![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন আমি হব অস্তিত্বহীন। কিন্তু আমার মানসসন্তানেরা চুপটি করে ঘাপটি মেরে পড়ে থাকবে আমার লেখনীর মাঝে। হয়তো কেউ দেখবে না তাদের, হয়তোবা কেউ কৌতুহলী হয়ে দেখবে কখনো। আর আমার সন্তানেরা, হয়তো অপাংক্তেয়, হয়তো কুলাঙ্গার, তবে তারা ঠিকই চিরকাল তাদের শরীরে বহন করে চলবে তাদের পিতার নাম- একদা অস্তিত্ববান যার মস্তিষ্কে বিদ্যুত্ স্পন্দন খেলে খেলে জন্ম হয়েছিল তাদের।
জগতের সবচে আরামপ্রদ কাজ কোনডা? গোপাল ভাঁড় আর রাজার নৌভ্রমণের গপ্পো থাইকা এইটা বেবাকতেই জানে। তয় এইটা যে জগতের সবচে গুরুত্বপূর্ণ কামও বটে, নিম্নোক্ত ঘটনা থাইকা আপনেরা আইজকা এইটাও জানবেন।
গপ্পোটা আমার ১ বন্দুরে লইয়া।
ঘটনা ৩৩তম বিছিএছ প্রিলিমিনারির। দেরি কইরা ঘুমতে উঠন বন্দুর আজীবন অভ্যাস। পরীক্ষার সকালে বহুতকষ্টে ৮টার দিগে উঠে বন্দু আমার। উইঠ্যাই কিয়ের বাথরুম কিয়ের নাস্তা, শার্ট প্যান্ট পইরা রওয়ানা।
আমি কই : তর কিসের এত তাড়াহুড়া? নাস্তা না করছ, অন্তত জরুরত সাইরা যা!
বন্দু কয় : না না, দেরি অইয়া যাইব গা, ৮:১৫তে শাবিপ্রবির ১টা বাস যায়, যেমনেই ঔক ঐটা ধরতে অইব!
আমি : আরে বাই পরীক্ষা ত দেরি আছে...
বন্দু : আরে চল্ ত বাই!
তাড়াহুড়া কইরাও বাস মিস। শ্যাষ পয্যন্ত রিস্কায়ই যাওনলাগল। বন্দুর সেন্টার এম সি কলেজে আর আমার আরেক জাগায়। পরীক্ষা দিয়া বন্দুর টিকিটারও আর খোঁজ নাইকা।
তার রুমে গিয়া হাজির অইলাম।
কাহিনী কী? জবাবে বন্দু যা কইল তার চম্বুক অংশ- সেন্টারেযাওনের পরেই বন্দু পেটে মোচড় অনুভব করে, লগে চিনচিনে বেদনা। খালিপেটে এই বেদনা আরও সরেস অইয়া উঠে। বন্দু প্রমাদ গণে, বুঝে যে বাথরুমে যাওন ছাড়া গতি নাই। তাড়তাড়ি কলেজ টয়লেটে গিয়া দেহে বেশ লাম্বা লাইন। লাইনে দাড়াইলে এই বেদনা আরেক কাঠি সরেস অইয়াউঠে। দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে বন্দু টয়লেটে পৌঁছাইয়া স্বস্তির নিঃশ্বাস ফালায়। তয়সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে কাম শুরুর আগে ট্যাপ ছাড়ামাত্রই তা থাইকা অঝোর ধারায় শুষ্ক বালুকা বর্ষিত হইতে থাকে। বন্দু নিজেরে সাকাচৌ অনুভব করে। সে বুঝতে পারে তার পূর্বসুরীরা আসলে টয়লেটে কেবল পেশাব কইরা গ্যাছে, এর লাইগ্যা তাগো কোনোউচ্চবাচ্য নাই। বন্দু চক্ষে আন্ধাইর দ্যাখে, অতৃপ্ত বাসনা লইয়াই পরীক্ষার হলে ঢোকে, পরীক্ষা শুরু অয় বইলা। প্রশ্নপত্র পাওনের পরে নার্ভাসনেসে মোচড় আরও এককাঠিসরেস অইয়া থার্ড ডিগ্রিতে চইলা যায়, বন্দুর পক্ষে আর স্থির থাকন সম্ভব অয় না, বেঞ্চে বইসা কাতরাইতে থাকে, কোনোমতে খালি গোঙানিডা বন্দ রাখে। কোনো আনসার দাগায় না। মিনিট বিশেক পরে ম্যাডাম কাছে আইলে হে সব কিছু ব্যাখ্যা কইরা চইলা যাওনের অনুমতি চায়। ম্যাডাম ফোন দেয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরে। ১ঘন্টার আগে হল ছাড়ন চলব না জানা যায়। বন্দু বইসা ১ঘন্টা কাতরাইয়া ঘন্টা পরা মাত্র লৌড় পারে। বন্দুর কাহানি হে ইয়ে হি।
শিক্ষা : বেগ চাপামাত্র জরুরতসারা অবশ্যকর্তব্য, ঐ মুহূর্তে মলত্যাগের চেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট কাম জগতে নাইকা।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
সৈয়দ শওকত আলী বলেছেন: হে হে হে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মাক্স বলেছেন: ঞঁ