নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক অপরাজিতা। কোন বাঁধাই আমার চলার পথে বাঁধা হয়ে থাকেনা। সব বাঁধা কে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই হচ্ছে আমার জীবনের মূলমন্ত্র

শারলিন

শারলিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়ের শিক্ষা ই পারে সমাজকে সুখী সংসার উপহার দিতে

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

নেপোলিয়ন বলেছিলেন আমাকে একটা শিক্ষিত মা দেও আমি একটি শিক্ষিত জাতি দিব। যদিও আজকের আমার লেখা জাতিকে নিয়ে নয় সংসার জীবন কে নিয়ে তারপরও আমি বলব নেপোলিয়নের এই কথা চন্দ্র সূর্য এর মতই সত্যি।
একটি সন্তানের প্রথম শিক্ষক হচ্ছে তার মা। আর প্রথম স্কুল হচ্ছে তার পরিবার। এখান থেকে একটু একটু করে ছেলে মেয়েরা তাদের শিক্ষা জীবনের সূচনা করে থাকে। আর এই শিক্ষাই তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য ভিত্তি তৈরি করে। এখান থেকে সে যা শিখে তাই পরবর্তীতে তার সংসার জীবনে কাজে লাগায়।

সন্তান ছেলে হোক মেয়ে হোক তাকে প্রধান শিক্ষা দিয়ে থাকেন মা। মা যদি তার মেয়ে কে ছোট বেলা থেকে এই শিক্ষা দেয় যে জীবনে শুধু পড়াশুনা করে বড় হলে হবে না ভাল মানুষ ও হতে হবে। আর মেয়েদের জীবনের একটা চরম সত্যি হচ্ছে তাকে একদিন বিয়ে করে অন্য এক নতুন জগতে প্রবেশ করতে হয়। এই নতুন জগতের নতুন মানুষ গুলোকে তাকে ভালবাসতে হবে, সম্মান করতে হবে। বাবা মায়ের দুঃখে যেমন সে কাতর হয় শ্বশুর শাশুড়ি এর দুঃখেও তেমনি ভাবতে হবে। তাদের পাশে থাকতে হবে, সবাইকে ভালবেসে সবাইকে সাথে নিয়ে থাকতে হবে। সংসারে নানা রকমের ঝামেলা থাকবে তার মধ্যে থেকে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে সবকিছু কে মোকাবিলা করতে হবে। ক্ষমাশীল হতে হবে। জিদ নয় বুদ্ধি দিয়ে সংসার পরিচালনা করতে হবে। মায়ের এই শিক্ষা থাকলে মেয়েরা যে যেখানে যেই পজিশনে ই থাকুক না কেন নিজের শিক্ষা দিয়ে কর্মজীবন ও সংসার জীবন দুটোতেই সফল হবে।

মেয়েদের মত ছেলেদের কেও একদিন বিয়ে করতে হয়, সংসার করতে হয়। এখানেও মায়ের শিক্ষা বড় শিক্ষা। যে শিক্ষা পারে সংসার জীবন কে সুখী করতে। মা যদি মেয়েদের মত ছেলেদের কেও ছোট বেলা থেকে এই শিক্ষা দেয় যে জীবনে সে যেই অবস্থানে থাকুক না কেন তাকে মেয়েদেরকে সম্মান করতে হবে, ঘরের বউ কে বউ নয় একজন মেয়ে হিসেবে সম্মান করতে হবে। কোন ছেলেই তার মায়ের অসম্মান সহ্য করতে পারেনা। মায়ের প্রতি তার মনে যে শ্রদ্ধাবোধ আছে বউ এর প্রতিও তার সেরকম অনুভুতি থাকতে হবে। মা তার সংসার জীবনে এসে কিছু ক্ষেত্রে সম্মান কিছু ক্ষেত্রে ভালবাসা পাবেন এই আশা নিয়ে সংসার শুরু করেছিলেন। কখনও সেগুলো পেয়েছেন কখনও সেগুলো পান নি। সেই পাওয়া না পাওয়ার হিসেব না করে একজন মেয়ে বা নারী বা মানুষ হিসেবে তিনি যা পাওয়া উচিৎ পা পেতে চেয়েছিলেন সেগুলো ছেলেকে পজিটিভ ভাবে বলতে হবে। ছেলে যেন সেই ধরনের সম্মান বউ কে দেয়। কেননা ছেলেরা কখনও মায়ের শিক্ষা কে ভুলে যান না। মা যদি তার ছেলেকে বউ এর প্রতি সম্মান দেখাতে শেখান, ছেলে তার বউ কে অবশ্যই সম্মান করবে।

আমাদের দেশে ছেলেমেয়েরা এখন আর পিছিয়ে নেই তারা তাদের নিজ নিজ যায়গায়, নিজেদের কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষায় সবখানে সফলতার প্রমান দিয়েছে। কিন্তু সংসার জীবনে এখনও অনেক অসফলতার দৃষ্টান্ত রয়ে গেছে। আর তার কারন হল এই ক্ষেত্রে মা কিংবা পরিবার তাদের কে সঠিক শিক্ষা তা এখনও পর্যাপ্ত পরিমানে দিয়ে উঠতে পারেন নি। তাই তো এখনও অনেক সংসার শুরুর আগেই ভেংগে যাচ্ছে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

বিজন রয় বলেছেন: সহমত।
লেখাটি ভাল হয়েছে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

শারলিন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

আরজু পনি বলেছেন:

সংসার জীবনে এখনও অনেক অসফলতার দৃষ্টান্ত রয়ে গেছে। আর তার কারন হল এই ক্ষেত্রে মা কিংবা পরিবার তাদের কে সঠিক শিক্ষা তা এখনও পর্যাপ্ত পরিমানে দিয়ে উঠতে পারেন নি।
ভালো লাগলো কথাগুলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.