![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেক মুসলামানদের কর্তব্য হলো সওয়াবের কাজ করা। যে কোন ভালো কাজের মাধ্যমে নেকী অর্জন করা যায়। আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করতে হলে দুনিয়াতে থাকাকালীন নেকী অর্জন করতে হবে।তবে দুনিয়ার মানুষ দুনিয়ার জিনিস নিয়ে ব্যস্ত থাকে।আখিরাতের সঞ্চয়ের জন্য চিন্তা করে না।অথচ আল্লাহ নেকী অর্জন করলে আখিরাতে উত্তম পুরষ্কার দান করবেন। যে কোন ভালো কাজই হচ্ছে নামাজ, রোযা, হজ্জ্ব, দান ও সদকাহ ইত্যাদি।। এইসব কাজ করলে দুনিয়াতে অর্জন করলে আখিরাতে অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে এবং আল্লাহ আমাদের উত্তম পুরষ্কার দান করবেন। তবে মন্দ কাজ করলে ঐ মন্দ কাজ টুকুই আমলনামায় লিখা হয়। আর ভালো কাজ করলে সাতশগুণ পর্যন্ত সওয়াব লিখা হয়।
হাদীসের মাধ্যমে একটি গল্প বলা যায়, রাকিব ও সাকিব ওরা খুব ভালো বন্ধু। ওরা বন্ধু হলেও রাকিব খুব ধার্মিক এবং সাকিব ধার্মিক নয়। রাকিব সাকিবকে ইসলামের পথে আনার অনেক চেষ্টা করছিল তবে সে সাকিবকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি। সাকিব অনেক মদ পান করতো, নামাজ পড়তো না, রমজানের ঠিকমত রোযা রাখতে রাখতো না, দান -সদকাহ করতো না। অপরদিকে রাকিব নামাজ পড়ে, রমযানের রোযা রাখে, গরীব -দুঃখীদের সাহায্যের ব্যাবস্থা করে। একদিন রাকিব সাকিবকে বলেছিল বন্ধু তুই মদ পান করা ছেড়ে দিয়ে ইসালামের পথে ফিরে আয়, আখিরাতের জন্য সঞ্চয় কর তাহলে আল্লাহ আখিরাতে উত্তম পুরষ্কার দান করবেন। আর মন্দ কাজ করলে আমলনামায় মন্দ টুকুই লিখা হয়। সাকিব রাকিব বললো তোকে এত আমাকে উপদেশ দিতে হবে না। আমাকে আমার মতো থাকতে দে। অপরদিকে সাকিব আর কথা বাড়ালো না। একদিন রাকিব রোড এক্সসিডেন্টে মারা যায়। সেই ভালো বন্ধুর শোকে সাকিব একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়ে। বন্ধুর শোকে একদিন সাকিব ভুল বুঝতে পারলো সে আখিরাতের জন্য কিছুই সঞ্চয় করে নাই এবং আরও চিন্তা করলো মৃত্যুর সাথে তো শুধু তার আমল গুলা যায় সাথে আর কিছুই যায় না কবরে। তারপর সাকিব মদ পান করা ছেড়ে দিল। ইসলামের পথে ফিরে আসল। সাকিব নামাজ পড়া শুরু করলো, রমযানের রোযা রাখা শুরু করল, গরীব দুঃখীদের সাহায্যের ব্যবস্থা করল। এক সময় সাকিবও মারা গেল শুধু রেখে গেল তার আমল গুলো। হাদীস এসেছে, "তোমাদের মধ্যে কেউ যখন উত্তমরূপে উপর কায়েম থাকে তখন সে যেন নেক আমল করে তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে সাতশগুন পর্যন্ত (সওয়াব) লেখা হয়। আর সে মন্দ কাজ করে তার প্রত্যকটির বিনিময়ে তার জন্য ঠিক ততটুকুই মন্দ লেখা হয়। বুখারী শরীফ হাদীস নং ৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
উপরোক্ত বিষয় থেকে বলা যায়, আমাদের সকলকে আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করতে হবে।বেশি বেশি নেকী অর্জন করতে হবে।
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৩
ফাতেমা মান্নান বলেছেন: অবশ্যই নেকি অর্জন করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৮
যোখার সারনায়েভ বলেছেন: নিঃসন্দেহে বেশি নেকি অর্জন করতে হবে!