![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্ত্রী নিঃসন্দেহে স্বামীর শাসনাধীনে স্বামীর অধীনতা স্বীকার করে চলবে । তবে এমন শাসনাধীন নয় , যেমন দাস-দাসী ও চাকর-চাকরানী হয়ে থাকে । বরং স্বামীর সাথে স্ত্রীর সম্পর্ক হবে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক । আর যেখানে প্রেম ভালোবাসা থাকবে , সেখানে বিভিন্ন ধরনের মান অভিমান এবং আত্নত্যাগ থাকা স্বাভাবিক ।
অনেক পুরুষ স্ত্রীর উপর দাস-দাসীর ন্যায় আচরণ করে যা চরম নিবুদ্ধিতা এবং নির্দয়তা ছাড়া আর কিছু নয় । তাদের বুঝা উচিত যে স্ত্রী আল্লাহ পাকের এক অসীম নেয়ামত । আল্লাহ পাক দয়া করে তাকে এ নেয়ামত দান করেছেন । যারা আল্লাহর নেয়ামতের সঠিক ব্যবহার জানেনা বরং তার অবহেলা করে আল্লাহপাক তাদের থেকে নেয়ামত ছিনিয়ে নিতে পারেন এবং তাদেরকে কঠিন শাস্তি দিতে পারেন ।
স্বামী যেমন স্ত্রীকে শরীরের অর্ধ অঙ্গ হিসেবে আদর সোহাগ এবং সম্মান করে চলবে তেমনি স্ত্রীও স্বামীকে অভিভাবক এবং কর্তা হিসেবে সম্মান এবং সকল বিষয়ে অগ্রাধিকার দিবে । স্ত্রীর যেমন উচিত হবেনা স্বামীর উপর অন্যায় দাবী করা বা তার অবাধ্য হওয়া তেমনি স্বামীর উচিত হবেনা স্ত্রীকে সব সময় সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে তার দাবী দাওয়ার প্রতি কোন মনোযোগ না দেওয়া ।
বস্তুত স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক এক নিবিড় ও পবিত্রতম সম্পর্ক । যে সম্পর্কের সুবাদে আমাদের আদর্শ মহানবী (সাঃ) এর সাথে তার মহীয়সী স্ত্রী গণ বিভিন্ন সময় মান-অভিমান করতেন আবার সমকক্ষ ও বন্ধুত্বসূলভ আচরণও করতেন । অথচ উনি হলেন সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ । সম্রাটসূলভ ক্ষমতা ও প্রভাব তার মধ্যে পূর্ণমাত্রায় ছিলো । অথচ তিনি তার স্ত্রীদের উপর কোন ক্ষমতা ও প্রভাব খাটাতেন না ।
স্ত্রী স্বামীর সমকক্ষ নয়ঃ
নারী ও পুরুষের পার্থক্য সৃষ্টিগত । সুতরাং নারীদেরকে পুরুষদের সমতূল্য করা কিছুতেই সম্ভব নয় । সৃষ্টিগত গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যে পুরুষ নারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠতর । জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, সাহস-ধৈর্য্য, বীরত্ব, দৈহিক শক্তি, নেতৃত্ব ও কর্তত্ব এর প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষ নারী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । তবে আবার নারী সন্তান জন্মদাত্রী এবং মমতাময়ী মা । যেদিক দিয়ে নারী পুরুষ অপেক্ষা এগিয়ে । কিন্তু আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সৃষ্টির মধ্যে সামন্জস্য বিধানের জন্য পুরুষকে নারীর উপর কর্তৃত্ব দিয়েছেন । যাতে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় থাকে এবং দুজনেই কর্তৃত্ব দাবী করে সংসারকে অশান্তিময় করে না তোলে । এটা কখনো হতে পারে না যে একটি দলের মধ্যে সবাই নেতা । তাহলে কেউ কারো কথা শুনবেনা - বিশৃংখলা এবং অশান্তি হবে নিত্য দিনের সঙ্গী। সংসারও একটি একাধিক মানুষের মধ্যে সম্পর্কের একটি ক্ষেত্র যেখানে একজন নেতা থাকবে এবং তার অনুগত থেকে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হবে । এজন্য আল্লাহতায়ালা কুরআনে পুরুষদের কর্তৃত্ব দিয়ে বলেছেন,
"পুরুষদের মর্যাদা নারীদের উপরে ।" (সূরা বাকারঃ ২২৮)
আবার নারীকে পুরুষের শাসনাধীন করার অর্থ এই নয় যে তাকে পুরুষের দুর্ব্যবহার ও দুঃশাসনের শিকার বানানো হয়েছে কিংবা তাকে পুরুষের কৃতদাসী বানানো হয়েছে । যে পুরুষ নারীর সাথে অন্যায় এবং অনৈতিক নিষ্ঠুর আচরণ করে সে পুরুষ নামের কলংক । তার যোগ্যতা নেই কোন নারীকে তার অধিকারে রাখা । ইসলামের ইতিহাসে কোথাও নাই কোন নবী-রাসূল এবং সাহাবী নারীর সাথে অন্যায় আচরণ করেছেন । আল্লাহতায়ালা নারীকে পুরুষের শাসনাধীনে রেখে তাদের নিরাপত্তা দান করেছেন । পুরুষকে দায়িত্ব দিয়েছেন তার জীবিকা, খোরপোষ এবং নিরাপত্তা প্রদান করা । প্রতিদানে নারী পুরুষের আনুগত্য মেনে নিবে এবং তাকে ভালোবাসবে ।
মহান আল্লাহ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে সম্পর্ক সৃষ্টি করে দিয়েছেন , তা শাসক-শাসিতেরই নয় বরং তা প্রেম ও ভালোবাসার সম্পর্ক । প্রয়োজনবশতঃ হয়তো স্বামী স্ত্রীকে শাসন করবে তবে অবশ্যই সীমারেখা লংঘন করবেনা । বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো বোঝাপড়া থাকলে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব । হয়তো কাউকে একটু ছাড় দিতে হবে । স্বামী যেমন স্ত্রীর মনের চাহিদা বুঝতে তেমনি স্ত্রীও স্বামীর ক্ষমতা ও অব্স্হাটা অনুধাবন করবে । প্রত্যেকে আপন আপন অধিকার ও কর্তব্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে আচরণ করলে সংসারে কোন অশান্তি হওয়ার কথা নয় ।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক বলেনঃ
"স্ত্রীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন যাপন করো । অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ করো, তাহলে হয়তো তোমরা এমন এক বস্তুকে অপছন্দ করছো, যাতে আল্লাহ অনেক কল্যাণ রেখেছেন ।" (সূরা নিসা/১৯)
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত , রাসূলূল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলো , সর্বোত্তম নারী কে ? উত্তরে তিনি বললেন, ঐ নারী যাকে দেখলে তার স্বামী আনন্দিত হয় , তাকে কোন আদেশ করলে তা পালন করে এবং নিজের ও নিজের সম্পদ সম্পর্কে এমন কিছু করে না যার কারণে তার স্বামী তার উপর অসন্তুষ্ট হয় । (নাসায়ী)
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪০
এন ইউ এমিল বলেছেন: ১৩/০৯ তারিখে বিয়ে করছি, দোয়া করবেন যেন আমাদের সম্পর্কটা সুন্দর হয়
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৭
েশখসাদী বলেছেন: অবশ্যই - দোয়া করি । অনুগ্রহ করে স্ত্রীকে মর্যাদা দিবেন এবং ভালোবাসবেন । আবার একান্ত অনুগত হয়ে পরে স্ত্রীকে শাসন করতে গেলে দুজনের মধ্যে তিক্ততার সৃষ্টি হবে । তাই ভারসাম্য বজায় রাখবেন ।
আল্লাহ আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্ক সুন্দর করুন । আমিন ।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৪
পরের তরে বলেছেন: প্রথমেই এন ইউ এমিল ভাই এর জন্য দুয়া রইল। আল্লাহ উনাকে বরকত দিয়ে ভরে দিন।
অত্তপর লেখককে জাজাকাল্লাহ...................
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এজন্য আল্লাহতায়ালা কুরআনে পুরুষদের কর্তৃত্ব দিয়ে বলেছেন,
"পুরুষদের মর্যাদা নারীদের উপরে ।"
কোন সুরার কত নং আয়াতে ?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৪
েশখসাদী বলেছেন: সূরা বাকারা- ২২৮ । ধন্যবাদ ।
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: েশখসাদী,
মন্তব্য না লিখে পারলাম না , দুঃখিত ।
আপনারা কথায় কথায় পবিত্র কোরআন এর প্রসঙ্গ টানেন কেন ? যদি টানবেনই তবে তার আগে ভেবে দেখবেন , কোরআনে যে পুরুষদের কথা বলা হয়েছে সে রকম পুরুষ আপনি বা আপনারা হতে পেরেছেন কিনা ।
যে কোনও কাজ বা ক্রিয়া সম্পাদন করতে গেলে অবশ্যই তার প্রতিটি উপাদানকেই অংশ গ্রহন করতে হয় নিজের নিজের ভূমিকা অনুযায়ী ।
বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই , কি বলতে চাচ্ছি ?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪২
েশখসাদী বলেছেন:
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । এটা ঠিক কুরআনের মত পুরুষ হয়তো এখনো পুরোপুরি হই নি , তবে হওয়ার চেষ্টা করছি । আর কুরআন এজন্যই নাযিল হয়েছে যে আমরা কুরআনের অনুসরণ করব ।
আল্লাহপাক নারী ও পুরুষের সম্পর্ক এবং কর্তব্য ঠিক করে দিয়েছেন । একা একজন ঠিক হলে বিষয়টা পুরো হবেনা । দুটো উপাদানকেই তার ক্রিয়া ঠিক ভাবে করতে হবে ।
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২২
সবখানে সবাই আছে বলেছেন: সব মানুষ সমান। কারো অধিকারে কোন তারতম্য নাই।কুরানের কথা বলে তো কন্ট্রাডিক্ট করে ফেললেন। এক জায়গায় বলা আছে ধনী গরীব সব সমান। সবার বিচার সমান। আবার নারী পুরুষে বিভেদ।
ইন্টারেস্টিং।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫২
েশখসাদী বলেছেন: সব মানুষ সমান । তবে মর্যাদা , কর্তব্য এবং অধিকারে ভিন্নতা আছে । এটা মানা না হলে সমাজ ও সংসারে শান্তি ও শৃংখলা ঠিক থাকবেনা ।
ধন্যবাদ ।
৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৬
কলাবাগান১ বলেছেন: " স্ত্রীও স্বামীকে অভিভাবক এবং কর্তা হিসেবে সম্মান এবং সকল বিষয়ে অগ্রাধিকার দিবে "
খুজে খুজে এসবই হাইলাইটস করতে থাকেন তাতে যদি দেশের সব নারীরা জীবনে পড়ালেখা না করে স্বামীর মনোরন্জন ই জীবনের ব্রত হিসাবে নেয়।
তালেবান..........
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৭
েশখসাদী বলেছেন: স্বামীর মনোরন্জনই নারীর একমাত্র কর্তব্য নয় ।
নারীকেও পুরুষের মত দেশ ও সমাজ বির্নিমাণে এগিয়ে আসতে হবে । সেও পড়ালেখা করবে এবং তবে সংসারে তাকে স্বামীর অধীনে চলতে হবে - এটাই এখানে বলা হয়েছে । ধন্যবাদ ।
৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫০
কান্টি টুটুল বলেছেন:
শুধু মাত্র পুরুষ হবার কারণেই কি স্বামী স্ত্রীর উপর কৃর্তত্বশীল,মনে হয় না,
আপনি এপ্রসঙ্গে আপনি কেবলমাত্র একটি আয়াত দিয়েছেন যা আপনার ধারণার সাথে যায়,
যে আয়াত আপনার ধারণার বিপক্ষে বা ভিন্ন মত পোষন করে সেটার উল্লেখ করেন নাই বলে আমার মনে হচ্ছে,এটা ঠিক না,
লক্ষ করেন........
[34] পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সুরা আল নিসা
এখানে শুধু পুরুষ হবার কারনে নারীর উপর কৃর্তত্বশীল এটা বলা হয় নাই,দুইটি কারণ দেয়া আছে,একটি আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা তাই অপরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ .....স্বামী স্ত্রীর ভরনপোষন করে,এখনে প্রশ্ন উঠতে পারে স্বামী ভরন পোষন না করলে তখন?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৪
েশখসাদী বলেছেন: শুধুমাত্র পুরুষ হবার কারণেই স্বামী স্ত্রীর উপর কর্তৃত্বশীল । অর্থ ব্যয় একটা কারণ ।
এছাড়াও কারন হলো - আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং পুরুষের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন - এজন্য ।
কোন কোন ক্ষেত্রে এমন হতে পারে যে স্বামী স্ত্রীর উপর নির্ভরশীল বা স্ত্রী স্বামী অপেক্ষা বেশী বুদ্ধিমতি -- সেক্ষেত্রেও স্বামীকে সামনে রাখতে হবে । তবে এসব ক্ষেত্রে স্বামীর উচিত স্ত্রীর সাথে মানিয়ে চলা এবং স্ত্রীর উচিত স্বামীর মর্যাদা বুঝে অভিভাবকের মত তার সাথে ব্যবহার করা । না হয় দুজনের মনোমালিন্য হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী ।
ধন্যবাদ ।
৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: েশখসাদী,
ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্যে । য়্যু আর এ্যাবসোলিউটলি রাইট । আগে তেমন মানুষ হন তারপরে না হয় অন্যকে হেদায়েত করবেন । নিজে ঠিক না থেকে ( যা আপনি স্বীকার করেছেন । এটুকুর জন্যে আপনার ধন্যবাদ প্রাপ্তি হয়েছে ) অন্যকে হেদায়েত করার নৈতিকতা নিছক লোক দেখানো । আপনি নিশ্চয়ই নবী ( সঃ) নিজের চিনি বা মিষ্টি না খা্ওয়ার অভ্যেস করে তারপরেই অন্যকে মিষ্টি খেতে নিষেধ করেছেন , এমোন কাহিনী শুনে থাকবেন !
প্রার্থনা করি পরিপূর্ণ হোন ......
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩২
েশখসাদী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৯
নাহিদ মাহমুদ বলেছেন: গ্যালারীতে বসলাম............