নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে................

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন

দেখছি আর পড়ছি তবে মাঝে মধ্য কিছু লিখছি, মতামত দিচ্ছি। রক্তিম স্বাগতম আমার ব্লগে। আমি সাম্যের গান গাই, গাই মানবতার, শুনি মজলুমের আর্তনাদ আর স্লোগান দেই ‘প্রভাতফেরীর মিছিল চলছে, ছড়াও ফুলের বন্যা’। ফেসবুকে আছি ‘Shariful Islam Sharif’ নামে!

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই কিনতে পারিনি, তাই প্রিয় লেখকের মন খারাপ!!

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৬

আমার লেখালেখির জীবনকাল খুব বেশি একটা দীর্ঘ নয়। মোটামুটি ৩/৪ বছর হবে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনাকে বিদায় জানাতে আরও এক বছর বাকি। লেখালেখি প্রফেশন হিসাবে নেইনি। ভালো লাগে, সমাজের বাস্তব চিত্রগুলো চোখে ঝলমল করে ভেসে উঠে, অন্যায়গুলোর আধ্যাত্মিক শক্তি বিবেককে ঝাকুনি দেয়। তাই মনের মাঝে জমে থাকা কষ্ঠগুলোকে লেখার বদলে একটু হলেও হালকা করার চেষ্ঠা করি।

দ্যা গ্রেট ক্ষুধিরাম, নুর হোসেনরা তো ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সেসব কিছুই তো পর্দার অন্তরালে আমার প্রেরনার আশা জাগায়।

অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার থিওরি, ল্যাব, ভাইভাসহ সব ঝামেলা শেষে গতকাল ছুটে গিয়েছি প্রাণের বইমেলায়। তবে এবারের অনুভূতিটা একটু অন্যরকম। একে তো নিজের একটা বই প্রকাশিত হয়েছে ‘ গুডবাই ছাত্র সংসদ,। ছাত্র সংসদবিহীন ছাত্রনেতৃত্বের চরম বিপর্যয় আর জাতীয় ইস্যুতে কেজরিওয়ালদের মতো নেতৃত্বের অপূরনীয় সংকট তুলে ধরেছি।

আরেক তো্ পেশাদার পাঠক।চাকরি-বাকরি না তো আবার! না তেমনটা না নয়। টাকার বিনিময়ে বই কিনে প্রিয় লেখকের বই মনের মাধুরি মিশিয়ে পড়ি। বইটি ক্রয় করা মাত্র কোনো রকমে গাড়িতে উঠেই হাত দেই দীঘ এক বছরের অমৃত সুধায়।

বইমেলায় প্রবেশ করতেই দেখি ড. জাফর ইকবাল। আগত ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। অটোগ্রাফ আর সেলফি নামক কুলফি তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে লোকজন। যদিও তরুণ সমাজের সংখ্যাটিই বেশি। ২০/২৫ জনের বেশি হবে না!

আমি দেখছি জাফর সাহেবের মুষ্ঠিকয়েক ভক্তদের হুড়াহুড়ি। হঠাৎ অপ্রত্যাশিত ভাবে আমার দিকে তার নজর পড়ে গেলো। স্বচক্ষে এই প্রথম দেখলাম তাকে। আমি আনমনা হয়ে গেলাম। কি করব? কাছে গিয়ে একটি অটোগ্রাফ নিবো না আমার প্রকাশিত বইয়ের একটি কপি ধরিয়ে দিব! কিংকর্তব্যবিমুঢ়!! না আজ না। অন্য আরেকদিন। যদি ভাগ্যক্রমে দেখা হয়ে যায়।
একটু বলে রাখি আমি তার অর্জিত মেধাকে যথেস্ট শ্রদ্ধা করি। সুযোগ পেলেই তার সাইন্স ফিকশনের বই আর সাধাসিধে কলাম পড়ি।কিন্তু উনার ভিতরে লুকায়িত তথাকথিত প্রগতিশীলতাকে আমি মনে প্রাণে ঘৃণা করি। তার ভালো দিকটাকে আমি গ্রহন করি আর খারাপ দিকটাকে ডাস্টবিনে ছুড়ে মারি! আমার কাউকে ভালো লাগতে পারে আবার খারাপও লাগতে পারে। সেটার অধিকার প্রিয় সংবিধান আমাকে দিয়েছে।

চলে এলাম অামার প্রেরনার তাজমহল প্রিয় লেখকের বইয়ের স্টলে। স্বপ্নে দেখছি না বাস্তব, বুঝতে পারছি না। স্বপ্নের পুরুষটা দেখি আমার সামনে! দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্রেতা আর পাঠকদের অটোগ্রাফ দিচ্ছে। আমার সাথে থাকা আমার বন্ধুটি প্রিয় লেখকের এক কপি বই কিনল। আর আমার হাতে আমার‘ গুডবাই ছাত্র সংসদ’। আমার বন্ধুকে অটোগ্রাফ দিলেন। বেশি হাসি খুশি দেখা গেলো। তবে কোনো এক কারণে আমি প্রিয় লেখকের বইটি কিনতে পারিনি।

যাই হোক অতঃপর আমার লেখা বইটা প্রিয় লেখকের হাতে ধরিয়ে দিলাম। পরামর্শ চাইলাম আর ফটোসেশনের লোভও সামেলাতে পারলাম না। হঠাৎ দেখি প্রিয় লেখকের চেহারায় গম্ভীরতার ছাপ। তার বইটি কিনতে পারিনি বলে কি? না অন্য কিছু! হঠাৎ ভাবনার সাগরে ডুব দিলাম। জেগে দেখি প্রিয় ক্যাম্পাসে আমার নিথর দেহখানা। তবে মনের মাঝে গেঁথে আছে আমার প্রিয় মানুষটি। আকাশ-বাতাসকে ডেকে জানিয়ে দিতে ইচ্ছে করে প্রিয় লেখক আমি তোমাকে স্যালুট করি, জানাই হাজারো শুভকামনা!



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.