![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আনন্দবাজার : পারিবারিক অশান্তি সহ্য করতে না পেরে এক যুবক ২১১ ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই ত্রাতা হিসাবে হাজির হলেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি। হ্যাঁ। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই ঘটেছে তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুলে।
প্রেসিডেন্ট স্বয়ং কোনও ব্যক্তিকে আত্মহত্যার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। এমন ঘটনা সারা বিশ্বে নেই বললেই চলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইস্তানবুলের বোসফোরস সেতুতে ওই যুবক আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিলেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে তাঁকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও ভাবেই ওই যুবককে নিরস্ত করতে পারছিলেন না তাঁরা। ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগকারী ওই সেতুতে এমন কাণ্ডে হইচই পড়ে যায়। সংবাদমাধ্যম ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। টিভি চ্যানেলগুলিতে এই ঘটনা সম্প্রচারিত হতে থাকে। খবরের কথা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজপ তাইপ এর্দোগানের কানে পৌঁছয়। প্রার্থনা সেরে ওই সেতু দিয়েই তিনি যাচ্ছিলেন। নিজের কনভয় থামিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ দেন ওই যুবককে যে কোনও উপায়ে বাঁচাতে হবে। নিরাপত্তারক্ষীরাও সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের কাজে লেগে পড়েন। প্রেসিডেন্ট নিরাপত্তাকর্মীদের বলেন ওই যুবককে তাঁর কাছে পাঠাতে। গাড়িতে বসেই তিনি ওই যুবককে ডাকেন। খোদ প্রেসিডেন্টের এ রকম ব্যবহারে হতবাক হয়ে যান ওই যুবক। অবশেষে সেতুর রেলিং টপকে প্রেসিডেন্টের কাছে আসেন। তাঁর হাতে চুম্বন করেন। প্রেসিডেন্ট তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর ওই যুবক আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা থেকে সরে আসেন।
সারা বিশ্বের কাছে এই ঘটনা একটা নজির হয়ে থাকবে।
©somewhere in net ltd.