নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে................

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন

দেখছি আর পড়ছি তবে মাঝে মধ্য কিছু লিখছি, মতামত দিচ্ছি। রক্তিম স্বাগতম আমার ব্লগে। আমি সাম্যের গান গাই, গাই মানবতার, শুনি মজলুমের আর্তনাদ আর স্লোগান দেই ‘প্রভাতফেরীর মিছিল চলছে, ছড়াও ফুলের বন্যা’। ফেসবুকে আছি ‘Shariful Islam Sharif’ নামে!

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই কিংবদন্তির বিদায় এবং এফ.ডি.সিতে সভ্যতার নতুন সংকট।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২৬





বাঙালি শান্তিপ্রিয়, স্বাধীনকামী জাতি। সংগ্রাম করেই বাঁচতে ভালোবাসে। সেই লড়াই নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি,নৈতিক মুল্যবোধকে সামাজিক অঙ্গনে টিকেই রাখার। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ৯০’র গনআন্দোলন যেন ওই আদর্শের বাস্তব প্রতিভু।
আবহমানকাল ধরে বিরাজমান আদশ মুল্যবোধ, সমাজ-কালচার যেন আজকাল দেড় দর্শক ধরে লন্ডভন্ড হওয়ার দৌড়ে।ভিনদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে বাঙালি সংস্কৃতি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।নগ্নতা, নোংরামী যেগুলো একটি সময় আমাদের সমাজে অকল্পনীয় ব্যাপার ছিল্।অথচ এখন এগুলো হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে।অন্যদিকে স্বাধীন বাংলাদেশের একমাত্র বিনোদন সংগঠন এফডিসির কাযক্রম আজ জীর্ণশীর্ণ।নেই কোনো নতুনত্ব, সৃনশীলতার বালাই বলতে নেই।হাইব্রিড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের রমরমা অবস্থা।দক্ষ-মননশীল চলচ্চিত্রকারের হাহাকার এফডিসির এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।

হলিউড ও বলিউডের নোংরামীর যুগে সাধারণ দশক চাষী নজরুল ইসলাম ও তারেক মাসুদদের শৈল্পিক কারুকার্য দেখে কিছুটা হলেও প্রশান্তি পেত।আজ বঙ্গমাতার সেই শেষ সম্বলটুকুও নেই।

কেন চাষী নজরুল কিংবা তারেক বন্ধনা করতে হয়? যদিও আহামরি বিশ্বজয়ী কোনো ব্যক্তিত্ব ছিলেন না তারা ।সারা জীবনটা যে তারা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ছিলেন তেমনটা কিন্তু নয়।কিন্তু বাঙালি জাতির জন্য চাষী বা তারেক অনেক পাওয়া।কারণ তারা যতটুকু করেছেন সেটা বাঙালি সাংস্কৃতিক চেতনা নিয়েই সম্পন্ন করেছেন।সৃষ্টিশীল চাষী নজরুল প্রথমে চলচ্চিত্রজগতে সহকারী হিসাবে যোগ দিয়েছেন।কালজয়ী সৃষ্টি ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমা।যা প্রথম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের উপর রচিত।এছাড়াও ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘দেবদাস’, অনবদ্য চলচ্চিত্র।

ছোটবেলায় মাদ্রাসা পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তারেক মাসুদ অনেকটা হতাশার গঙ্গায় একটি ফুটন্ত গোলাপ।‘রানওয়ে’, ‘মাটির ময়না’ বাংলার একদম নিরেট গ্রামীন সহজ-সরল সামাজিক চিত্র ফিকশনের আলোকে রূপ দিয়েছেন। তার সারা জাগানো ‘মাটির ময়না’ তো সর্বোচ্চ কান চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেছে।

পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, ভাঁওতাবাজ-লগ্গরজগ্গর মার্কা কিছু নামধারী চলচ্চিত্রকার আজকাল বাঙালির স্বীয় সংস্কৃতিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে সস্তা ভিনদেশী নোংরামী, নগ্নতা, অশ্লীলতা আমদানিতে হরদম ব্যস্ত।চিন্তার বিকাশ না ঘটিয়ে ওপারের কপি পেস্ট সিনেমা আর কতদিন??কাজেই একটি বাস্তবধর্মী বিনোদন নির্মানের জন্য দরকার মননশীল-সৃজনশীল চলচ্চিত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.