নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রেণী - মধ্যবিত্ত

১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

অনুসরণ বা অনুকরনের ক্ষেত্রে আমরা কিছু যুক্তি ব্যবহার করি । আর যাকে আমরা অনুসরণ করি সেই কিন্তু নেতৃত্বের দাবিদার । আমি একজন মন্দ লোক হলেও আমার সন্তান বা কোন প্রিয় মানুষকে আমরা একজন সৎ ও স্বাভাবিক মানুষকে অনুসরণ করতে বলি ।



আমার একটা জরিপ ছিল , সমাজের নেতৃত্ব দেয় কোন শ্রেণী ? উত্তরে ৪ টি শ্রেণী উল্লেখ ছিল । এক নজরে শ্রেণীগুলোর বিন্যাস করছি ,



রাজনীতিবিদ - সমাজে এদের অবস্থান আসলে কোথায় ? মানুষ বহু আগেই এদের বর্জন করেছে । সমাজে এদের জন্য যা আছে তা হল ভয় ও ঘৃণা ।





বুদ্ধিজীবী - এদের মধ্যে আবার নানান শ্রেণী রয়েছে যেমন -



দালাল শ্রেণী - এই শ্রেণীটি জ্ঞানপাপী । যারা বিভিন্ন দল ও দালালি ব্যবসা ভালো বুঝলে ভিন্ন দেশের দালালি করে । সমাজ তাদেরকে আদর করে ডাকে , শালা ।



আস্তিক / নাস্তিক - এইগুলা অবস্থা বুইঝা ব্যবস্থা নেয় ।



আরও শ্রেণী আছে বললে পাণ্ডুলিপি হবে । তারপর উহা না পরিয়া আমার মুখে মারা হবে ।



এত বুদ্ধির বাজারে জনতা আসল মাল খুঁজে পায়না । জাতির প্রশ্ন , বুদ্ধিজীবী কে ?





উচ্চবিত্ত - এই শ্রেণীর সাথে আরেকটি শ্রেণী যোগ করতে চাই "নিম্নবিত্ত"। সমাজের যত অসামাজিক কার্যকলাপ , অসুস্থতা , অসংলগ্নতা এই দুই শ্রেণীতে শুরু ও সর্বাধিক । পূর্ব উল্লেখিত জীবাণু গুলোর জন্ম ও বিস্তার এই দুই শ্রেণীর দ্বারাই । উদাহরন - সংবাদ মাধ্যম ।



মধ্যবিত্ত - আমার মতে , সমাজের নেতৃত্ব দানকারী । এই শ্রেণীটি নিতান্তই সাধারণ । যাদের মাঝে অস্বাভাবিকতা নাই । কারণ এর জন্য যা প্রয়োজন তা তাদের নেই । যদি একটু খেয়াল করি ,



# সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ে তোলা



# পারবারিক বন্ধন অটুট রাখার চেষ্টা করা



# বিভিন্ন সামাজিক নিয়ম বা অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ



এই শ্রেণীর মধ্যেই বেশি দেখা যায় । আজকের সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দিকে যদি তাকাই , ধরি



সচিবালয় - আজকের যারা সচিব বা উপ- সচিব তারা শতকরা ৯০ ভাগ এই শ্রেণী থেকে এসেছে । আর এর ৮০ ভাগ মফস্বলের পরিবারগুলো থেকে ।



ঠিক এভাবে বিচার বিভাগ , শিক্ষা , চিকিৎসা , আইনশৃঙ্খলা সব ক্ষেত্রে এই শ্রেণী থেকেই আসা মানুষ ।



কারণ , উচ্চবিত্তরা তাদের জীবন নিয়ে এত বেশি নিশ্চিন্ত থাকে এর নিম্নবিত্ত এত বেশি অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে যে এর থেকে বের হয়ে কিছু করা তদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব । আর যারা পারে আসলেই তারা অসাধারণ । উচ্চবিত্তের উৎসব থার্টি ফার্স্ট আর মধ্যবিত্তের পহেলা বৈশাখ ।



এছাড়া , ২১ শে ফেব্রুয়ারি , ১৬ই ডিসেম্বর , বইমেলা এই ধরনের স্থান ও দিন গুলোতে যে মানুষগুলো দেখা যায় । তাদের উপর একটা জরিপ চালালে আমার এই দাবির শতভাগ সত্যতা পাওয়া যাবে ।



মধ্যবিত্তরা শতভাগ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করে । আর তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই সমাজের সুস্থতার প্রতীক । সে জন্যই স্বাভাবিক নিয়মেই তারা অনুকরণীয় । ফলে নেতৃত্বের স্থান তাদেরই ।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: মধ্যবিত্ত কে শ্রেণী বলবো না মানসিকতা বলবো?

১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

সরকার পায়েল বলেছেন: ধন্যবাদ । জটিল প্রশ্ন । আমি শ্রেণী বলব । আর মানসিকতা নির্ভর করে শ্রেণী ভেদের উপর। কারণ একই মানুষ মধ্য বিত্ত থেকে উচ্চ বিত্ত হলে বা নিম্ন বিত্ত হলে তার মানসিকতা পরিবর্তন হবে ।

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৯

আরিফ রুবেল বলেছেন: মজা পেলাম পোস্ট পড়ে। বিশেষ করে সম্পূর্ণ বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গীর লেখা হওয়ায় একটু বেশি বলা যায়। আমি মনে করি মধ্যবিত্তরা আসলে সমাজের সবচেয়ে সুবিধাবাদী শ্রেণী। সে সব সময় চেষ্টায় থাকে কিভাবে সমাজের আরো একটু উপরের স্তরে যাবে আবার একই সময়ে তার ভয় থাকে নিচের স্তরে ফেরত যাওয়ার। তার স্থির কোন অবস্থান নাই।

আবার একই সাথে যে দুই শ্রেণির মানুষকে আপনি দোষারোপ করলেন তাদের মধ্যে তারাই এখানে অভিযুক্ত হতে পারে যারাই অসৎ উপায়ে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চ মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তে পরিণত হয়েছে। স্ট্যাটাস বজায় রাখার স্বার্থে তারা আরো বেশি হিংস্র হয়ে যায়। আর নিম্নবিত্তদের মধ্যে তারাই যারা অসৎ উপায়ে স্বল্প সময়ে অবস্থার বদল ঘটিয়ে উচু স্তরে উঠতে চায়।

ভালো খারাপ সব স্তরেই থাকে। সব পেশাতেই সৎ অসৎ থাকে, কখনও কম, কখনও বেশি। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিন্তার লাগামটা যখনই মধ্যবিত্তের হাতে গিয়েছে তখনই আমাদের একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। সেটা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বলেন একাত্তরে দেশ স্বাধীন হওয়া বলেন বা নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন বলেন।

এই কারনে যেমন মধ্যবিত্তকে বাহবা দেয়া যায় একই সাথে দোষারোপ করা যায়। কারণ বার বার যে উদ্দেশ্যে বদলতা শুরু হয় সেটা একটা সময় পরে মিইয়ে গেছে। যে যার আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়েছে এবং অবস্থার বিপ্লব ঘটিয়ে উচ্চবিত্তে রূপান্তরিত হয়েছে।

কাজেই মধ্যবিত্ত বার বার নেতৃত্ব দিলেও তার দোদুল্যমান অবস্থার কারনেই বার বার হোঁচট খেয়েছে। এর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে শাহবাগ আন্দোলন এবং শুধুমাত্র মধ্যবিত্তের নিয়ন্ত্রনে না থাকায় হেফাজতের তথাকথিত নাস্তিকতা বিরোধী আন্দোলন এত সফল।

১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০

সরকার পায়েল বলেছেন: প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি । কারণ এই ধরনের রসহীন পোস্ট খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে কেউ দেখেনা পরিসংখ্যান তাই বলে । হয়ত এসবের গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন কেউ মনে করেনা । আমার মত কিছু সমাজের বেকুব এসব নিয়ে জাবর কাটে।

যাই হোক আপনার মন্তব্য খুব স্বচ্ছ বিশ্লেষণ সন্দেহ নেই ।কিন্তু কিছু বিষয় আমি একমত নই । মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চ বিত্তে যাওয়াটা আপনি দোষারোপ করেছেন । কিন্তু মানুষ ভালো সচ্ছল থাকতে চাইবে এতে দোষের কিছু নেই । ভালো থাকার চেষ্টা থাকবেই । কিন্তু এর মাঝেও কিছু নৈতিক বিষয় আছে যেগুলো অবস্থা প্রেক্ষাপতের কারণেই উচ্চ/ নিম্ন বিত্তের মাঝে নেই । আমি ব্যখ্যা করেছি ।

একটা জায়গায় ভুল করেছেন আপনি বলেছেন , তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিন্তার লাগামটা যখনই মধ্যবিত্তের হাতে গিয়েছে তখনই আমাদের একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে।

পৃথিবীর সব জায়গায় সব সময় জাতির চিন্তার লাগাম অনুভূতির মূল জায়গাটি হচ্ছে মধ্যবিত্ত । আমার মতে এটি প্রাকৃতিক ভাবেই । কিন্তু কেন তা আরও গবেষণার বিষয় । আমার মনে হয় একটি উল্লেখযোগ্য কারণ , পৃথিবীর সব দেশেই মধ্যবিত্ত সংখ্যাগুরু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.