নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক অপরাজিতা। কোন বাঁধাই আমার চলার পথে বাঁধা হয়ে থাকেনা। সব বাঁধা কে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই হচ্ছে আমার জীবনের মূলমন্ত্র

শারলিন

শারলিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের মেয়েদের ঈদ

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মেয়েদের ঈদ উৎযাপনের ধরণ পাল্টে যায়। একটা সময় পর্যন্ত মেয়েরা বাবা মায়ের সাথে পরম আনন্দে ঈদ কাটালেও বিয়ের পরে মেয়েদের কে সব প্রিয় মানুষগুলো ছেড়ে অন্য এক নতুন পরিবেশে নতুন মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে হয়। এটা যেমন এক নতুন অভিজ্ঞতা তেমন এক না বলা চাপা কষ্ট। কারন ছোট বেলা থেকে বিয়ের আগ পর্যন্ত একটা বড় সময় মেয়েরা থাকে বাবা মায়ের কাছে, এখানে তাদের থাকে হাজারও স্মৃতি। আমার মনে হয় সব মেয়েরাই এই কষ্ট টা চরমভাবে অনুভব করে। চির চেনা পরিবেশ ছেড়ে তাকে তখন খাপ খাইয়ে নিতে নতুন এক পরিবেশের সাথে। সব মেয়রাই চেষ্টা করে নিজের মত করে মানিয়ে নিতে। কেউ পারে আবার কেউ পারেনা। তবে ঈদের আগে সবার মনের মধ্যে একটা কথাই বারবার ঘুরে ফিরে আসে আর তা হল আমি যদি আমার বাবা মায়ের সাথে ঈদ টা করতে পারতাম। বুকের মধ্যে সব কষ্ট চেপে রেখে মেয়েরা হাসি মুখে শ্বশুর বাড়ির সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেয়।
আসলেই কি পারে তারা????
বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী মেয়েরা শ্বশুর বাড়ি ঈদ করবে এটাই নিয়ম। শাশুড়িরা ভাবা তো দুরের কথা কল্পনাও করতে পারেন না যে তাদের বউমা বাপের বাড়ি ঈদ করবে। মেয়েরা বউ হয়ে যেয়ে সংস্কৃতির এই অদ্ভুত নিয়মের কাছে নিজেদের সমস্ত ইচ্ছাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে এই নিয়ম পালটানোর। শাশুড়িদের না আমি শুধু শাশুড়িদের কথা বলবনা সবার ই এ কথা বোঝা উচিৎ যে ঈদ মানে আনন্দ। আর এই আনন্দের দিনে কেউ যেন মনে কষ্ট নিয়ে না থাকে। এক্ষেত্রে স্বামীরা সবচেয়ে গুরু দায়িত্ব পালন করতে পারেন তারাই পারেন তাদের পরিবারের গুরুজন দের কে বোঝাতে। আমি বলছিনা মেয়েরা প্রতিটা ঈদ বাপের বাড়ি কাটাক। আমি শুধু বলছি এটা যে একটা ঈদ বাপের বাড়ি হোক আর একটা ঈদ শ্বশুর বাড়ি হোক। আমার মনে হয় শাশুড়িদের বঝালে তারা বুঝবেন কেননা তারাও তো কন এক সময় এই কষ্ট টা পেয়েছেন।
আমি জানি সংস্কৃতি এখন অনেক বদলেছে। অনেক মেয়েই এখন বাপের বাড়ি ঈদ করতে যাওয়ার অনুমতি পায় কিন্তু সেই সংখ্যা অনেক কম। বেশীরভাগ মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে জানা যাবে তাদের বিয়ের অনেক বছর কেটে গেলেও এখনও তারা বাপের বারিতে ঈদ করার অনুমতি টুকু পাননি, কেউ কেউ হয়ত বলবেন তাদের স্বামী তাদেরকে কথা দিয়েছেন কোন একটা ঈদ বাপের বাড়ি করার জন্য চেষ্টা করবেন।
আমার আজকের এই লেখার একটাই উদ্দেশ্য আর তা হল আমার লেখে পরে একজন মানুষও যদি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.