নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহানবী (সাঃ) অপরিসীম দৈহিক শক্তির অধিকারী ছিলেন ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৭

মহানবী (সাঃ) দৈহিক শক্তি এবং পেশীবলের দিক দিয়ে এতো শক্তিশালী এবং সুদৃঢ় ছিলেন যে, বিশ্বখ্যাত কোন কুস্তিগীড়ও উনার সামনে টিকতে পারত না । মোহাম্মদ ইবনে ইসহাক (রঃ) এর কিতাবে বর্ণিত - মহানবী (সাঃ) সময়ে মক্কায় রুকানা নামক একজন পালোয়ান ছিলো । সে কুস্তিতে বিশেষ পারদর্শী এবং শারীরিক শক্তিতে মক্কা নগরীতে অপ্রতিদ্বন্দ্বি এক ব্যাক্তিত্ব ছিলো । দূর দুরান্ত থেকে বীর পুরুষেরা তার সাথে মল্লযুদ্ধ অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আসতো । কিন্তু অবলীলাক্রমে সে তাদেরকে ধরাশায়ী করে দিতো ।



একদিন ঘটনাক্রমে সে হুজুরে পাক (সাঃ) এর সামনে পড়ে গেলো । হুজুর (সাঃ) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে রুকানা ! তুমি আল্লাহকে কেন ভয় করছ না এবং আমার দাওয়াতকে কেন কবুল করছ না ? উত্তরে সে বলল, হে মোহাম্মদ ! আপনার দাবীর সত্যতার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ পেশ করুন । হুজুর পাক (সাঃ) বললেন, কুস্তিতে যদি আমি তোমাকে পরাজিত করতে পারি তবে কি তুমি ঈমান আনবে ? সে বলল, হা । রাসূল (সাঃ) বললেন, তাহলে প্রস্তুত হও । কথা শুনে রুকানা পালোয়ান কুস্তির জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলো । হুজুর (সাঃ) কোনরূপ প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন না । তিনি সাধারণ পোশাক - লু্ঙ্গি ও চাদর পরিহিত অবস্হায় ছিলেন । প্রথম আক্রমণেই হুজুর (সাঃ) রুকানাকে মাটিতে ফেলে দিলেন । রুকানার বিস্ময়রে অবধি রইল না । হুজুর (সাঃ) তাকে এমনভাবে ধরলেন যে, তার নড়াচড়া করার কোন উপায় রইল না । ছেড়ে দেয়ার আবেদন করলে হুজুর (সাঃ) তাকে ছেড়ে দিলেন । এরপর সে দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয়বার কুস্তি লড়ল । কিন্তু প্রতিবারই তাকে পরাজয়ের গ্লানি ভোগ করতে হলো । প্রতিবারেই হুজুর (সাঃ) তাকে ধরাশায়ী করে দিলেন । এতে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে রুকানা বলল, আপনি এক আজিব শান ! এতো শক্তির অধিকারী আপনি ? তবে শেষ পর্যন্ত সে ঈমান আনয়ন করেছিলো কিনা তার বর্ণনা হাদীস শরীফে আসেনি ।



উক্ত কুস্তিগীর রুকানা ব্যতীত আরো অন্যান্য কুস্তীগীররাও হুজুর (সাঃ) এর সাথে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলো । তিনি সকলকেই পরাজিত করেছিলেন । আবূল আশাদ জাহমী নামে এক শক্তিশালী লোক ছিলো আরবে । তার শারীরিক শক্তি এত বেশী ছিলো যে, সে গরুর চামড়ার উপর দাড়িয়ে যেতো । লোকেরা তার চর্তুদিক দিয়ে তাদের গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে চামড়া টানাটানি করত । টানের চোটে চামড়া ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতো কিন্ত তার পায়ের নীচ থেকে চামড়া সরিয়ে নিতে পারতো না । সে স্বস্হান থেকে একটু বিচ্যুত হত না । একদিন সে হুজুর (সাঃ) কে বলল, আপনি যদি আমাকে যমীনে ফেলে দিতে পারেন তবে আমি ঈমান আনবো । হুজুর (সাঃ) তাকে ধরেই যমীনে ফেলে দিলেন । কিন্তু হতভাগা এরপরও ঈমান আনলো না ।



সাইয়েদ্যুনা হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, হুজুর (সাঃ) এক রাত্রিতে উনার এগার জন স্ত্রীর নিকট গমণ করতে পারতেন । বর্ণনাকারী বলেন, আমি হযরত আনাস (রাঃ) কে সবিস্ময়ে প্রশ্ন করলাম, হুজুর (সাঃ) কি এতই শক্তি রাখতেন ? হযরত আনাস (রাঃ) বললেন, আমরা পরষ্পর বলাবলি করতাম , হুযুর (সাঃ) কে আল্লাহতায়ালা তিরিশজন পুরুষের শক্তি প্রদান করেছেন ।



অপর এক বর্ণনায় এসেছে, হুজুর (সাঃ) এরশাদ করেছেন, একদা জিব্রাঈল (আঃ) খাবার ভর্তি একটি ডেগ আমার কাছে নিয়ে এলেন । আমি তা থেকে কিছু খাবার গ্রহণ করলাম । তাতে আমার ভিতর চল্লিশজন পুরুষের পুরুষত্ব শক্তি এসে গেলো ।



হুজুর পাক (সাঃ) এর পানাহার এবং জীবন যাপনের অবস্হা এরকম ছিলো যে, কখনও তিনি উদরপূর্তি করে পরিতৃপ্তির সাথে খাদ্য গ্রহণ করেন নি । শুধুমাত্র যবের রুটিই যথেষ্ট মনে করতেন । পানাহারের অবস্হা এরকম হওয়া সত্ত্বেও হুজুর (সাঃ) এর পবিত্র দৈহিক শক্তি ও সামর্থ্যের উপরোক্ত অবস্হাবলী উনার মোজেজার মধ্যেই গণ্য হয়ে থাকে ।



সূত্রঃ মাদরিজ উন নবূয়ত । শায়েখ আব্দুল হক মোহাদ্দেছে দেহলভী (রহঃ) । প্রথম খন্ড ।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৪

কাজী রহমতুল্লাহ বলেছেন: তিনি সাধারণ পোশাক - লু্ঙ্গি ও চাদর পরিহিত অবস্হায় ছিলেন ?
আরবে? B:-/

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৪

েশখসাদী বলেছেন:
বইয়ের সূত্র উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে । হুবুহু উল্লেখ করেছি । ধন্যবাদ ।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৩

দস্তার বলেছেন: হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সারা জীবন লুঙ্গি মুবারকই পরেছেন, পায়জামা নয়। @রহমতুল্লাহ

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৪

তোমোদাচি বলেছেন: এই সব হাল্কা বিষয় ছাড়া কি মহানবীর জীবন সম্পর্কে বলার কিছু নেই?
কিছু বেক্কল মহানবী সম্পর্কে এসব পোষ্ট দিয়ে অবিশ্বাসীদের ঠাট্টা-মস্করা করা সুযোগ করে দেয়!

শায়েখ আব্দল হক মোহাদ্দেছে দেহলভী (রহঃ) !!! এইটা আবার কেডা? জীবনে প্রথম এই নাম শুনলাম!!!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২২

েশখসাদী বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আপনার কাছে বিষয়টি হাল্কা হলেও সবার কাছে তা নয় । আর কে হাসবে আর কে হাসবেনা , সেটা সব সময় পোষ্ট দেয়ার বিবেচ্য বিষয় নয় ।

হুজুর (সাঃ) এর পবিত্র দৈহিক শক্তি ও সামর্থ্যের উপরোক্ত অবস্হাবলী উনার মোজেজার মধ্যেই গণ্য হয়ে থাকে ।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৯

Ashish বলেছেন: একদা জিব্রাঈল (আঃ) খাবার ভর্তি একটি ডেগ আমার কাছে নিয়ে এলেন । আমি তা থেকে কিছু খাবার গ্রহণ করলাম । তাতে আমার ভিতর চল্লিশজন পুরুষের পুরুষত্ব শক্তি এসে গেলো ।
চল্লিশজন পুরুষের পুরুষত্ব ???? আসার কি দরকার ছিল????/

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৭

েশখসাদী বলেছেন: এটা তো ভাই দরকারের বিষয় নয়, এটা হলো একটা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া । যেমনঃ আপনি চিনি খেলে মুখে মিষ্টি লাগে , তেমনি বেহেশ্তী খাবার খেলে গায়ে শক্তি বেড়ে যায় ।

ধন্যবাদ ।

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২০

এনটনি বলেছেন: লু্ঙ্গি ও চাদরের ব্যাপার সঠিক। সেলাই বিহীন কাপড় (হজ্জে ব্যবহার করা হয় এরকম) অনেকটা "লু্ঙ্গি ও চাদর" এর মতই দেখা যেত

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২১

কাজী রহমতুল্লাহ বলেছেন: সারা জীবন লুঙ্গি মুবারকই পরেছেন, পায়জামা নয়।
পায়জামা ? আরবে ? =p~ =p~ =p~ =p~

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৫

কাজী রহমতুল্লাহ বলেছেন: মরুভূমির দেশ; গরম হবে সেটাই স্বাভাবিক।
এ কারনেই আরবের লোকেরা ঢোলা পোশাকে আপাদামস্তক ঢেকে রাখে।
নারী-পুরুষ উভয়ে রুমাল (হিজাব) দিয়ে মাথা ঢাকে। আরবের মুসলিম, ইহুদি, খ্রিস্টান, সব্বাই এই পোশাক ব্যবহার করে।
এরসাথে লুঙ্গি / পায়জামার কোন সম্পর্ক নেই।

এই পোশাক কে থোয়াব বা Thawb বলা হয়।


৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪১

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: লুঙ্গি না, ঢিলেঢালা কোন পোশাক হবে হয়তো

২৮ শে নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৪৬

েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ ।

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৫

ইমরান হক সজীব বলেছেন: মহানবী (সাঃ) কে এরকম হাস্যকর ভাবে উপস্থাপনের জন্য আপনাকে মাইনাস

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: লেখক মনে হয় এটাই বুঝতে চাচ্ছেন যে, নবী(সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পুরুষত্ব আমাদের চেয়ে অনেক বেশী ছিলো। তাই উনার জন্য এক সাথে ৯ জন স্ত্রী রাখার ব্যতিক্রমী বিধান আল্লাহ্‌ দিয়েছিলেন। বরং হাদীস থেকে এটাও বুঝা যাচ্ছে যে, ১১টি বিবাহ এক হিসাবে তার জন্য অনেক কমই হয়ে গেছে। কেননা শারীরিক শক্তি হিসাবে তো কমপক্ষে ৪০ জন স্ত্রী থাকা দরকার ছিলো। এতে করে বুঝা গেলো, যারা বলে তিনি (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যৌন লালসা মিটানোর জন্য এতগুলো বিবাহ করেছেন তাদের কথা সম্পূর্ণ ভুল। বরং তিনিতো তার প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম বিবাহ করেছেন। আবার শেষ বয়সে করেছেন, জীবনের খুব ব্যস্ততার সময় করেছেন। এদিকে আবার রাতে নফল নামাজ পড়ে পড়ে পা ফাটিয়ে ফেলেছেন। ইত্যাদি ইত্যাদি। এবার আমার একটি পোষ্ট থেকে কিছু অংশ কপি পেষত করছি।

এবার আসুন দেখি ২য় পর্বে আমরা যা আলোচনা করলাম সেই আলোকে হুমায়ূনের ২য় বিবাহকে বিচার করি।২য় পর্ব না পড়ে থাকলে , আমার অনুরোধ তা একবার পড়ে দেখুন। কথা দিচ্ছি আপনার সময় নষ্ট হবেনা। তো ২য় পর্বে আমরা দেখেছি যে আমরা কারো সমালোচনা করতে গিয়ে মোটামুটি চারটি ভুল করি। আসুন দেখি আমরা হুমায়ূনের সমালোচনা করতে গিয়ে এই চারটি ভুলের কয়টি করলাম।

১নং ভুলঃ হুমায়ূন ২য় বিয়ে করেছেন, এটা হলো তার একটা কাজ। এখন কথা হলো এই কাজের পিছনে উদ্দেশ্য কি ছিলো তার? ভালো উদ্দেশ্য যেমন থাকতে পারে, তেমনি খারাপ উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।কিন্তু আমার আপনার সেটা নিশ্চিতভাবে বুঝার কোন উপায় আছে কি? নেই; একদম নেই। আমরা শুধু তার সার্বিক অবস্থা দেখে আন্দাজ করতে পারি। কারো মনের কথা নিশ্চিত করে বলা কোনদিন কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু সমালোচনাকারীরা সম্পূর্ণ বিনা প্রমাণে এটাই নিশ্চিত ধরে নিচ্ছেন যে, হুমায়ূন তার যৌন লালসা মিটানোর জন্য বিবাহ করেছেন।

ভালো করে খেয়াল করুন, আমি আপাতত এখানে সমালোচনাকারীদের একথা ঠিক ধরে নিয়ে তাদের ভুল ধরলাম যে, যৌন লালসা মিটানোর জন্য বিবাহ করা খারাপ। একটু পরে আমি দেখাচ্ছি যে , আসলে যৌন লালসা বা চাহিদা মিটানোর জন্য বিবাহ করাকে খারাপ বলাও নিছক মূর্খতা। যৌন লালসা বা চাহিদা মিটানোর জন্য বিবাহ করা খারাপ হলে একটা বিবাহও করতে পারবেন না। সবাই বিবাহ সাদী বাদ দিয়ে জঙ্গলে গিয়ে থাকেন। আরে মিয়া কারো যৌন ক্ষমতা যত বেশীই থাকনা কেন, সে যদি বৈধ পন্থায় তা পূরণ করে, তাহলে কখনো বলা যাবেনা যে সে তার লালসা চরিতার্থ করেছে, বরং বলতে হবে, সে তার অনিবার্য প্রয়োজনকে শালীন ও বৈধ পন্থায় পূরণ করেছে। কেউ যদি তার যৌন চাহিদা অবৈধ পন্থায় পূরণ করে (ব্যাভিচার করে, সমকাম করে ইত্যাদি), তখন সেটা লালসা চরিতার্থকরন বা কামুকতা হবে। কারো যদি যৌনশক্তি অন্য কারো থেকে বেশী থাকে, কিন্তু এটা তার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সে কোন ব্যাভিচার বা ধর্ষণ না করে, তাহলে এটা তার একটা বিশেষ গুণ বলেই মানব ইতিহাসে বিবেচিত হয়ে আসছে। এটাকে কোন দোষ ভাবা , চরম মূর্খতা ছাড়া কিছু নয়। এটা যদি গুণ না হতো তাহলে সবাই যৌনশক্তি কমানোর জন্য ডাক্তারের কাছে যেতো, বাড়ানোর জন্য যেতোনা। এছাড়া পুরুষত্ব বা যৌনশক্তি বেশী থাকলে তার স্বাস্থ্য, বুদ্ধি, স্মরণশক্তি, বিপদে অবিচলতা, ব্যাক্তিত্ব, নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি অনেক কিছুই তার বেশী থাকবে। না জানলে নেটে সার্চ দিয়ে জেনে নেন।

...................................................

এবার আসেন আসল কথায়।ধরেন কেউ যৌন চাহিদা বা লালসা মিটানোর জন্যই বিবাহ করলো। তো এতে কি হয়েছে? এজন্য কি আপনি তাকে নারী লোলুপ বলতে পারেন? কখনোই পারেন না। আরে ভাই লোভ কাকে বলে এটা আমাকে বলেন।
কারো দুই রুটি খেয়ে পেট ভরে না, কারো ভরে যায়। এখন যে দুই রুটি খায় সে কি যে চার রুটি খায় তাকে পেটুক বলতে পারে?খাদ্য লোভী বলতে পারে?না। পারে না।

ভালো করে খেয়াল করুন,

১-যে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী খায় সে হলো পেটুক।

২-যে পেট ভরে যাবার পরেও শুধু জিহ্বার মজার জন্য খায়,প্রয়োজনের চেয়ে বেশী বেশী খায়, নিজেরটা খেয়ে আবার অপরের খাবারের দিকে চেয়ে থাকে সে হচ্ছে লোভী, ছোঁচা।

৩-যে অপরের খাদ্য না কিনে,না বলে খেয়ে ফেলে সে হচ্ছে চোর।

৪-আর যে ক্ষুধার্ত অবস্থায় টাকা ও খাবার থাকা সত্ত্বেও খাবার কিনে না খেয়ে উপোস থাকে সে হচ্ছে নির্বোধ।

এ কথা যদি বুঝে থাকেন তাহলে শুনুন,

পেটের ক্ষুধার মত যৌন ক্ষুধাও একটি ক্ষুধা। পেটের ক্ষুধার মত এটাও স্বাভাবিক একটি শারীরিক চাহিদা। পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য যেমন আল্লাহ পাক খাদ্যের ব্যবস্থা রেখেছেন, তেমনি নারী ও পুরুষের যৌন ক্ষুধা মিটানোর জন্যও আল্লাহ ব্যবস্থা রেখেছেন। সব মানুষের খাবারের চাহিদা এক সমান হয় না। একজন চারফুট লম্বা মানুষের যতটুকু খাবারের চাহিদা , একজন ছয় ফুট লম্বা বিশালদেহী মানুষের চাহিদা নিশ্চয়ই বেশী হবে।ঠিক এরকম মানুষের যৌন চাহিদাও একেক জনের একেক রকম। এটা শারীরিক গঠন, বংশগতি, আবহাওয়া, দেশ ইত্যাদি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।

এখন কারো যদি শরীরের যৌন চাহিদা বেশী থাকে,তাহলে আপনি আমাকে বলেন এতে কি তার নিজের কোন হাত আছে?নেই, কোন হাত নেই। এটা সম্পূর্ণ খোদা প্রদত্ত বা নাস্তিকদের ভাষায় প্রকৃতি প্রদত্ত।আর একটু আগে দেখিয়েছি এটা তার একটা বাড়তি গুণ।

এবার আগের খাবারের উদাহরণের সাথে নীচের কথাগুলো মিলান

১-আপনার শরীরের যৌন চাহিদা কম বলে আপনার হয়তো এক স্ত্রীতেই কাজ চলে যায়, তাই বলে যার যৌন চাহিদা বেশী সে যদি দুই বা তিন বা চারটি বিবাহ করে তাহলে আপনি তাকে নারী লোভী বলতে পারেন না। যেমন নাকি আপনার দুই রুটিতে ক্ষুধা মিটে গেলেও যার চার রুটি খাওয়া প্রয়োজন তাকে খাদ্য লোভী বলতে পারেন না।

২-যে, এক স্ত্রী দ্বারাই তার শরীরের যৌন চাহিদা মিটে যাবার পরও আরো বিবাহ করে তাকে হয়তো কোন ক্ষেত্রে আপনি লোভী বলতে পারেন,কিন্তু এটা তো শুধু সেই জানতে পারে আসলে তার প্রয়োজন আছে নাকি নাই? এখানে আপনি আমি হাত দেয়ার কে? এর উপর আগের কথা তো খেয়াল রাখতে হবেই যে, যৌন চাহিদা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যেও সে বিবাহ করতে পারে, যেটা শুধু তাকে জিজ্ঞাসা করেই জানা সম্ভব।

৩-আর যে বিবাহ না করে যৌন চাহিদা মিটায় সে হচ্ছে লম্পট, ব্যাভিচারী বা ধর্ষক, যেমন নাকি যে অপরের খাবার খায় না কিনে সে হচ্ছে চোর বা অন্যকিছু। এখন ব্যপার হয়ে গেছে উল্টা। লম্পটরাই এখন যারা বৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা মিটাচ্ছে তাদেরকে লম্পট, কামুক বলে নিন্দা করছে।

৪-আর যে তার শরীরে যৌন চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এবং বিয়ে করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজন পরিমাণ বিয়ে না করে একজন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে সে হচ্ছে ঐ ব্যক্তির মত চরম বোকা যে ক্ষুধার্ত অবস্থায় টাকা থাকা সত্ত্বেও শুধু দুই রুটি খেয়ে বাকী ক্ষুধা পেটে নিয়ে বসে থাকে আর মানুষের খাবারের দিকে চেয়ে থাকে।

৫-আর যে সমাজ হুমায়ুনকে নিন্দা করলো তারা হচ্ছে চরম অর্বাচীন, পরোক্ষভাবে নারী নির্যাতনকারী, শিশু হত্যাকারী। এই নিন্দার ফলে কি হবে? অন্য নামকরা লেখকরা, সাধারণ মানুষরা, এমনকি এই নিন্দাকারীরা দ্বিতীয় বিয়ে করার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লোকনিন্দার ভয়ে বিয়ে করবে না। কেউ হয়তো পেটে ক্ষুধা নিয়ে বসে থাকবে, মরণ পর্যন্ত কষ্ট করবে। কিন্তু অনেকেই যাদের চাহিদা বেশী সে কিন্তু ঠিকই গোপনে তার ক্ষুধা মিটিয়ে নিবে, নিচ্ছে।পুরুষ মানুষের যৌন চাহিদার এই বাস্তব বিষয়টি অযথা গোঁড়ামি করে মেনে না নেয়ার কারণে সমাজে কত অন্যায় হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। হচ্ছে পরকীয়া, হচ্ছে ব্যাভিচার, হচ্ছে ধর্ষণ।বাড়ছে পারিবারিক কোন্দল, ভাঙছে সংসার, হচ্ছে আত্মহত্যা। ছোটবেলা থেকে নিজের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মাঝে দেখে আসছি এই পারিবারিক কোন্দল। গত এক বছরের পেপার ঘাটলে দেখা যাবে কত অজস্র প্রাণ ঝরে গেছে এই কোন্দলে। অথচ স্ত্রী ও সমাজ যদি স্বামীর ২য় বিবাহকে বা প্রয়োজনে আরো বেশী বিবাহকে মেনে নিত তাহলে এই ঝগড়া বিবাদ, কোন্দল কিছুই তেমন হত না। ২য় বিবাহকে মেনে না নিয়ে আমাদের কি লাভ হয়েছে? সেইতো পরকীয়া করতে গিয়ে ১ম স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য, ঝগড়া বিবাদ হচ্ছেই, সেইতো সংসার ভাঙছেই।সেইতো স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে খুন করছেই,সেইতো মা তার সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করছেই। হচ্ছে আরো শত নিদারুণ ঘটনা। এরচেয়ে ভালো কি এই নয় যে আমরা সংকীর্ণতা পরিহার করে পুরুষের যৌন চাহিদা পূরণের জন্য একাধিক বিবাহের এই বৈধ , শালীন ও নিয়ন্ত্রিত বাস্তব চাহিদাকে মেনে নেই? এই শালীন ও বৈধ জিনিস মেনে না নেয়ার কারণে কিন্তু আমাদেরকে মেনে নিতে হচ্ছে লাম্পট্য, বিচ্ছেদ, অশান্তি, আত্মহত্যা ইত্যাদি কত কি। যার ক্ষুধা বেশি লেগেছে তাকে যদি খাবার দেয়া না হয় তাহলে তো সে একসময় অসহ্য হয়ে চুরি ছিনতাই করবেই। একটা বুড়া মানুষ ধর্ষণ করেছে এই খবরে আমরা নিন্দার ঝড় বইয়ে দেই, কিন্তু চিন্তা করি না যে আমরাইতো তাকে এই কাজে বাধ্য করেছি।একদিকে লোকনিন্দার ভয়ে সে বিয়ে করতে পারেনি, যৌন চাহিদাকে দমিত করে রেখেছে অনেক দিন মূর্খ সমাজের নিন্দার ভয়ে, আরেকদিকে এই লম্পট সমাজ সুন্দরী ললনাদেরকে তার চোখের সামনে নাচিয়েছে,হাসিয়েছে; তো কত আর সহ্য করা যায়, অবশেষে ভেঙ্গে যায় ধৈর্যের বাধ কোন এক নির্জনতায়, কোন এক দুর্বল মুহূর্তে। """
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>


নবীজী (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এত গুলো বিয়ে করেছেন, স্ত্রীদের সাথে সহবাস করেছেন এগুলো শুনলে আমাদের কেমন কেমন যেন লাগে। আমাদের ভাবটা এমন যে, যেন এগুলো খারাপ কাজ, এগুলো আমরা করতে পারি, নবী রাসূলরা আবার এগুলো করে কেমনে? কয়দিন পর নাজানি কেউ বলে বসে যে, অ্যা! নবীরা আমাদের মত খাবারও খেত! আবার টয়লেটে গিয়ে লজ্জাস্থান খুলে পায়খানা পেশাবও করত! ছি ! ছি! এমন মানুষ নবী হয় কেমন করে?

এই যে আমাদের এমন মনোভাব এটা নিছক মূর্খতা। এই মনোভাব যে আমরা আমাদের মনে লালন করি জেনে বা না জেনে এটার পিছনে কি কোন যুক্তি আছে? আছে কি কোন মজবুত ভিত্তি? নেই, কোন ভিত্তি, কোন যুক্তি নেই। নিজেকে কি নিজে কখনো জিজ্ঞাসা করেছি কেন আমার কাছে এগুলো খারাপ মনে হয়? কি যুক্তি আছে আমার কাছে? আমি বা আমার সমাজ কিছুকে খারাপ মনে করলেই কি সেটা খারাপ হয়ে যাবে? খামোখাই এটা আমাদের মনে গেঁড়ে গিয়েছে। ঐ দেখবেন, কোন হুজুরকে যদি সকাল বেলা দেখা যায় রাস্তায় বা পার্কে ব্যায়াম করছে পাজামা পাঞ্জাবী পড়ে, দেখবেন অনেকেই খামোখাই একটু হাসবে, কেউ বলবেঃ হুজুররাও আবার ব্যায়াম করে নাকি! এটা কেমন হুজুর। যেমন নাকি দেখেন উপরের কমেন্টে মনে হয় ব্লগার ইমরানের কাছে, নবীজীর কুস্তি লড়ার ঘটনা বলাটা, নবীজীকে হাস্যকরভাবে উপস্থাপন মনে হয়েছে। আরে ঐ কৌতুকের কথা শুনেননি? এক লোক এক হুজুরের কাছে তার মেয়ে বিয়ে দিয়েছিলো। এরপর যখন তার একটা নাতি হয়, তখন সে বলে, হায় হায় হুজুরের কাছে বিয়ে দেয়ার পরেও এই অবস্থা! হুজুরেরে হাতেও আমার মেয়ের ইজ্জত রক্ষা হইলোনা!


নাস্তিকরা সারাদিন রাত যুক্তি প্রমাণ বলে চেচাচেচি করে, আবার তারাই যুক্তি ছাড়া, সম্পূর্ণ মনগড়াভাবে নবীদের বিয়ে ও স্বাভাবিক যৌন চাহিদা পূরণ করা নিয়ে নিন্দা করে। কেন করে ? এটা আমার এই পোষ্টটি পড়লেই বুঝবেন, আসল রহস্য। আমার এই পোষ্টটি থেকে আর একটু অংশ এখানে তুলে ধরে কথা শেষ করছি।

"""উপরের দুই ভিত্তিতে পাস করার পর রইলো সামাজিক প্রথার ভিত্তি। কিছুদিন আগেও তো এই উপমহাদেশে হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা একাধিক বিবাহের প্রথা ছিলো।। এখনো তো একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায় নি।আর সামাজিক প্রথা রক্ষা করতে হবে এটা কে বললো?সমাজের প্রথা ভাঙ্গা যদি অন্যায় হয়ে থাকে, তাহলে তো যারা আগের হাজার বছরের প্রথাকে ভেঙ্গে এই নতুন প্রথা চালু করেছেন তারাই চরম অন্যায় করেছেন । তাই বলতে পারি হয়তো হুমায়ূন এই অন্যায় প্রথাকে দূর করে আগের ভালো প্রথাকে ফিরিয়ে আনার জন্য এই কাজ করেছেন। কত মানুষ কত লাইনে সামাজিক প্রথা ভাঙছে তার কোন খবর নাই, সবাই লাগছে এই বিবাহের পিছনে। অথচ এটাকে ১ম স্ত্রী ও সমাজ যদি গোঁড়ামি না করে, মডার্ন যুগের মানুষের মত স্বাভাবিকভাবে, উদারচিত্ততার সাথে মেনে নিত, তাহলে কত পারিবারিক অশান্তি যে শেষ হয়ে যেত, সেটা কেউ চিন্তা করে না। তার উপর কথা হলো বর্তমানের এই মূর্খ, অর্বাচীন, লম্পট, ধর্ষক, খুনী, সন্ত্রাসী সমাজের কোন প্রথারতো কানা কড়ি মূল্যও নাই, মানারতো কোন প্রশ্নই আসেনা। এই সমাজের প্রথাইতো আমাদের মা বোনদেরকে শেষ করে দিচ্ছে, ধর্ষিতা বানাচ্ছে, বেশ্যা বানাচ্ছে, রাস্তার মজদুর বানাচ্ছে। শত ধিক আর থুতু মারি এই সমাজকে আর তার প্রথাকে। (হুমায়ূনতো সমাজের মাপকাঠিতে পাস করেননি, যদিও তাতে কিছু যায় আসেনা; কিন্তু নবীরা ও সাহাবীরা কিন্তু এই তিন মাপকাঠিতেই ১০০ ভাগ পাস।কারণ তাদের সমাজে বহু বিবাহ মোটেই কোন খারাপ কিছু ছিলোনা।এখান থেকেই বুঝে নিন হযরত সোলায়মান (আঃ) এর ১০০ জন স্ত্রী ছিলো শুনলে যে আপনার মনটা কেমন কেমন করে, মুখের কোণে বাঁকা হাসি ফুটে; এটা নিছক মূর্খতা আর সমাজের পূজা করার কারণে হয়।নবীরা কামুক নয়, যারা তাদের সমালোচনা করে তারাই সব বিশ্ব লম্পট ও কামুক; এবং তারা পুরা সমাজকে লম্পট বানাতে চায় এজন্য তারা কোমর বেঁধে এই চির বৈধ ও শালীন বিয়ে ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লেগেছে।"""""

"""মোটকথা ভালো খারাপ নির্ধারণের কোন মাপকাঠিতেই আপনি তার এই ২য় বিবাহকে খারাপ বলতে পারেন না, নিন্দা করা তো অনেক দূরের কথা।(ঠিক তেমনি ইতিহাসের আরো যারা বহু বিবাহ করেছেন ) কিন্তু অর্বাচীন, মূর্খ , অসভ্য আর বদ্ধ মানসিকতার লোকেরা কোন কিছু না বুঝেই, কেউ ২য় বিবাহ করলে তার নিন্দা শুরু করে দেয়। ঐ চিলে কান নেয়ার মত ছোট বেলা থেকে শুনে আসতেছে মূর্খ সমাজের মূর্খ লোকের প্রচারণা যে, একাধিক বিবাহ খারাপ; ব্যস, খারাপ। কেন খারাপ? কে বললো খারাপ? কিসের ভিত্তিতে বললো খারাপ? ইত্যাদি কোন কিছু চিন্তা না করে তারা সেটাকে মেনে নিলো। বাড়তি যৌন চাহিদা পূরণের জন্য ২য় বিবাহের মত একটা চির শালীন ও বৈধ পন্থার কথা কেউ অবলম্বন করেছে শুনলে এদের মাথায় যেন একটা অন্ধ ও বয়ড়া ভূত চেপে বসে, আর সভ্যতা ও ভব্যতার সীমা ছাড়িয়ে আর একজন মানুষের নির্দোষ ব্যাক্তি জীবন নিয়ে নোংরা সমালোচনা করতে থাকে। অথচ সমাজে যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে কত মানুষ যে কত লাম্পট্য করছে সেখানে সব ভেজা বেড়াল। একদিকে ২য় বিবাহের নিন্দা করে মানুষকে তা থেকে আটকে রাখা হচ্ছে, আবার অন্যদিকে অশ্লীল সিনেমা , নাটক দেখিয়ে; অশ্লীল বই, পত্রিকার বিস্তার ঘটিয়ে এবং প্রগতির নামে , নারী অধিকারের নামে সুন্দরী নারীদেরকে ঘরের বাহিরে এনে মানুষের যৌনতাকে উস্কিয়ে দেয়া হচ্ছে। তখন অটোমেটিক মানুষ তার যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য চুপি চুপি লাম্পট্যময় কাজের দিক এগিয়ে যাচ্ছে। একদিকে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, আবার অন্যদিকে যুবক যুবতীদের যৌনতাকে উস্কে দেয়ার জন্য যা যা করা দরকার সব করছে। ফলে তারা এখন প্রায় প্রকাশ্যেই লাম্পট্য শুরু করেছে। প্রাইমারীর ছেলে মেয়েরা পর্যন্ত অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িয়ে যাচ্ছে। তখন এরা মুখে কুলুপ দিয়ে বসে থাকে, বা বলে যে, আরে এই যুগের ছেলে মেয়েরা এগুলো একটু করবেই। এই নাস্তিকরা হলো শয়তানের দোসর। এরা চায় সমাজ থেকে লজ্জা শালীনতা উঠিয়ে দিয়ে সমাজে অশ্লিলতা, ব্যাভিচার আর লাম্পট্য ছড়িয়ে দিতে।বাড়তি যৌন চাহিদা পুরণের বৈধ ও শালীন পন্থাকে সামাজিক চাপ প্রয়োগ করে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, আর সর্ব দিকে থেকে যুবক যুবতীদের যৌনতাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে যাতে সে অবৈধ পন্থায় , লাম্পট্য করে তার যৌন চাহিদা মিটায়। আল্লাহ আমাদের এদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন। """"

"""ভারতীয় মনোবিজ্ঞানী হিমাংশু সাক্সেনা বলেন, ‘পুরুষেরা প্রকৃতিগতভাবেই বহুগামী।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে পরকীয়ার ব্যাপারটি অনেক আগে থেকে চললেও একে এখন স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখা হচ্ছে।’ হিমাংশু বলেন, বিবাহিত জীবন সুখের না হলে কিংবা কোনো কারণে সঙ্গীর সঙ্গে মন-মানসিকতা না মিললে মানুষ পরকীয়ার পথে হাঁটে। হিমাংশুর মতে, বর্তমান সময়ে কর্মক্ষেত্রে পুরুষ ও নারী অনেক ঘনিষ্ঠভাবে মেশে। এই কারণে, বহু ক্ষেত্রে তারা একে অন্যের সঙ্গে মানসিকভাবে অনেক কাছাকাছি চলে আসে। বিবাহিত হওয়ার পরেও নতুন কারও প্রতি এখন তাই সহজেই মানুষ আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।""""

দেখেন, ভালো করে চোখ খুলে দেখেন।চির শালীন একাধিক বিয়েকে না মেনে, এখন এই লাম্পট্যকে মেনে নিচ্ছে। আমাদের দেশের লম্পট নাস্তিকরা (সবাই না) এটা আমাদের দেশে আমদানী করতে চাচ্ছে। তাই এরা ষড়যন্ত্র করেছে যে, যে কেউ বৈধ পন্থায় তথা বিবাহের মাধ্যমে নিজের বাড়তি যৌন চাহিদা মিটাতে যাবে তখনই তারা তাকে লম্পট, কামুক ইত্যাদি বলে শিয়ালের মত চিৎকার করতে থাকবে, যাতে মানসিক চাপে পড়ে অন্য কেউ এই বৈধ পথে পা না বাড়িয়ে চুপিচুপি অবৈধ পথে এগিয়ে যায়। এরপর যখন ব্যাপারটি ওপেন সিক্রেট হয়ে যাবে তখন এই ইন্ডিয়া আমেরিকার মত বলবে এটা মেনে নিলেই হয়। এরা নিজেরা লম্পট আর পুরা জাতিকে লম্পট বানানোর ফিকির করছে। মেয়েদেরকে স্বাধীনতা আর অধিকারের মিষ্টি বুলি শুনিয়ে ঘরের বাহির করছে যাতে করে লাম্পট্য করার রাস্তা ক্লীয়ার হয়।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

সোনা ব্লগ থেকে একজনের একটি কমেন্ট এখানে তুলে দিলাম।

আবু জারীর লিখেছেন : এক খৃষ্টান সেবিকা একজন মুসলিম স্কলারকে বহু বিবাহের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে, তিনি (স্কলার)সেবিকাকে পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন যে, তোমরাতো বহু বিবাহের বিরোধী; কিন্তু বলতো তোমাদের কয়জন পুরুষ একক নারীতে সন্তুষ্ট?

অবৈধ ভাবে একাধিক নারীর কাছে না গিয়ে প্রয়োজনে এবং শর্ত সাপেক্ষে একাধিক (একত্রে চারের অধিক নয়) বিয়ে করা কি উত্তম নয়।
সেই সেবিকা স্কলারের যুক্তি মেনে নিয়ে সহমত পোষন করেছিল।



১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫

েশখসাদী বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণভাবে একমত । ইসলামের প্রতিটি বিধান মানুষের কল্যাণের জন্য ।

১১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৮

মূসা আলকাজেম বলেছেন: নবী কারীম(সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর শারীরিক শক্তি অনেক বেশী ছিলো, এটা থেকে কেউ যেন আবার এই ধারণা করে না বসেন যে, তিনি সেই শারীরিক চাহিদার তাড়নাতেই এতগুলো বিবাহ করেছেন। না, বরং নবী কারীম (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিবাহসমূহের পিছনে অন্য আরো অনেক মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। নবী আলাইহিমুস সালামদের শারীরিক শক্তি যদিও অন্য মানুষদের থেকে বেশী হয়ে থাকে, কিন্তু সেই সাথে সেটা সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। তারা ইচ্ছা করলে বিয়ে না করেও থাকতে পারতেন। এসব কথার প্রমাণ হলো , আমাদের নবীজী (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যৌবনকালে মাত্র একটি বিবাহই করেছেন। শেষ বয়সে যদিও করেছেন, কিন্তু ঐ যে আমরা আগেই বলেছি যে, খুব ব্যস্ততার সময় করেছেন, আবার এমন না যে, নাউযুবিল্লাহ সব সময় স্ত্রীদের নিয়ে পড়ে থাকতেন, দিনের বেলাতো প্রশ্নই আসেনা, রাতের বেলাও দেখা যেত ঘণ্টার পর ঘণ্টা এত নামাজ পড়তেন যে, উনার পা মুবারক ফুলে যেত। এছাড়া আগেইতো বলেছি যে, যৌন চাহিদার তাড়নায় বিবাহ করাটাও কোনই খারাপ কিছু নয়।এটাকে খারাপ মনে করা অকাট মূর্খতা আর ছাড়া কিছু নয়।

কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারে যে, নবীদের যেহেতু নিজেদের শারীরিক চাহিদার উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিলো, তাঁরা বিবাহ না করেও থাকতে পারতেন, তাহলে তাঁরা কেন এক বা একাধিক বিবাহ করেছেন। এর জবাবে সংক্ষেপে এতটুকু বলা যায় যে, এটা আল্লাহ্‌ পাকের ইচ্ছা, তাই। আল্লাহ্‌ চেয়েছেন নবীরা বিবাহ করুক এবং তাদের দেখাদেখি মানুষও বিবাহ করুক। বিবাহের রাস্তা অবারিত থাকুক, কিন্তু ব্যভিচার একদম বন্ধ থাকুক। আপনারা অনেক সময় পেপারে দেখবেন যে, খৃষ্টান পাদ্রীদের অপকর্মের খবর আসে। এর কারণ হলো তারা উপর দিয়ে বিবাহ না করে থাকলেও, শেষমেশ নিজের শরীরের চাহিদার কাছে পরাস্ত হয়, ফলে একসময় অঘটন ঘটে যায়।

কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারে যে, নবীদের এত শারীরিক শক্তি থাকার কারণ কি?
কারণ হলো, নবীদের উপর অহী নাযিল হত। আর অহী অত্যন্ত ভারী জিনিষ। তাঁরা যেন অহীর ভার সহ্য করতে পারেন, সেজন্য তাদের শারীরিক শক্তি বেশী থাকার প্রয়োজন ছিলো। নীচের হাদীসগুলো দেখুন

হযরত যায়েদ ইবনে সাবেত(রা.) বর্ণনা করেছেন যে, একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর অহী নাযিল হওয়ার সময় তিনি আমার উরুর ওপর তাঁর উরু ঠেকিয়ে বসেছিলেন। আমার উরুর ওপর তখন এমন চাপ পড়ছিলো যে, মনে হচ্ছিলো তা এখনই ভেঙে যাবে। হযরত আয়েশা বর্ণনা করেনঃ আমি প্রচণ্ড শীতের দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর অহী নাযিল হতে দেখেছি। সে সময়ও তাঁর কপাল থেকে ঘাম ঝরতে থাকতো। (বুখারী, মুসলিম, মালিক, তিরমিযী, নাসায়ী) আরেকটি রেওয়ায়েতে হযরত আয়েশা (রা.) বলেছেনঃ উটনীর ওপর সওয়ার থাকা অবস্থায় যখনই তাঁর ওপর অহী নাযিল হতো উটনী তখন তার বুক মাটিতে ঠেকিয়ে দিতো। অহী নাযিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে নড়াচড়া পর্যন্ত করতে পারতো না। (মুসনাদে আহমাদ, হাকেম, ইবনে জারীর)।আয়েশা (রাঃ) বলেন, অহী নাযিলকালে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে চাইত, মুখ বিবর্ণ হয়ে যেত। দাঁতগুলো কাঁপত, কিছু কিছু ঘাম ঝরত’’ (বোখারী)। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘‘ঘন্টাধ্বনী আকারে অহী নাযিলের সময় আমার মনে হত প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে’’ (মুসনাদে আহমদ)।


এছাড়া নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো জিবরীল(আঃ) কে জমীন থেকে আসমান পর্যন্ত লম্বা শরীরে দেখেছেন, তিনি কবরের আযাবের অতিশয় ভয়ানক দৃশ্য দেখতে পেতেন, ভীষন ভীতিকর আযাবের শব্দ শুন্তে পেতেন, তাই এসব বরদাশত করার মত বাড়তি শক্তি তাঁকে দেয়া হয়েছিলো। আর নবীরা যে শুধু চারিত্রিকভাবে অন্য মানুষদের থেকে শ্রেষ্ঠ হতেন এমন নয়, বরং তাঁরা শারীরিক দিক থেকেও অন্য মানুষদের থেকে শ্রেষ্ঠ হতেন। আমরা আগেই বলেছি যে, কারো পুরুষত্ব বেশী, এর মানে এই নয় যে শুধু তাঁর পুরুষত্বই বেশী; বরং এটার সাথে সাথে তাঁর অন্য আরো অনেক গুণই বেশী থাকে। তার স্বাস্থ্য, বুদ্ধি, স্মরণশক্তি, বিপদে অবিচলতা, ব্যাক্তিত্ব, নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি অনেক কিছুই তার বেশী থাকবে।


০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

েশখসাদী বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.