নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে................

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন

দেখছি আর পড়ছি তবে মাঝে মধ্য কিছু লিখছি, মতামত দিচ্ছি। রক্তিম স্বাগতম আমার ব্লগে। আমি সাম্যের গান গাই, গাই মানবতার, শুনি মজলুমের আর্তনাদ আর স্লোগান দেই ‘প্রভাতফেরীর মিছিল চলছে, ছড়াও ফুলের বন্যা’। ফেসবুকে আছি ‘Shariful Islam Sharif’ নামে!

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি কেন হুমায়ুন আহমেদকে ডিসলাইক করি ;)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

পৃথিবীটা আসলে রহস্যের সমদ্র ভান্ডার! আর মানুষগুলো যেন এক-একটা আফ্রিকা মহাদেশের অদ্ভুত এলিয়েন!! যাকগে এসব! কারো সন্দেহ নেই হুমায়ুন আহমেদ সমকালীন বাঙালি উঠতি পাঠক সমাজের কাছে খুবই জনপ্রিয়। থাকাটা অস্বাভাবিক নয়! যেখানে হুমায়ুন আজাদ, তসলিমা নাসরিন কিংবা দাউদ হায়দারদেরও প্রচুর ভক্ত আছে! সে দিক থেকে নিশ্চয়ই জনাব হুমায়ুন আহমেদও জনপ্রিয়তা পাবার দাবি করতেই পারে এবং ঠিকও
যাই হোক মানুষ মাত্রই সমালোচনা-আলোচনার সংমিশ্রণ। এক ব্যক্তি কারো কাছে দেবতাতুল্য আবার কারো কাছে ঘৃণার পাত্র! যা প্রকৃতিরই নিয়ম! সক্রেটিস, ক্ষুদিরাম, বেগম রোকেয়ারাও সবার কাছে পছন্দের ছিলেন না!!
আমার অবস্থান আরও স্পষ্ট করছি। আমার সাথে অনেকে দ্বিমত পোষন করবেন। সেটাও গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। জনাব হুমায়ুন আহমেদের বিরুদ্ধে আমার ব্লেইমগুলো পয়েন্ট বাই পয়েন্ট তালিকাবদ্ধ করছি.....................................

১। জনাব হুমায়ুন আহমেদ তার শেষ উপন্যাস‘ দেয়াল’ কেন? কার স্বার্থে? কাকে খুশি করতে? কিংবা কার চাপে মূল স্ক্রিপ্টটি এডিট করেছেন? সেটাই তাকে আমার অপছন্দের প্রধান কারণ!
২। পৃথিবীর সকল বিখ্যাত লেখকদের মতো উনারও ভোগবাদী অবস্থানটা ছিল একদম স্পষ্ট। এক্ষেত্রে তিনিও গতানুগতিক। প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের অমত থাকার পরও কেন তিনি দ্বিতীয় রমনির জন্য দীর্ঘদিনের সাজানো সংসার ভাঙলেন???
৩। হিমু, মিসির আলীর কাল্পনিক চরিত্র তার অনবদ্য সৃষ্টি। একমত । কিন্তু ভঙ্গুর বাঙালি চলচ্চিত্রে তিনিও আর দশটা চলচ্চিত্রকারের মতো কমার্শিয়াল প্রডাক্টের দিকে ঝুকেছেন! অবাক করার বিষয় হলো‘ ঘেঁটুপুত্র কমলা’ কি আদৌ বাঙালি সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জ্য?? নাকি সমকামিতার ইঙ্গিত? সে দিক থেকে তারেক মাসুদের ‘ মাটির ময়না কিংবা রানওয়েতে’ অনেক শিক্ষনীয় বিষয় উঠে এসেছে। আমি তো চেয়েছিলাম উনার মতো সৃজনশীল লেখকরা সমাজের অসঙ্গতিগুলো চলচ্চিত্রে অগ্রাধিকার দিবেন। অথচ বাস্তবে উল্টো চিত্র!
৪। জনাব হুমায়ুন আহমেদের বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। তার বাবাসহ অনেককে হত্যার অভিযোগে বর্তমান জামায়াত নেতাদের বিচার হচ্ছে। দুইজনকে ফাঁসিও দিয়েছে গৃহপালিত ট্রাইবুনাল। সরকার পক্ষের সাক্ষীর তালিকায় তার মা, তিনি নিজে ও ছোট ভাই জাফর ইকবাল ছিলেন! কিন্তু তারা কি আদৌ আদালতে সাক্ষী দিতে গিয়েছিল??? কেউ কি বলতে পারেন, কেন এমনটি হলো??
৫। দেশের বুদ্ধিজীবিরা আমাদের থিংক ট্যাংক। জহির রায়হানদের খুব দরকার আজ। সুশীল সমাজই তো ক্রান্তিলগ্নে জাতিকে দিকনির্দেশা দিয়ে থাকেন! আমার জানা মতে জনাব হুমায়ুন দেশের স্বার্থে কোনো বক্তব্য বা নিবন্ধন লিখেছেন! এমন তথ্য নেই! হোক সেটা লীগ কিংবা বিএনপির বিপক্ষে!! তার মানে কি পাঠক সমাজ ধরে রাখতে সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ???
উনার গল্পগুলো নি:সন্দেহে হাসির খোরাক জোগায়! কিন্তু কতটা সামাজিকভাবে গুরুত্ব বহন করে সেগুলোও ভাবা দরকার.......

দিসইজ অনলি মাই অপিনিয়ন। প্লিজ টেইক ইট ক্রিটিক স্টেইজ নট অফেনসিভ.........

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

পার্থিব পার্থ বলেছেন: আপনি কারে লাইক করবেন আর কারে ডিসলাইক করবেন সেটা আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আফ্রিকা মহাদেশের মানুষদের মানুষ মনে না হইয়া এলিয়েন মনে হইল কেন ঠিক বুঝলাম না! ;)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: নট আক্রমণাত্বক জাস্ট লেখার সৌন্দর্য...এককথায় রূপক চরিত্র বলতে পারেন!!

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

কোলড বলেছেন: Valid points except item # 2 which is none of our business. A mediocre writer in the final analysis.
I've read a few of his books over the years but nowadays cant remember any whereas I can still remember Pather Pachali.

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২০

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: কোল্ড ভাই...আমরা তো এমন সাহিত্যই চেয়েছিলাম। যেখানে থাকবে যুগ যুগ ধরে ঘাপটি মেড়ে বসে থাকা সামাজিক অসঙ্গতিগুলোর নেতিবাচক চিত্র। আর নতুন প্রজন্ম সেই অসঙ্গতিগুলো শুধরানোর চেষ্টা করবে........

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

মিতক্ষরা বলেছেন: আপনি তাকে পছন্দ নাও করতে পারেন, কিন্তু তাকে আপনি কোনভাবেই উপেক্ষা করতে পারবেন না। তার শত শত কাজ তাকে অমর করে রেখে গিয়েছে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: আমি তো সেটা মেনে নিয়েই আমার অবস্থানটা ব্যাখ্যা করেছি। আর সবাই তো হুজুগে বাঙালি নয়!!!!!!!!!

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।

২-এর কারণে, তাকে আর দেখতে বা পড়তে পারিনি......

+।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: দুই নাম্বার পয়েন্টটি খুবই ট্র্যাজিক!! সহমতের জন্য ধন্যবাদ......।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কারো দোষ বের করতে চাইলে বগলে কেবল নাক লাগালেই হলো। অত্যন্ত যৌক্তিকভাবেই যে কারো বগল থেকে দোষ বের করা যায়। ব্যাপার না।

একজন হুমায়ুনের লেখাই শ্রেণি নির্বিশেষে পাঠকপ্রিয়তা পায়। আমার মতো কারো লেখা মানুষ ছুঁয়েও দেখে না। বাংলা সাহিত্যে একজন হুমায়ুন আহমেদ কি দিয়েছে সে খবরের ধারেকাছে আসার কোনও দরকার নেই আমার।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: চেঞ্জার ভাই, রবীন্দ্র-নজরুলদের পরে ফররুখ-আল মাহমুদরা এসেছেন। এরপর হয়ত হুমায়ুন-মিলন-জাফর সাহেবরা আছেন। এদের পর আরও অনেকে আসবে! এটাই পৃথিবীর নিয়ম। সাহিত্য কারো জন্য থেমে থাকবে না। তাছাড়া গ্রেট ওয়ান বলতে বিশ্বে কিছু নেই!! এই তো দেখেন না, ক্রিকেট-ফুটবলে খালি রেকর্ড ভাঙ্গার ধুম চলছে!!!!

আর জনাব হুমায়ুন আহমেদের পাঠকপ্রিয়তার কথা আমি অস্বীকার করিনি। লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়লেই দেখতে পাবেন।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৮

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: পয়েন্ট ১ - হুমায়ূন আহমেদ ব্যক্তি কাউকে খুশি করার জন্য দেয়াল এর এডিট করেন নি। আদালত থেকে দেয়াল এডিট করার রায় ছিল। এডিট না করলে দেয়াল পুস্তক আকারে প্রকাশিত করা যেত না।

পয়েন্ট ২ - ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদ এবং হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্টি দুইটি আলাদা সত্ত্বা। ভোগবাদী কিংবা অন্য কোন কারণে ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদ কে অপছন্দ করা যেতেই পারে। কিন্তু তাতে তার সৃষ্টির উপর কোন প্রভাব পরার কথা না। ব্যক্তি হুমায়ূন কে অপছন্দ করলেও তার লেখাকে অপছন্দ করার কোন যৌক্তিক কারণ হয়ত নেই!

পয়েন্ট ৩ - ' ঘেঁটু পুত্র কমলা ' নিয়ে অনেক অনেক মত পার্থক্য বিদ্যমান। আপনি বলেছেন ঘেঁটু পুত্র কমলা কি বাংলা সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রাখে কি না? সরি টু সে ঘেঁটু গান আমাদের বাংলা সংস্কৃতিরই একটা হারিয়ে যাওয়া অধ্যায়। ইতিহাস খুঁজে দেখুন এই বাংলায়ই ঘেঁটু গান ছিল। বাংলার পূর্বের জমিদাররা ঘেঁটু পুত্র রাখতেন। আর হুমায়ূন আহমেদ ঘেঁটু পুত্র কমলার মাধ্যমে সমকামিতাকে উৎসাহিত নয় বরং এর কুৎসিত রূপ তুলে ধরেছেন। একজন চলচিত্রকার হত্যা, ধর্ষণ , অনাচার দেখায় তা উৎসাহ দেয়ার জন্য নয়। বরং এর প্রতিকার করার জন্য।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪২

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: ধন্যবাদ যুক্তিভিত্তিক মন্তব্য করার জন্য...
আসলে তর্কের খাতিরে রেডিমেট ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায় বাট সত্যকে লুকানো যায় না।

১। বাহ চমৎকার কথা! সত্য গোপন রেখে সাহিত্যিক হওয়া যায় বটে কিন্তু প্রমথ চেীধুরী হওয়া যায়না। আদালত কেন এমনটি রায় দিলেন সেটা তো বললেন না? কার ইশারায় কিংবা? কাদের চাপে পড়ে তিনি নিরেট সত্যকে কাটিং করে দিলেন সেটারও তো ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম? তাছাড়া মহান সংসদে কারা‘ দেয়াল’র জন্য হুমায়ুন আহমেদকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছে তাদের কথাও তো বললেন না! অর্থাৎ চাপের কাছে তিনি সত্যকে বিসর্জন দিয়েছেন। নজরুলও তো জেল খেটেছেন তাই না?
২। ব্যক্তি ও তার সৃষ্টি নিয়ে আপনি মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন। ব্যক্তির মনোবৃত্তিই তো তার লেখার মূল উপজীব্য! বড় বড় লেখকদের লেখা ও ব্যক্তিসত্ত্বাকে মিলালেই স্পষ্ট দেখা যায়। আলটিমেটলি বুথ আর ইকুয়াল। দেখুন সালমান রুশদির সাটানিক ভার্সাস, হ্যারি পটার সিরিজ, শার্লক হোমস এমনকি তসলিমা নাসরিনের চটি বইগুলোতেও তো ব্যক্তি সত্ত্বার বাহাস লক্ষ করা যায়। কাজেই ব্যক্তি ও তার সৃষ্টির পার্থক্য অবান্তর!
৩। হাস্যকর! ২০০ বছরের পুরানো নোংরা কাহিনী নাকি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি? এই কাহিনী কি পলাশীর যুদ্ধের আগে না পরে? একটু খেল করুন যে ইতিহাস থেকে পজিটিভ কিছু শিখা যায়-সেটা প্রকাশ করাই তো প্রকৃত মননশীলদের কাজ! অার ঘেঁটুপুত্র থেকে কি শিখলেন বা উনি কি শিখাতে চাইলেন একটু বলবেন কি? তার চেয়ে বাসন্তী, ছুটি, পথের প্যাচালি, রক্তাক্ত প্রান্তর--থেকে কি অনেক কিছু শিখা যায়নি??

আমি কোন ধরনের সাহিত্য ও সাহিত্যিককে পছন্দ করি দেখুন তাদের লিস্ট (কাউসার আলম নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক স্ট্যাটাস ছিল)--

রবি ঠাকুর পোস্ট দিলেন,
"আমি হব সকাল বেলার পাখি/ সবার আগে কুসুমবাগে উঠব আমি ডাকি/ সূয্যি মামা জাগার আগে উঠব আমি জেগে/ হয়নি সকাল ঘুমু এখন মা বলবেন রেগে/ বলব আমি, আলসে মেয়ে ঘুমিয়ে তুমি থাকো/ হয়নি সকাল তাই বলে কি সকাল হবে নাকো?/
.
কাজী নজরুলের কুলি, যৌবনের গানসহ আরও অনেক....
কবি মদনমোহন তর্কালংকারের কমেন্ট: সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি/ সারাদিন যেন আমি ভালো হয়ে চলি/ আদেশ করেন যাহা মোর গুরু জনে/ আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে/... অথচ সকাল বেলা উঠেই আপনি মায়ের আদেশ অমান্য করলেন? ভেরি স্যাড!
.
কুসুমকুমারী দাশের কমেন্ট: আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে/ কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে/

.
রজনীকান্ত সেনের কমেন্ট: পাকা হোক তবু ভাই পরের বাসা/ নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা/... ভাই, অন্যের ভালো কবিতা নিজের নামে চালানোর চেয়ে নিজের লেখা মন্দ কবিতাই উত্তম!

.
ছদ্মবেশী কবির কমেন্ট: পাখি সব করে রব/ রাতি পোহাইলো/ কাননে কুসুম কলি/ সকলি ফুটিলো/ রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে/ শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে/

ফররুখ আহমদের কমেন্ট: রাত পোহাবার কত দেরি, পাঞ্জেরী?
.
মতিউর রহমান মল্লিকের কমেন্ট: পাখির গানে গানে আসে ভোর/ আজানের সুরে সুরে আসে ভোর/............../ আমার এই দেশ কত সুন্দর/ আমার এই দেশ কি যে মনোহর//



আমি আবারও বলছি--জনপ্রিয়তা এক জিনিস আর সমাজ, রাষ্টের প্রেক্ষাপটে সাহিত্য রচনা আরেক জিনিস।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমারও ওকে ভাল লাগে না| তবে আপনার ভাল না লাগার কারণগুলো বেশ হাস্যকর| ২ নংটা বেশ মানা যায়| আর সিনেমার ক্ষেত্রে হুআ কেউ নন| হি ইজ জাস্ট নো ওয়ান|
কোলডের মন্তব্য পড়ে হাসছি| পথের পাঁচালি যার মনে নেই, তার সাহিত্য এটলিস্ট বাঙলা সাহিত্যের কাছে থাকার অধিকার নেই

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫১

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: প্লিজ ‘দেয়ালটির প্রকৃত ঘটনা একটু কষ্ট করে পড়বেন--অনেক ঐতিহাসিক সত্যকে তিনি কেটে দিয়েছেন!!
আর কোলড ভাই বলেছেন, তিনি হুমায়ুন আহমেদের অনেক গল্প পড়েছেন কিন্তু মনে নেই! তবে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের প্যাঁচালি তার মনে আছে। আমার মনে হয় উনি ‍হুমায়ুন ও বিভূতিভূষণের মধ্যে একটা পার্থক্য করার চেষ্টা করেছেন। আর সিনেমাটা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে..চাইলে দেখতে পারুন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: @আরণ্যক রাখাল, সিনেমার ক্ষেত্রে হুমায়ূন আহমেদ জাস্ট নো ওয়ান!! সরি মানতে পারলাম না। স্বাধীন বাংলাদেশের সেরা দশটি চলচিত্র এর লিস্ট করতে গেলে এই হুমায়ূন আহমেদ এর " আগুনের পরশমণি " থাকবে। বাংলাদেশের সর্ব কালের সেরা চলচিত্র এর লিস্ট করলেও আগুনের পরশমণি থাকবে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চলচিত্র এর লিস্ট করলেও আগুনের পরশমণি থাকবে। চলচিত্র এর জন্যও হুমায়ূন আহমেদ কে নো ওয়ান বলা কখনো যাবে না।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৬

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: জনাব প্রবাসী পাঠক, আগুনের পরশমনি ভালো ঠিক আছে তবে ‘ওরা ১১ জন, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেট’ কে কিভাবে অস্বীকার করবেন??? এসব আরও আগের-----অর্থাৎ তিনিও গতানুগতিক ধারায় চলেছেন!!

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪০

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: পথের পাঁচালি যার মনে নেই, তার সাহিত্য এটলিস্ট বাঙলা সাহিত্যের কাছে থাকার অধিকার নেই
সহমত।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: কোলড ভাইয়ের মন্তব্যটা ভালো করে পড়ুন প্লিজ!

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বেশ হাস্যকর পোষ্ট এবং লেইম কিছু কারণ।

প্রথমেই আপনার পোষ্টের সমালোচনা করি। আফ্রিকার মানুষদের এলিয়েন বানিয়ে দিলেন। তা ভাই, এটা কি কোন ভাল কাজ হল? ওরা কি মানুষ নয়? কালো বলেই এলিয়েন? আর এলিয়েন কি আছে পৃথিবীতে? থাকলে আফ্রিকায় থাকবে কেন?

আপনার শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম ভাল যুক্তি সমাহার দেখব, কিন্তু এগুলো কী শুনালেন? এগুলো আপনার একটা মানুষকে অপছন্দের কারণ?

হ্যা দেয়ালটা নিয়ে কিছুটা কন্ট্রোভার্সারী রয়েছে, তাই বলে তার সাহিত্যকর্মের জন্য তাকে অপছন্দ করতে হবে?

২ নং পয়েন্টটার জন্য আমারও কিছুটা অপছন্দের তিনি। একে তো অমত ছিল আগের স্ত্রী ও সন্তানদের এবং দ্বিতীয় স্ত্রী ছিল তার মেয়েরই বান্ধবী। এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে এটার জন্য আমি উনাকে অপছন্দ করতে পারি, উনার মস্তিষ্কপ্রসুত সৃষ্টিকে। সৃজনশীল কিছু করাটা খুব সহজ কম্ম নয়। করে দেখেন, তাহলেই বুঝবেন।

৩ নং পয়েন্ট?
আপনার ইতিহাস নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করে ঐটার কথা বলা উচিৎ ছিল। সংস্কৃতির সাথে মিলে কিনা সেটা মিলিয়েই দেখুন।
আর চলচ্চিত্রে গত কয়েকবছরে একমাত্র দেখার মত চলচ্চিত্র উনারই। 'শ্যামল ছায়া'। আগুনের পরশমণির কথা আর না বলি।

আপনার পোষ্টে আপনার অজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে। না জেনেই লাফানো। এইটাকে বলে হুজুগের কাজ। আপনার মতের সাথে মিলল না, জনপ্রিয় কাউকে আপনি পছন্দ করছেন না কিন্তু অন্যরা করছে - তাই বলে তাদের সবাই হুজুগে হয়ে যায় নি।

আপনি অপছন্দ করতেই পারেন। আপনার নিজস্ব ইচ্ছে সেটা - কিন্তু ঐটাকে সবার সামনে তুলে ধরার আগে নিজের যুক্তিগুলোর উপর অটুট থাকতে হবে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৯

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: দেখুন সৌন্দর্য ও রূপক অর্থে আমি এলিয়েন শব্দটি ব্যবহার করেছি। কাউকে ছোট করার জন্য নয়। তাছাড়া হুমায়ুন আহমেদের অনেক বই-ই আমি পড়েছি হয়ত আরও পড়ব। আসলে আমার অবস্থানটি ছিল--তাকে কেন বাস্তবতার চেয়ে বড় করে দেখানো হচ্ছে? সেটা নিয়ে। আর ফররুখ আহমেদ-জসিমুদ্দিন-সুকান্ত ভট্টাচার্যকে তো প্রায়ই আমরা ভুলেে গিয়েছি। কেন তারা কি বাংলা সাহিত্যের গুরু নয়? তাদের কথা কেন মিডিয়া ফলোআপ করে প্রচার করেনা? খালি জন্মবার্ষিকী আর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রিন্ট মিডিয়ায় নামকাওয়াস্তে একটি কলাম!!!! সম্মান তো তারাই আগে পাবার যোগ্যতা রাখে তাই না?

ব্রাদার ২ নাম্বার পয়েন্টে আপনি যুক্তিখণ্ডন না করে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন!!
আর কেউ যদি ভালো লাগাকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রচার করতে পারে তাহলে বিপরীতটা কেন নয়??? এটাই বাকস্বাধীনতার সৌন্দর্য.।

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৯

দূর-পরবাসী বলেছেন: খালি কলসি বাজে বেশি, ম্যান !!!
হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে বলার আগে হুমায়ুনকে অধ্যয়ন করুন !!!!
আমরা ছোটলোক, কুপমন্ডুক বাঙ্গালি স্বভাবের বাংলাদেশীরা হুমায়ুনের ভিতরে প্রবেশ না করে আমাদের স্বভাবজাত কিছু নোংরামি দিয়ে তাকে বিচার করতে শিখেছি, তাকে পড়তে শিখি নি !!!!!
আর আরেকজনের ব্যাক্তিজীবন নিয়ে ঘাটাঘাটি না করে নিজের ব্যক্তিজীবন, চাওয়া-পাওয়া নিয়ে আমাদের আরো বেশী ভাবা উচিত !!! ভালো থাকুন !!!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৩

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: জনাব--আমি হুমায়ুন আহমেদের বই ও সিনেমার রেফারেন্স দিয়েছি! সেগুলো কি আসমান থেকে পড়ছে নাকি? নাকি পড়াশোনা করতে হয়েছে???

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

অর্থহীন পথচলা বলেছেন: ভাই আপনি বিরাট বড় সমালোচক ।

১ আপনি সমালোনা করেছেন লেখকের ব্যক্তিগত দিক থেকে । কোন সমালোচককে দেখি নি কারো কাজ নিয়ে লিখতে গিয়ে তার ব্যক্তিগত জিবঙ্কে টেনে এনেছে । এটা শুধুমাত্র হীনমানসিকতার পরিচয়
২ আপনি লিখেছেন দেয়াল নিয়ে । যেটা উনার শেষ লিখা । দেয়াল লিখে হুমায়ুন জনপ্রিয়তা পায়নি । তার আগে শতশত লিখা আছে সেগুলা নিয়ে কিছু বলেন ।
৩ ‘ ঘেটুপুত্র কমলা’ দিয়ে সমকামিতাকে ইঙ্গিত করেন নাই। সমকামিতার কুতসিত দিক তুলে ধরেছেন ।

একজন লেখক জীবনের শেষ কাজ দিয়ে মূল্যায়ন হয়না

হুমায়ুন নিজে লিখেছিলেন আমি লিখি আর চলচিত্র বানাই নিছক মানুষকে আনন্দ দেয়ার জন্য । বাঙ্গালী সবজায়গায় শিক্ষা খুজে তাই আজ শিক্ষার এই অবস্থা ।

হুমায়ুন গল্প উপন্যাস লিখেয়েছেন মানুষকে আনন্দ দেয়ার জন্য । শিক্ষার জন্য টেক্সট বই আছে

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: ভাইজান, পুথিগত বিদ্যার চেয়ে রামায়ন পড়াও অনেক ভালো!!! আর আজাইরা টেক্সট বই থেকে কি কি শিখছেন মেহেরবাণী করে একটু বলবেন কি?????

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: আরও দুটো পয়েন্ট যুক্ত করেছি প্লিজ পড়তে পারেন..। :(

১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২০

আমি স্বার্থপর বলেছেন: শুধু একটি কথাই বলার আছে অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর...!!!
আপনি দেয়াল পড়েছেন কিন্তু জোছনা ও জননীর গল্প, ১৯৭১, শ্যামল ছায়া নিশ্চই পড়েন নাই? শুধু দু'একটা লেখা দিয়ে হুমায়ূন আহমেদকে বিচার করা যাবে না। হাস্যকর কিছু যুক্তি দিয়ে অপছন্দের কারনগুলো উপস্হাপন করলেন, যদিও কাউকে পছন্দ অপছন্দ করা একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: জনাব আমি তো কিছু চাপিয়ে দেইনি! অনলি আমার অবস্থানটা ব্যাখ্যা করেছি। বিদ্যার গরিমা দেখাইনি ভাই। সেটার প্রশ্নই আসেনা। জোছনা ও জননী পড়িনি। ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য.......................দ্রুতই পড়ব।

আর আমার অবস্থানটা হুমায়ুন আহমেদের লেখার বিরুদ্ধে নয়। লেখ্য বিষয়বস্তুর প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদার উপর...........

১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ১/ হুমায়ুন আহমেদ এর দেয়াল একটি উপন্যাস মাত্র। হুমায়ুন আহমেদ ইতিহাস নিয়ে ইতিহাসের বই লিখেন নি। আর দেয়াল এ শেখ রাসেল এর মৃত্যু বর্ণনা অংশ পরিবর্তন করেছেন। সেটা থাকলেও কি এমন আহামরি ইতিহাস চর্বণ করা হত আমার অন্তত বুঝে আসে না। দেয়াল কোন ইতিহাসের রেফারেন্স বই না, যে এখানে ইতিহাস চর্চা করতে হবে। দেয়াল এর যে অংশ বাদ দেয়া হয়েছে তার মধ্যে ইতিহাসের নিরেট (!) সত্য কি ছিল এক্তু উল্লেখ করেন তো প্লিজ। হুমায়ুন আহমেদ হিমু নিয়ে লেখা দ্বিতীয় বই এ লিখেছিলেন ' আগে জাজ সাহেবরা ঘুষ খেতে না, এখন অনেক জাজ সাহেবরা বোয়াল মাছের মত হা করে থাকেন ঘুষ খাওয়ার জন্য' এই লাইনের জন্য তার বিরুদ্ধে কেস হয়েছিল। কিন্তু তিনি সে বক্তব্য থেকে সরে আসেন নি। সেই কেস এখনো পেন্ডিং আছে। তিনি কাপুরুষ ছিলেন না। দেয়াল নিয়ে যখন বিতর্ক শুরু হয় এবং আদালতে যায় তখন তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। স্বভাবতই তার মানসিক দৃঢ়তা ছিল অনেক কম সেই সময়। তাই হয়ত তিনি চাপের মুখে নতি স্বীকার করেছেন। সাহিত্যিক হয়েও তিনি চেষ্টা করেছেন। যারা ইতিহাস বিদ তারা নিজেরা কি করেছে? কেন হুমায়ুন আহ্মেদের দিকেই আঙ্গুল তুলে নিজেদের অথর্বতা ঢাকায় ব্যস্ত।


২/ হা হাহা। অইত্যাধিক ভালো বলছেন। ব্যাক্তিসত্তা আর সৃষ্টি আলাদা না! হুমায়ুন আহমেদ এর দ্বিতীয় বিবাহের পর জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প লিখেছেন। একটু বলেন তো এখানে উনার সাহিত্যের কি অশুচি হয়েছে। আপনি দেখলাম কি ধরনের সাহিত্য ভালো বাসেন লিখলেন। সেটা দেখে তো কনফিউজ হয়ে গেলাম। আপনার নিজের কথার সাথে তো নিজেই কন্ট্রাডিক্ট করছেন। হুমায়ুন আহমেদ দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন বলে উনি নিকৃষ্ট হয়ে গেছেন। কিন্তু নজরুল আবার পছন্দের এটা কেমনে সম্ভব। নজরুল বিবাহের রাতে তার স্ত্রীকে ফেলে চলে এসেছিলেন, তা কি ভুলে গেলেন? এমন একটা কাজ করার পর নজরুল তো আপনার যুক্তিতে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার মত লোক। নজরুলকে কিভাবে পছন্দ করলেন একটু খোলাসা করে বলুন। তারপর আবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও আপনার প্রিয়। আরও কনফিউসড করে দিলেন। ব্রিটিশ রাজ এর জমিদার বাবু আপনার পছন্দ কেন? আপনার যুক্তিতে তো এই লোক সামন্তবাদি। একে তো মানুষের কাতারেই রাখা যায় না, কবি তো দুরের কথা।

৩/ লাল সালু পড়ে আপনি কি বুঝতে পারছেন একটু বলবেন কি? এখানে কি ভন্ড পীর দের উতসাহ দেয়া হয়েছে নাকি এর কুৎসিত রুপ দেখিয়ে সচেতন করা হয়েছে? কৃষ্ণ কান্তের উইল এ কি পরকিয়া কে উৎসাহিত করা হয়েছে? জহির রায়হানের হাজার বছর ধরে তে কি পরকিয়া উৎসাহিত করা হয়েছে? এই উত্তরগুলো একটু দিবেন প্লিজ। তাহলে ঘেঁটু পুত্র কমলা আসলে কি দেখিয়েছে তা বলতে আমার সুবিধা হবে। আপনার উত্তর থেকে আঁচ করতে পারব আসলে এগুলো থেকে আপনি কি শিখলেন। তখন আমার উত্তর সেই পর্যায়ে দিতে পারব। ইতিহাসে শুধু পজিটিভ দিক নেই সেখানে নেগেটিভ দিকও আছে। পজিটিভ নেগেটিভ দুই দিকই উন্মোচন করা উচিৎ। আপনি কোনটা থেকে কি শিক্ষা নিবেন তা আপনার ব্যাপার। এক সময় বাংলায় জমিদারী প্রথা ছিল। তার ভালো মন্দ দুইটা দিকই ছিল। সেই সময়ের মন্দ দিক ইচ্ছা করলেই লুকিয়ে রাখা যাবে না।

হাঙ্গর নদী গ্রেনেড কে উপেক্ষা করা হয় নি। বরং বলেছি সেরা দশ তালিকা করলে সেখানে এই নিকৃষ্ট হুমায়ুন আহমেদ এর একটা সৃষ্টি স্থান পাবে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: ১
...তিনি কাপুরুষ ছিলেন না।
..তাই হয়ত তিনি চাপের মুখে নতি স্বীকার করেছেন।
একই ব্যক্তির দুই রূপ প্রকাশ করলেন??? প্রবাসী ভাই, আমার অবস্থানটা হয় আমি ক্লিয়ার করতে পারিনি নতুবা আপনি ঠিকমতো বুঝেননি। দেখুন দেয়ালে তিনি কি লিখেছেন আর বাদ দিয়েছেন সেটা তো মূখ্য বিষয় নয়! বিষয়টা হচ্ছে-সত্যকে আগলে রাখতে তার নীতিগত অবস্থান কি আসলে সুবিধাবাদী নাকি দৃঢ়চেতা???
ইতিহাসবিদরা কি করেছে? আগে কেউ করেনি কেন? কেন পূর্বসূরীরা করে গেল না? এসব তো ছেলেখেলা প্রশ্ন!! বিষয়টি হচ্ছে ভিন্নতা দেখানো ও রাষ্ট্রীয়-সামাজিক দায়বদ্ধতার অবস্থান থেকে কে কেমন লিখল সেটাই গ্রহনযোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারে। আর এই ধরনের লেখাগুলোকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা করি এবং করব। সে যে-ই হোক।

২। নি:সন্দেহে ভালো একটি পয়েন্ট ধরেছেন। তবে একটু আগ বাড়িয়ে চিন্তা করাও উচিত ছিল। এর আগে বলুন নজরুল কি বিয়ে করতে গিয়েছিল নাকি পর্দার আড়ালে তার সৃষ্টিকর্মে ঈর্ষানিত হয়ে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছিল????? নজরুল পরিস্থিতির শিকার আর জনাব হুমায়ুন আহমেদ দিনের দুপুরে মেয়ের বান্ধবী ও তার সিনেমার নায়িকাকে জীবনের নায়িকা বানিয়ে নিলেন???? বলুন না কে তাকে চাপ দিয়েছে??? নজরুলে প্রেক্ষাপট আর হুমায়ুন আহমেদের প্রেক্ষাপট আলাদা...

৩। জহির রায়হান তার হাজার বছর ধরে উপন্যাসে তার সময়কালীন সামাজিক অসঙ্গতিকে তুলে ধরেছেন তেমনি লাল সালু ও কৃষ্ণকান্তের উইলেও স্ব স্ব লেখকের সময়কালীন নেভেটিভ দিক ছিল! কিন্তু ঘেঁটুপুত্র কমলা কি হুমায়ুন আহমেদের সময়কালীন??????????

আমার ৪ ও ৫ নাম্বার পয়েন্ট দ্বয়ের ব্যাখ্যাও চাই...........................
তর্ক করি আর যাই করি আপনার অবস্থানটি চমৎকার। ধন্যবাদ--প্রবাসী পাঠক ভাই
সামনে পরীক্ষা তাই চাপে আছি। উত্তর দিতে পারব কিনা জানি না। তবে সময় পেলে আপনার সাথে আরও কথা বলব।

১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


কারণ?
কারণ, আপনি হুমায়ুন আহমেদ থেকে ভালো লেখেন

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: ব্লগে মন্তব্যের জন্য নোবেল প্রাইজ থাকলে আমি সুনিশ্চিত আপনিই পাবেন! টেনশন নিয়েন না!!! পাইলেও পেয়ে যেতে পারেন! আমাকে ভাগ দেয়া লাগবে না!!!

১৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:

ওহ, আপনার ঘোড়া রোগ হতে পারে।

১৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: জ্বী, হুমায়ুন আহমেদকে আপনার মত গুটীকয়েক মানুষ পছন্দ না করলেও কোটি কোটী মানুষ করতেছে। সেটা সস্তা ডায়লগের জন্যই হোক আর যে কারনেই হোক। আলটীমেটোলী জনপ্রিয়তাই শেষ কথা আর এখানেই উনার জীবনের স্বার্থকতা। কয়জন উনাকে পছন্দ করলোনা এতে উনার কিংবা উনার ভক্তদের কিছু আসবে যাবেনা।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: আবেগ কন্ট্রোল করা উচিত..............

১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

চাঁনপুইরা বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব মনে হয় মধ্যবিত্ত বাঙালীর মানসিকতা্র সঠিক উপলব্ধি। ওনার বেশীর ভাগ লেখারই মুল উপজীব্য এই মধ্যবিত্ত , আর যার ফলেই সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এক নতুন পাঠক শ্রেণী। এর জন্য নিঃসন্দেহেই উনি কৃতিত্তের যোগ্য। আর লেখক বা সাহিত্যিকের লেখনী মানুসের জীবন যাত্রায় বা সমাজ ব্যবস্থার উপর কতটুকু প্রভাব বিস্তার করল তা বিশ্লেষণের বিষয়টা ৫/১০ বছর খুব অল্প সময়। এর জন্য আর সময়ের প্রয়োজন।
ব্যক্তি জীবন বা কর্ম জীবনে দ্বিমুখী আচরন কম বেশী বেশীর ভাগ মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান। ব্যক্তি হুমায়ূন ও এর বাইরে নয়। আবারও বলছি , হুমায়ূন আহমেদের বড় কৃতিত্বই হল মধ্যবিত্ত বাঙালীর জীবন যাপন আর সুখ দুঃখের পাঁচালি বেশীর পাঠকের বোধগম্য সোজা সরল ভাষায় লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরা। বিশেষ করে একাধিক লেখনীতে আমাদের বাঙ্গালী সমাজ ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে স্বামী, স্ত্রী এবং সন্তানাদি সহ পারিবারিক জীবনে স্বামী বা স্ত্রী যে কোন একজনের স্খলিত পদক্ষেপ (একান্তই ব্যক্তি সুখের নিমিত্তে) সেই পরিবারে কি ধরনের বিপর্যয় নিয়ে আসে তা যে ভাবে ব্যক্ত হয়েছে, সত্যি ই তা হৃদয় স্পর্শী। আর উনি এভাবে আমার মত পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করতে পেরেছেন বলেই “হুমায়ূন আহমেদ “ হতে পেরেছেন।
তো, ব্যক্তিসত্তা আর লেখকসত্তা ভিন্ন হতে পারে কারো মধ্যে, কিন্তু ভিন্নতার বিষয়টা এমন হওয়া বাঞ্ছনীয় নয় যা প্রবল ভাবে সমালোচনার জন্ম দেয়- যেমন একজন নারি ও শিশু অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারি ব্যক্তি যদি হয় নিজ সন্তানদের প্রতি প্রচণ্ড দায়িত্বহীন আর স্ত্রী নির্যাতন কারি। আর এ জন্যই হুমায়ূন আহমেদের এই দ্বিমুখী আচরন তথা ভণ্ডামির আমি একজন প্রবল সমালোচক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.