নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরআনের বাণী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রবেশ পথে - ন্যায়বিচারের শ্রেষ্ঠতম বাণী।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৮





ইতিহাসের অন্যতম সেরা ন্যায় বিচারের বাণীর প্রকাশ হিসেবে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রবেশমুখে পবিত্র আল-কুরআনের বাণী প্রতিস্হাপন করা হয়েছে । যা আল-কুরআনের মাহাত্ন্যই প্রকাশ করে । আমেরিকার বিচারকগণও এই কাজের মাধ্যমে তাদের সত্যতা, মহত্ব প্রকাশ করেছেন এবং সর্বপরি আল-কুরআন যে, কোন সাধারণ গ্রন্হ নয় তারও স্বীকৃতি প্রদান করেছেন ।



আজ আমেরিকার মত অমুসলমান দেশও কুরআনের বাণীর মর্ম উপলব্ধি করছে । আল-কুরআন তথা সত্যিকারের ইসলাম যা মহানবী (সাঃ) এবং সাহাবী আজমাঈনগণ তাদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন তা যে শান্তি ও ন্যায়বিচারের কথা বলে তা তার-ই বহিঃপ্রকাশ ।



সূরা নিসার ১৩৫তম আয়াত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রবেশ মুখের দেয়ালে তা উপস্হাপিত করা হয়েছে ন্যায় বিচারের সর্বাপেক্ষা উত্তম বাক্য হিসেবে ।



কি আছে সেই বাণীতে যাকে তারা ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা ন্যায়বিচারের বানী বলে স্বীকৃত দিয়েছেন ? বাণীটি নিম্নে দেয়া হলো - আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন - এর থেকে উত্তম ন্যায়বিচারের কথা আর কি হতে পারে ?



"হে ঈমানদারগণ ! তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক, আল্লাহরওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্য দান কর , তাতে তোমাদের নিজের পিতা-মাতার বা আত্নীয়স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও । কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয় , তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাংখী তোমাদের চাইতে বেশী । অতএব তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করোনা । আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বল বা পাশ কাটিয়ে যাও , তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ-কর্ম সম্পর্কে অবগত ।" (সূরা নিসা-১৩৫)



উপরোক্ত আয়াতের মর্মকথা খুবই সুষ্পষ্ট -সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে এবং আল্লাহর ওয়াস্তে সত্য সাক্ষ্য প্রদান করতে হবে । মানুষ সাধারণতঃ আত্নীয় স্বজনের কথা চিন্তা করে- আত্নীয়তার কারণে এবং অনেক সময় অর্থের বিনিময়েও মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে । আল্লাহ সুষ্পষ্টভাবে বলছেন যে, আপন পিতা-মাতার ক্ষতির আশংকা হলেও সত্য সাক্ষ্য দিতে হবে । কেননা, আল্লাহ তায়ালাই প্রকৃতপক্ষে মানুষের ভালো - মন্দ করতে সক্ষম । কারো ভালো হবে এই আশায় মিথ্যা সাক্ষ্য দিলেই যে তার ভালো হবে এটা মনে করা উচিত নয় । সব কিছু আল্লাহর হাতে আর আল্লাহ সব থেকে বেশী সবার ভালো চান ।







Harvard University was established in Cambridge, Massachusetts, in 1636 as the oldest institution of higher learning in the United States. হার্ভার্ড বিশ্বঃ পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপিঠ যা ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ।



জ্ঞান-বিজ্ঞানে একটি জাতি অনেক উন্নত হতে পারে কিন্তু সমাজে যদি ন্যায় বিচার না থাকে তাহলে সামাজিক নিরাপত্তা তথা শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না ।



মহানবী (সাঃ) এবং উনার সাহাবীগণ - প্রকৃত অনুসারীগণ তাদের জীবনে আল-কুরআনের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে গেছেন । আমীর-গরীব, বাদশাহ-ফকির, শ্রমিক-মালিক এই বৈষম্য তাদের সময়ে মিটে গিয়েছিলো । আধার রাতের নিজ গৃহের অন্ধকার কামরার ভেতরেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করাকে প্রতেকে নিজের দায়িত্ব মনে করতেন । বর্তমানে অলীক কাহিনী মনে হতে পারে কিন্তু তা ঐতিহাসিক সত্য । কিন্তু আজ মুসলমান জাতি কুরআনের এই নির্দেশ এবং রাসূলের অনুসরণ থেকে অনেক দূরে । তাই আজ তাদের এই দুর্দশা ।



আল্লাহর হুকুম আর নবী (সাঃ) এর তরীকা থেকে দূরে সরে গিয়ে কোন ভাবেই সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় । আজ এক পক্ষ ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়ে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার কথা বলছে - যা আসলে অলীক কল্পনা ছাড়া কিছুই নয় । আবার অন্য পক্ষ ইসলামকে বিকৃতভাবে ভাবে উপস্হাপন করে - ভূল ব্যাখ্যা দিয়ে সমাজে অশান্তি ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে । দুই পক্ষই ভ্রান্ত এবং তাদের দ্বারা মানুষের ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার হচ্ছেনা এবং ভবিষ্যতেও হবে না ।



আজ সমাজের এই দুর্দিনে কুরআনের বাণীর সঠিক চর্চ্চাই সমাজের প্রয়োজন - যা পাশ্চাত্য সমাজ ঠিকই উপলব্ধি করতে পারছে । ইসলাম সমাজে শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার কথাই বলে - অন্যায়, অবিচার সন্ত্রাস ও বিশৃংখলা দূর করতেই ইসলাম তথা আল্লাহর দ্বীনের আগমণ ।



সূরা নিসার পরের দুটি আয়াত এখানে অপ্রাসঙ্গিক হলেও আয়াতের গুরুত্ব উপলব্ধি করে তা এখানে উল্লেখ না করে পারছিনা ।



"হে ঈমানদারগণ ! আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্হাপন কর এবং বিশ্বাস স্হাপন কর তার রাসূল ও তার কিতাবের উপর , যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রাসূলের উপর এবং সে সমস্ত কিতাবের উপর , যেগুলো নাযিল করা হয়েছিলো ইতিপূর্বে । যে আল্লাহর উপর, তার ফেরেশ্তাদের উপর, তার কিতাব সমূহের উপর এবং রাসূলগণের উপর ও কিয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাস করবেনা, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহুদূরে গিয়ে পড়বে । যারা একবার মুসলমান হয়ে পুনরায় কাফির হয়ে গিয়েছে , আবার মুসলমান হয়েছে , আবারো কাফির হয়েছে এবং কুফরীতে উন্নতি লাভ করেছে , আল্লাহ না তাদেরকে ক্ষমা করবেন না তাদের পথ দেখাবেন ।" (সূরা নিসা- ১৩৬-১৩৭)



সত্যি তাদের মত হতভাগা আর কেউ নেই !

Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১২

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ, যুদ্বাপরাধীদের বিচারেও যেন ন্যায় বিচার করা হয়। কোন রকম পক্ষপাত ছাড়াই।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

েশখসাদী বলেছেন:
আপনার সাথে আমি একমত পোষণ করছি ।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

েশখসাদী বলেছেন:
"হে ঈমানদারগণ ! তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক, আল্লাহরওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্য দান কর , তাতে তোমাদের নিজের পিতা-মাতার বা আত্নীয়স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও । কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয় , তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাংখী তোমাদের চাইতে বেশী । অতএব তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করোনা । আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বল বা পাশ কাটিয়ে যাও , তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ-কর্ম সম্পর্কে অবগত ।" (সূরা নিসা-১৩৫)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৭

েশখসাদী বলেছেন:
আল্লাহর হুকুম আর নবী (সাঃ) এর তরীকা থেকে দূরে সরে গিয়ে কোন ভাবেই সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় । আজ এক পক্ষ ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়ে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার কথা বলছে - যা আসলে অলীক কল্পনা ছাড়া কিছুই নয় । আবার অন্য পক্ষ ইসলামকে বিকৃতভাবে ভাবে উপস্হাপন করে - ভূল ব্যাখ্যা দিয়ে সমাজে অশান্তি ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে । দুই পক্ষই ভ্রান্ত এবং তাদের দ্বারা মানুষের ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার হচ্ছেনা এবং ভবিষ্যতেও হবে না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.