নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে................

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন

দেখছি আর পড়ছি তবে মাঝে মধ্য কিছু লিখছি, মতামত দিচ্ছি। রক্তিম স্বাগতম আমার ব্লগে। আমি সাম্যের গান গাই, গাই মানবতার, শুনি মজলুমের আর্তনাদ আর স্লোগান দেই ‘প্রভাতফেরীর মিছিল চলছে, ছড়াও ফুলের বন্যা’। ফেসবুকে আছি ‘Shariful Islam Sharif’ নামে!

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটা বইমেলা, উন্মুক্ত অবাঙালি সংস্কৃতির চারণভূমি নয়!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

বইমেলা নাকি রূপ দেখানোর প্রতিযোগিতা!!গতকালও ছিলাম প্রাণের বইমেলায়। চারদিকে সহস্রাধিক বইপ্রেমিকদের উপচে পড়া ভিড়। তিল ধারনের ঠাঁই নেই। ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেখে মনটা খুশিতে ভরে গেল। কারও কপালে লাল-সবুজ পতাকা। দুই হাতে ভাষা শহীদদের প্ল্যাকার্ড। ছোট-বড় কারো কারো লাল টুক-টুকে গালে কিংবা সাদা হস্তে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনারের ছবি। কেউ কেউ মানচিত্র খচিত টুপি মাথায় দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গন থেকে সোহরাওয়ার্দীর মূল মেলায়!! ছোট্ট সোনামনিরা মা-বাবার সাথে! কেউ বড় ভাই বা আপুর সাথে। তবে অধিকাংশই হবু রমনীকে নিয়ে!!!
মেলায় ঢুকেই চম্পট ৩২৯ নং স্টলের রেয়ার বুকস (কাব্য প্রকাশনী)। সঙ্গে স্কুল জীবনের বন্ধুরা। নতুন লেখক তাই পাঠক সমাজের আকর্ষণ হুমায়ুন আহমেদ কিংবা জাফর ইকবালদের মতো নয়!! অপরিচিত মুখ!! তবে হতাশাজনক নয়! আসছেন। দেখছেন। কেউ কেউ কোমল হাসি দিয়ে বইটা নিয়েই যাচ্ছেন।
নিজে লেখক হলেও অন্যের লেখার প্রতি লোভ সামলাতে পারিনা! ঘুরছি আর দেখছি নামকরা স্টলের কাছাকাছি আর জনপ্রিয় লেখদের বইগুলোর দিকে বেশি আসা যাওয়া করি। আর স্বয়ং প্রিয় লেখকদের পেয়ে গেলে তো !! ভাগ্যবান!! রুটিন ধরে ধরে ডিটেকটিভের মতো হাতরাচ্ছি টপ গিয়ারে থাকা বইগুলোর প্রতি। উদীয়মান কারো বই পেলে বাদও দিচ্ছি না।
অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে মিলন। আড্ডাস্থল হলো মেলার এক চটপটি দোকানে! স্মৃতিচারণ আর সুখ-দুঃখের কথা হচ্ছে।

হঠাৎ ঘুম ভাঙল! যতলোক মেলায় এসেছে তাতে তো মেলার কোনো বই জ্যান্ত থাকার কথা নয়!! বরং আগাম সিরিয়াল বা স্টলম্যানদের দৌড়ের উপর থাকার কথা! তেমনটা না হয়ে হচ্ছেটা কি?
কিন্তু আগত মেলাপ্রেমিকরা তাহলে কি করছে! নতুন প্রনয় তাই জোড়ায় জোড়ায়! তা নয় বুঝলাম! কিন্তু রমনা পাক, চন্দ্রিমা উদ্যান, ধানমন্ডি বা গুলশানের লেক, উন্মুক্ত জায়গা বাদ দিয়ে ভাষা শহীদদের আবেগ-আত্মত্যাগের চৌকিতে কেন? তাও আবার বিবাহিত যুগল নিজেদের নিরাপদ বাসা বাদ দিয়ে এখানেই বা এসব কি করছে!! ও আচ্ছা! তাহলে এজন্যই কি একদিনের বাঙালির এতো রূপসজ্জা! লোক দেখানো ভাষাপ্রীতি! না শহীদি আত্মার সাথে চরম প্রতারনা! নাকি গতানুগতিক রেডিমেড চেতনা ব্যবসা!!





মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ব্যাপারটাকে ইতিবাচক ভাবে নেই না কেন? এটা তো মেলা, নাকি? মেলা তা তো একটু আনন্দের হবেই। আমি হাসব, গাইব, নাচব তবেই তো সেটা মেলা হবে নাকি? আপনি এখন বলতে পারেন এটা বই মেলা কিংবা বলতে পারেন শহীদ দিবস ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু ভাই আমরা নিশ্চয়ই মেলায় গিয়ে শহীদদের প্রতি আবেগ প্রকাশ করিনা। মনে শ্রদ্ধা থাকলেই হোল। সেটাই বড় ব্যাপার। আর মেলাটা যেন আরও আনন্দময় সেই কামনায়

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৫

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: দু:খিত আরণ্যক রাখাল ভাই,

একমত হতে পারলাম না.....।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.