ফ্রান্সের ড্রেইফুস, বাংলাদেশের জিয়াউর রহমান

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

পরবিারটি ছলি ইহুদ।ব্যক্তির নাম আলফ্রডে ড্রেইফুস; পিতা রাফায়লে ড্রেইফুস এবং মা জেনেট লিবমেন। ফ্রান্স বা ফরাসি দেশের একটি প্রদেশ বা অঞ্চলরে নাম ছলি আলসেস-লোরেইন। এখানে ৯ অক্টোবর ১৮৫৯ সালে আলফ্রেড ড্রেইফুস জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৭০-৭১ সালে তৎকালীন র্জামানি ফরাসি দেশের আলসসে-লোরেইন অঞ্চল যখন দখল করে নেয়, তখন এই পরিবারটি তাদের গ্রামরে বাড়ি ছেড়ে প্যারিস শহরে বসতি স্থাপন করে। আলফ্রেড ড্রেইফুস, মিলিটারি পলিটেকনিক স্কুলে দুই বছর প্রীক্ষনের পর ১৮৮০ সালে ফরাসি সেনাবাহিনীতে সাব লেফটেন্যান্ট র‌্যাংকে একজন অফিসার হিসেবে চাকরি শুরু করনে। অতঃপর ১৮৮০ থেকে ১৮৮২ দুই বছর ফনটইেনব্লু নামক স্থানে অবস্থতি ফরাসি সনোবাহনিীর র্আটলিারি (গোলন্দাজ বাহনিীর) স্কুলে প্রশণি ননে। ১৮৮৫ সালে লফেটন্যোন্ট এবং ১৮৮৯ সালে ক্যাপটনে র‌্যাংকে পদোন্নতি পান। মে ১৮৯১ থকেে এপ্রলি ১৮৯৩ র্পযন্ত ফরাসি সামরকি বাহনিীর ওয়ার কলেজের ছাত্র ছিলেন। এরপর তাকে ফরাসি সামরকি বাহনিীর জনোরলে স্টাফ হডে-কোর্য়াটারে একজন স্টাফ অফসিার হসিবেে নযিুক্ত করা হয়। ১৮৯৪ সালে ওই সদর দফতরে কাউন্টার ইন্টলেজিন্সে সকেশনরে প্রধান ছলিনে ল.ে র্কনলে সান্ধহরে। তনিি ‘আবষ্কিার’ করনে য,ে ফরাসি সনোবাহনিীর র্আটলিারি কোররে কছিু তথ্য পাশরে রাষ্ট্র র্জামানরি গোয়ন্দোদরে কাছে পৌঁছে যাচ্ছ।ে তথ্য প্রদানকারী হসিবেে অনকে ব্যক্তকিে সন্দহে করা হলওে, সান্ধহরেরে অর্পযাপ্ত তদন্ত,ে ক্যাপ্টনে আলফ্রডে ড্রইেফুসকে অভযিুক্ত করা হয়। ড্রইেফুসকে গ্রফেতাররে তারখি ১৫ অক্টোবর ১৮৯৪। অতঃপর র্কোট র্মাশাল বচিারে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দয়ো হয়। দণ্ড দয়োর তারখি ৫ জানুয়ারি ১৮৯৫। ফরাসি দশেরে রাজধানী প্যারসি মহানগরীতে অবস্থতি বশ্বিবখ্যিাত সামরকি প্রশণিালয় ইকোলমেলিটিয়োরে তথা মলিটিারি স্কুলরে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ,ে সামরকি রওেয়াজ অনুযায়ী ক্যাপটনে ড্রইেফুসরে কাঁধ থকেে তার সামরকি র‌্যাংকরে চহ্নিগুলো আনুষ্ঠানকিভাবে অপসারণ করা হয়। অতঃপর তাকে আটলান্টকি মহাসাগররে অপর পারে ফ্রঞ্চে গয়িানা নামক উপনবিশেরে ডভেলিস আইল্যান্ড দ্বীপে নর্বিাসতি করা হয়।



আগস্ট ১৮৯৬ সালে ফরাসি সনোবাহনিীর জনোরলে স্টাফ হডে কোর্য়াটারে সামরকি গোয়ন্দোপ্রধান ল.ে র্কনলে র্জজসে পকর্িাট আবষ্কিার করনে য,ে আলোচ্য গুপ্তচরবৃত্তরি কাজটি ক্যাপ্টনে ড্রইেফুস করনেনি বরং করছেনে অন্য একজন মজের, যার নাম র্ফাডন্যিান্ড ওয়ালসনি ইস্তারহজে।ি গোয়ন্দোপ্রধান ল.ে র্কনলে পকর্িাটরে উপরস্থ র্কমর্কতারা ড্রইেফুসরে প্রতি বরিূপ মনোভাব পোষণরে কারণ,ে পকর্িাট র্কতৃক উপস্থাপতি তথ্যগুলোকে আমলে ননেন।ি উপরন্তু তারা তথ্যগুলোকে ধামাচাপা দয়োর ব্যবস্থা করনে। তারা ল.ে র্কনলে পকর্িাটকে উত্তর আফ্রকিা তউিনসিয়িার ফরাসি উপনবিশেরে দণািংশে মরু অঞ্চলে পোস্টংি বা র্কমে নযিুক্ত করনে। অধকিন্তু কাউন্টার ইন্টলেজিন্সে র্কমকাণ্ডে নযিুক্ত হুর্বাট-জোসফে হনেরি নামে এক অফসিার র্কতৃক প্রস্তুতকৃত ভুয়া কাগজপত্ররে মাধ্যমে ক্যাপটনে আলফ্রডে ড্রইেফুসকে আরো অধকিভাবে দোষী সাব্যস্তকরত আরো ১০ বছররে সাজা দয়ো হয়।



সামরকি র্কতৃপ যে আলফ্রডে ড্রইেফুসকে মথ্যিার ওপর ভত্তিি করে অভযিুক্ত করছেনে এবং শাস্তি দয়িছেনে এবং সম্ভাব্য সত্য উদঘাটনকারী স্যামূলক বক্তব্য বা দললি-দস্তাবজে ধামাচাপা দচ্ছিনে, এই কথা ক্রমে ক্রমে ফরাসি দশেরে মানুষরে মধ্যে প্রচারতি হতে থাক।ে ১৮৯৮ সালরে জানুয়ারি মাসে বশ্বিবখ্যিাত ফরাসি লখেক এমলিি জোলা র্কতৃক পত্রকিায় একটি খোলা চঠিি লখো হয় ফরাসি প্রসেডিন্টেকে উদ্দশে কর।ে ওই সময় ফরাসি প্রসেডিন্টেরে নাম ছলি ফলেকিস ফউর। ফরাসি ভাষায় লখিতি চঠিটিরি শরিোনাম ছলি ‘আমি অভযিোগ করতিছে’ি। চঠিটিি প্রকাশতি হয়ছেলি লা’অরোর নামক পত্রকিায়, ১৩ জানুয়ারি ১৮৯৮ সাল।ে বুিব্ধ ও রাগান্বতি সরকারি র্কতৃপ এমলিি জোলার বরিুদ্ধে সরকার বরিোধতিা, রাষ্ট্রদ্রোহতিা ও মানহানরি অভযিোগ এন,ে তাকে বচিাররে মুখোমুখি করনে। বচিারে এমলিি জোলার শাস্তি হয়। শাস্তরি তারখি ২৩ ফব্রে“য়ারি ১৮৯৮। শাস্তি এড়াতে এমলিি জোলা পাশরে রাজ্য ব্রটিনেে (তথা ইংল্যান্ড)ে আশ্রয় গ্রহণ করনে; যদওি এক বছর পর তনিি নজি দশেে ফরেত আসনে। কন্তিু এর মধ্যইে এমলিি জোলার চঠিি প্রকাশরে পর থকেে ক্রমান্বয়ে তৎকালীন ফরাসি সরকাররে ওপর চাপ বৃদ্ধি পতেে থাক,ে যনে ক্যাপটনে ড্রইেফুসরে বষিয়টি পুনরায় উন্মুক্ত করা হয় এবং র্পযালোচনা করা হয়।



১৮৯৯ সালে ড্রইেফুসকে ফ্রঞ্চেগয়িানা থকেে ফরেত আনা হয়। তাকে পুনরায় বচিার করার জন্য আদালতরে সামনে আনা হয়। সইে সময় ফরাসি মডিয়িায় এবং জনগণরে মুখে মুখে বষিয়টি অত্যন্ত জোরালোভাবে আলোচতি হতে থাক।ে বস্তুত ফরাসি শতিি বা ইন্টলেকেচুয়াল (আঁতলে) সমাজ দ্বধিাবভিক্ত হয়ে পড়ছেলি। ড্রইেফুসরে সততা ও নর্দিােষতিার পে সোচ্চার ছলিনে অনকে গুরুত্বর্পূণ ব্যক্তি যথা আনাতোলে ফ্রাঞ্চ, হনেরি পোয়নেকার এবং র্জজ কমেনেসউি। অপর পে ক্যাপটনে ড্রইেফুসরে ওপরে উত্তরোত্তর অভযিোগকারীদরে মধ্যে ছলিনে হুর্বাট জোসফে হনেরি এবং এডুর্য়াড ড্রুমোন্ট প্রমুখ।







র্দীঘ তদন্ত, পুনঃতদন্ত বা র্পযালোচনা ও পুনঃর্পযালোচনা ইত্যাদি শষেে ক্যাপটনে আলফ্রডে ড্রইেফুসরে বরিুদ্ধে আনীত সব অভযিোগ এবং স্যা-প্রমাণ মথ্যিা বলে প্রমাণতি হয়ছেলি। তখন র্অথাৎ ১৮৯৯ সাল,ে তাকে তৎকালীন ফরাসি প্রসেডিন্টে এমলিি লোবতে র্সাবকি মা প্রদানকরত বন্দী অবস্থা থকেে মুক্তরি আদশে দনে। কন্তিু ওই বছরই তাকে পুনরায় বচিাররে সম্মুখীন করা হয় এবং ভুয়া বা ভুল স্ােযর ওপর ভত্তিি করে তাকে পুনরায় রাষ্ট্রদ্রোহী সাব্যস্ত করা হয়। সইে সময় র্অথাৎ যখন তাকে মুক্তি দয়ো হয়ছেলি তখন ড্রইেফুস যে কথাটা বলছেলিনে ইংরজেি ও বাংলায় উদ্ধৃত করছ।ি ‘দি গর্ভনমন্টে অব দি রপিাবলকি হ্যাজ গভিনে মি ব্যাক মাই ফ্রডিম। ইট ইজ নাথংি ফর মি উইদাউট মাই অনার’। র্অথাৎ ‘প্রজাতন্ত্ররে সরকার আমাকে মুক্তি দয়িছেনে কন্তিু আমার সম্মান ফরেত দনেন;ি সম্মান ব্যতীত মুক্তরি কোনো মূল্য নইে আমার কাছ’ে। ওই রূপ পরপ্েিরেতি বা প্রোপট,ে সরকার র্কতৃক গঠতি একটি সামরকি কমশিন, আইনানুগভাবে আলফ্রডে ড্রইেফুসকে সব অভযিোগ হতে রহোই দনে এবং তাকে সম্মানতি করার সুপারশি করনে; তারখি ১২ জুলাই ১৯০৬। অতঃপর ১৩ জুলাই ১৯০৬, মজের র‌্যাংকে প্রমোশন দয়ি,ে ফরাসি সনোবাহনিীতে পুর্নবাসতি বা পুর্ননযিুক্ত করা হয়। এক সপ্তাহ পর, তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানতি করা হয় : ‘নাইট অব দি লজিয়িন অব অনার’ উপাধতি।ে কন্তিু ডভেলিস আইল্যান্ডে নর্বিাসতি থাকার সময়ে স্বাস্থ্যরে ওপর যে ধকল গয়িছেলি, সটো থকেে ড্রইেফুস র্পূণভাবে নজিকেে উদ্ধার করতে পারনেন।ি তাই তনিি ব্যক্তগিত আবদেনকরত চাকরি থকেে ১৯০৭ সালে অবসরে যান। ১৯০৮ সালে বখ্যিাত লখেক এমলিি জোলা মৃত্যুবরণ করনে এবং এমলিি জোলার শষেকৃত অনুষ্ঠানে একজন ব্যক্তি বন্দুকরে গুলি দয়িে মজের ড্রইেফুসকে হত্যা করতে চষ্টো করনে কন্তিু বফিল হন।



১৯১৪ সালে প্রথম বশ্বিযুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন ড্রইেফুস নজিে নজিইে সনোবাহনিীতে যোগ দনে এবং বভিন্নি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করনে। তনিি ল.ে র্কনলে র‌্যাংকে প্রমোশন পান। ১৯১৮ সালরে নভম্বের মাসে তনিি ‘অফসিার দ্য লা লজিয়িন দ্য অনার’ উপাধতিে ভূষতি হন। একই সময়ে ড্রইেফুসরে পুত্র পয়িরেে ড্রইেফুস নজিওে ফরাসি সনোবাহনিীর র্আটলিারি কোর বা গোলন্দাজ বাহনিীর একজন অফসিার হসিবেে যুদ্ধরত থাকনে এবং সাহসকিতার জন্য ‘ক্রোকস দ্য গউির’ে উপাধি পান। ১২ জুলাই ১৯৩৫ (সরকার র্কতৃক সম্মান ফরেত দয়োর ২৯ বছর পর) প্যারসি মহানগরীতে ৭৫ বছর বয়সে তনিি মৃত্যুবরণ করনে। ১০০ বছর পর, ফরাসি দশেে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে পুনঃ সম্মানতি করার শতর্বষ উদযাপন করা হয়। ওই সময় ফরাসি দশেরে প্রসেডিন্টে ছলিনে জ্যাক শরিাক। ১২ জুলাই ২০০৬ সালরে ওই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠতি হয়ছেলি : ইকোলমেলিটিয়োর বা মলিটিারি স্কুলরে ওই উন্মুক্ত অঙ্গনে যখোনে তাকে দণ্ড দয়োর সময় তার কাঁধরে থকেে র‌্যাংক অপসারণ করা হয়ছেলি। ওই অনুষ্ঠানে প্রসেডিন্টে জ্যাক শরিাকরে বক্তব্য ছলি ‘ঞযব পড়সনধঃ ধমধরহংঃ ঃযব ফধৎশ ভড়ৎপবং ড়ভ রহঃড়ষষবৎধহপব ধহফ যধঃব রং হবাবৎ ফবভরহরঃবাবষু ড়হবৃউৎবুভঁং ধংি ধহ বীবসঢ়ষধৎু ড়ভভরপবৎ ধহফ ধ ঢ়ধঃৎরড়ঃ যড়ি ঢ়ধংংরড়হধঃবষু ষড়াবফ ঋৎধহপব’. এই ইংরজেি বাক্যরে র্মম ফরাসি দশেরে জন্য সত্য ছলি, সটো বাংলাদশেওে বহুলাংশে প্রযোজ্য।







দুই



কলামরে দ্বতিীয় অংশে আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জয়িাউর রহমান বীর উত্তমকে নয়িে লখিব। এই কলামরে ওপররে অংশে ফ্রান্সরে জাতীয় বীর ড্রইেফুস সর্ম্পকে লখিছে।ি ড্রইেফুসরে সম্মান হরণ করার জন্য একদল লোক যমেন তৎপর ছলি, তমেনি অন্য একদল লোক সর্তক ও সচতেন ছলি ড্রইেফুসরে সম্মানকে রা করার জন্য অথবা পুনরুদ্ধার করার জন্য। আমার এই মুর্হূতরে অনুভূতি হচ্ছে গত চার-পাঁট বছর যাবৎ বাংলাদশেে এক দল লোক উঠপেড়ে লগেছেনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জয়িাউর রহমানরে সম্মানকে ধূলস্মিাৎ করার জন্য। এই সম্মানকে রা করার দায়ত্বি ও র্কমটি উপযুক্তভাবে বা লণীয়ভাবে পালতি হচ্ছে না বলে আমার মনে হয়।



বাংলাদশেরে জন্মরে ইতহিাস, জন্মরে যুদ্ধ ইত্যাদরি সঙ্গে অনকে মহান ব্যক্তত্বিই জড়তি। স্থান অভাবে সবার নাম নচ্ছিি না শুধু ঘটনাগুলো বলছ।ি ১৯৪৮ সাল থকেে শুরু করে ১৯৫২ সালে শষে হওয়া ভাষা আন্দোলন, ১৯৬০-৬১ ও ৬২ সালে সামরকি শাসক আইয়ুবরে শািনীতরি বরিুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফার আন্দোলন, ১৯৬৮-৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বরিুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৯ সালরে ছাত্র ও গণ-আন্দোলন এবং ১৯৭১-এর র্মাচ মাসরে সাংবধিানকি স্বায়ত্তশাসনরে অনুকূলে আন্দোলন ইত্যাদি উল্লখেযোগ্য। ১৯৪৮ সাল থকেে নয়িে ১৯৭১ সালরে র্মাচ মাসরে ১ তারখি সময়কে আমরা, এখন পছেনরে দকিে তাকয়ি,ে অভহিতি করতে পারি মুক্তযিুদ্ধ বা স্বাধীনতাযুদ্ধরে প্রস্তুতকিাল বল।ে ১৯৭১ এর র্মাচ মাসরে ১ তারখি থকেে ২৫ তারখি র্পযন্ত ছলি চূড়ান্ত প্রস্তুত,ি যুগপৎ সাংবাধকিভাবে পাকস্তিানকে রা এবং বাঙালি জাতরি জন্য স্বায়ত্তশাসন আদায়রে সংগ্রাম। ১৯৭১ সালরে র্মাচ মাসরে ২৫ তারখি দবিাগত রাত ১২টার পর যখন ২৬ র্মাচ শুরু হয়ে যায় সইে প্রহর থকেে বাংলাদশেরে মুক্তযিুদ্ধ শুরু। এই মুক্তযিুদ্ধরে ময়োদ ১৯৭১ সালরে ১৬ ডসিম্বের অপরাহ্ণ ৫টা র্পযন্ত।



মুক্তযিুদ্ধরে প্রস্তুতকিালরে নায়ক ও মহানায়করো এবং জাতীয় বীরগণরে তালকিা র্দীঘ। অনকেরে নাম নয়োই উচতি। শুধু স্থান অভাবইে এবং প্রতীকী র্অথে কয়কেজনরে নাম নচ্ছি।ি যথা : মজলুম জননতো মওলানা আবদুল হামদি খান ভাসানী, শরেবোংলা এ কে ফজলুল হক, সরিাজুল আলম খান, বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমান, আমনো বগেম, তাজউদ্দীন আহমদ, তোফায়লে আহমদে, আ স ম আবদুর রব, শাজাহান সরিাজ, নূরে আলম সদ্দিকিী, আবদুল কুদ্দুস মাখন, রাশদে খান মনেন প্রমুখ। প্রস্তুতরি আসল মুক্তযিুদ্ধ শুরু হয়। সইে আসল মুক্তযিুদ্ধরে মহানায়ক ও নায়করো এবং জাতীয় বীরদরে তালকিা র্দীঘ। প্রতীকী র্অথে কয়কেজনরে নাম নচ্ছি।ি সয়ৈদ নজরুল ইসলাম, সয়ৈদ তাজউদ্দীন আহমদ, কামরুজ্জামান, খোন্দকার মোশতাক আহমদ, ক্যাপ্টনে মনসুর আলী, র্কনলে (পরে জনোরলে) আতাউল গণি ওসমানী, সক্টের কমান্ডার জয়িাউর রহমান, সক্টের কমান্ডার শফউিল্লাহ, সক্টের কমান্ডার রফকিুল ইসলাম, সক্টের কমান্ডার মীর শওকত আলী, সক্টের কমান্ডার চত্তিরঞ্জন দত্ত, সক্টের কমান্ডার খালদে মোশাররফ, সক্টের কমান্ডার এ এন এম নুরুজ্জামান, সক্টের কমান্ডার কাজী নুরুজ্জামান, সক্টের কমান্ডার আবু তাহরে, সক্টের কমান্ডার আবুল মঞ্জুর, সক্টের কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরী, সক্টের কমান্ডার হামদিুল্লাহ খান, সক্টের কমান্ডার এম এ জললি, সক্টের কমান্ডার এ টি এম হায়দার প্রমুখ। মুজবিনগর তথা কলকাতা মহানগরে অবস্থান করে কছিুসংখ্যক জ্যষ্ঠে রাজনীতবিদিগণ যমেন রাষ্ট্র পরচিালনায় ব্যস্ত ছলিনে, যুদ্ধ পরচিালনায় ব্যস্ত ছলিনে, তমেনি বাংলাদশেব্যাপী রণাঙ্গনে প্রায় দুই লাখ সশস্ত্র মুক্তযিোদ্ধা শত্র“র বরিুদ্ধে যুদ্ধে ব্যস্ত ছলিনে। আমি কোনো সক্টের কমান্ডারকে বড় বা ছোট মনে না কর,ে যথষ্টে সম্মান জানয়িে বলতে চাই য,ে তাদরে অবদানরে মধ্যওে পরপ্রিতেগিত তফাত ছলি। সক্টের কমান্ডাররা ব্যতীত তথা সশস্ত্র মুক্তযিোদ্ধারা ব্যতীত মুক্তযিুদ্ধ কল্পনা করা যায় না এবং মুক্তযিুদ্ধরে সাফল্য অকল্পনীয়। কন্তিু রাজনীতবিদিগণরে মধ্যে ‘ক’ না থাকলে ‘খ’ রাজনীতবিদি নতেৃত্ব দতিনে এটাই বাস্তব। সাম্প্রতকি কালে সশস্ত্র মুক্তযিোদ্ধাগণকে অবমূল্যায়ন করার প্রবণতা দৃষ্টকিটু হয়ে উঠছে।ে বশিষে করে সশস্ত্র মুক্তযিোদ্ধা বীর উত্তম খতোবপ্রাপ্ত সক্টের কমান্ডার, র্ফোস কমান্ডার জয়িাউর রহমানকে অবমূল্যায়ন করার প্রবণতা, একটি মহলরে কাছে প্রতযিোগতিার এবং পুণ্য র্অজনরে বষিয়রে মতো প্রয়ি হয়ে উঠছে।ে এটা কোনো অবস্থাতইে গ্রহণযোগ্য নয় এবং পরহিারযোগ্য ও প্রয়োজনে কঠোর প্রতবিাদযোগ্য।



জয়িাউর রহমান কনে অবমূল্যায়ন ও কটূক্তরি বষিয়বস্তুৃএটা একটা প্রশ্ন। ১৯৭৫ সালরে আগস্ট মাসে ১৫ তারখিে বঙ্গবন্ধু নহিত হয়ছেলিনে বাংলাদশে সনোবাহনিীর একদল বদ্রিোহী অফসিার ও সনৈকিরে হাত।ে যারা এ কাজ করছেলিনে তারা যহেতেু উপরস্থ র্কতৃপরে বা চইেন অব কমান্ড মোতাবকে র্কমর্কতাদরে অনুমতি নয়িে করনেনি সহেতেু এটা বদ্রিোহ। যসেব ওপরস্থ র্কমর্কতা এটাকে দমন করতে পারনেনি বা ঘটনা ঘটার আগে নবিৃত্ত করতে পারনেনি তারা র্ব্যথতার দায়ে দায়ী। যসেব গোয়ন্দো র্কমর্কতা সাত দনি আগে তো দূররে কথা, এক ঘণ্টা আগে দূররে কথা, সাত মনিটি আগওে কউে কাউকে সর্তক করতে পারনেনি তারা র্ব্যথতার দায়ে দায়ী। ওই সব র্ব্যথ ব্যক্তি এখন প্রধানমন্ত্রীর ঘনষ্ঠি বলয়রে সদস্য। যহেতেু একদল সনো র্কমর্কতা বদ্রিোহ করছেলিনে, তাদরে শৃঙ্খলার বলয়ে ফরিয়িে আনার নমিত্তিে অথবা তাদরে বঙ্গভবন থকেে অবস্থানচ্যুত করে নজিদেরে মতায় আসীন করার নমিত্তিে ৩ নভম্বের ১৯৭৫-এ ব্রগিডেয়িার খালদে মোশাররফরে নতেৃত্বে আরকেটি বদ্রিোহ হয়। এই বদ্রিোহ চার দনি স্থায়ী হয়। এই চার দনিরে মধ্যে সাড়ে তনি দনি বাংলাদশেে কোনো সরকার ছলি না।



১৫ আগস্ট ও ৩ নভম্বেররে ঘটনায় উদ্বগ্নি হয়ে বা প্ররোচতি হয়,ে তৎকালীন জাতীয় সমাজতান্ত্রকি দল আগুন নয়িে একটি খলোয় নমেছেলি অফসিার হত্যা করো, সনৈকিদরে রাজত্ব কায়মে করো ইত্যাদি দাবনিামা নয়ি।ে সনোবাহনিীর আইন ও বাংলাদশেে প্রচলতি আইন ভঙ্গ কর,ে সনৈকিদরে মধ্যে একটি গোপন রাজনতৈকি সংগঠন গড়ে তোলা হয়ছেলি, যার নাম ছলি গোপন সনৈকি সংস্থা (বস্তিারতি ববিরণ আমার লখো বই ‘মশ্রি কথন’ অধ্যায়-৬ পৃষ্ঠা ১৪৬ দ্রষ্টব্য)। ওই সময় জাসদরে নতেৃত্বে ছলিনে সক্টের কমান্ডার মজের এম এ জললি, আ স ম আবদুর রব, সক্টের কমান্ডার র্কনলে তাহরে বীর উত্তম, হাসানুল হক ইনু প্রমুখ। ১৯৭৫-এর নভম্বেররে ৬ তারখি দবিাগত রাতে বাংলাদশে সনোবাহনিীতে কী হয়ছেলি এটা আজকরে তরুণ প্রজন্ম বা চল্লশি-পঞ্চাশ বছর বয়স্কদরেও বোঝা কঠনি। বাংলাদশে নামক রাষ্ট্র চরম বর্পিযয়ে পড়ছেলি। সনোবাহনিী নামক প্রতষ্ঠিানকে ধ্বংস করার জন্য চূড়ান্ত কুঠারাঘাত করা হচ্ছলি। সম্ভবত প্রতবিশেী ভারত বাংলাদশেকে রা করার জন্য তথা নজিরে ছায়ায় নয়োর জন্য বীরর্দপে আগমন করতনে চব্বশি ঘণ্টার মধ্য,ে যদি না ৃ। বাংলাদশেরে সনোবাহনিীর সাধারণ সনৈকিরো এবং ঢাকা মহানগরীর সাধারণ জনগণরে মধ্যে তাদরে নজি নজি ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় কাজ করছেলি। তারা বপিদ বুঝতে পরেছেলি। দশে বাঁচানোর জন্য তারা রাজপথে নমেে এসছেলি। ষড়যন্ত্রকারীদরে খপ্পর থকেে জয়িাউর রহমানকে মুক্ত করছেলি। জয়িাউর রহমানকে নতেৃত্বরে আসনে বসয়িে সপিাহ-িজনতার বপ্লিবরে মাধ্যম,ে ওই দনি বাংলাদশেকে রা করছেলি। এই ঘটনায় তৎকালীন জাসদ, তৎকালীন ভারতপ্রমেীরা খুশি হওয়ার কোনো কারণ তখন যমেন ছলি না, এখনো নইে। বাংলাদশে ও বাংলাদশে সনোবাহনিীকে রা করে সইে ৭ নভম্বেরে ভারতপ্রমেী ও জাসদপ্রমেীদরে দৃষ্টতি,ে জয়িাউর রহমান মহা অপরাধ করছেলিনে!!!



১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সকাল থকেে ৩ নভম্বের ১৯৭৫ সকাল র্পযন্ত বাংলাদশেরে রাষ্ট্রপতি ও সামরকি আইন প্রশাসক ছলিনে খোন্দকার মোশতাক আহমদ, যইে খোন্দকার মোশতাক আহমদকে বঙ্গবন্ধু এবং প্রবাসী সরকাররে নতোরা যতœসহকারে লালনপালন করছেনে। ৬ নভম্বের ১৯৭৫ অপরাহ্নে বচিারপতি সায়মে রাষ্ট্রপতি হসিবেে শপথ ননে ও প্রধান সামরকি আইন প্রশাসক হসিবেে দায়ত্বি গ্রহণ করনে। এই থকেে বারো মাসরেও অধকি কাল পর, তৎকালীন বাংলাদশে সনোবাহনিী-প্রধান মজের জনোরলে জয়িাউর রহমান বীর উত্তম প্রধান সামরকি আইন প্রশাসকরে দায়ত্বি ননে। আরো অনকে মাস পর প্রসেডিন্টেরে দায়ত্বি ননে। আরো অনকে মাস পর গণভোটরে মাধ্যমে প্রসেডিন্টে নর্বিাচতি হন। অতঃপর বঙ্গবন্ধুর হাতে হারয়িে যাওয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধাররে পদপে গ্রহণ করনে। যার ফলে ২৪ জানুয়ারি ১৯৭৫-এ বলিুপ্ত হয়ে যাওয়া বাংলাদশে আওয়ামী লীগ নামক রাজনতৈকি দল পুনরায় জন্মগ্রহণ করার সুযোগ পায়। বঙ্গবন্ধু যমেন ববিধি কারণে ১৯৫ জন পাকস্তিানি যুদ্ধাপরাধীকে বনিা বচিারে দশেে ফরেত যাওয়ার রাস্তা খুলে দয়িছেলিনে, বঙ্গবন্ধু যমেন বভিন্নি কারণে দালাল আইন ইত্যাদি সংশোধন ও পুনঃসংশোধন করে হাজার হাজার ব্যক্তকিে জলেখানা থকেে মুক্তি দয়ি,ে জাতীয় ভত্তিতিে সমঝোতার রাস্তা সূচনা করছেলিনে, তমেনি জয়িাউর রহমানও জাতীয় সমঝোতার জন্য জাতীয় ঐক্যরে জন্য বহুমাত্রকি পদপে গ্রহণ করনে। বাঙালি ও সব ুদ্র নৃতাত্ত্বকি গোষ্ঠী এবং সব র্ধমরে মানুষদরে চতেনাকে এক করার জন্য বাংলাদশেী জাতীয়তাবাদ উন্মোচতি করনে। জাতীয় র্অথনতৈকি র্কমকাণ্ডকে গণমুখী করনে। ১৯৭২ থকেে ১৯৭৫ সময়কালে মুসলমি বশ্বি থকেে ছুটে যাওয়া বাংলাদশেকে পুনরায় মুসলমি বশ্বিে সম্মানরে আসনে অধষ্ঠিতি করনে। জাতীয় প্রতরিায় জনগণকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ ননে। যারা সমৃদ্ধ বাংলাদশে চাইতনে না তারা নাখোশ হয়ে যান। জয়িাউর রহমানকে হত্যা করার একাধকি উদ্যোগ গৃহীত হয়ছেলি বলে আমরা শুনছে।ি শষেমশে ৩০ মে ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম র্সাকটি হাউজে তাকে হত্যা করা হয়। গত পাঁচ বছর ধরে তার সুনামকে হত্যা করার জন্য অবরিাম সংগ্রাম চলছ।ে



ফ্রান্স দশেরে জাতীয় বীর ড্রইেফুসরে কাহনিী এই কলামরে ওপররে অংশে বলছে।ি আমাদরে দশেরে জাতীয় বীর জয়িাউর রহমানরে কাহনিী এই কলামরে শষোংশে বললাম। আগামী দনিে নশ্চিতিভাবে জয়িাউর রহমানরে সম্মান পুনরুদ্ধার হব।ে পুনরুদ্ধাররে যুদ্ধরে সনৈকিরো প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। এই আহ্বান রখেে জয়িাউর রহমানরে শাহাদৎর্বাষকিীর র্পূব দনি তার রুহরে মাগফরিাত কামনা করছ।ি



লখেক : চয়োরম্যান, বাংলাদশে কল্যাণ র্পাটি

সংগৃহিত: http://www.nowbdnews.com/2013/05/29/186672.htm

১ টি +০/-০