![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখছি আর পড়ছি তবে মাঝে মধ্য কিছু লিখছি, মতামত দিচ্ছি। রক্তিম স্বাগতম আমার ব্লগে। আমি সাম্যের গান গাই, গাই মানবতার, শুনি মজলুমের আর্তনাদ আর স্লোগান দেই ‘প্রভাতফেরীর মিছিল চলছে, ছড়াও ফুলের বন্যা’। ফেসবুকে আছি ‘Shariful Islam Sharif’ নামে!
গরীবরা দরিদ্রই থেকে যাচ্ছে আর ধনীর ললাটেরা আঙুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। আর চরিত্রে নোংরামীর জোয়ার বইছে। মিতু নামে একটি মেয়ে (ছদ্দনাম) মাত্র প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে ঢাকার স্বনামধন্য একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুরুতে বড় আপুদের বলে কইয়ে হলের গণরুমে উঠছে। মাস না পেরুতেই এই মিছিল, শোডাউন, ছাত্রনেতাদের মনোরঞ্জন, ড্রাগস গ্রহন নিতে নানা অসামাজিক কাজে বাধ্য রাখে তথাকথিত ছাত্রীনেত্রীবৃন্দ। মিতু গ্রামের মেয়ে হওয়ায় প্রথম প্রথম মোটামুটি সহ্য করতে পারলেও একটি সময় এগুলো তাকে খুবই দুর্বিসহ করে তুলে। পরক্ষনেই আবার চিন্তা করে শেষ এই আবাসটুকু ছেড়ে দিলে রাস্তায় খাকতে কবে তাকে। কারণ না আছে কোনো আত্মীয় আবার না আছে টাকা যা দিয়ে বাসা বাড়া করে থাকবে। মোটামুটি ক্লাস করছে পাশাপাশি মিটিং মিছিল করছে। কিন্তু হঠাৎ একদিন ছাত্রনেত্রীরা একজন বিশেষ ছাত্রনেতার মন জয় করার প্রস্তাব দিল মিতুকে। সাথে শর্ত ,,, কুপ্রস্তাবে সাড়া দিতে হবে নতুবা হল থেকে বেড় করে দেয়া হবে। মিতু কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সারা রাত চোখে জল ভিজিয়ে পরের দিন সকালে হল ছেড়ে নিজের মালামাল নিয়ে উঠল তার পরিচিত এলাকার এক খালাম্মার বাসায়।যিনি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। এর আগে মিতু ইউনিভার্সিটির হল থেকে বের হওয়ার সময় হলের গেইটের পাশের দেয়ালে "শিক্ষিকা চাই"নামে একটা পোস্টার দেখতে পেয়েছিল।
.
{{"ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ২য় শ্রেণির
ছাত্রকে পড়াতে হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবা
বুয়েটের যে কোন ডিপার্টমেন্টের ছাত্রী আবশ্যক"}}
মিতুর একটা টিউশনি খুবই প্রয়োজন। অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা আর ছোট ভাইয়ের আর নিজের পড়াশোনা চালিয়ে নেয়ার জন্য । তাই পোস্টারে প্রদত্ত ফোন নাম্বারটিতে সে যোগাযোগ করলো ,মোটামুটি সব
কিছুই নির্ধারন করে দেয়া হলো....
সপ্তাহে ৩ দিন পড়াতে হবে।
মাসে ৫০০০ টাকা।
.
মিতু অনেকখুশি হয়ে গেল ।এই ৫০০০ টাকা দিয়ে এখন সে
তার মা-ভাইয়ের জন্য অনেক কিছুই করতে পারবে। তো নির্ধারিত দিনেই মিতু তার ছাত্রের বাসায় গিয়ে উপস্থিত হলো। কলিং বেল চাপার পর কেউ
একজন খদ্দর টাইপের মহিলা দরজা খুলে দিল, সে ঘরে ঢোকার পর এমন কিছু ঘটলো যার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না।
দু-তিনজন লোক আগে থেকেই মিতুর অপেক্ষা করছিল। মিতু.। দরজা দিয়ে প্রবেশের সাথে সাথেই তার উপর পশুর মত ঝাপিয়ে পড়ে সেই লোকগুলো, কয়েক ঘন্টা পাশবিক নির্যাতনের পর জীবননাশের ভয় দেখিয়ে তারা বাসা থেকে মিতুকে বের করে দেয়।
তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। কারন সেই নির্যাতনের ভিডিও টেপ করা করে রাখা হয়েছিল। সেই দৃশ্য, যা দিয়ে তাকে বার বার ব্লাকমেইল করা হতো...।
ফলাফল আত্মহত্তা........
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: সবাই লজ্জাবোধ এখনো হারায়নি বলেই তো আপনি আক্ষেপ করছেন। রুখে দাড়ানো জন্য একটি পরিবেশ আগে তৈরি করতে হবে।
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
চলন বিল বলেছেন: আমার মনে হয় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত। এগুলো থেকে কোন ভালো কিছু পাওয়া যায় না।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৩
আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: একদম ঠিক না। ঢালাওভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তার চেয়ে বরং ছাত্র সংসদ চালু করে ছাত্র নেতাদের নৈতিক ভিত্তি গড়ার একটি সংশোধনীয় কেন্দ্র গঠন করা যেতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: দুঃখিত, আমাদের জাতির লজ্জাবোধ মনে হয় হারিয়ে গেছে। তা না হলে শিক্ষার নামে যেখানে অনৈতিক শিক্ষা চলছে সেখানে এ ব্যাপারে কেউ রুখে দাড়াচ্ছেনা কেন???