নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার ভারত-কানাডার - খালিস্তান দক্ষিণ এশিয়া রাজনীতির নয়া মেরুকরণ

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১:৩০

কানাডাপ্রবাসী শিখ নেতা ও দেশটির নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিকদের বহিষ্কারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে কানাডা এবং ভারতের মধ্যে। সোম ও মঙ্গলবার কানাডা তার ভারতীয় দূতাবাস থেকে ৬ জন ভারত তার কানাডীয় দূতাবাস থেকে ৬ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।

বহিষ্কৃতদের সবাই দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিক। দুই দেশের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারও রয়েছেন এ তালিকায়। টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে টানাপোড়েন এবং তারপর কিছুদিন স্থিতাবস্থা চলার পর অনেকটা আকস্মিকভাবেই এ পদক্ষেপ নিলো ২ দেশের সরকার l

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে ভারতীয় র শিখ নেতা পান্নু হত্যার চেষ্টা করেছে l

কানাডার সাথে কূটনৈতিক সমস্যা অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও সমস্যা l এখন যার চূড়ান্ত রূপ নিলো l এতদিন আড়ালে থাকলেও এখন বিষয়টি সামনে চলে এলো হয়ত যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কূটনীতিক বহিষ্কার হতে পারে l

খালিস্তান শিখদের স্বাধীনতার দাবী এটি এখন দক্ষিণ এশিয়া রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে l এতদিন ভারতের উপর ভর করেই আমেরিকা এখানে মাতবরী করেছে কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে তা হয়ত আর সম্ভব না l আমেরিকান ব্লকের সাথে টানাপোড়েন অর্থ চীন রাশিয়া ব্লকের ঘনিষ্ঠ হওয়া l যদিও ইতিমধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার জ্বালানি অবরোধের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ভারত তেল গ্যাস কিনেছে রাশিয়া থেকে এটি আমেরিকা ভালো ভাবে নেয়নি l যদিও ভারত তাতে কেয়ার করেনি l

অন্যদিকে বাংলাদেশের সম্প্রতি আমেরিকা বিরোধী শেখ হাসিনা সরকার পতন হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত l যা আমেরিকান ব্লকের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ l খালিস্তান নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি যদি ভারত চীন এক হয়ে যায় তাহলে আমেরিকার দক্ষিণ এশিয়ায় টিকে থাকায় মুশকিল হয়ে পরবে কারন দক্ষিণ এশিয়াতে আমেরিকার আর তেমন কোন বন্ধু এখন অবশিষ্ট নেই l ফলে আমেরিকা সমর্থত যে কোন দল বা সরকারের জন্য সামনে দুর্দিন বোঝাই যায় l

আরও পরিষ্কার হবে এ মাসের ২২-২৪ ব্রিকস সম্মেলনের ঘোষণা থেকে l এই সম্মেলনা ডলার চ্যালেঞ্জ করে নতুন মুদ্রা আনতে যাচ্ছে ব্রিকস সেই সাথে সুইফট এর বিকল্প লেনদেন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে ব্রিকস ভুক্ত অঞ্চল ডলার ছাড়াই ভিন্ন মুদ্রা ও বিনিময় ব্যবস্থার মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবে l শেখ হাসিনা সরকারের পতনের অন্যতম কারনগুলোর মধ্যে একটি ছিল ভারত এবং চীনের সাথে আঞ্চলিক মুদ্রায় লেনদেন শুরু করা l অর্থাৎ বাংলাদেশ ডলার পাশ কাটিয়ে অন্য মুদ্রায় ব্যবসা শুরু করেছিল ছোট্ট একটি দেশ এত বড় দুঃসাহস আমেরিকার সহ্য করা কঠিন l যাই হোক ব্রিকসভুক্ত অঞ্চলগুলোর একটি চিত্র নিম্নরূপ :
সম্মিলিতভাবে, BRICS সদস্যরা বিশ্বের ভূমি পৃষ্ঠের প্রায় 30% এবং বিশ্ব জনসংখ্যার 45% অন্তর্ভুক্ত করে। দক্ষিণ আফ্রিকা আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতি যেখানে ব্রাজিল, ভারত এবং চীন জনসংখ্যা , এলাকা , এবং মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এবং ক্রয় ক্ষমতার সমতা দ্বারা বিশ্বের দশটি বৃহত্তম দেশের মধ্যে রয়েছে । পাঁচটি প্রাথমিক সদস্য রাষ্ট্রই G20- এর সদস্য , যার সম্মিলিত জিডিপি US$28 ট্রিলিয়ন ( মোট বিশ্ব উৎপাদনের প্রায় 27% ), মোট GDP (PPP) প্রায় US$57 ট্রিলিয়ন (বৈশ্বিক GDP PPP-এর 33%) , এবং সম্মিলিত বৈদেশিক রিজার্ভের আনুমানিক US$4.5 ট্রিলিয়ন (2018 সালের হিসাবে)। - সূত্র উইকিপিডিয়া

ধীরে ধীরে ডলার ব্যবহার সীমিত এবং ডলার নির্ভরতা শুন্যের কোঠায় আনাই যার উদ্দেশ্য l

সবকিছু মিলিয়ে ন্যাটো ব্লক / আমেরিকান ব্লক যাই বলি না কেন এদের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ দিনে দিনে বাড়ছে সেই সাথে ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরাইল হিজবুল্লাহ ইরান যুদ্ধ, সম্ভাব্য কোরিয়া যুদ্ধ, তাইওয়ান যুদ্ধ ন্যাটোকে প্রায় দিশেহারা করে ফেলবে l সন্দেহ নাই পশ্চিমা ব্লকের সামনে কঠিন দুর্দিন যা থেকে বের হওয়ার পথ এখনও বের করা সম্ভব হয়নি l

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৫:১৫

আহরণ বলেছেন: এটি আসলে ট্রুডোর স্টানবাজি। ট্রুডোর নড়বড়ে মাইনোরিটি সরকার আসন্ন নির্বাচনে নতুন ইমিগ্রেন্টদের ভোট বাজীমাত করার জন্য এই চালাকিটা করেছে। এই ইস্যু ট্রুডোর লিবারেল পার্টির জন্য হিতে বিপরীত হয়েছে। ভাইয়া?

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৫:৩৭

এনামেল হউক বলেছেন: ভারতের চামচা হাজির। As usual, মিথ্যার ভাণ্ডার নিয়ে আসছে। রোসো, এবার ভারতের ভাঁড়দের কানাডা থেকে বিতারণ শুরু হলো বলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.