নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

FACEBOOK : shawkat.somc

সৈয়দ শওকত আলী

একদিন আমি হব অস্তিত্বহীন। কিন্তু আমার মানসসন্তানেরা চুপটি করে ঘাপটি মেরে পড়ে থাকবে আমার লেখনীর মাঝে। হয়তো কেউ দেখবে না তাদের, হয়তোবা কেউ কৌতুহলী হয়ে দেখবে কখনো। আর আমার সন্তানেরা, হয়তো অপাংক্তেয়, হয়তো কুলাঙ্গার, তবে তারা ঠিকই চিরকাল তাদের শরীরে বহন করে চলবে তাদের পিতার নাম- একদা অস্তিত্ববান যার মস্তিষ্কে বিদ্যুত্‍ স্পন্দন খেলে খেলে জন্ম হয়েছিল তাদের।

সৈয়দ শওকত আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহামতি সাকা

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হকিংএর ক্রনোলজি রক্ষণ তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে টাইম মেশিন বানিয়ে বসলেন বিজ্ঞানী সাকা ওপেনহাইমার। এ কাজে তিনি টিপলার সিলিন্ডার সিস্টেম ব্যবহার করলেন, কারণ ওয়ার্মহোল কিম্বা মহাজাগতিক দড়ি কিম্বা কৃষ্ণবিবর ছেলের হাতের মোয়া নয় যে চাইলেই পাওয়া যাবে। আর যথেষ্ট পরিমাণ -ve শক্তি ছাড়া আলক্যুবিয়ের ড্রাইভ করাও সম্ভব না।

এবার আর তাঁর পদার্থে নোবেল আটকায় কে। তবে বিজ্ঞানী সাকা গভীর জলের কাতলা, শুধু পদার্থে সন্তুষ্ট না, তাঁর লক্ষ্য ১ই বছর শান্তিটাও বাগিয়ে নেয়া। অবশ্যি তাঁর দেলে যে মহৎ উদ্দেশ্য, শান্তিটাও তাঁরই প্রাপ্য- টাইম মেশিনে অতীতে গিয়ে রবার্ট ওপেনহাইমারকে কতল করা, যে ছিল পারমাণবিক বোমা তৈরির পালের গোদা।

তবে ব্যাপারটা 'গেলাম মারলাম আর আইসা নোবেল ঘরে তুললাম' - অমন নয়। কিছু জটিলতা আছে- টাইম ট্র্যাভেলের পরিণতি নিয়ে নানা মুনির নানা মত।

প্রথমত, নভিকভ এর সামঞ্জস্য নীতি। এই নীতি অনুযায়ী, মানব অতীতে গেলেও এমন কিছু কত্তে পারবে না যা ইতিহাসকে বদলে দেয়।

দ্বিতীয়ত, মাল্টিভার্স বা প্যারালাল ইউনিভার্স থিওরি। এটা বলে, কেউ অতীতে গেলেই ১টি নবসৃষ্ট জগতে প্রবেশ করবে। তার সমস্ত কর্মের ইফেক্ট ঐ জগতে প্রযোজ্য হবে, ইহজগত থাকবে অপরিবর্তিত।

তৃতীয়ত এবং মূলত, গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স বা দাদুভাই সংকট। রবার্ট ওপেনহাইমার সাকার পূর্বপুরুষ। সাকা রবার্টকে কতল করলে সাকার নিজের অস্তিত্ব থাকবে কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত সন্দিহান। সাকাবাবু বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট।

বিজ্ঞানী সাকার সামনে ১টাই আশা, আর তা হল করাপশন টাইমলাইন/ ইরেইজড টাইমলাইন/ ডেসট্রাকশন রিজল্যুশন তত্ত্বগুলোর যে কোন ১টি সঠিক হওয়া। তবে এখানেও ঝামেলা আছে, করাপশন সঠিক হলে সাকা কর্মসাধন শেষে বর্তমানে ফিরতে পারবেন, ইরেইজড বা ডেসট্রাকশন সঠিক হলে আর ফিরবেন না। ইরেইজড এর ক্ষেত্রে নবসৃষ্ট জগতে আটকা পড়বেন, ডেসট্রাকশনের ক্ষেত্রে ভ্যানিশ হয়ে যাবেন। বেচারার নোবেল হাতানো হবে না।

যা থাকে কপালে, মানবের হিতসাধনই সাকার মূল চাহাত, নোবেল ত বাই-প্রোডাক্ট মাত্র। নিজ অস্তিত্বের ঝুঁকি নিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে টাইম মেশিনের স্যুইচ চাপলেন মহাজ্ঞানী সাকা।

সরাসরি ম্যানহাটন, ১৯৩৯। পারমাণবিক টিমের মদ্যপানের আসরে ভোজবাজির মতো উদয় হলেন সাকা। অমন কড়া নিরাপত্তা ভেদ করে ঐ কক্ষে সাকার আবির্ভাবকে এটমিকরা মদ্যপানজনিত বিভ্রম ঠাওরাল। সে ভুল ভাঙতে দেরি হোল না, যখন সাকা চোখের পলকে রবার্টকে টুঁটি চেপে কতল করলেন। কিন্তু ডেসট্রাকশন রিজল্যুশন তত্ত্ব সঠিক হল। নিজ পূর্বপুরুষকে হত্যা করায় সাকার অস্তিত্ব ইনভ্যালিড হোয়ে গেল, ছোটখাট বিগব্যাং হোয়ে E = mc^2 হিসেবমতো আলো বিকিরণ করে ভ্যানিশ হয়ে গেলেন মহামতি সাকা।

রবার্টের লাশে লেখা পাওয়া গেল-
i am a ghost from the future. from now on, whoever tries to make human-killing system, dies like this.

ইসিডর রাবি, বেইনব্রিজ, নীলস বোর, ফারমি প্রমুখ হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে যে যেদিকে পারেন চম্পট দিলেন।

আর কেউ কখনো অমন মারণাস্ত্র বানাতে সাহসী হল না। সাকার বিকিরিত শান্তির আলোয় মানব সুখে শান্তিতে বসবাস কত্তে লাগল।

আর হ্যাঁ, মহামতি সাকা যুগপৎ পদার্থে ও শান্তিতে মরণোত্তর নোবেল পেয়ে চিরস্মরণীয় হলেন।

(পাঠক যদি খুশি হয়ে সাকাকে সাহিত্যেও নোবেলটা দিয়ে দেন, সাকা আপত্তি করবেন না 3:) )

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:
রবার্টকে মেরে তো উনি ভেনিশ হয়ে গেলেন।

তাহলে, নোবেল পাইলেন কখন!!!

এটা কিছু একটা হলো!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৩

সৈয়দ শওকত আলী বলেছেন: মরণোত্তর মানে জানেন আশা করি। হাহা।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: সাকা কে?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৪

সৈয়দ শওকত আলী বলেছেন: গল্পের নায়ক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.