নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক অপরাজিতা। কোন বাঁধাই আমার চলার পথে বাঁধা হয়ে থাকেনা। সব বাঁধা কে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই হচ্ছে আমার জীবনের মূলমন্ত্র

শারলিন

শারলিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী তোমার মনের খবর কেউ রাখে না...............

১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

নারী নির্যাতন শব্দ টা শুনলে কেমন যেন একটা আতঙ্ক এসে মনের মধ্যে ভর করে। মনে হয় আবার কোন বোন বা মেয়ের সর্বনাশ হল। এই নারী নির্যাতন বাংলাদেশের ঐতিহ্য এর সাথে এমনভাবে মিশে গেছে যে আমরা সবাই এর অন্তর্নিহিত অর্থ সম্পর্কে জানি। আর জানি বলেই এই শব্দ টা শোনার সাথে সাথে আমরা সবাই চমকে উঠি। নারী নির্যাতন অতীতে ছিল বর্তমানে আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে এই নির্যাতনের ধরন গুলো সময়ের সাথে সাথে পাল্টাচ্ছে। আবার সমাজের শ্রেণী অনুযায়ী ও আলাদা হয় নির্যাতন। শিক্ষিত ও অশিক্ষিত দের মধ্যেও পার্থাক্য হয় নির্যাতনের।
কোথাও দেখা যায় শাশুড়ি সরাসারি বউ মা এর উপর নির্যাতন চালান আবার কোথাও দেখা যায় শাশুড়ি নিজে পর্দার আড়ালে থেকে ছেলের দ্বারা তার মনোবাসনা পূর্ণ করেন। আর এক্ষেত্রে যদি ছেলেরা মায়ের অন্ধ ভক্ত হন তাইলে তো সেই বউয়ের বিবাহিত জীবন নরকে পরিণীত হয়।
এক সময় নারী নির্যাতন বলতে আমরা শারীরিক নির্যাতন কে বুঝলেও সময়ের সাথে সাথে এই শারীরিক নির্যাতনের সাথে আর এক ধরনের নির্যাতন যুক্ত হয়েছে যার কথা আমরা অনেকেই ভেবে দেখি না। আর সেটা হল মানসিক নির্যাতন। মানসিক ভাবে একটা মেয়েকে দিনের পর দিন অনেক বেশি কষ্ট পেতে হয় যা বাইরে থেকে বোঝা বা অনুভব করা যায় না। অশিক্ষিত মহলে শারীরিক নির্যাতন বেশি হলেও শিক্ষিত মহলে মানসিক নির্যাতনটাই বেশি হয়। যা আপাতত একটা মেয়েকে দেখলে বোঝা যায় না। এমন মেয়ে খুজে পাওয়া কঠিন যে তার বিবাহিত জীবনে মানসিক নির্যাতনের শিকার হননি। কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তারা কষ্ট গুলো বুকের মধ্যে চেপে রেখে মুখে হাসি নিয়ে সংসার ধর্ম করে যান নীরবে। কেউ কেউ হয়ত বা মুখ খোলেন। যিনি এই সাহস টুকু দেখান তিনি হয়ে যান বেয়াদব কিংবা খারাপ মেয়ে। আর এই মানসিক নির্যাতন এর হার যৌথ পরিবারে বেশী।
সময় যত যাচ্ছে মানসিক নির্যাতনও তত বাড়ছে। যার পরিণতি হিসেবে প্রতিদিনই সুমি সালমা দের মত অনেকেই আত্যহত্যার মত কঠিন পথ বেছে নিচ্ছে। কেন তারা এই কঠিনতম কাজ টা করছে তা যদি আমরা একটু চিন্তা করি তাহলে দেখব বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। আমি জানিনা এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? কি করলে শাশুড়ি কিংবা শ্বশুর বাড়ির লোকজন কিংবা স্বামী রা মেয়েদের উপর থেকে এই নির্যাতন বন্ধ করবেন। শাশুড়িরা কি একবার ভেবে দেখতে পারেন না যে তাদের মেয়ের সাথে এমন তা হলে তাদের কি ভাল লাগবে? স্বামীরা কি একবার ভাবতে পারেননা যে তাদের বোনের সাথে এমন টা হলে কি তারা সহ্য করতে পারবেন?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.